বিষয়: পাইলসের রোগীরা যেসব খাবার খাবেন না,পাইলসের সমস্যা দূর করবে যে ৫ খাবার,পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে কিছু নিয়ম মানুন, পাইলস সারাতে কী খাবেন,পাইলস সারাতে কী খাবেন না?
পাইলসের সমস্যা বেশ পরিচিত। অনেকেই এখন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। একটা সময় এই সমস্যা গুরুতর অবস্থায় পৌঁছে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ কিছু খাবার আছে যেগুলো পাইলসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিছু উপকারী সবজিও আছে এই তালিকায়। আপনি বুঝতেও পারবেন না, সাধারণ এসব সবজি আপনার পাইলসের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক যেসব সবজি বাড়িয়ে দেয় পাইলসের সমস্যা-
আলু
আলু একটি উপকারী সবজি। শুধু বাঙালি খাবারই নয়, পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে বিভিন্ন খাবার তৈরিতে আলুর কদর অনেক। কিন্তু এই আলুই পাইলস রোগীদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ ১০০ গ্রাম আলুতে থাকে ২ গ্রামেরও কম ফাইবার। যে কারণে মল ঠিকভাবে তৈরি হতে পারে না। দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই পাইলসের সমস্যা থাকলে যতটা সম্ভব আলু কম খাবেন। আলুর খোসা বাদ দিয়ে খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
ঝিঙা
সবজি হিসেবে ঝিঙা বেশ সুস্বাদু। এই সবজির আছে অনেক উপকারিতা। সবজি হিসেবে এই ঝিঙা অনেকের কাছে পছন্দেরও। কিন্তু এতে ফাইবার থাকে খুবই কম। তাই পাইলসের সমস্যা থাকলে ঝিঙা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। কারণ, এই সবজি কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়। ফলে দেখা দেয় পাইলস।
টমেটো
টমেটোর উপকারিতা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই।এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। সেই সঙ্গে থাকে বিটা ক্যারোটিন। কিন্তু এই টমেটোই বাড়িয়ে দিতে পারে পাইলসের সমস্যা। কারণ টমেটোতে অন্যান্য সবজির তুলনায় ফাইবার অনেক কম থাকে। তাই পাইলস থাকলে টমেটো খেতে হবে রয়েসয়ে।
পালংশাক
পালংশাক খুবই সুস্বাদু এবং এটি উপকারীও। অনেকের কাছেই এটি পছন্দের। এই শাকে থাকে খনিজ, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে যাদের পাইলস রয়েছে তাদের জন্যততটা উপকারী নয় এই শাক। কারণ এতে ফাইবারের পরিমাণ তুলনামূলক কম। তাই পাইলস থাকলে পালংশাক কম খাবেন।
বেথো শাক
বেথো শাক অনেকের কাছেই পছন্দের। সুস্বাদু এই শাকে আছে খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন। কিন্তু এই শাক বেশি খেলে পাইলস রোগীদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ বেথো শাকে ফাইবার থাকে অনেক কম। যে কারণে পাইলস রোগীদের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
- যেভাবে সহবাস করলে বাচ্চা হয় বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে লেখুন
- পিরিয়ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, সমালোচনার মুখে কড়া জবাব টিভি তারকা দিব্যার
শীতের একটি সুস্বাদু সবজি হচ্ছে লাউ শাক। এটি একটি ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার। ফলে দেহের নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে লাউ শাক। তাইতো চিকিৎসকরাও এই শাক বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক লাউ শাক আমাদের কী কী উপকার করে-
গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ প্রয়োজন হয়। ফলিক এসিডের অভাবে গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ডের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। যার ফলে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা মৃত শিশু জন্মাতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে লাউ শাক খান। তবেই এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
লাউ শাক উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। আর ভিটামিন-সি ঠাণ্ডা এবং যে কোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
লাউ শাকে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ থাকে। লাউ শাকের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে এবং পাইলস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
লাউ শাক বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিয়েজ্যান্থিন-এ পরিপূর্ণ। বিটা-ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং লুটেইন ও জিয়েজ্যান্থিন চোখের রোগ প্রতিরোধ করে।
উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকায় লাউ শাক অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।
লাউ শাক পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। পটাসিয়াম কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীরে তরলের মাত্রা ঠিক রাখে এবং হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
লাউ শাকে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা হাড় শক্ত ও মজবুত করে।
আয়রন সমৃদ্ধ লাউ শাক রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত রক্ত কনিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
এই শাকে ক্যালরি কম থাকে এবং এটি কোলেস্টেরল ও ফ্যাট মুক্ত। তাই এটি ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- পায়ের তলায় তেল লাগানোর উপকারিতা
- যেভাবে সহবাস করলে বাচ্চা হয় বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে লেখুন
- পিরিয়ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, সমালোচনার মুখে কড়া জবাব টিভি তারকা দিব্যার
- যে সকল উপায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর যাই
- হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে রক্ষা করার কিছু উপায়
- যে কারণে পুরুষের গোপন অঙ্গের ক্ষমতা নষ্ট হয়