নেত্রকোণা জেলা সম্পর্কে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান,চাকরির পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ নেত্রকোণা জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন
সর্বশেষ সংশোধিত ও জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন ও সমাধান টি আপডেটের করা হয়েছে ২০২৪
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন ও সমাধান ২০২৪
নেত্রকোণা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি জেলা। এটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত বরাবর দেশের উত্তর অংশে অবস্থিত। এই জেলার সদর শহর নেত্রকোণায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নেত্রকোণা। এটি কংশা, সোমেশ্বরী, ধলা, মগরা এবং তেওরখালী সহ অনেকগুলি নদীর আবাসস্থল। উত্তরে গারো পাহাড় এবং দক্ষিণে সুন্দরবন সহ বেশ কয়েকটি পাহাড় রয়েছে এই জেলায়।
নেত্রকোণা একটি কৃষিপ্রধান জেলা। জেলায় উৎপাদিত প্রধান ফসল হল ধান, পাট, গম এবং শাকসবজি। এছাড়াও জেলাটিতে টেক্সটাইল, সিরামিক এবং খাদ্য পণ্যের উৎপাদন সহ বেশ কয়েকটি শিল্পের আবাসস্থল। জেলাটি প্রাচীন সোনারগাঁ শহরের ধ্বংসাবশেষ, সুফি সাধক হযরত শাহ জালালের সমাধি এবং নেত্রকোণা রাজবাড়ী সহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থানের আবাসস্থল।
2016 – 2024 সালের সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান পেতে ক্লিক করুন
সাধারণতথ্যঃ
ক্রমিক | তথ্যের বিবরণ | পরিমাণ |
১ | আয়তন | ২,৮১০ বর্গ কিঃ মিঃ |
২ | জনসংখ্যা | ২২,২৯,৪৬৪ জন, পুরুষ-১১,১১,৩০৬জন, মহিলা-১১,১৮,৩৩৬জন (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী) |
৩ | উপজেলা | ১০ টি |
৪ | পৌরসভা | ০৫ টি (১.নেত্রকোণা, ২.মোহনগঞ্জ, ৩.দূর্গাপুর, ৪. কেন্দুয়া, ও ৫.মদন)। |
৫ | ইউনিয়ন | ৮৬ টি |
৬ | সীমান্তফাঁড়ি | ০৮ টি |
৭ | গ্রাম | ২,২৯৯ টি |
৮ | যোগাযোগব্যবস্থা | |
ক. রেল পথ | ৬৫ কি. মি. | |
খ. সড়ক পথ | পাকা সড়কঃ ৫৬৬ কিঃ মিঃ,কাঁচা সড়কঃ ১৬৬০ কিঃ মিঃ | |
গ. নদী পথ | ২০০ নটিক্যাল মাইল (প্রায়) | |
১০ টি উপজেলার মধ্যে ৯ টির জেলা সদরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিদ্যমান আছে। কিন্তু খালিয়াজুরী উপজেলার সাথে জেলা সদরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। | ||
৯ | জেলার সাথে ঢাকার যোগাযোগ | |
সড়কপথ | নেত্রকোণো থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ১৬২ কিঃ মিঃ (নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ-ঢাকা)। খালিয়াজুরি উপজেলা সদর ব্যতীত অন্যান্য সকল উপজেলা সদর থেকে ঢাকার সাথে সরাসরি বাস সার্ভিস চালু আছে। | |
রেলপথ | প্রায় ১৮৩ কিঃ মিঃ। ৩০আগষ্ট ২০১৩ হতে ‘হাওড় এক্সপ্রেস’ নামে ঢাকা-মোহনগঞ্জ ভায়া নেত্রকোণা রুটে আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে। তবে পূর্ব হতেই মোহনগঞ্জ–নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে মেইল ট্রেন সার্ভিস চালু আছে। এছাড়া প্রতিদিন ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ ভায়া নেত্রকোণা রুটে ২টি লোকাল ট্রেন সার্ভিস চালু আছে। | |
১০ | জেলার সাথে উপজেলার (Head Quarter) যোগাযোগ | |
নেত্রকোণা সদর | ১০০মিটার, ৫ মিনিট | |
বারহাট্টা | ১৬কিঃ মিঃ, সড়ক পথে যাতায়াতের সময়-৪০ মিনিট। | |
আটপাড়া | ১৯কিঃ মিঃ, সড়ক পথে যাতায়াতের সময়-৪৫ মিনিট। | |
কেন্দুয়া | ২৭কিঃ মিঃ, সড়ক পথে যাতায়াতের সময়-৪০মিনিট। | |
মদন | ৩০কিঃ মিঃ, সড়ক পথে যাতায়াতের সময়-১ ঘন্টা। | |
মোহনগঞ্জ | ৩০কিঃ মিঃ, সড়ক পথে যাতায়াতের সময়-১ ঘন্টা। | |
পূর্বধলা | ২০কিঃ মিঃ, সড়ক পথে যাতায়াতের সময়-১ ঘন্টা। | |
দুর্গাপুর | ৪৫কিঃ মিঃ, সড়ক পথে যাতায়াতের সময়-২ ঘন্টা। | |
কলমাকান্দা | ৩৩কিঃ মিঃ, সড়ক পথে যাতায়াতের সময়-২ ঘন্টা। | |
খালিয়াজুরী | ৫৫.০০কিঃ মিঃ, বর্ষাকালে ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে ৩.০০ ঘন্টা, শুষ্কমৌসুমে মোটর গাড়ী যোগে ৩.৩০ঘন্টা এবং মোটর গাড়ী, ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও পদব্রজে ৪.৩০ ঘন্টা। | |
১১ | হেলিপ্যাড | খালিয়াজুরী উপজেলা ব্যতিত সকল উপজেলায় হেলিপ্যাড রয়েছে। |
১২ | টেলিযোগাযোগব্যবস্থা | জেলার সকল উপজেলার সাথে ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে। |
১৩ | মোবাইলনেটওয়ার্ক | জেলার সকল উপজেলা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত। |
১৪ | ফ্যাক্স | জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় গুলোতে ফ্যাক্স রয়েছে। |
১৫ | কৃষি | ৪,৭৩,০০০.০০ একর |
আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ | ৫১,৩৩১.০০ একর | |
অনাবাদী জমির পরিমাণ | ৬৬,০৬৫.৬৯ একর | |
খাস জমির পরিমাণ | কৃষি-৩৫৯৮৩.৮৭ একর, অকৃষি- ১৭১৫৭.১৩ একর। বন্দোবস্তযোগ্য খাস জমির পরিমাণ- ২৩০২৭.২৮(কৃষি), ৩০৪.৮২(অকৃষি)। | |
১৬ | শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | |
বিশ্ববিদ্যালয় (শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়) | ০১টি | |
মেডিকেল কলেজ (নেত্রকোণা মেডিক্যাল কলেজে) | ০১টি | |
মহাবিদ্যালয় | ২৭টি (সরকারী ৩টি এবং বেসরকারী ২৪টি) | |
শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় | ০১টি | |
উচচ বিদ্যালয় | ১৮৭টি (সরকারী ৬টি এবং বেসরকারী ১৮১টি) | |
জুনিয়র স্কুল | ৫৯টি | |
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় | ৬৩০টি | |
বে-সরকারী রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয় | ৪৬৩টি | |
বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় | ১৪৪টি | |
ইংরেজী মাধ্যম প্রাঃ বিদ্যালয় | ০১টি | |
কারিগরী প্রতিষ্ঠান | ০২টি (সরকারী ১টি এবং বেসরকারী ১টি) | |
প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র | ১টি | |
মাদ্রাসা | ৩১০টি(কামিল-০১টি,ফাযিল-৯টি,আলিম-১৪টি, দাখিল-৫৯টি এবংএবতেদায়ী-২২৭টি) | |
সরকারীশিশু পরিবার (বালক) | ০১টি | |
এতিমখানা | ০৫টি | |
উপজাতীয় কালচালার একাডেমী | ০১টি | |
পাবলিক লাইব্রেরী-কাম-অডিটরিয়াম | ০৬টি | |
১৭ | চিকিৎসাঃ | |
আধুনিক সদর হাসপাতাল | ০১টি | |
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স | ০৯টি | |
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র | ৬২টি | |
মাতৃসদনও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র | ০১টি | |
কমিউনিটি ক্লিনিক | ২৪৪ টি | |
১৮ | অন্যান্য | |
প্রেস | ২২টি | |
বি,জি,বি ব্যাটালিয়ন হেড কোয়ার্টার | ০১টি | |
টেলিফোন অফিস | ১০টি | |
সাধারণ পাঠাগার | ০২টি | |
এল,এস,ডি গোডাউন | ১৫টি | |
এফ,এস, গোডাউন | ৩০টি | |
স্টেডিয়াম | ০১টি | |
জেলা হিসেবে শুভ উদ্বোধন | ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪ খ্রিঃ। | |
১৯ | দর্শনীয় স্থান | বিজয়পুর পাহাড়ে চিনামাটির নৈসর্গিক দৃশ্য, দূর্গাপুর। |
টংক আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ, দূর্গাপুর। | ||
রাণীখং মিশন টিলাতে ক্যাথলিক গির্জা, দূর্গাপুর। | ||
বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী, দূর্গাপুর। | ||
কমলা রাণীর দীঘি, দূর্গাপুর। | ||
কথিত নইদ্যা ঠাকুরের ভিটা, দূর্গাপুর। | ||
রাশমণি স্মৃতি সৌধ, দূর্গাপুর। | ||
লেগুরা, চেংটি, গোবিন্দপুরের পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য, কলমকাকান্দা। | ||
সাত শহীদের মাজার, কলমকাকান্দা। | ||
হযরত শাহ সুলতান কমরউদ্দিন রুমী (রাঃ)-এঁর মাজার শরীফ, নেত্রকোণা সদর। | ||
রোয়াইলবাড়ীর পুরার্কীতি, কেন্দুয়া। | ||
২০ | সমস্যা | নেত্রকোণা শহরের যানজট নিরসন কল্পে মোহনগঞ্জ-ঢাকা সড়কে কোন বাইপাস সড়ক নেই। |
নেত্রকোণা পৌরসভাস্থ মগড়া নদীর উপর নির্মিত মোক্তারপাড়া ব্রীজটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। | ||
নেত্রকোণার বিস্তৃত হাওরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল নয়। | ||
নেত্রকোণা-কেন্দুয়া, নেত্রকোণা- পূর্বধলা, এবং নেত্রকোণা- কলমাকান্দা রাস্তার বেহাল অবস্থা। | ||
২১ | সম্ভাবনা | সিরামিকও কাঁচশিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত সাদামাটি ও কাঁচবালি হিসেবে দূর্গাপুরে পাওয়া যায়, যা দিয়ে দূর্গাপুরে সিরামিক কাঁচশিল্প স্থাপনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। |
পর্যটন শিল্পের বিকাশে দুর্গাপুরের বিজয়পুর, বিরিশিরি, কলমাকান্দার লেঙ্গুরা এবং কেন্দুয়ার রোয়াইলবাড়ীতে অবস্থিত মোগল স্থাপত্যকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়েতোলা যেতে পারে। | ||
বিজয়পুর স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিসহ জেলায় কর্মসংস্থান ও ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। | ||
হাওরবাওর বেষ্টিত ভাটি অঞ্চল হওয়ায় মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিসহ মাছের অভয়াশ্রম সৃষ্টির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। |
নেত্রকোণা নামকরণ ও জেলার ইতিহাস
নেত্রকোণা জেলার নামকরণের ইতিহাস দীর্ঘ ও ঘূর্ণায়মান। এলাকাটি মূলত নাটোরকোনা নামে পরিচিত ছিল, যার বাংলা অর্থ “নাটোরের কোণ”। নাটোর রাজশাহী বিভাগের একটি জেলা, এবং অষ্টাদশ শতকে জমিদাররা (ভূমিস্বামী) যারা এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করেছিল তারা সেখান থেকে এসেছিল। শেষ পর্যন্ত নাটোরকোনা নামটি নষ্ট হয়ে নেত্রকোণা হয়ে যায়।
১৮৮০ সালে ব্রিটিশ রাজ এলাকাটিকে একটি মহাকুমা (প্রশাসনিক অঞ্চল) হিসাবে অনুমোদন করে এবং এর নাম দেয় নেত্রকোণা মহাকুমা। ১৮৮২ সালের ৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে নেত্রকোণা নামটি গৃহীত হয়।
জেলার সদর দপ্তর মোগরা নদীর শেষ প্রান্তে অবস্থিত ছিল বলেই নেত্রকোণা নামের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। বাংলায় “নেত্র” শব্দের অর্থ “চোখ” এবং “কোনা” শব্দের অর্থ “কোণ”। সুতরাং নেত্রকোণার আক্ষরিক অর্থ হল “চোখের কোণ”। মোগরা নদী সোমেশ্বরী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে এমন একটি কৌশলগত পয়েন্টে জেলাটি অবস্থিত বলে এটিকে উল্লেখ করা হয়েছে।
নেত্রকোণা জেলার উপজেলা/থানা সমূহ
নেত্রকোণা জেলাকে ১০টি উপজেলায় ভাগ করা হয়েছে, যেমন:
- আটপাড়া উপজেলা,
- বারহাট্টা উপজেলা,
- দুর্গাপুর উপজেলা,
- খালিয়াজুরী উপজেলা,
- কলমাকান্দা উপজেলা,
- কেন্দুয়া উপজেলা,
- মদন উপজেলা,
- মোহনগঞ্জ উপজেলা,
- নেত্রকোণা সদর উপজেলা,
- পূর্বধলা উপজেলা।
উপজেলা গুলোকে আবার ইউনিয়ন পরিষদে (স্থানীয় সরকার সংস্থা) ভাগ করা হয়েছে।
নেত্রকোণা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
এখানে নেত্রকোণা জেলার কিছু পর্যটন/দর্শনযোগ্য স্থান গুলো মধ্যে অন্যতম হলো:
দুর্গাপুর
দুর্গাপুর বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলায় অবস্থিত একটি মনোরম শহর। এটি তার গারো পাহাড়ের জন্য বিখ্যাত, যেগুলি সবুজ গাছপালা আচ্ছাদিত। পাহাড়গুলি আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের অত্যাশ্চর্য দৃশ্যগুলি সরবরাহ করে।
বিরিশিরি
বিরিশিরি নেত্রকোণা জেলায় অবস্থিত একটি ছোট গ্রাম। এটি তার উপজাতীয় সাংস্কৃতিক একাডেমির জন্য বিখ্যাত, যা গারো জনগণের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য প্রদর্শন করে। গ্রামে সাগর দীঘি নামে একটি ঐতিহাসিক বড় পুকুরও রয়েছে।
হাওর
হাওর হল জলাবদ্ধতার বিশাল এলাকা। এটি নেত্রকোণা জেলায় অবস্থিত এবং এটি মাছ ধরা, বোটিং এবং পাখি দেখার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
মদনপুর মাজার (শাহ সুলতান রুমি)
মদনপুর মাজার নেত্রকোণা জেলায় অবস্থিত একটি মাজার। এটি শাহ সুলতান রুমিকে উৎসর্গ করা হয়েছে, একজন সুফি সাধক যিনি তেরোশ শতাব্দীতে বসবাস করতেন বলে কথিত আছে। মাজারটি সারা বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।
রাণীকং মিশন
রানিকং মিশন নেত্রকোণা জেলায় অবস্থিত একটি খ্রিস্টান মিশন। এটি ঊনবিংশ শতকে আমেরিকান মিশনারিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মিশনটি সারা বাংলাদেশের খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রামশালা নেত্রকোণা জেলায় অবস্থিত একটি শিল্প জাদুঘর। এতে বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্মের একটি সংগ্রহ রয়েছে।
টাঙ্গুয়ার হাওর
টাঙ্গুয়ার হাওর নেত্রকোণা জেলায় অবস্থিত একটি বড় হাওর। এটি মাছ ধরা, বোটিং ও পাখি দেখার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
মধুটিলা ইকো-পার্ক
মধুটিলা ইকো-পার্ক হল নেত্রকোণা জেলায় অবস্থিত একটি ইকো-ট্যুরিজম পার্ক যা পিকনিক, হাইকিং এবং পাখি দেখার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
নেত্রকোণা জেলার পাবলিক পার্ক সমূহ
এখানে নেত্রকোণা জেলার কিছু পাবলিক পার্কগুলো সম্পর্কে বলা রয়েছে:
জনলী পার্ক
নেত্রকোণা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই পার্কটি স্থানীয় ও পর্যটকদের কাছে একইভাবে একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি বিভিন্ন ধরণের গাছ এবং গাছপালা, সেইসাথে একটি খেলার মাঠ, একটি হ্রদ এবং অনেকগুলি খাবারের স্টলের আবাসস্থল।
ডলফিন পার্ক
এই পার্কটি নেত্রকোণা নদীর তীরে অবস্থিত এবং নদী এবং আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখায়। এটি পিকনিক, বোটিং এবং মাছ ধরার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
সদর পার্ক
এই পার্কটি নেত্রকোণা সদর উপজেলা (উপজেলা) অফিসের কাছে অবস্থিত এবং এটি স্থানীয় এবং সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি বিভিন্ন ধরনের গাছ ও গাছপালা, সেইসাথে একটি খেলার মাঠ, একটি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি খাবারের স্টলের আবাসস্থল।
হাতিরঝিল পার্ক
এই পার্কটি নেত্রকোণা শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত এবং পাখি দেখার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি হেরন, এগ্রেট এবং সারস সহ বিভিন্ন ধরণের পাখির আবাসস্থল।
যে কারনে নেত্রকোণা জেলা বিখ্যাত
নেত্রকোণা জেলা বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত, যার মধ্যে রয়েছে:
- এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: গারো পাহাড়, ডিঙ্গাপুতা হাওর এবং সুসং দুর্গাপুর চায়না-ক্লে পাহাড় সহ বিভিন্ন অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক আকর্ষণের আবাসস্থল এই জেলা।
- সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি: নেত্রকোণা একটি ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ জেলা, একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি যা এর লোককাহিনী, সঙ্গীত এবং উৎসবে প্রতিফলিত হয়।
- প্রাণবন্ত অর্থনীতি: নেত্রকোণা একটি প্রধান কৃষি ও শিল্প কেন্দ্র এবং এখানে বেশ কয়েকটি সমৃদ্ধ ব্যবসার আবাসস্থল।
- বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ: নেত্রকোণার মানুষ তাদের আতিথেয়তা এবং উষ্ণতার জন্য পরিচিত, এবং জেলায় দর্শনার্থীদের সবসময় স্বাগত জানানো হয়।
নেত্রকোণা জেলা আরও যেসব কারনে বিখ্যাত সেগুলির মধ্যে কয়েকটি নির্দিষ্ট পর্যটন আকর্ষণ এখানে দেওয়া হল:
- গারো পাহাড়: এই পাহাড়টি হল জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে অবস্থিত একটি শ্রেণী। বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল এবং আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখা যায় এতে।
- ডিঙ্গাপুতা হাওর: ডিঙ্গাপুতা হাওর একটি বৃহৎ মিঠা পানির হ্রদ যা জেলার উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। পাখি পর্যবেক্ষন, মাছ ধরা ও বোটিং এর জন্য হাওর একটি জনপ্রিয় গন্তব্য।
- সুসাং দুর্গাপুর চায়না-ক্লে হিলস: এটি হল জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত পাহাড়ের একটি পরিসর। পাহাড়গুলি একটি বিরল ধরণের কাদামাটির আবাসস্থল যা সিরামিক পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- মদনপুর মাজার: মদনপুর মাজার হল একটি মুসলিম মাজার যা জেলার দক্ষিণে অবস্থিত। মাজারটিকে একজন সুফি সাধকের সমাধি বলে বলা হয় ও এটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।
- রানিকং মিশন: রানিকং মিশন একটি খ্রিস্টান মিশন যা ঊনবিংশ শতকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মিশনটি একটি গির্জা, একটি স্কুল ও একটি হাসপাতাল সহ বহু ঐতিহাসিক ভবনের আবাসস্থল।
আপনি যদি ভ্রমণের জন্য একটি সুন্দর, ঐতিহাসিক এবং প্রাণবন্ত গন্তব্য খুঁজছেন, তবে নেত্রকোণা জেলা অবশ্যই বিবেচনার যোগ্য।