পহেলা বৈশাখ একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ পহেলা বৈশাখ , অনুচ্ছেদ পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ, পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ PDF Download,অনুচ্ছেদ নিয়োগ পরীক্ষায় আসা পহেলা বৈশাখ, পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ পহেলা বৈশাখ (PDF Download)

বিষয়: পহেলা বৈশাখ একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ পহেলা বৈশাখ

পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ PDF Download -১

বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পয়লা বৈশাখ এ উৎসব পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে একসময় এ দিনে ‘পুণ্যাহ’ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, কীর্তন, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃত্তি-নাচ-গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ।

কোনো কোনো এলাকায় নৌকাবাইচ, হাডুডু, ষাঁড়েল লড়াই, মোরগের লড়াই ইত্যাদি খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পালন করে তিন দিনব্যাপী আনন্দময় ‘বৈসাবি’ উৎসব। পন্ডিতরা মনে করেন মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন চালু করেন।

এ দিনটা যেমন আনন্দ উল্লাসের জন্য তেমনি পরস্পর কুশল বিনিময় ও কল্যাণ কামনার জন্য। আমরা একে অন্যকে বলি, শুভ নববর্ষ। এ দিনে শহরাঞ্চলে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানীং। নতুন অথবা সুন্দর জামাকাপড় পরে সব বয়সের মানুষ বাংলা নববর্ষে আনন্দে মেতে ওঠে। বাংলা নববর্ষ এখন জাতীয় উৎসব।


আরো ও সাজেশন:-

পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ PDF Download -২

সারাবছরের সমস্ত গ্লানি মুছে দিয়ে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব চুকিয়ে প্রতিবছর আসে পহেলা বৈশাখ। এ দিনটিই বাংলা নববর্ষ নামে পরিচিত। নতুন বছরের এ দিনটি বাঙালি জাতির প্রাণে এক আনন্দ ধারা বইয়ে দেয়। নববর্ষের আগমনে দেশের সর্বত্রই বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। সম্রাট আকবরের শাসনামল থেকে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ পালনের রেওয়াজ শুরু হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। নববর্ষ উপলক্ষ্যে বৈশাখ মাসের প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসে। গ্রামে-গঞ্জে ও শহরে অনুষ্ঠিত এ মেলাকে বৈশাখী মেলা বলা হয়।

এ মেলা চলে বৈশাখ মাসব্যাপী। এ মেলা এখন বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষ্যে ঢাকায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা লোকজ চিত্রকলা আঁকে, হাতি ঘোড়ার মুখোশ তৈরি করে নানান সাজে নানা বৈচিত্র্যে বৈশাখী শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বাংলা সনকে বরণ করে নেয়। ভোর থেকে রবীন্দ্র সংগীতের মনোমুগ্ধকর গানে রমনার বটমূলে সমবেত হয়ে বর্ষবরণ করে ‘ছায়ানট’।

ভোরবেলায় রমনা পার্কে পান্তাভাত ও ইংলিশ মাছ ভাজা বিক্রির আয়োজন করা হয়। বাংলা নববর্ষ শুধু সংস্কৃতি নয় এর অর্থনৈতিক দিকও রয়েছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পহেলা বৈশাখ ব্যবসায়ী মহলে হালখাতার দিন। হালখাতা উপলক্ষ্যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের লেনদেনে সারাবছরে যে বাকি থাকে তা পরিশোধ করা হয়। নববর্ষ উপলক্ষ্যে একে অপরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তাই বলা যায়, বাংলা নববর্ষ আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একটি বিশেষ উপাদান। এ উৎসব বাঙালির মিলনমেলার এক সেতুবন্ধন তৈরি করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ PDF Download -৩

বৈশাখ মাসের প্রথম দিনটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে বাংলা নববর্ষ হিসেবে পরিচিত। পুরােনাে বছরের সমস্ত গ্লানি ধুয়ে মুছে, জীর্ণ ক্লান্ত অবসাদের অবসান ঘটিয়ে আত্মপ্রকাশ করে বাংলা নববর্ষ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, “প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র, দীন, একাকী, কিন্তু উৎসবের দিনে মানুষ বৃহৎ। সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হয় বৃহৎ। সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ।”

বাঙালির কাছে নববর্ষ এক মহান উৎসব। এদিন প্রায় সমস্ত দোকানপাট নতুন রঙে সেজে ওঠে। দোকানে দোকানে মিষ্টি বিতরণ করে নতুন হালখাতা চালু করা হয়। পুরাতন হিসাব চুকিয়ে খােলা হয় নতুন হিসাবের খাতা। নানাদিকে বসে বৈশাখী মেলা। পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনগুলাের পরিচালনায় নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হয়। প্রত্যেকেই বাংলা বছরের প্রথম দিনটি সুন্দরভাবে অতিবাহিত করে।

নতুন বছরের আগামী দিনগুলােকে সুন্দরতর ও আনন্দময় করে তােলার স্বপ্ন নিয়েই পালন করা হয় বাংলা নববর্ষ উৎসব। বাঙালি জাতির বাংলার এই পুরােনাে সংস্কৃতিকে যথাযথভাবে পালনে আরও সচেতন হওয়া উচিত।


পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ PDF Download -৪

বাংলা নববর্ষ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় ও সার্বজনীন উৎসব। বাংলাদেশে বসবাসকারী সকল ধর্মের মানুষের এ এক মিলন উৎসব। বাংলা সনের প্রথম মাস বৈশাখ, এই বৈশাখ মাসের প্রথম দিন যাপিত হয় বলে বাংলা নববর্ষের অপর নাম ‘পহেলা বৈশাখ। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের বাঙালিরা এই দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি।

সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সুখময় ও সমৃদ্ধ হয়। বাংলা নববর্ষের ইতিহাস এখনাে সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও পণ্ডিত মনে করেন মুঘল সমাট আকবর চান্দ্র হিজরি সনের সঙ্গে ভারতবর্ষের সৌর সনের সমন্বয় করে ১৫৫৬ সাল বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন চালু করেন। বাংলা সন চালু হওয়ার পর নববর্ষ উদযাপনে নানা আনুষ্ঠানিকতা যুক্ত হয়। নবাব এবং জমিদারেরা খাজনা আদায়ের উদ্দেশ্যে চালু করেন ‘পুণ্যাহ’। জমিদারি না থাকায় এখন তা লুপ্ত। পহেলা বৈশাখের দ্বিতীয় বৃহৎ অনুষ্ঠান ছিল হালখাতা। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকির টাকা মিটিয়ে দিতেন।

তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলাে বৈশাখী মেলা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা উদযাপিত হয়। ঢাকার রমনার বটমূলে বসে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বৈশাখী মেলা। এখানে লাখাে মানুষের সমাবেশ ঘটে। মঙ্গল শােভাযাত্রার মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পুরাে এলাকাজুড়ে বহুবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়। অন্যদিকে, গ্রামাঞ্চলে যে মেলা হয় তাতে বিশেষভাবে স্থান পায় কবিগান, কীর্তন, যাত্রা, গম্ভীরা গান, পুতুল নাচ, নাগরদোলাসহ নানা আনন্দ আয়ােজন। বাংলাদেশে বসবাসকারী আদিবাসীরাও তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে বর্ষবরণ করে।

তাদের এই উৎসবকে বলে ‘বৈসাবি’। বাংলা নববর্ষে পান্তা ও ইলিশ মাছ খাওয়া শহরবাসী বাঙালিদের ফ্যাশনের বিষয় হয়ে উঠেছে । বস্তুত বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান উৎসব। এদিনে বাঙালি নিজস্ব সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। শুধু বছরের প্রথম দিন নয়, সারা বছর ধরে যদি বাঙালি এই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সচেষ্ট হয় তবে বাঙালি সংস্কৃতি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতিতে পরিণত হবে। আর বাংলা নববর্ষ হবে সেই সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রধান উৎসব।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Paragraph & Composition/Application/Emali উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

Leave a Comment