পঞ্চম শ্রেণি বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়: ৩য় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১। উয়ারী-বটেশ্বর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : নরসিংদী জেলার শিবপুর ও বেলাব উপজেলায় উয়ারী-বটেশ্বর অবস্থিত।
২। মৌর্য আমলে মহাস্থানগড়ের নাম কী ছিল?
উত্তর : মৌর্য আমলে মহাস্থানগড়ের নাম ছিল ‘পুণ্ড্রনগর’।
৩। ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন থেকে আমরা কী জানতে পারি?
উত্তর : ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন থেকে আমরা অতীতের সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারি।
৪। মহাস্থানগড় কোন শতকের সাক্ষ্য বহন করে?
উত্তর : মহাস্থানগড় খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে পরবর্তী পনেরো শ বছরের বেশি সময়কালের বাংলার ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।
৫। মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত দুটি নিদর্শনের নাম লেখো।
উত্তর : মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত দুটি নিদর্শন হলো—
ক) চওড়া খাদবিশিষ্ট প্রাচীন দুর্গ
খ) ৩.৩৫ মিটার লম্বা খোদাই পাথর।
৬। মহাস্থানগড় কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে মহাস্থানগড় অবস্থিত।
৭। উয়ারী-বটেশ্বর আসলে কী?
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বর নামে যা শোনা যায় তা আসলে পাশাপাশি দুটি গ্রাম।
৮। উয়ারী-বটেশ্বরে কোন আমলের নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বরে খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০ অব্দের মৌর্য আমলের পূর্বের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
৯। উয়ারী-বটেশ্বরে প্রাপ্ত কয়েকটি নিদর্শনের নাম লেখো।
উত্তর : উয়ারী-বটেশ্বরে প্রাপ্ত কয়েকটি নিদর্শন হলো—
প্রাচীন রাস্তাঘাট, রৌপ্যমুদ্রা, হাতিয়ার, পাথরের পুঁতি ইত্যাদি।
১১। পাহাড়পুর কত খ্রিস্টাব্দে এবং কার আমলে নির্মিত হয়?
উত্তর : পাহাড়পুর ৭৮১-৮২১ খ্রিস্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে নির্মিত হয়।
১২। পাহাড়পুর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত।
১৩। পাহাড়পুরের ঐতিহাসিক নিদর্শনটি কী নামে পরিচিত?
উত্তর : পাহাড়পুরের ঐতিহাসিক নিদর্শনটি ‘সোমপুর মহাবিহার’ নামে পরিচিত।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
১৪। পাহাড়পুরে কত মিটার উঁচু গড় রয়েছে?
উত্তর : পাহাড়পুরে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে।
১৫। পাহাড়পুরে কতটি বৌদ্ধ ভিক্ষুকক্ষ রয়েছে?
উত্তর : পাহাড়পুরে ১৭৭টি বৌদ্ধ ভিক্ষুকক্ষ রয়েছে।
১৬। পাহাড়পুরে প্রাপ্ত কয়েকটি নিদর্শনের নাম লেখো।
উত্তর : পাহাড়পুরে প্রাপ্ত কয়েকটি নিদর্শনের নাম হলো—
মন্দির, রান্নাঘর, খাবার ঘর, পাকা নর্দমা, জীবজন্তুর মূর্তি ও টেরাকোটা।
১৭। ময়নামতি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে কুমিল্লা শহরের কাছে ময়নামতি অবস্থিত।
১৮। ময়নামতি জায়গার ইতিহাস কার নামের সঙ্গে জড়িত?
উত্তর : অষ্টম শতকের রাজা মাণিক চন্দ্রের স্ত্রী ময়নামতির কাহিনি এই জায়গার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত।
১৯। ময়নামতি কোন সভ্যতার কেন্দ্র ছিল?
উত্তর : ময়নামতি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল।
২০। ময়নামতিতে আর কোন কোন ধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উত্তর : ময়নামতিতে হিন্দু ও জৈন ধর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
২১। ময়নামতিতে প্রাপ্ত কয়েকটি নিদর্শনের নাম লেখো।
উত্তর : ময়নামতিতে প্রাপ্ত কয়েকটি নিদর্শনের নাম হলো—
পোড়ামাটির ফলক, বেজির সঙ্গে যুদ্ধরত গোখরা সাপ, আগুয়ান হাতি ইত্যাদি।
২২। সোনারগাঁ কোন শতকের নিদর্শন?
উত্তর : সোনারগাঁ সতেরো শতকের ঐতিহাসিক নিদর্শন।
২৩। সোনারগাঁ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : সোনারগাঁ ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত।
২৪। সোনারগাঁ কাদের রাজধানী ছিল?
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
উত্তর : সোনারগাঁ প্রাচীন বাংলার মুসলমান সুলতানদের রাজধানী ছিল।
২৫। সোনারগাঁয় কার মাজার রয়েছে?
উত্তর : সোনারগাঁয় গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের মাজার রয়েছে।
২৬। কত সালে ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করা হয়?
উত্তর : ১৬১০ সালে ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করা হয়।
২৭। সোনারগাঁয় পানাম নগর গড়ে উঠেছিল কেন?
উত্তর : উনিশ শতকে হিন্দু বণিকদের সুতা বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে সোনারগাঁয় পানাম নগর গড়ে উঠেছিল।
২৮। সোনারগাঁয় লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন কে?
উত্তর : শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সোনারগাঁয় লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন।
২৯। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন কত সালে সোনারগাঁয় লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : ১৯৭৫ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সোনারগাঁয় লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন।
৩০। লালবাগ কেল্লা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে লালবাগ কেল্লা অবস্থিত।
৩১। লালবাগ কেল্লা কত সালে নির্মাণ করা হয়?
উত্তর : ১৬৭৮ সালে লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করা হয়।
৩২। লালবাগ কেল্লা কিসের তৈরি?
উত্তর : লালবাগ কেল্লা সম্পূর্ণ ইটের তৈরি।
৩৩। কোথায় তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে?
উত্তর : লালবাগ কেল্লায় তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে।
৩৪। আহসান মঞ্জিল কাদের রাজপ্রাসাদ ছিল?
উত্তর : আহসান মঞ্জিল বাংলার নবাবদের রাজপ্রাসাদ ছিল।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৩৫। আহসান মঞ্জিল কে নির্মাণ করেন?
উত্তর : মুঘল আমলে জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতুল্লাহ আহসান মঞ্জিল নির্মাণ করেন।
৩৬। ফরাসি বণিকদের কাছে কে আহসান মঞ্জিল বিক্রি করে দেন?
উত্তর : আঠারো শতকে শেখ মতিউল্লাহ ফরাসি বণিকদের কাছে আহসান মঞ্জিল বিক্রি করে দেন।
৩৭। কত সালে খাজা আলিমুল্লাহ ফরাসিদের কাছ থেকে প্রাসাদটি ক্রয় করে নেন?
উত্তর : ১৮৩০ সালে খাজা আলিমুল্লাহ ফরাসিদের কাছ থেকে প্রাসাদটি ক্রয় করে নেন।
৩৮। কার নামানুসারে ভবনটির নাম আহসান মঞ্জিল রাখা হয়?
উত্তর : খাজা আব্দুল গণির পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে ভবনটির নাম আহসান মঞ্জিল রাখা হয়।
৩৯। আহসান মঞ্জিল কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর : ১৮৮৮ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এবং ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে আহসান মঞ্জিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪০। কত সালে বাংলাদেশ সরকার আহসান মঞ্জিল তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেন?
উত্তর : ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার আহসান মঞ্জিল তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
1 thought on “পঞ্চম শ্রেণি বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়: ৩য় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর”