পণ্য উন্নয়ন কাকে বলে? নতুন পণ্য উন্নয়ন প্রক্রিয়া আলোচনা কর, পণ্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর,নতুন পণ্য উন্নয়নের পদ্ধতি আলোচনা

প্রশ্ন সমাধান: পণ্য উন্নয়ন কাকে বলে? নতুন পণ্য উন্নয়ন প্রক্রিয়া আলোচনা কর, পণ্য উন্নয়ন প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর,নতুন পণ্য উন্নয়নের পদ্ধতি আলোচনা

পণ্য উন্নয়ন : গৃহীত ধারণা বা ধারণাগুলোকে এবার বাস্তবে রূপদানের উদ্দেশ্যে উৎপাদন বিভাগে প্রয়োজনীয় গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য পাঠানো হয় এটিই পণ্য উন্নয়ন। কারিগরি দিক হতে কোনো ত্রুটি না থাকলে এবং যে পরিমাণ উৎপাদন ব্যয় পূর্বে চিন্তা করা হয়েছে তার চাইতে বাস্তবে ব্যয় আরও বেশি হবে বলে প্রতীয়মান না হলে পণ্য উৎপাদনের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কীকরণ, নামকরণ, পেটেন্ট নিবন্ধন ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করে পণ্য উন্নয়ন করা হয়।

নতুন পণ্য উন্নয়ন করা বাজারজাতকরণ পরিকল্পনার একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কোম্পানীর যে সকল পণ্য পতন স্তরে পৌছে গেছে সে সব পণ্যের উৎপাদন বন্ধ করে নতুন পণ্য উন্নয়ন করতে হয়। কিন্তু নতুন পণ্য উন্নয়ন সহজসাধ্য নয়। নতুন পণ্য উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানকে কতগুলো পদক্ষেপের মাধ্যমে অগ্রসর হতে হয় ৷

নিম্নে পদক্ষেপগুলো আলোচনা করা হলো :

১. ধারণার সৃষ্টি : নতুন পণ্য ধারণা সৃষ্টির মধ্য দিয়েই নতুন পণ্য উন্নয়নের সূচনা হয়। পণ্য উন্নয়ন করতে হলে নতুন পণ্যের ধারণার সৃষ্টি অপরিহার্য। নতুন পণ্য উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারণা সৃষ্টি করার মধ্যেই পণ্য উন্নয়ন সূচনা নিহিত রয়েছে।


আরো ও সাজেশন:-

২. ধারণা বাছাইকরণ : ধারণা সৃষ্টির সময় বহু ধারণা উদ্ভব হয়ে থাকে ৷ এ পর্যায়ে বহুসংখ্যক ধারণাকে বাছাই করা হয় এবং কোনো কোনো ধারণাগুলো গ্রহণযোগ্য তা নির্ধারণ করা হয়।

৩. ধারণা উন্নয়ন ও পরীক্ষাকরণ : এ পর্যায়ে বাছাইকৃত ধারণাগুলোর উন্নয়ন ও পরীক্ষা করা হয় । এক্ষেত্রে পণ্য ধারণা, পণ্য মতবাদ ও পণ্য ভাবমূর্তি এ তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়।

৪. বাজারজাতকরণ কৌশল উন্নয়ন : নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার পূর্বে পণ্য ব্যবস্থাপককে উক্ত পণ্যের বাজারজাতকরণ কৌশল সংক্রান্ত একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হয়। বাজারজাতকরণ তিনটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে কৌশল অবলম্বন করে থাকে।

৫. ব্যবসায়িক বিশ্লেষণ : পণ্য ধারণা ও বাজারজাতকরণ কৌশল উন্নয়নের পরে কোম্পানীকে সম্ভাব্য পণ্যের ব্যবসায়িক সফলতা চিন্তা-ভাবনা করতে হয়। এক্ষেত্রে উক্ত পণ্যের বিক্রির পরিমাণ, উৎপাদন ব্যয়, মুনাফার পরিমাণ প্রভৃতি বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখতে হয়। বিচার-বিশ্লেষণের ফলাফল অনুকূল হলে পণ্য উন্নয়ন স্তরের দিকে যাওয়া হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৬. পণ্য উন্নয়ন : ব্যবসায়িক বিশ্লেষণের মাধ্যমে গৃহীত সম্ভাবনাময় পণ্য ধারণাগুলোকে এ পর্যায়ে বাস্তব পণ্যে রূপ দেয়া হয় এবং নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য অনুসারে অল্প পরিমাণে পণ্য উৎপাদন করা হয়। এক্ষেত্রে পণ্যের উৎপাদন সম্ভাব্যতা নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যে গবেষণাগারে পরিচালিত পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কারিগরি পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে ।

৭. বাজার পরীক্ষাকরণ : এ স্তরে উৎপাদিত পণ্য সম্পর্কে কতা ও ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়া জানার উদ্দেশ্যে সীমিত অথচ পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পণ্যের ডিজাইন ও উৎপাদনের মূহের মধ্যে সামজস্য বিধান করা হয়। পণ্যটিকে ভিত্তিতে বাজারজাত করা উচিত কিনা এ ব্যাপারে দুকারী বাজার অংশে পণ্যটি পরিবেশন করা হয়।

৮. বাণিজ্যিকীকরণ : এটি নতুন পণ্য উন্নয়ন প্রক্রিয়ার ছাপ বা স্তর। বাজার পরীক্ষা স্তরে একটি পণ্য ক্রেতা- ভোক্তাদের কাছ থেকে সবুজ বাতির সংকেত পেলে এ স্তরে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কার্যক্রম সম্পর্কিত | পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয় এবং পণ্যটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাজারে ছাড়া হয় ।

পরিশেষে বলা যায় যে, নতুন পণ্য উন্নয়নের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে উপরিউক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে অগ্রসর হতে হয় এবং সফলতার সাথে পর্যায়গুলো সম্পাদন করতে হয় ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment