পরিবেশ দূষণ একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ পরিবেশ দূষণ , অনুচ্ছেদ পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ, পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ PDF Download, অনুচ্ছেদ নিয়োগ পরীক্ষায় আসা পরিবেশ দূষণ, পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ পরিবেশ দূষণ (PDF Download)

বিষয়: পরিবেশ দূষণ একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ পরিবেশ দূষণ , অনুচ্ছেদ পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ, পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ PDF Download, অনুচ্ছেদ নিয়োগ পরীক্ষায় আসা পরিবেশ দূষণ, পরিবেশ দূষণ অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ পরিবেশ দূষণ (PDF Download)

অনুচ্ছেদ “পরিবেশ দূষণ” – ১

পরিবেশ দূষণ বলতে পরিবেশের মৌলিক উপাদান যথা-মাটি,পানি, বায়ূ ও জীবের স্বাভাবিক গঠন বিনষ্ট হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। অন্যভাবে বরা যায়, মাটি যদি চাষাবাদের পানিসহ অন্যান্য উপাদান ব্যবহারের অনুপযোগী হয় কিংবা পরিবেশ যদি জীবকুলের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠে তবে তাকে পরিবেশ দূষণ বলে। পরিবেশের এ দূষণ প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম দুভাবেই ঘটতে পারে। তবে প্রাকৃতিক দূষণের চেয়ে কৃত্রিম বা মাববসৃষ্ট দূষণই অধিকহারে হচ্ছে।

পরিবেশ দূষণ বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের প্রধান সমস্যায পরিণত হয়েছে। আমাদের শহরগুলোতে কল-কারখানা ও মোটরযান থেকে নির্গত ধোঁয়া দ্বারা পরিবেশের অন্যতম উপাদান বায়ু দূষিত হচ্ছে। পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানি দূষিত করছে। দূষণের আরেকটি রূপ হচ্ছে শব্দ দূষণ।

মোটরযান,গৃহের যা›ত্রপাতি, রেডিও , সিডি প্লেয়ার প্রভৃতির শব্দের জন্য এটি ঘটে থাকে। যে বাতাসে আমরা শ্বাস নিই, যে পানি আমরা পান করি, যে খাদ্য আমরা খাই, পরিবেশ দূষণের কারণে তা হুমকিস্বরুপ। পরিবেশ দূষণ ক্রমাগত আমাদেরকে নীরব মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে। তাই সুখী ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হলে পরিবেশ দূষণ অবশ্যই রোধ করতে হবে। এ জন্য আমাদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

সরকারেরও উচিত পরিবেশ দূষণ অবশ্যই রোধ করতে হবে। এ জন্য আমাদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সরকারেরও উচিত পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ণ করা। আর তা হলেই আমরা একটি সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে বসবাসের নিশ্চয়তা পাব।


আরো ও সাজেশন:-

অনুচ্ছেদ “পরিবেশ দূষণ” – ২

সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষ প্রকৃতিকে বশ করে গড়ে তুলেছে নিজের পরিবেশ। প্রকৃতির বহু বিচিত্র দান, মানুষের বুদ্ধি আর নিরন্তর শ্রমের ফলে নির্মিত হয়েছে আধুনিক সভ্যতা।

অথচ প্রকৃতির দানকে অস্বীকার করে মানুষ আজ নিজ হাতেই হস করে চলেছে তাকে। মানুষের অসাবধানতা ও লােভের কারণে ভয়াবহভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশ দূষণ মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে প্রকৃতিগত কারণ, যেমন— ঝড়-বন্যা, জলােচ্ছাস, অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প ইত্যাদি। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে মানবসৃষ্ট যা কৃত্রিম, যেমন— পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, তেজস্ক্রিয় দূষণ প্রভৃতি। শিল্পকারখানার বর্জ্য, যানবাহনের বিষাক্ত ধোয়া ইত্যাদি বায়ুতে মিশে দূষিত করছে পরিবেশকে। বিভিন্ন জীবাশ্ম জ্বালানি পােড়ানাের ফলে বাতাসে বেড়ে যাচ্ছে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। পৃথিবীর নদনদী, সমুদ্র, পুকুর, খালবিলের পানি প্রতিদিন দূষিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। কলকারখানার বর্জ্য, ফসলি জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ইত্যাদি পানিকে বিষাক্ত করে তুলছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, যত্রযত্র আবর্জনা ফেলা, জমিতে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার ইত্যাদি কারণে বাড়ছে মাটিদূষণ। তাছাড়া গাড়ির তীব্র হর্ণ, মাইকের যথেচ্ছ ব্যবহার, কলকারখানার যন্ত্রের বিকট শব্দ ইত্যাদি শব্দদূষণের মূল কারণ।

সব মিলিয়ে পরিবেশ দূষণ বর্তমানে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশের মতাে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলােতে দূষণের মাত্রা আরও ভয়াবহ। পরিবেশ দূষণের ফলে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু । গ্রিনহাউজ ইফেক্টের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। বিভিন্ন ধরনের দুরারােগ্য রােগ-ব্যাধির প্রকোপ বাড়ছে। মােটকথা দূষণের কারণে সারাবিশ্বের পরিবেশই আজ হুমকির সম্মুখীন।

পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সচেতনতাই মুখ্য। কলকারখানা, যানবাহনসহ আধুনিক সমস্ত সুযােগ-সুবিধাকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তােলার বিকল্প নেই। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযােগ্য শক্তির উৎস খুঁজে বের করে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রচুর গাছপালা রােপণ করে পরিবেশকে সবুজে ভরিয়ে তুলতে হবে।

এছাড়া পরিবেশ দূষণ রােধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বসবাস উপযােগী প্রাকৃতিক পরিবেশ হারিয়ে গেলে মানুষসহ সকল জীবের জন্যেই পৃথিবীতে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অনুচ্ছেদ “পরিবেশ দূষণ” – ৩

আমরা যে পরিবেশে বাস করি তা প্রতিমুহূর্তে অনবরত দূষিত হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কলকারখানা ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এগুলো বেশি পরিমাণে বিষাক্ত বাষ্প ও কার্বন মনোঅক্সাইড উৎপাদন করে বায়ু দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এমনকি আমরা যে ভূমিতে বিচরণ করি তাও ময়লা আবর্জনায় দূষিত। শিল্পবর্জ্য, বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের মাধ্যমে পানি দূষিত হয়। বন-জঙ্গল ও গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে আর এভাবে পারিপার্শ্বিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে।

মোটরযান, উড়োজাহাজ, গৃহস্থালির যন্ত্রপাতি ইত্যাদি থেকে শব্দ হয়। এগুলো শব্দদূষণ ঘটায় যা অন্যান্য দূষণ থেকে কম ক্ষতিকর নয়। আমরা দূষণ থেকে পুরোপুরি মুক্ত না হতে পারলেও এটি ব্যাপক অংশে কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

এটি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমি মনে করি, দূষণ কমাতে বিভিন্ন ধরনের দূষণ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা হলো প্রথম পদক্ষেপ। বেশি পরিমাণে বৃক্ষরোপণ বায়ু দূষণ কমানোর পূর্বশর্ত এবং কার্যকর নয়ঃনিষ্কাশন প্রণালিও রক্ষণাবেক্ষণ পানিদূষণ অনেকাংশে কমাতে পারে।

সর্বাগ্রে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি থেকে সৃষ্ট শব্দ সহিষ্ণু মাত্রায় রাখা উচিত। সর্বোপরি প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে।


অনুচ্ছেদ “পরিবেশ দূষণ” – ৪

একসময় পৃথিবীর পরিবেশ ছিল মানুষের অনুকূলে। তখন বায়ুমণ্ডলে ছিল প্রাণের বন্ধু অফুরন্ত অক্সিজেন, খাদ্য ও পানিতে ছিল সতেজ বিশুদ্ধতা ও পুষ্টি। মানুষ জীবনযাপনকে আরও উন্নত, আরও সুন্দর করার প্রত্যাশায় নির্বিচারে অবােধ-অসহায় প্রকৃতির ওপর চালায় কুঠারাঘাত, আবিষ্কার করে নতুন নতুন জিনিস। পরিবেশ দূষণ হচ্ছে প্রাকৃতিক ব্যবস্থার কোনাে একটি বা একাধিক অবস্থার বিঘ্নিত রূপ। পানি, বাতাস ও মাটিসহ পরিবেশের কোনাে উপাদানের যখন এমন কোনাে ভৌত রাসায়নিক জৈবিক বা তেজস্ক্রিয় পরিবর্তন ঘটে যা প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে তাৎক্ষণিক বা পরবর্তীতে জীবজগতের ওপর নেতিবাচক ও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে তখন পরিবেশ দূষণ দেখা দেয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি অসংখ্য শিল্পকারখানা গড়ে ওঠে। নগর জীবনের প্রাচুর্যে যানবাহনের অধিক্য দেখা দেয় রাজপথে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বর্ধিত খাদ্য উৎপাদনের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। এভাবে সভ্যতার বিচিত্র বিকাশের পাশাপাশি পরিবেশও বিচিত্র এবং ব্যাপকভাবে দূষিত হয়। পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হলাে জনসংখ্যা বৃদ্ধি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাহিদার চাপ পড়েছে প্রচণ্ডভাবে। নির্বিচারে বন উজাড়ের ফলে পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হচ্ছে। বনশূন্যতার ফলে দেখা দিচ্ছে অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টিসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অধিকাংশ শিল্পকারখানা নদীর তীরে স্থাপিত হওয়ায় বর্জ্য সামগ্রী নদীতে পতিত হচ্ছে। ফলে পানি দূষণ হচ্ছে।

বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলাে একের পর এক নতুন নতুন অস্ত্র তৈরি করছে এবং সেগুলাের পরীক্ষা চালাতে গিয়ে সৃষ্টি করছে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়। এছাড়া গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া (Greenhouse effect) , আর্সেনিক দূষণ, মাটি দূষণ প্রভৃতির কারণেও পরিবেশ দূষিত হয়। পরিবেশ দূষণের পরিণাম খুবই ভয়াবহ। পরিবেশ দূষণ প্রতিরােধে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। জীবন ও পরিবেশ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সুতরাং সুস্থ জীবনের জন্য চাই সুস্থ পরিবেশ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Paragraph & Composition/Application/Emali উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

Leave a Comment