রাতদিন বাবা মা বলেই যান, “বেশি করে পড়াশোনা কর! রেজাল্ট ভাল হতে হবে এবার!” আমরাও ভাল রেজাল্টের জন্য অথবা ভাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবার আশায় বইয়ে মুখ গুঁজে ডুবে থাকি পড়াশোনায়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এত পরিশ্রমের পরও ফলাফল মন মতো হচ্ছে না।
অথচ পাশের বাড়ির ছেলেটাই সারাদিন খেলাধুলা নিয়ে মেতে থাকার পরও পরীক্ষায় অনেক ভালো রেজাল্ট করছে। এর কারণ কি শুধুই মেধার তারতম্য?
পড়াশোনা করার নেশা,পড়াশোনার কৌশল,সারাদিন পড়াশোনা করার উপায়,ক্লাসে ১ম হওয়ার উপায়,পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার ১০টি উপায়
কখনোই নয়! সৃষ্টিকর্তা সবাইকেই সমান মেধা দিয়ে পাঠিয়েছেন, কিন্তু সেই মেধার সঠিক ব্যবহার আর পড়াশোনা করার নিয়মই ক্লাসের ফার্স্ট বয় আর লাস্ট বয়ের ব্যবধান তৈরী করে।
দৈনন্দিন পড়াশোনা পদ্ধতিতে ছোট্ট ছোট্ট কিছু পরিবর্তন, জাদুকরী এক ভূমিকা রাখবে তোমার পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করার পেছনে। পড়াশোনায় মনোযোগ আনার উপায় হিসেবে সবাই কিছু না কিছু কৌশল অবলম্বন করে। পড়াশোনা করার নেশা
আজকের পোষ্ট এর বিষয় সমূহ
কিন্তু কয়েকটি টিপস মেনে চললে তোমার প্রস্তুতিটি আরও সহজ ও পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। তাই আজকের এই ব্লগে থাকছে পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর কয়েকটি সহজ বৈজ্ঞানিক টিপস।
পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর কয়েকটি সহজ টিপস
একনাগাড়ে বেশিক্ষণ পড়াশোনা নয়
বিজ্ঞানীরা বলেন, মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা টানা ২৫-৩০ মিনিট পরিশ্রমের পর হ্রাস পেতে শুরু করে। সুতরাং, একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা বই নিয়ে পড়ে থাকার অভ্যাস বন্ধ করো। পড়ার সময়টুকুকে ছোট্ট ছোট্ট ভাগে আলাদা করে সাজিয়ে নাও।
প্রত্যেকটা ভাগ শেষ হওয়ার পর পাঁচ মিনিট ব্রেক নিবে। এই সময়টুকু একদম chill! তোমার যা করতে ভালো লাগে (কিছু খাওয়া, গান শোনা, ফেসবুকে একবার ঢুঁ মেরে আসা) এই সময়টুকুতে করবে, তারপর সতেজ মনে আবার পড়াশোনা করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
মুখস্থ নয়, বুঝে পড়ো পড়াশোনা করার নেশা
ছোটবেলা থেকে আমাদের ছড়া, কবিতা ইত্যাদি দাঁড়িকমা সহ মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লিখতে লিখতে অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায় সবকিছু মুখস্থ করে ফেলার। এটি খুব ভুল একটি পদ্ধতি। অনেকেই আছে, যাদের কোন কিছুর সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করলে হুবুহু বই এর সংজ্ঞা গড়গড় করে বলে দিতে পারবে, কিন্তু ব্যাখ্যা করতে বললেই নিশ্চুপ!
Don’t multitask:
এটি হলো স্মার্টলি স্টাডি করার প্রথম টেক কৌশল ভালো স্টুডেন্ট হতে হলে বা কম্পরে ভালো ফলাফল করতে চাইলে সব সময় যখন যে কাজ করবে তার দিকে ফোকাস করতে হবে অর্থাৎ যে সময়টাতে তুমি পড়বে তখন শুধু পড়ার দিকে প্রকাশ করতে হবে অর্থাৎ তখন টিভিঢাকা ফেসবুক বা টেক্সট মেসেজ এর রিপ্লাই দেওয়া এগুলো করা যাবে না তোমাকে পড়ার সময় ফোনের নোটিফিকেশন অফ করে রাখতে হবে ফোনটাকে এয়ারপ্লেন মোড করে রাখত করো রাখলে অনেক ভালো হয় অর্থাৎ পড়ার সময় তোমার সকল প্রকার শুধু পড়ার দিকে দিতে হবে।
Maintain regularity:
regularity maintain করা স্মার্টলি স্টাডিজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ তুমি একদিন অনেকগুলো পড়ে ফেললে বাট আবার দুই তিন দিন পড়তে বসলে না এটা কখনোই স্মার্টলি স্টাডি হতে পারে না কারণ একদিন অনেক পরে পড়ে লাভ নাই যদি রেগুলার না বড় না পড়ো ।
অর্থাৎ একদিনে বেশি খাইলে যেমন বদহজম হয় ঠিক তেমনি একদিনে বেশি পড়লেও পড়ার প্রতি মনোযোগ থাকে না তাই নিয়মতান্ত্রিকভাবে গোছালো জিনিস আমাদের ব্রেন ভালোভাবে মনে রাখতে পারে তাই প্রতিদিন পড়ার অভ্যাস করা অত্যন্ত জরুরি।
Learn the same information in a varsity of ways:
বন্ধুরা তোমরা যখনই কোন বিষয়ে পড়বে তখনই চেষ্টা করবে বিভিন্ন উৎস থেকে পড়ার স্মার্টলি স্টাডি করার অন্যতম একটি টিপস যেমন ক্লাসের স্যার কী পড়ালো তার থেকে লোন নিতে পারো টেক্সটবুক পড়তে পারো।
অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে হেল্প নিতে পারো অথবা ইউটিউবে সেই বিষয়ের উপর ভিডিও দেখতে পারো বিভিন্ন উৎস গুলো পড়ার মাধ্যমে তুমি হয়তো সবগুলো
একসাথে ক্যাপচার করতে পারবে না কিন্তু প্রত্যেকবার বিষয়টা রিভিউ করার মাধ্যমে বিষয়টা তুমি খুব দ্রুত বুঝতে পারবে এবং বিষয়টাকে নতুন ভাবে তোমার মত করে ক্রিয়েট করতে পারবে।
Take regular study breaks:
Smartly study করার এটি একটি অন্যতম স্ট্রাটেজি পড়ার মাঝে বিরতি তোমার পড়ার মনোযোগ বাড়াতে এবং পড়া মনে রাখতে অনেক হেল্প করবে গবেষণায় দেখা গেছে যে একটানা 4 ঘন্টা 6 ঘন্টা পড়লে তার প্রডাক্টিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট কখনোই ভালোবাসে না ।
কারণ মানব মন ও মস্তিষ্ক একটানা দীর্ঘক্ষণ কোন কাজেই মনোযোগ দিতে পারেনা আর পড়ার ক্ষেত্রে ও ঠিক তেমনি তাই পড়তে বসলে প্রত্যেক 40 মিনিট পরপর 5 থেকে 10 মিনিট নেওয়া দরকার একটা কিন্তু এর বেশি হওয়া যাবে না কারণ 40 মিনিট পর আমাদের মন কোনোটাই পড়ার দিকে আর প্রকাশ করে না।
তবে এই ব্রেক এর মাঝে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করা যাবে না এগুলা তোমার পড়ার প্রকাশকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করতে পারে ব্রেকের সময় তুমি একটা এক্সারসাইজ করতে পারো অথবা একটু হাঁটাহাঁটি করলে বা পানি খেলে এগুলো তোমার মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন এর সাহায্য করবে এবং পড়ার প্রতি মনোযোগ আরো দ্বিগুন বেড়ে যাবে
Take notes the important point:
বিজ্ঞান বলে যে তুমি যখন যে বিষয়টা পড়বে সেখান থেকে ইম্পরট্যান্ট বাকি পয়েন্টগুলো লোড করে ফেলো কে পয়েন্টগুলো তোমার পড়া মনে রাখতে সাহায্য করবে সুতরাং স্মার্টলি স্টাডি এটি আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ট্রিক
Study like a teacher or Test yourself frequently:
নিজে নিজে টিচার হওয়াটাও অত্যন্ত ফলপ্রসূ স্মার্টলি স্টাডির ক্ষেত্রে তুমি যে বিষয়টা পড়লে তা তুমি অন্যকে বোঝানোর ট্রাই করো যেমন তোমার কোন বন্ধু বা বান্ধবী যদি কেউ না থাকে তবে নিজে নিজের সাথে কথা বলো এটা তোমাকে অনেক বেনিফিট স্কিম তোমার ভিতরে যত এবং ভুলগুলো তুমি খুজে পাবে যদি তুমি নিজে তোমার টিচার হতে পারো তবে তুমি নিজেকে যাচাই করতে পারবে যে তোমার কথায় ভুল আর এই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারবে
Try to understand first then memorize:
স্মার্টলি স্টাডি করার অন্যতম একটি হলো আগে বুঝাতেন মেমোরাইজ করা যেকোনো জিনিস মুখস্ত করা অবশ্যই ভালো তবে যে বিষয়টি মুখস্ত করবে তা অবশ্যই আগে বুঝতে হবে না বুঝে মেমোরাইজ করলে তা খুব সহজেই বিস্তৃতি ঘটে তাই অবশ্যই at first try to understand then memorize.
Reward and punishment at the each study session
যেকোনো পড়া শুরু করার পূর্বে অবশ্যই একটা রেকর্ড এবং পানিশমেন্ট এর ব্যাবস্থা রাখবেন হতে পারে তোমার পছন্দের কোনো কিছু যেমন তোমার পছন্দের কোন খাবার হতে পারে অথবা পছন্দের কোন মিউজিক অথবা তোর পছন্দের কোন জায়গায় ঘুরাঘুরি ইত্যাদি আর শাস্তিটা হতে পারে
একটানা দুই ঘন্টা ধরে পড়া কোথাও ঘুরতে না যাওয়া ইত্যাদি তুমি যে টার্গেট নিয়ে পড়া শুরু করবে তার চাইতে সে টার্গেট পূরণ না হলে তুমি নিজেকে এভাবে শাস্তি দিতে পারো এবং টার্গেট পূরণ হলে তুমি নিজেকে পুরস্কৃত করতে পারো এটার মাধ্যমে তোমার পড়ার আগ্রহটা অনেক গুন বেড়ে যাবে
পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার স্মার্ট উপায়,পড়াশোনা করার স্মার্ট কৌশল, পড়াশোনা করার ৮ টি সঠিক নিয়ম
স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সিলেবাস আলাদা, ভিন্ন সিলেবাস হলেও কিছু সাধারণ টেকনিক ফলো করে রেজাল্ট ভাল করা সম্ভব। এই আর্টিকেলে পড়াশোনা করার কিছু সহজ নিয়ম সহজ ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে। সাথে আরো পাবেন কিছু সাজেশন, যেটা আপনার পড়াশোনাকে সহজ করে তুলবে।
১. আত্মবিশ্বাস বাড়ান
সবার আগে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ান৷ আত্মবিশ্বাস বাড়ালে যেকোন কঠিন কাজই সহজ মনে হবে। নিজের উপর আস্থা রাখবেন৷ ‘পারব না, হবেনা’ এসব বারবার ভাবলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।
পড়াশোনার ক্ষেত্রেও তাই। বারবার যদি ফেল করার টেনশন করতে থাকেন, তাহলে আপনার আত্মবিশ্বাস কমবে। কাজেই আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করুন সবার আগে।
২. নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করুন
নিয়মমাফিক পড়াশোনার প্রথম শর্ত নিয়মিত ক্লাস করা। যতটা পারবেন ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করবেন। আরো ভাল হয় যদি সব ক্লাস অ্যাটেন্ড করতে পারেন। আপনি যদি একটা ক্লাস মিস করেন, তাহলে পরের ক্লাসে গিয়ে অনেককিছুই বুঝতে পারবেন না। এতে ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে। তাই নিয়মিত ক্লাস করার চেষ্টা করুন।
লকডাউনে অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রেও এই নিয়মটা পালনের চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব। অনলাইন ক্লাস বলে হেলাফেলা করার কিছু নেই। নিয়মিত ক্লাস করুন, অ্যাসাইনমেন্ট/হোমওয়ার্ক/প্রেজেন্টেশন কমপ্লিট করুন।
৩. রুটিন তৈরি করুন
সুবিধামত একটি রুটিন তৈরি করবেন। রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে কঠিন সাবজেক্টের উপর বেশি প্রাধান্য দিবেন। এটার জন্য সময়ও বরাদ্দ রাখবেন বেশি। তুলনামূলক সহজ সাবজেক্টের ক্ষেত্রে সময়টা কম রাখতে পারেন কিন্তু আবার বেশি কম যেন না হয় সেটাও খেয়াল রাখবেন। রুটিনে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি মুভি দেখা, গান শোনার জন্য একটু সময় বরাদ্দ করলে মন্দ হয় না।
৪. বই সাথে রাখবেন
সবসময় রুটিন অনুযায়ী বই সাথে রাখার চেষ্টা করবেন। অন্যের বইয়ের উপর ভরসা করে থাকবেন না একদম। নিজের বই থাকলে যে সুবিধাটা হয় সেটা হল, প্রয়োজনে লাইন দাগিয়ে রাখতে পারবেন বা সাইড নোট লিখতে পারবেন।
তবে হ্যাঁ, যদি এমন হয় যে আপনার বইটা বা বইগুলো ভারী অনেক, বহন করতে কষ্ট হচ্ছে; সেক্ষেত্রে পিডিএফ কপি রাখতে পারেন। বা যেদিন যে চাপ্টার পড়ানো হবে সেই চাপ্টারের ফটোকপি করে রাখতে পারেন। বড় এবং ভারী বইকে ভেঙে অধ্যায় অনুযায়ী ভাগ করেও রাখতে পারেন।
৫. শিক্ষককে মেনে চলুন
শিক্ষকের প্রতিটা কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করবেন। তিনি যা পড়াচ্ছেন যেভাবে পড়াচ্ছেন বুঝে নেয়ার চেষ্টা করবেন। তিনি যদি কোন বই/আর্টিকেল/মুভি/জার্নালের রেফারেন্স দেন, সেগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন। কোন সমস্যা হলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞেস করবেন।
৬. লেকচার সংগ্রহ করুন
ক্লাস লেকচার তোলার অভ্যাস করবেন। প্রতি সাবজেক্ট/কোর্সের জন্য আলাদা খাতা বানিয়ে নিবেন যাতে লেকচার সহজে তুলতে পারেন। শুধু কি-পয়েন্টগুলো টুকে রাখবেন খাতায়, সবটা তুলতে না হললেও হবে। পরীক্ষার সময় শুধু কি-পয়েন্টগুলো দেখলেও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন মোটামুটি।
বিভিন্নভাবে লেকচার বা ক্লাসনোট সাজাতে পারেন সহজে মনে রাখার জন্য। জ্যামিতিক আকৃতি বা গাছের শেইপে এঁকে সাজাতে পারেন। তীর-চিহ্ন ব্যবহার করতে পারেন সিরিয়াল মেইনটেইনের জন্য। ছন্দে ছন্দে মনে রাখার টেকনিকও ব্যবহার করতে পারেন।
৭. গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মুখস্ত করুন
পড়াশুনা মানেই তোতা পাখির মত মুখস্ত করে খাতায় ঢেলে দেয়া না। শুধু মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়তে হবে আপনাকে। তবুও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে যেগুলো আপনাকে মুখস্ত করতেই হবে –
- টাইটেল বা নাম
- বানান
- গুরুত্বপূর্ণ সাল
- কোনকিছুর সংজ্ঞা
- ঐতিহাসিক ঘটনা ইত্যাদি।
এগুলো যদি ভালমত মুখস্ত করেন, দরকারের সময় মনে করতে কষ্ট হবেনা।
৮. মার্ক করা অত্যাবশ্যক
গুরুত্বপূর্ণ লাইন, টার্ম ইত্যাদি মার্ক করে রাখবেন। চাইলে বিভিন্ন রঙের কালি ব্যবহার করতে পারেন৷ চাইলে স্টিকি নোট বা আঠালো কাগজও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন কোন চাপ্টারে কি কি আলোচনা করা হয়েছে, সেটা একটা আঠালো কাগজে পয়েন্ট আকারে লিখে চাপ্টারের উপরের কোণায় এঁটে দিতে পারেন।
৯. সামারি পড়তে পারেন
টেক্সট বই পড়া বাধ্যতামূলক, এই ব্যাপারে কখনোই অবহেলা করবেন না। তাই বলে কখনোই সামারি পড়তে পারবেন না, এটাও বলছি না। আপনি চাইলে অনলাইন থেকে সামারি পড়তে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন একটা ওয়েবসাইট থেকে না পড়ে অন্তত ৩/৪ টা ওয়েবসাইট থেকে সামারি পড়ার। কারণ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্নভাবে সামারি লেখা থাকে।
একটা ওয়েবসাইটে হয়তো দেখবেন খুবই ছোট এবং টু-দ্য-পয়েন্ট আকারে লেখা, আরেকটা ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখবেন একই জিনিসের উপর একটু ভিন্ন এবং একটু বড় করে সামারি লেখা আছে। কাজেই সামারি পড়ার সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইট অনুসরণ করবেন।
ইংরেজী গল্প, কবিতা, উপন্যাসের সামারির জন্য কিছু ভাল ওয়েবসাইট আছে –
- CliffsNotes
- LitCharts
- Sparknotes
- GradeSaver
- Shmoop
১০. গুছিয়ে রাখুন
পরীক্ষার সময় সব কোর্সের ম্যাটেরিয়াল সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রথম থেকেই সেগুলো গুছিয়ে রাখুন। কোর্স প্রতি ফাইল বানাতে পারেন এক্ষেত্রে। কম্পিউটারে ফোল্ডার বানিয়ে রাখতে পারেন। আবার চাইলে প্রিন্ট করেও নির্দিষ্ট ফাইলে করে সাজিয়ে রাখতে পারেন।
১১. প্রযুক্তিনির্ভর হবেন না
এই ডিজিটাল যুগে অনলাইনভিত্তিক লার্নিংয়ের কদর বেশি। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও জ্ঞান আহরণ করা যায় অনায়াসেই। তবে সবসময় প্রযুক্তিকে কাজে না লাগানোই ভাল। পড়ার সময়টায় চেষ্টা করবেন ইন্টারনেট যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে৷ আপনি গুগল বা ইউটিউবে কিছু সার্চ করতে গেলেন, আপনাআপনিই আপনার মনোযোগ চলে যাবে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। ফলাফল কি? সোশ্যাল মিডিয়াতেই আপনার পড়ার সময়টা চলে যাবে। কাজেই চেষ্টা করবেন ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট থেকেই শতহাত দূরে থাকার।
প্লে-স্টোরে মনোযোগ ধরে রাখার জন্য কিছু অ্যাপ পাবেন। এসব অ্যাপের কাজ হল আপনাকে স্মার্টফোন/কম্পিউটার থেকে দূরে রাখা। অ্যাপগুলো আপনাকে সহজ কিছু টাস্ক দিবে, সেগুলো পূরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার মনোযোগ বাড়াতে পারেন। বিশ্বাস না হলে অ্যাপগুলো নিজেই ট্রাই করে দেখুন –
- Forest
- Study Bunny
- Flip
- Focus Plant
শেষ কথা
এই ছিল পড়াশোনা করার নিয়ম নিয়ে আজকের আয়োজন। পড়াশোনা করার নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। একেকজন একেকভাবে পড়াশোনা করে। এখানে যে নিয়মগুলো লেখা আছে, সেগুলো খুবই সাধারণ নিয়ম, যা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সবাই ফলো করতে পারবে। এগুলো যদি আপনি ঠিকমত ফলো করেন, তাহলে কম পড়েও পাশ করতে পারবেন সহজেই।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও