শ্রেণি: ১১শ HSC ইন কমার্স -2021 বিষয়: ব্যাংকিং ও বিমা এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 07 বিষয় কোডঃ 1715 |
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিনিময় হার হ্রাস বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বৈদেশিক বিনিময়ের প্রভাব
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সাথে বৈদেশিক বিনিময়ের সম্পৃক্ততা ব্যাখ্যা করতে পারবে,
- বিনিময় হার কীভাবে নির্ধারিত হয় তা আলােচনা করতে পারবে।,
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ও বৈদেশিক বিনিময়ের ব্যাংকের ভূমিকা গুলাে বর্ণনা করতে পারবে। ,
- পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিনিময় হার উঠা নামার কারন গুলাে ব্যাখ্যা করতে পারবে,
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- বৈদেশিক বিনিময় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ধারনা প্রদান করবে,
- বৈদেশিক বাণিজ্যে বিনিময় হার নির্ধারণের পদ্ধতি গুলাে ব্যাখ্যা করবে,
- বিনিময় হার উঠানামায় শেয়ার বাজার ও আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব আলােচনা করবে।,
- বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা ব্যাখ্যা করবে,
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- বৈদেশিক বিনিময় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ধারনা প্রদান করবে,
পণ্য-দ্রব্যের আন্তর্জাতিক আদান-প্রদান দেশীয় মুদ্রায় সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন বৈদেশিক মুদ্রা। বৈদেশিক বিনিময় বলতে দেশীয় মুদ্রা ছাড়া সকল দেশের বৈদেশিক মুদ্রাকে বুঝানো হয়। অন্যভাবে একদেশীয় মুদ্রাকে অন্য দেশীয় মুদ্রায় রূপান্তর পদ্ধতিকে বৈদেশিক বিনিময় বলা হয়।
যেমন- বাংলাদেশের টাকাকে আমেরিকার ডলারে রূপান্তর করার পদ্ধতিই হলো বৈদেশিক বিনিময়। অর্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক থমাস এর মতে- অর্থনীতির যে শাখা বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংঘটিত আর্থিক দেনা-পাওনা নিএত্তির নীতি নির্ধারণ করে তাকে বৈদেশিক বিনিময় বলা হয়। অধ্যাপক হার্টলি উইদার্স বলেন বৈদেশিক বিনিময় এক দেশের সাথে অন্যদের দেশের আন্তর্জাতিক লেনদেন নিএত্তির একটি কলা-কৌশল বিশেষ।
পণ্যসামগ্রী যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশের মধ্যে আদানপ্রদান করা হয়, তখন তাকে আন্তর্জাতিক বা বৈদেশিক বা বহির্বাণিজ্য বলা হয়। উদাহরণ—দার্জিলিং-এর কমলালেবু বাংলাদেশে রপ্তানি করা অথবা ইরান, ইরাক, কুয়েত প্রভৃতি মধ্যপ্রাচ্যের খনিজ তেল ভারতে আমদানি করা।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- বৈদেশিক বাণিজ্যে বিনিময় হার নির্ধারণের পদ্ধতি গুলাে ব্যাখ্যা করবে,
আপনি জানেন যে, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়-বাণিজ্য লেনদেন নিএত্তিতে প্রয়োজন বৈদেশিক বিনিময় হার। বিনিময় হার বলতে আমরা দেশীয় মুদ্রার সাথে বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যাণুপাতকে বুঝে থাকি। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটা নির্ধারণ করা হয়, তাকেই বিনিময় হার নির্ধারণ পদ্ধতি বলে। বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে এটা নির্ধারণ করে থাকে। তবে, বাজারে কোন দেশের মুদ্রার চাহিদা কমে গেলে বিনিময় হার বৃদ্ধি পায়, আবার চাহিদা বেড়ে গেলে বিনিময় হার হ্রাস পায়। অর্থাৎ অবস্থাটি চাহিদা বিধির ন্যায়।
বিনিময় হার নির্ধারণের জন্য দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। যথা-
১. স্বর্ণমান ব্যবস্থায় বিনিময় হার নির্ধারণ,
২. কাগজী মুদ্রা ব্যবস্থায় বিনিময় হার নির্ধারণ।
নিুে এ দু’টি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ঃ
১. স্বর্ণমান ব্যবস্থায় বিনিময় হার নির্ধারণ : কোন দেশের প্রচলিত ধাতব মুদ্রায় স্বর্ণের অংশ থাকলে অথবা কাগজী নোটের বিপরীত কেন্দ্রীয়-ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ জমা থাকলে এবং তা নোটের বিনিময়ে চাহিবামাত্র দেয় হলে, উক্ত দেশের মুদ্রাকে স্বর্ণমান এবং দেশকে স্বর্ণমান দেশ বলা হয়। স্বর্ণমান ব্যবস্থা অনুসরণকারী দেশসমূহ যে পদ্ধতিতে তাদের পারস্পরিক বিনিময় হার নির্ধারণ করে তাকে বলা হয় গরহঃ ঢ়ধৎ ড়ভ ঊীপযধহমব বা স্বর্ণমান বিনিময় হার।
এই ব্যবস্থায় দুটি দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রা বা টাকায় স্বর্ণের অনুপাত দ্বারা নির্ধারিত হয়। যেমন- মনে করি আমেরিকা ও বাংলাদেশে স্বর্ণমান মুদ্রা ব্যবস্থা প্রচলিত। আমেরিকার ১ ডলারের যে পরিমাণ স্বর্ণ আছে, বাংলাদেশের ৬০ টাকায় সেই পরিমাণ স্বর্ণ আছে। সুতরাং আমেরিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে মুদ্রার বিনিময় হারের অনুপাত হলো ১ঃ৬০ অর্থাৎ আমেরিকার ১ ডলারের বিনিময়ে বাংলাদেশে ৬০ টাকা পাওয়া যাবে। বিনিময়ের এই হারই হলো স্বর্ণমান বিনিময় হার।
উলে−খ্য যে স্বাভাবিক অবস্থায় অর্থাৎ ২টি দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় থাকলেই এই হারে আমদানি-রপ্তানি হবে। কিন্তু বাণিজ্য ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় না থাকলে বিনিময়ের প্রকৃত হার কখনো স্বর্ণমান বিনিময় হারের কম বা বেশি হবে। বিনিময় হারের এই পরিবর্তন দুটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে উঠানামা করে। যাদের সর্বোচ্চ সীমাকে বলা হয় স্বর্ণ রপ্তানি সীমা এবং সর্বনিু সীমাকে বলা হয় স্বর্ণ আমদানি সীমা। স্বর্ণমান বিনিময় হারের সাথে স্বর্ণ পাবার আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করলে স্বর্ণ রপ্তানি সীমা এরা উচ্চ হারের সাথে স্বর্ণ পাঠাবার খরচ বিয়োগ করলে পাওয়া যায় স্বর্ণ আমদানি সীমা। স্বর্ণমান মুদ্রা ব্যবস্থায় বিনিময় হার এই সর্বোচ্চ সীমা ও সর্বনিু সীমার মধ্যে নির্ধারিত হয়। তবে প্রতিটি দেশই বাণিজ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এবং স্বর্ণমান স্থির রাখার জন্য চেষ্টা করে থাকে।
২. কাগজী মুদ্রা ব্যবস্থায় বিনিময় হার নির্ধারণ : যে সকল দেশে কাগজী মুদ্রা প্রচলিত, তাদের স্বর্ণ মানের ন্যায় স্থায়ী কোন বিনিময় হার থাকে না। তাদের বিনিময় হার নির্ধারকের জন্য নিুোক্ত দুটি তত্ত্ব ব্যবহার করা হয়। যথা-
ক. ক্রয় ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব
খ. চাহিদা ও যোগান তত্ত
নিুে এ দু’টি তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ঃ
ক. ক্রয় ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব ঃ সুইডেনের বিখ্যাত অর্থ-বিজ্ঞানী গুস্টার ক্যাসল এই তত্ত্বের প্রবক্তা। এই তত্ত্ব অনুযায়ী যখন দু’টি দেশের মধ্যে কাগুজী মুদ্রা ব্যবস্থা প্রচলিত তাকে, তখন তাদের (দু’টি দেশের) অর্থের অভ্যন্তরীণ ক্রয় ক্ষমতার সমতা দ্বারা পারস্পরিক বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। প্রত্যেক দেশের মুদ্রার অভ্যন্তরীণ ক্রয় ক্ষমতা উক্ত দেশের সাধারণ মূল্যস্তরের উপর নির্ভর করে। মূল্যন্তর কম হলে মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতা বেশি হবে এবং বিনিময় পরিমাণ ও হার বৃদ্ধি পাবে। অপর দিকে মূল্যস্তর বেশি হলে মুদ্রার ক্রমক্ষমতা কম হবে এবং বিনিময় পরিমাণ ও হার হ্রাস পাবে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী এভাবে দুটি দেশের ক্রয়ক্ষমতার সমতা বিন্দুতে তাদের বিনিময় হার নির্ধারিত হয় অর্থাৎ দু’টি দেশের বিনিময় হার তাদের পারএরিক মূল্যস্তরের দ্বারা নির্ধারিত হয়।
যেমন- বাংলাদেশের ৬০ টাকা দিয়ে যে পরিমাণ পণ্য-সামগ্রী পাওয়া যায়। ঠিক সেই পরিমাণ পণ্য সামগ্রী যদি আমেরিকায় ১ ডলার পাওয়া যায়, তাহলে বাংলাদেশে ৬০ টাকার ক্রয় ক্ষমতা আমেরিকার ১ ডলারের ক্রয় ক্ষমতার সমান হবে। ক্রমতাবস্থায় বাংলাদেশ ও আমেরিকার বিনিময় হার হবে ৬০ টাকা = ১ ডলার। উলে−খ্য যে, উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ ক্রয়ক্ষমতা যতদিন অপরিবর্তিত থাকবে, ততদিন এই বিনিময় হারও অপরিবর্তিত থাকবে। কোন একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ক্রয়ক্ষমতা বা মূল্যস্তরের পরিবর্তন হলে বিনিময় হারও পরিবর্তিত হবে। এটাই ক্যাসেলের ক্রয় ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব।
খ) চাহিদা ও যোগান তত্ত্ব : এই তত্ত্ব অনুযায়ী দুটি দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের পারএরিক বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ বিনিময় হারকে একটি বিশেষ ধরনের মূল্য হিসাবে বিবেচনা করেন। বিনিময় হার বলতে এক দেশের মুদ্রার মূল্য অন্য দেশের মুদ্রায় প্রকাশ করাকে বুঝায়। যেমন- ১ ডলার= ৬০ টাকা বলতে আমেরিকার ১ ডলারের মূল্য বাংলাদেশে ৬০ টাকা ধরা হবে। বাজারে পণ্য-সামগ্রী ও সেবার মূল্য যেমন ইহার চাহিদা ও যোগান দ্বারা নির্ধারিত হয়। তেমনি অর্থের বিনিময় মূল্যও বৈদেশিক বাজারে উহার চাহিদা ও যোগান দ্বারা নির্ধারিত হয়।
কোন দেশের মুদ্রার চাহিদা নির্ভর করে তার রপ্তানি, বিদেশ থেকে প্রাপ্ত সাহায্য এবং ঋণ গ্রহণের উপর। অপর দিকে, একটি দেশের মুদ্রার যোগান নির্ভর করে উহার আমদানি, বিদেশকে সাহায্য এবং ঋণদানের উপর। লেনদেনের ভারসাম্য অনুকুল হলে দেশীয় মুদ্রার চাহিদা বৈদেশিক বাজারে বৃদ্ধি পায় এবং বিনিময় মূল্যও বৃদ্ধি পায়। অরপদিকে, লেনদেনের ভারসাম্য প্রতিকূল হলে বৈদেশিক বাজারে দেশীয় মুদ্রার যোগান বৃদ্ধি পায় ও বিনিময় মূল্য হ্রাস পায়। আবার লেনদেনের ভারসাম্যে সমতা থাকলে বৈদেশিক বাজারে দেশীয় মুদ্রার চাহিদা ও যোগান সমান থাকে এবং বিনিময় হারে ভারসাম্য থাকে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- বিনিময় হার উঠানামায় শেয়ার বাজার ও আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব আলােচনা করবে।,
বৈদেশিক বিনিময় বলতে আমরা সাধারণতঃ বৈদেশিক মুদ্রাকে বুঝে থাকি। বিদেশ হতে যে মুদ্রা আহরণ করা হয় বা উপার্জন করা হয়, তা-ই বৈদেশিক মুদ্রা নামে পরিচিত। নিজের দেশের মুদ্রা ছাড়া সব মুদ্রাই বৈদেশিক মুদ্রা। যেমনভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা।
তবে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈদেশিক বিনিময় বলতে দেশি ও বিদেশী মুদ্রার বিনিময় হারকেও বুঝায়। আমাদের দেশের এক টাকা দিয়ে বিদেশের যে পরিমাণ মুদ্রা ক্রয় করা হয় তাই বিনিময় হার। কোন দেশের মুদ্রার অধিকার অন্য দেশের মুদ্রার অধিকারে রূপান্তরিত করার উপায় ও পদ্ধতি বৈদেশিক বিনিময় নামে অভিহিত।
বনিময় হারের উঠানামার কারণসমূহ
বৈদেশিক বিনিময় হারের উঠানামা বা পরিবর্তনের জন্য নি¤œলিখিত কারণগুলো দায়ী:
১. ব্যবসায়িক অবস্থার পরিবর্তন ঃ আমদানী রপ্তানীর পরিমাণের সাথে বিনিময় হারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আমদানী
অপেক্ষা রপ্তানীর পরিমাণ বেশি হলে মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং বিনিময় হারও সে দেশের অনুক‚লে পরিবর্তিত হয়। আর আমদানীর পরিমাণ রপ্তানীর পরিমাণ অপেক্ষা বেশি হলে বিপরীত ফল ঘটে থাকে। অর্থাৎ মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি পায়
এবং চাহিদা অপরিবর্তিত থাকলে বিনিময় হার সেদেশের প্রতিক‚লে পরিবর্তিত হয়।
২. মুলধনের গতিবিধি ঃ সম্পদশালী জাতিসমূহ গরীব দেশসমূহকে আর্থিক সাহায্য ও সুবিধাদি প্রদান করে থাকে যা সর্বজনবিদিত। ঋণ ও খয়রাতি সাহায্যের মারফত এক জাতি আরেক জাতিকে সাহায্য করে থাকে। এরূপ সাহায্যের
মাধ্যমে মূলধন স্থানান্তরিত হয়। মূলধনের এরূপ স্থানান্তরের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও সরবরাহের পরিবর্তন হয়। যে দেশ ঋণ ও খয়রাতি সাহায্য পায়, বিনিময় হার সে দেশের অনুক‚লে এবং সাহায্যকারী দেশের প্রতিক‚প্রতিকূলে যায়।
৩. শেয়ার বাজারের প্রভাব ঃ বিদেশী ঋণ ও তার সুদ পরিশোধকালে এবং বিদেশী সিকিউরিটি খরিদ করার সময় বিনিময় হারের উপর এর প্রভাব পড়ে। সে সময় বিদেশী মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে বিনিময় হারও বিদেশের অনুক‚প্রতিকূলে যায়।
৪. ব্যাংক নীতি ঃ ব্যাংক-হার বৃদ্ধির করা হলে রপ্তানী বৃদ্ধি পায়। ফলে বিদেশ হতে মূলধনের আগমন ঘটে। যে দেশের
ব্যাংক-হার বৃদ্ধি পায় সে দেশের মুদ্রার চাহিদাও বিদেশে বৃদ্ধি পায়। ব্যাংক-হার কম হলে আমদানী বৃদ্ধি পায় এবং দেশের ভেতর হতে বিদেশে মূলধন চলে যায়। এর পরিণতিস্বরূপ দেশে মুদ্রার চাহিদা কমে যায় এবং বিনিময় হার প্রতিক‚প্রতিকূলে পরিবর্তিত হয়। ব্যাংক ড্রাফ্ট ক্রয়-বিক্রয় এবং পর্যটক চেক ইস্যুর ফলেও বিনিময় হারের পরিবর্তন ঘটে। কারণ বিদেশে ড্রাফ্ট বা পর্যটক চেক ভাঙ্গানো না হলে বিদেশী মুদ্রার চাহিদা তদনুপাতে বৃদ্ধি পায়। ফলে বিনিময় হার বিদেশের অনুক‚লে এবং নিজ দেশের প্রতিক‚লে যায়। নিজের দেশে বিদেশ থেকে ইস্যুকৃত ড্রাফ্ট বা পর্যটক চেক ভাঙ্গানো হলে বিপরীত অবস্থা ঘটে।
৫. মুদ্রার অবস্থা ঃ মুদ্রার অপচয় ঘটলে তা দেশের বাইরে চলে যেতে পারে এবং এমতাবস্থায় বিদেশ হতে দেশের ভেতরে মূলধনের আগমন ঘটে না। তাই বিনিময় হারের অবনতি ঘটে। মুদ্রার মূল্যের উন্নতি হলে বিপরীত ফল পাওয়া যায়।
৬. আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ঃ দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হলে তা বিনিময় হারের উপর প্রতিক‚ল প্রভাব বিস্তার করে। কারণ রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব দেখা দিলে বিদেশ হতে পুঁজির আমদানী হ্রাস পায়। উপরন্তু দেশ হতে বিদেশে মূলধন পাচার হয়ে যায়।
৭. সরকারি নীতি ঃ কোন দেশের সরকার প্রয়োজন মনে করলে অন্যান্য দেশের মুদ্রার সাথে নিজ দেশের মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন করতে পারে। সরকারি নীতি অনুযায়ী বিনিময় হার বাড়তেও পারে, কমতেও পারে।
৮. বৈদেশিক মুদ্রার ফটকা ব্যবসায় ঃ দেশের অভ্যন্তরে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক মুদ্রার অবাঞ্ছিত ফটকা ব্যবসায়ে নিয়োজিত হলে, তাদের এরূপ কার্যকলাপ বৈদেশিক বিনিময় হারের উপর প্রভাব বিস্তার করে। ফটকা ব্যবসায়ের গতি-প্রকৃতির ভিত্তিতে বিনিময় হারের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটতে পারে।
৯. মূল্যস্তরের তারতম্য ঃ দুটি দেশের অভ্যন্তরীণ মূল্যস্তরে পার্থক্য বিরাজ করলে কিংবা হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটলে উভয় দেশেরই বিনিময় হার প্রভাবিত হয়। মূল্যস্তরের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিনিময় হারেরও পরিবর্তন ঘটে।
১০. শিল্পোন্নয়নের পরিবেশ ঃ কোন দেশে শিল্প-কারখানার বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা উজ্জ্বল থাকলে বিদেশী পুঁজিপতিরা সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে আসে। ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার সমাগম হয়। ফলশ্রæতিস্বরূপ, বিনিময় হার দেশের অনুক‚প্রতিকূলে যায়।
১১. প্রাকৃতিক অবস্থা ঃ অর্থনৈতিক কারণ ছাড়াও অনেক দৈব-সৃষ্ট কারণ রয়েছে যার দরুন বিনিময় হার উঠানামা করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ঝড়-জলোচ্ছ¡াস বা বন্যা-মহামারীর কারণে দেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে বিনিময় হার
দেশের প্রতিক‚লে চলে যায়।
১২. আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ ঃ এক দেশের সাথে অন্য দেশের যুদ্ধ বাধলে কিংবা দু’ দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটলে উভয় দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তার ফলে বৈদেশিক বিনিময় হারের উপর প্রতিক‚ল প্রভাব পড়ে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ঘোলাটে আবহাওয়ার সৃষ্টি হলেও এরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
১৩. অন্যান্য কারণ ঃ উপরে উল্লিখিত কারণগুলো ছাড়াও আরও অনেক আর্থিক কিংবা অনার্থিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে যাকে বিনিময় হারের উঠানামার জন্য দায়ী করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিময় হার অধিক হওয়ার কারণসমূহের মধ্যে মুদ্রা সরবরাহের মারাত্মক আধিক্য, বিদেশে রপ্তানীর পরিমাণ হ্রাস ও আমদানী বৃদ্ধি, বাংলাদেশী মুদ্রার চাহিদায় ঘাটতি ও বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক গোলযোগ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব অন্যতম।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা ব্যাখ্যা করবে,
জেল-জরিমানাসহ শাস্তির বিধান করে বিদ্যমান ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট বা বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের খসড়া মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। বিধি প্রণয়ন করে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসনিক জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করবে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ৪৩তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানান।
সংশোধিত আইনে কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি বিধিবহির্ভূতভাবে বিদেশে সম্পদ অর্জন করলে তার তথ্য তলব এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকের সব ধরনের তথ্য চাওয়ার বিধান থাকছে। আবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রসারের জন্য বিদেশিদের পক্ষে তাদের এজেন্ট নিয়োগের বিধান শিথিল এবং সেবা খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংশোধিত আইনের খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আবার মন্ত্রিসভায় উঠবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বর্তমানে প্রচলিত বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনটি ১৯৪৭ সালের। এরপর ১৯৪৭ ও ১৯৭৬ সালে কিছু সংশোধনী আনা হয়। ২০০৩ সালে আবার সামান্য সংশোধন হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইনটি যুগোপযোগী করা হচ্ছে।
আইনটি সংশোধনের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহসান উল্লাহর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কারিগরি সহায়তা নিয়ে কমিটি খসড়া সংশোধনী প্রণয়ন করে। এরপর আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে খসড়ায় নতুন কিছু সংশোধনী আনা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, খসড়াটি মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হলেও কেউ এ বিষয়ে মত দেননি। মানুষ যাতে এসব বিষয়ে সচেতন হয় এবং মতামত দেয় সে জন্য আরও উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
খসড়ায় বলা হয়েছে, বর্তমানে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের এখানে শাখা, প্রতিনিধি বা লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন করতে বিনিয়োগ বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অফিস স্থাপনকে বিলম্বিত করে। এতে দেশ সম্ভাব্য বৈদেশিক বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হতে পারে। এখন থেকে শুধু বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদনের শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন নেওয়ার এক মাসের মধ্যে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। একই সঙ্গে বিদেশি পক্ষের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের আবশ্যকতা রহিত করলে তা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রসারে (ইন্ডেন্টিং এজেন্ট, বায়িং হাউস, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা) সহায়ক হবে।
আইন সংশোধন করে নিবাসীদের সংজ্ঞা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক ও বিদেশি নাগরিক—উভয়ের জন্য এই আইন প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা বিনিময় লাইসেন্স নিয়ে কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে বাংলাদেশ ব্যাংক জরিমানা করতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গতকালের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীদের দুই দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভিসা লাগবে না। ভিসা ছাড়াই তাঁরা ৩০ দিন থাকতে পারবেন। প্রয়োজনে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন ডিগ্রি ৩য় বর্ষ , degree 3rd year islamic studies 5th paper suggestion,ডিগ্রি ৩য় বর্ষ ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন, ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন PDF Download
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 politics and citizenship solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week politics and citizenship solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 bangladesh and world identity solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 science solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week science solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 finance and banking solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 biology solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week biology solution 2022]