নেকেট ভিডিও আমার জীবনের একটি সুন্দর দিক

নেকেট ভিডিও আমার জীবনের একটি সুন্দর দিক

মার্কিন পর্নস্টার মিয়া খলিফার বয়স তখন সবে ২১। মন দিয়ে স্নাতক পড়ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে।

মিয়া খলিফার জীবন এবং কর্মজীবন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য এখানে দেওয়া হলো:


শৈশব ও পরিবার

  • মিয়া খলিফার পরিবার ছিল একটি মধ্যবিত্ত ক্যাথলিক লেবানিজ পরিবার।
  • ছোটবেলায় তিনি একটি ধর্মীয় স্কুলে পড়াশোনা করতেন।
  • তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হওয়ার পর, তারা মেরিল্যান্ডে স্থায়ী হয়।

পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে আগমন

  • মিয়া খলিফা ২০১৪ সালে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন।
  • তার জনপ্রিয়তার শীর্ষে, তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইট PornHub-এ সবচেয়ে বেশি দেখা শিল্পী হন।
  • একটি বিতর্কিত ভিডিওর কারণে তিনি ইসলামি বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত হন এবং তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
  • মিয়া বলেছেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সময় শোষণের শিকার হয়েছিলেন এবং তার কাজ থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য আর্থিক লাভ হয়নি।

পর্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে আসা

  • পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর মিয়া খলিফা একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি ঐ কাজ থেকে মানসিক ও সামাজিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
  • তিনি বলেছিলেন যে তার কাজের জন্য তাকে বারবার অপমান করা হয়েছে এবং তার কাজ এখনো অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে।
  • পর্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে তার সরে আসা এবং পরবর্তী বক্তব্যগুলো তাকে অনেক মানুষের সমর্থন ও সহানুভূতি অর্জন করতে সাহায্য করে।

মানসিক স্বাস্থ্য ও সচেতনতা

  • মিয়া খলিফা তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলেছেন।
  • তিনি বলেন, পর্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে আসার পরও তার পুরনো ভিডিওগুলো সামাজিকভাবে তাকে বিব্রত করেছে।
  • তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সাইবার বুলিং মোকাবিলার জন্য কাজ করছেন।

বর্তমান ক্যারিয়ার ও সামাজিক প্রভাব

  • বর্তমানে মিয়া একজন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার।
  • তিনি স্পোর্টস কমেন্টারি, ব্র্যান্ড প্রচারণা এবং অন্যান্য কন্টেন্ট তৈরি করেন।
  • তার ইনস্টাগ্রামে ২৭ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার রয়েছে।
  • তিনি প্রায়শই নারীদের ক্ষমতায়ন, সাইবার বুলিং, এবং শিল্পীদের প্রতি ন্যায়বিচার নিয়ে কথা বলেন।

সমালোচনা ও বিতর্ক

  • হিজাব ভিডিও: তার বিতর্কিত হিজাব পরিহিত ভিডিও তাকে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত করে।
  • লেবানিজ সমালোচনা: তার দেশের মানুষ তাকে “জাতীয় লজ্জা” বলে অভিহিত করে।
  • সাইবার হুমকি: তিনি বেশ কয়েকবার আইএস (ISIS) থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছেন।

শখ ও ব্যক্তিগত পছন্দ

  • মিয়া একজন বড় স্পোর্টস ফ্যান। বিশেষ করে বাস্কেটবল ও আমেরিকান ফুটবল তার প্রিয়।
  • তিনি রান্না করতে এবং ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন।
  • মিয়া তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও কাহিনী নিয়ে ইউটিউবেও ভিডিও তৈরি করেন।

সমাজের প্রতি ভূমিকা

  • মিয়া খলিফা বিভিন্ন দাতব্য কাজে অংশ নেন।
  • তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননের মানুষের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহের জন্য কাজ করেছেন।
  • তার বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ড অনেক তরুণকে সাহস জুগিয়েছে, যারা নিজেদের অতীতকে পিছনে ফেলে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান।

মিয়া খলিফার জীবন একদিকে বিতর্কিত হলেও, অন্যদিকে তার সাহসিকতা এবং নিজের জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রচেষ্টা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক।

নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন ক্যাম্পাস জীবনে। হঠাৎ একদিন তার মনে হলো আত্ম-সম্মান বোধের ঘাটতি রয়েছে তার। পাচ্ছেন না আত্ম-বিশ্বাস।
সমাধানে ব্যায়াম করা শুরু করলেন মিয়া খলিফা।

কমালেন ৫০ পাউন্ড ওজন। তাতেও মন ভরেনি। সার্জারি করিয়ে বড় করলে স্তনের আকার। তবু মনে হচ্ছিলো কোন উন্নতি হয়নি।
একদিন তাকে পর্ন অভিনয়ের প্রস্তাব দেন এক মার্কিন পরিচালক। বুঝে না বুঝে রাজি হয়ে যান মিয়া। ভেবেছিলেন এতে বাড়বে আত্ম-সম্মান বোধ, আত্ম-বিশ্বাসও।

মিয়া খলিফা বলেন, ‘প্রথমদিন পর্ন অভিনয় করার পর একই সঙ্গে লজ্জা ও অপরাধবোধ কাজ করছিলো। একই সঙ্গে মনে হচ্ছিলো আমি ঠিক করা করেছি।

তখন আমি আসলে ২১ বছর বয়সী একটা গাধা ছিলাম।’
ইউটিউবে জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘ফরওয়ার্ড’ এর উপস্থাপক ল্যান্স আর্মস্ট্রংকে এসব কথা জানিয়েছেন লেবানিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন পর্নস্টার মিয়া খলিফা।

তিনি জানান, প্রথম দিন অভিনয়ের পর খুব বেশি বিচলিত হননি। ভেবেছিলেন কোম্পানির বাইরে কেউ তার পর্ন গুলো খুঁজে পাবে না। কিন্তু পরে হঠাৎ চারদিক থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়ে ভড়কে যান।

মিয়া খলিফা জানান, তিনি এমনটা ভেবেছিলেন কারণ সে সময় পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন অ্যাকাউন্টই ছিলো না তার।

তিনি জানালেন, একদিন এক মার্কিন পরিচালক তাকে পর্ন সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। না বুঝেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন এতে বাড়বে আত্ম-সম্মান বোধ, আত্ম-বিশ্বাসও। চুক্তি মোতাবেক বড় অংকের টাকাও পকেটে পুরতে পারবেন।

মিয়া বলেন, প্রথমদিন পর্ন অভিনয় করার পর একই সঙ্গে লজ্জা ও অপরাধবোধ কাজ করছিলো। একই সঙ্গে মনে হচ্ছিলো আমি যা করেছি, ঠিক করেছি। তখন আমি আসলে ২১ বছর বয়সী একটা গাধা ছিলাম।

প্রথম দিন অভিনয়ের পর খুব বেশি বিচলিত হইনি। ভেবেছিলাম কোম্পানির বাইরে কেউ সিনেমাগুলো খুঁজে পাবে না। কিন্তু পরে হঠাৎ চারদিক থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়ে ভড়কে যাই। যোগ করেন মার্কিন এই পর্ন তারকা।

সাথে এও বলেন, সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার কোনো অ্যাকাউন্টই ছিল না। তাই ভাবতাম ভিডিওগুলো শুধু আমি ও কোম্পানির কাছেই সংরক্ষিত থাকবে।

আত্ম-সম্মান বোধের ঘাটতি কমাতেই পর্ন দুনিয়াতে নাম লিখিয়েছিলেন মিয়া খলিফা। সম্প্রতি ইউটিউবে জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘ফরওয়ার্ড’ এর উপস্থাপক ল্যান্স আর্মস্ট্রংকে এসব কথা জানিয়েছেন লেবানিজ বংশোদ্ভূত এই মার্কিন পর্নস্টার।

Leave a Comment