আজকের বিষয়: সূরা জ্বিন সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল জ্বিন আলমল ও ফজিলত, সূরা জ্বিন কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা জ্বিন নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ৭২ সূরা আল – জ্বিন
নামকরণ
আল জিন এ সূরার নাম। এর বিষয়বস্তুর শিরোনামও আল জিন। কারণ এতে কুরআন শুনে জিনদের নিজেদের জাতির কাছে যাওয়া এবং তাদের মধ্যে ইসলামের তাবলীগ ও দাওয়াতের কাজ করার ঘটনা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
নাযিল হওয়ার সময়-কাল
বুখারী ও মুসলিম হাদীস গ্রন্থে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকজন সাহাবীকে সাথে নিয়ে উকাযের বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে নাখলা নামক স্থানে তিনি ফজরের নামাযে ইমামতি করেন। সে সময় একদল জিন ঐ স্থান অতিক্রম করেছিলো। কুরআন তিলাওয়াতের শব্দ শুনে তারা সেখানে থেমে যায় এবং গভীর মনযোগসহ কুরআন শুনতে থাকে। এ সূরাতে এ ঘটনারই উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বর্ণনার ভিত্তিতে অধিকাংশ মুফাস্সির মনে করেছেন যে,এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইতিহাস খ্যাত তায়েফ সফরের ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছিল হিজরাতের তিন বছর আগে নবুওয়াতের ১০ম বছরে। কিন্তু কয়েকটি কারণে এ ধারণা ঠিক নয়। তায়েফের উক্ত সফরে জিন দের কুরআন শোনার যে ঘটনা ঘটেছিল তা সূরা আহকাফের ২৯ থেকে ৩২ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। ঐ আয়াতগুলো একবার দেখলেই বুঝা যায়, সে সময় যেসব জিন কুরআন শুনে তার প্রতি ঈমান এনেছিল তারা আগে থেকেই হযরত মূসা এবং পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান পোষণ করতো। পক্ষান্তরে এ সূরার ২থেকে ৭ পর্যন্ত আয়াত থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, এসময় যে জিনেরা কুরআন শুনেছিল তারা ছিল মুশরিক। তারা আখেরাত ও রিসালাত অস্বীকার করতো। তাছাড়াও এ বিষয়টি ইতিহাস থেকে প্রমাণিত যে তায়েফের সফরে যায়েদ ইবনে হারেসা ছাড়া আর কেউ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিল না। পক্ষান্তরে এ সূরায় উল্লেখিত সফর সম্পর্কে ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেছেন যে, এ সময় কয়েকজন সাহাবী তাঁর সাথে ছিলেন। তা ছাড়াও অনেকগুলো বর্ণনা এ বিষয়ে একমত যে, সূরা আহকাফে বর্ণিত ঘটনায় জিনরা যখন কুরআন শুনেছিল তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তায়েফ থেকে মক্কা ফেরার পথে নাখলায় অবস্থান করেছিলেন। আর ইবনে আব্বাসের বর্ণনা মতে এ সূরায় বর্ণিত সফরে জিনদের কুরআন শোনার ঘটন তখন ঘটেছিল যখন তিনি মক্কা থেকে উকায যাচ্ছিলেন। এসব কারণে যে বিষয়টি সঠিক বলে জানা যায় তা হলো, সূরা আহকাফ এবং সূরা জিনে একই ঘটনার উল্লেখ করা হয়নি । বরং এ ছিল ভিন্ন ভিন্ন সফরে সংঘটিত ভিন্ন ভিন্ন দুটি ঘটনা।
সূরা আহক্বাফ এ যে ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে তা যে দশম নববী সনে তায়েফ সফরের সময় সংঘটিত হয়েছিল সে ব্যাপারে রেওয়ায়াতসমূহে ঐক্যমত পোষণ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, এ দ্বিতীয় ঘটনাটি কখন সংঘটিত হয়েছিল? ইবনে আব্বাসের বর্ণনায় এর কোন জবার পাওয়া যায় না। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদল সাহাবীকে সাথে নিয়ে কখন উকাযের বাজারে গিয়েছিলেন অন্য আর কোন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকেও তা জানা যায় না। তবে এ সূরার ৮ থেকে ১০ পর্যন্ত আয়াতগুলো সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করলে বুঝা যায় , এই নবূওয়াতের প্র্রাথমিক যুগের ঘটনা হবে। এসব আয়াতে বলা হয়েছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালাতের পূর্বে জিনরা উর্ধ জগতের খবর জানার জন্য আসমান থেকে কিছু না কিছু শুনে নেয়ার একটা সুযোগ পেয়ে যেতো। কিন্তু এরপর তারা হঠাৎ দেখতে পেলো সবখানে ফেরেশতাদের কড়া পাহারা বসে গেছে এবং উল্কার বৃষ্টি হচ্ছে। তাই কোথাও তারা এমন একটু জায়গা পাচ্ছে না যেখানে অবস্থান নিয়ে কোন আভাস তারা লাভ করতে পারে। তাই একথা জানার জন্য তারা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলো যে, পৃথিবীতে এমন কি ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বা হতে যাচ্ছে যার জন্য এ কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। সম্ভবত তখন থেকেই জিনদের বিভিন্ন দল বিষয়টির অনুসন্ধান করে বেড়াচ্ছিল এবং তাদেরই একটি দল রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র মুখ থেকে কুরআন মজীদের তিলাওয়াত শুনে এ সিদ্ধান্তে পৌছেছিল যে, এটিই সে বস্তু, যার কারণে জিনদের জন্য উর্ধ জগতের সমস্ত দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
- রমজান মাসের ৯টি ফজিলত
জিনদের হাকীকত বা তাৎপর্য
মন-মগজ যাতে কোন প্রকার বিভ্রান্তির শিকার না হয় সে জন্য এ সুরা অধ্যায়নের আগে জিনদের তাৎপর্য সম্পর্কে জেনে নেয়া আবশ্যক। বর্তমান যুগের বহু লোক ও ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত আছে যে, জিন বলতে বাস্তবে কিছু নেই। বরং এটিও প্রাচীন কালের কুসংস্কার ভিত্তিক বাজে একটি ধারণা । তাদের এ ধারণার ভিত্তি কিন্তু এটা নয় যে, তারা গোটা বিশ্ব-জাহানের সবকিছুর তাৎপর্য ও বাস্তবতা জেনে ফেলেছে এবং এও জেনে ফেলেছে যে, জিন বলে কোথাও কিছু নেই। এমন জ্ঞান লাভের দাবী তারা নিজেরাও করতে পারে না। কিন্তু কোন প্রমাণ ছাড়াই তারা ধরে নিয়েছে যে, গোটা বিশ্ব-জাহানে শুধু তা-ই বাস্তব যা অনুভব করা যায় বা ধরা ছোয়ার মধ্যে আনা যায়। অথচ সমুদ্রের তুলনায় এক বিন্দু পানির যে অবস্থা এ বিরাট বিশাল -বিশ্ব জাহানের বিশালত্বের তুলনায় মানুষের অনুভূতি ও ধরা ছোঁয়ার গণ্ডির অবস্থা তাও নয়। যে ব্যক্তি মনে করে যে, যা অনুভব করা যায় না তার কোন অস্তিত্ব নেই। আর যার অস্তিত্ব আছে তা অবশ্যই অনুভুত হবে সে আসলে নিজের বুদ্ধি বিবেকের সংকীর্ণতারই প্রমাণ দেয়। এ ধরনের চিন্তাধারার অবলম্বন করলে শুধু এক জিন নয় বরং এমন কোন সত্যকেই মানুষ মেনে নিতে পারবে না যা সরাসরি তার অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণে ধরা পড়ে না এবং অনুভব করা যায় না এমন কোন সত্যকে মেনে নেয়া তা দূরের কথা আল্লাহর অস্তিত্ব পর্যন্তও তাদের কাছে মেনে নেয়ার মত থাকে না।
মুসলমানদের মধ্যে যারা এরূপ ধ্যান-ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে কিন্তু কুরআনকেও অস্বীকার করতে পারেনি তারা জিন, ইবলীস এবং শয়তান সম্পর্কে কুরআনের ষ্পষ্ট বক্তব্যকে নানা রকম ব্যাখ্যা -বিশ্লেষণের বিষয়ে পরিণত করেছে। তারা বলেনঃ জিন বলতে এমন কোন অদৃশ্য মাখলুক বুঝায় না যাদের স্বতন্ত্র কোন অস্তিত্ব আছে। বরং কোথাও এর অর্থ মানুষের পাশবিক শক্তি যাকে শয়তান বলে অভিহিত করা হয়েছে। কোথাও এর দ্বারা ঐ সব লোকদের বুঝানো হয়েছে যারা গোপনে কুরআন শুনতো । কিন্তু এ ব্যাপারে কুরআন মজীদের বক্তব্য এত স্পষ্ট ও খোলামেলা যে, এ ধরনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সামান্যতম অবকাশও তাতে নেই।
কুরআন মজীদে এক জায়গায় নয় বহু জায়গায় এমনভাবে জিন ও মানুষের উল্লেখ করা হয়েছে যা থেকে বুঝা যায়, এরা স্বতন্ত্র দুটি মাখলুক। উদাহরণ স্বরূপ দেখুন সূরা আল আ’রাফ আয়াত ৩৮; হূদ,১৯; সূরা হা-মীম আস সাজদা, আয়াত ২৫ ও ২৯; পুরাটাই এ ব্যাপারে এমন অকাট্য প্রমাণ যে, জিনদের এক প্রকার মানুষ মনে করার কোন অবকাশই নেই। সূরা আল আরাফের ১২ আয়াত , সূরা আল হিজর এর ২৬ ও ২৭ আয়াত এবং সূরা আর রাহমান এর ১৪ও ১৫ আয়াতে ষ্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, মানুষ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান হলো মাটি আর জিন সৃষ্টির মৌলিক উপাদান হলো আগুন।
সূরা হিজরের ২৭ আয়াতে পরিষ্কার ভাষায় বলা হয়েছে যে, মানুষ সৃষ্টির পূর্বে জিনদের সৃষ্টি করা হয়েছে। কুরআন মজীদের সাতটি স্থান আদম ও ইবলীসের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। এর সবগুলো স্থানের বর্ণনা থেকে প্রামানিত হয় যে, মানুষের সৃষ্টির সময় ইবলীস বর্তমান ছিল। এ ছাড়াও সূরা কাহফের ৫০ আয়াতে বলা হয়েছে যে, ইবলীস জিনদেরই একজন।
সূরা আ’রাফের ২৭ আয়াতে পরিষ্কার ভাষায় বলা হয়েছে যে, জিনরা মানুষকে দেখতে পায় কিন্তু মানুষ জিনদের দেখতে পায় না।
সূরা হিজরের ১৭ থেকে ১৮ ,সূরা সাফ্ফাতের ৬থেকে ১০এবং সূরা আল মুলক এর ৫ আয়াতে বলা হয়েছে, জিনেরা উর্ধ জগতের দিকে উঠতে সক্ষম হলেও একটি নির্দিষ্ট সীমার ওপরে তারা যেতে পারে না। এর উর্ধে যাওয়ার চেষ্টা করলে এবং উর্ধজগতে বিচরণকারী ফেরেশতাদের কাথাবার্তা শুনতে চাইলে তাদের থামিয়ে দেয়া হয়। গোপনে দৃষ্টির অগোচরে শুনতে চাইলে উল্কাপিণ্ড ছুড়ে মেরে তাড়িয়ে দেয়া হয়। একথার মাধ্যমে আরবের মুশরিকদের একটি ধারণার প্রতিবাদ করা হয়েছে। তাদের ধারণা ছিল জিনেরা গায়েবী বিষয়ের খবর জানে অথবা খোদায়ীর গোপন তত্বসমূহ জানার কোন উপায় তাদের জানা আছে। সূরা আস সাবার ১৪ আয়াতেও এ ভ্রান্ত ধারণা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
সূরা আল বাকারাহ র ৩০ থেকে ৩৪ আয়াত এবং সূরা কাহফ এর ৫০ আয়াত থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ তা’আলা পৃথিবীর খেলাফত দিয়েছেন মানুষকে। এও জানা যায় যে, মানুষ জিনদের চেয়ে উত্তম মাখলুক যদিও জিনদের কিছু অস্বাভাবিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমরা সূরা নামলের ৭ আয়াতের এর একটি দৃষ্টান্ত দেখতে পাই। কিন্তু মানুষের তুলনায় পশুরাও কিছু অধিক ক্ষমতা লাভ করেছে। কিন্তু এর দ্বারা প্রমাণিত হয় না যে, পশুরা মানুষের চেয়ে অধিক মর্যাদার অধিকারী।
কুরআন একথাও বলে যে, জিনরাও মানুষের মত একটি মাখলুক। তাদেরকেও মানুষের মত স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ইবলীসের কাহিনী এবং সূরা আহকাফ ও সূরা জিনে উল্লেখিত কিছু সংখ্যক জিনের ঈমান আনার ঘটনা এর সুষ্পষ্ট প্রমাণ।
কুরআনের বহু জায়গায় এ সত্যটিও বর্ণনা করা হয়েছে যে, আদমকে সৃষ্টি করার মুহূর্তেই ইবলীস এ মর্মে দৃঢ় সংকল্প করেছিল যে, সে মানব জাতিকে গোমরাহ, বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। সেসময় থেকেই জিনদের শয়তানরা মানুষকে গোমরাহীর মধ্যে ঠেলে দেয়ার চেষ্টায় লেগে আছে। কিন্তু মানুষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে জবরদস্তিমূলকভাবে কোন কাজ করিয়ে নেয়ার সামর্থ তারা রাখে না। বরং তারা তা মনের মধ্যে সন্দেহ -সংশয় সৃষ্টি করে, তাদের বিভ্রান্ত করে এবংঅন্যায় ও গোমরাহীকে তাদের সামনে শোভনীয় করে পেশ করে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ নিম্ন বর্ণিত আয়াতগুলো পাঠ করুন। সূরা নিসা, আয়াত ১১৭ থেকে ১২০; আ’রাফ ,১১ থেকে ১৭ পর্যন্ত; ইবরাহীম ২২; আল হিজর ৩০ থেকে ৪২; আন নাহল, ৯৮ থেকে ১০০ এবং বনী ইসরাঈল, ৬১ থেকে ৬৫ আয়াত পর্যন্ত।
কুরআন শরীফে একথাও বলা হয়েছে যে, আরবের মুশরিকরা জাহেলী যুগে জিনদেরকে আল্লাহর সাথে শরীক করতো, তাদের ইবাদত বা পূজা-অর্চনা করতো এবং তাদেরকে আল্লাহর বংশধর বা সন্তান-সন্তুতি মনে করতো। দেখুন, সূরা আল আন’আম, আয়াত ১০০; সাবা,আয়াত ৪০থেকে ৪১ এবং আস সাফ্ফাত আয়াত ১৫৮।
এসব বিশদ আলোচনা থেকে একথা স্পষ্ট হয়ে থাকে যে, জিনরা একটা স্বতন্ত্র বহিঃসত্তার অধিকারী এবং তারা মানুষের থেকে ভিন্ন প্রজাতির আরেকটি অদৃশ্য সৃষ্টি। তাদের রহস্যজনক গুণাবলী ও বৈশিষ্টের কারণে অজ্ঞ লোকেরা তাদের অস্তিত্ব ও শক্তি-সামর্থ সম্পর্কে কিছু অতিরঞ্জিত ধারণা পোষণ করে আসছিল এমনকি তাদের পূজা করতে শুরু করেছিল।কিন্তু কুরআন তাদের ব্যাপারে প্রকৃত সত্য একেবারে খোলাসা করে বলে দিয়েছে যা থেকে তারা কি এবং কি নয় তা ভালভাবে জানা যায়।
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য
জিনদের একটি দল কুরআন শুনার পর তার কি প্রভাব গ্রহণ করেছিল এবং ফিরে গিয়ে নিজ জাতির অন্যান্য জিনদের কি কি কথা বলেছিল, এ সূরার প্রথম আয়াত থেকে ১৫ আয়াত পর্যন্ত তা-ই বলা হয়ছে। এ প্রসংগে আল্লাহ তা’আলা তাদের সব কথাবার্তা এখানে উল্লেখ করেননি। বরং উল্লেখযোগ্য বিশেষ বিশেষ কথাগুলোই উল্লেখ করেছেন। তাই বর্ণনাভঙ্গী ধারাবাহিক কথাবার্তা বলার মত নয়। বরং তাদের বিভিন্ন উক্তি এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে, যারা এরূপ কথা বলেছে। জিনদের মুখ থেকে উচ্চারিত এসব উক্তি যদি মানুষ গভীর মনোযোগ সহকারে পড়ে তাহলে সহজেই একথা বুঝা যাবে যে, তাদের ঈমান আনার এ ঘটনা এবং নিজ জাতির সাথে কথোপকথন কুরআন মজীদে বিশেষ কোন উদ্দেশ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে।আয়াতের ব্যাখ্যায় আমি যে টীকা লিখেছি তাতে তাদের উক্তিসমূহের যে ব্যাখ্যা পেশ করেছি এ উদ্দেশ্য বুঝাতে তা আরো অধিক সাহায্য করবে।
তারপর ১৬ থেকে ১৮ পর্যন্ত আয়াতে লোকদের বুঝানো হয়েছে যে, তারা যদি শিরক পরিত্যাগ করে এবং সঠিক পথে চলার ক্ষেত্রে অবিচল থাকে তাহলে তাদের প্রতি অজস্র নিয়ামত বর্ষিত হবে। অন্যথায় আল্লাহর পাঠানো এ উপদেশবাণী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার পরিণামে তারা কঠিন আযাবের মধ্যে নিপতিত হবে। অতপর ১৯ থেকে ২৩ পর্যন্ত আয়াতে মক্কার কাফেরদের তিরষ্কার করা হয়েছে। কারণ আল্লাহর রসূল যখন আল্লাহর দিকে উচ্চকণ্ঠে আহবান জানান তখন তারা তার ওপরে হামলা করতে উদ্যত হয়। অথচ আল্লাহর বাণী পৌছিয়ে দেয়াই রসূলের দায়িত্ব। তিনি তো এ দাবী করেছেন না যে, মানুষের ভালমন্দ এবং কল্যাণ ও অকল্যাণ তারই ইখতিয়ারে । এরপর ২৪ থেকে ২৫ আয়াতে কাফেরদের এ মর্মে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়েছে যে, আজ তারা রসূলের বন্ধুহীন ও অসহায় দেখে অবদমিত করে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু এমন এক সময় আসবে যখন তারা জানতে পারবে , প্রকৃতপক্ষে বন্ধুহীন ও অসহায় কারা?সে সময়টি দূরে না নিকটে রসূল তা জানেন না। কিন্তু সেটি অবশ্যই আসবে। সব শেষে লোকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে ,’আলেমুল গায়েব’ বা গায়েবী বিষয়ের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহরই আছে। রসূল শুধু ততটুকুই জানতে পারনে যতটুকু আল্লাহ তাঁকে জানান। এ জ্ঞানও হয় রিসালাতের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন সম্পর্কিত বিষয়ে। এমন সুরক্ষিত পন্থায় রসূলকে এ জ্ঞান দেয়া হয় যার মধ্যে বাইরে থেকে হস্তক্ষেপের আদৌ কোন সম্ভবনা থাকে না।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
৭২ . আল জ্বিন – (الجن) | জ্বিন সম্প্রদায়
মাক্কী, মোট আয়াতঃ ২৮
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
২০
قُلۡ اِنَّمَاۤ اَدۡعُوۡا رَبِّیۡ وَلَاۤ اُشۡرِکُ بِہٖۤ اَحَدًا
কুল ইন্নামাআদ‘ঊ রাববী ওয়ালাউশরিকুবিহীআহাদা-।
মুফতী তাকী উসমানী
বলে দাও, আমি তো কেবল আমার প্রতিপালকের ইবাদত করি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক স্থির করি না।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
বলুনঃ আমি তো আমার পালনকর্তাকেই ডাকি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
বল, ‘আমি আমার প্রতিপালককেই ডাকি এবং তাঁর সঙ্গে কাউকেও শরীক করি না।’
Mufti Taqi Usmani
Say, “I invoke my Lord, and do not associate anyone with Him.”
Sherif Ahmeti
Thuaj: “Unë dëshiroj vetëm Zotin tim dhe Atij nuk i bëj asnjë shok!”
২১
قُلۡ اِنِّیۡ لَاۤ اَمۡلِکُ لَکُمۡ ضَرًّا وَّلَا رَشَدًا
কুল ইন্নী লাআমলিকুলাকুম দাররাওঁ ওয়ালা-রাশাদা- ।
মুফতী তাকী উসমানী
বলে দাও, আমি তোমাদের কোন ক্ষতি করার এখতিয়ার রাখি না এবং কোন উপকার করারও না।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
বলুনঃ আমি তোমাদের ক্ষতি সাধন করার ও সুপথে আনয়ন করার মালিক নই।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
বল, ‘আমি তোমাদের ইষ্ট-অনিষ্টের মালিক নই।’
Mufti Taqi Usmani
Say, “I possess no power to cause you any harm or bring you to a right way.”
Sherif Ahmeti
Thuaj: “Unë nuk kam në dorë që t’ju largojë dëmin, as t’ju sjell dobi!”
২২
قُلۡ اِنِّیۡ لَنۡ یُّجِیۡرَنِیۡ مِنَ اللّٰہِ اَحَدٌ ۬ۙ وَّلَنۡ اَجِدَ مِنۡ دُوۡنِہٖ مُلۡتَحَدًا ۙ
কুল ইন্নী লাইঁ ইউজীরানী মিনাল্লা-হি আহাদুওঁ ওয়া লান আজিদা মিন দূ নিহী মুলতাহাদা-।
মুফতী তাকী উসমানী
বলে দাও, আমাকে আল্লাহ হতে কেউ রক্ষা করতে পারবে না এবং আমিও তাঁকে ছেড়ে অন্য কোন আশ্রয়স্থল পাব না।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
বলুনঃ আল্লাহ তা’আলার কবল থেকে আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ব্যতীত আমি কোন আশ্রয়স্থল পাব না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
বল, ‘আল্লাহ্ র শাস্তি হতে কেউই আমাকে রক্ষা করতে পারবে না এবং আল্লাহ্ ব্যতীত আমি কোন আশ্রয়ও পাইব না,
Mufti Taqi Usmani
Say, “No one can ever save me from Allah, and I can never find a refuge save with Him.
Sherif Ahmeti
Thuaj: “Është e vërtetë se mua nuk më mbron askush prej (dënimit) të All-llahut dhe përveç Tij, unë nuk gjej mbështetje”.
২৩
اِلَّا بَلٰغًا مِّنَ اللّٰہِ وَرِسٰلٰتِہٖ ؕ وَمَنۡ یَّعۡصِ اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ فَاِنَّ لَہٗ نَارَ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اَبَدًا ؕ
ইল্লা-বালা-গাম মিনাল্লা-হি ওয়া রিছা-লা-তিহী ওয়া মাইঁ ইয়া‘সিল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূ ফাইন্না লাহূনা-রা জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহাআবাদা- ।
মুফতী তাকী উসমানী
অবশ্য (আমাকে যে জিনিসের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে, তা হল) আল্লাহর পক্ষ হতে বার্তা পৌঁছানো ও তাঁর বাণী প্রচার। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা করলে তার জন্য আছে জাহান্নামের আগুন, যার ভেতর তারা স্থায়ীভাবে থাকবে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
কিন্তু আল্লাহ তা’আলার বাণী পৌছানো ও তাঁর পয়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
‘কেবল আল্লাহ্ র পক্ষ হতে পৌঁছান এবং তাঁর বাণী প্রচারই আমার দায়িত্ব। যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে।
Mufti Taqi Usmani
However, (I have been given power) of conveying (commands) from Allah, and His messages. The one who disobeys Allah and His Messenger, for him there is the fire of Hell, wherein such people will live forever.
Sherif Ahmeti
(Nuk kam në dorë tjetër), përveç kumtimin prej All-llahut dhe përveç shpalljeve të Tij. Kush e kundërshton All-llahun dhe të dërguarin e tij, i tij është zjarri i Xhehennemit, aty do të jenë përgjithmonë, pambarim.
২৪
حَتّٰۤی اِذَا رَاَوۡا مَا یُوۡعَدُوۡنَ فَسَیَعۡلَمُوۡنَ مَنۡ اَضۡعَفُ نَاصِرًا وَّاَقَلُّ عَدَدًا
হাত্তা ইয়া- রাআও মা- ইঊ‘আদূনা ফাছাইয়া‘লামূনা মান আদ‘আফুনা-সিরাওঁ ওয়া আকাল্লু‘আদাদা- ।
মুফতী তাকী উসমানী
(তারা অবাধ্যতা করতে থাকবে) যাবৎ না তারা দেখতে পায় সেই জিনিস যে ব্যাপারে তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে। তখন তারা বুঝতে পারবে কার সাহায্যকারী দুর্বল এবং কে সংখ্যায় অল্প। ১২
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এমনকি যখন তারা প্রতিশ্রুত শাস্তি দেখতে পাবে, তখন তারা জানতে পারবে, কার সাহায্যকারী দূর্বল এবং কার সংখ্যা কম।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
যখন এরা প্রতিশ্রুত শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, বুঝতে পারবে, কে সাহায্যকারীর দিক দিয়ে দুর্বল এবং কে সংখ্যায় স্বল্প।
Mufti Taqi Usmani
(The disbelievers will continue denying the truth and mock at it) until when they will see what they are promised, they will know whose supporters are weaker, and whose numbers are less.
Sherif Ahmeti
Derisa kur ta shohin atë që u premtohet, atëherë do të kuptojnë se kush është më i dobët në ndihmë dhe më i vogël në numër.
তাফসীরঃ
১২. সূরা মারয়াম (১৯ : ৭৩)-এ আছে, কাফেরগণ মুসলিমদেরকে বলত, “আমাদের উভয় দলের মধ্যে কার অবস্থান শ্রেষ্ঠতর এবং কার মজলিস উৎকৃষ্টতর?” অর্থাৎ শক্তি ও সংখ্যায় কার সাহায্যকারীগণ উপরে। এ আয়াতে তাদের এ জাতীয় কথারই উত্তর দেওয়া হয়েছে যে, যে দিন আল্লাহ তাআলার শাস্তি তাদের সামনে হাজির হয়ে যাবে, সে দিনই তারা বুঝতে পারবে কার সাহায্যকারীগণ দুর্বল ও সংখ্যায় অল্প এবং কার সাহায্যকারী শক্তিতে প্রবল ও সংখ্যায় অধিক।
২৫
قُلۡ اِنۡ اَدۡرِیۡۤ اَقَرِیۡبٌ مَّا تُوۡعَدُوۡنَ اَمۡ یَجۡعَلُ لَہٗ رَبِّیۡۤ اَمَدًا
কুল ইন আদরীআকারীবুম মা-তূ‘আদূনা আম ইয়াজ‘আলুলাহূরাববীআমাদা-।
মুফতী তাকী উসমানী
বলে দাও, আমি জানি না, তোমাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে, তা আসন্ন, না আমার প্রতিপালক তার জন্য কোন দীর্ঘ মেয়াদ স্থির করবেন। ১৩
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
বলুনঃ আমি জানি না তোমাদের প্রতিশ্রুত বিষয় আসন্ন না আমার পালনকর্তা এর জন্যে কোন মেয়াদ স্থির করে রেখেছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
বল, ‘আমি জানি না তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা কি আসন্ন, না আমার প্রতিপালক এটার জন্যে কোন দীর্ঘ মেয়াদ স্থির করবেন ?’
Mufti Taqi Usmani
Say, “I do not know whether that which you are promised is near, or my Lord has appointed for it a distant term.
Sherif Ahmeti
Thuaj: “Unë nuk e di a do të jetë afër ajo që u premtohet, apo Zoti im do ta vonojë atë shumë?”
তাফসীরঃ
১৩. এর দ্বারা কিয়ামত বোঝানো উদ্দেশ্য। অর্থাৎ কিয়ামত কবে সংঘটিত হবে তা আল্লাহ তাআলা ছাড়া কেউ জানে না।
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
২৬
عٰلِمُ الۡغَیۡبِ فَلَا یُظۡہِرُ عَلٰی غَیۡبِہٖۤ اَحَدًا ۙ
‘আ-লিমুলগাইবি ফালা-ইউজহিরু ‘আলা- গাইবিহীআহাদা-।
মুফতী তাকী উসমানী
তিনিই সকল গুপ্ত বিষয় জানেন। তিনি তাঁর গুপ্ত জ্ঞান সম্পর্কে কাউকে অবহিত করেন না
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারও নিকট প্রকাশ করেন না,
Mufti Taqi Usmani
(He is the) Knower of the Unseen. So He does not let anyone know the Unseen created by Him,
Sherif Ahmeti
Ai është që e di të fshehtën, por fshehtësinë e vet nuk ia zbulon askujt.
২৭
اِلَّا مَنِ ارۡتَضٰی مِنۡ رَّسُوۡلٍ فَاِنَّہٗ یَسۡلُکُ مِنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡہِ وَمِنۡ خَلۡفِہٖ رَصَدًا ۙ
ইল্লা-মানিরতাদা-মিররাছূলিন ফাইন্নাহূইয়াছলুকুমিম বাইনি ইয়াদাইহি ওয়া মিন খালফিহী রাসাদা- ।
মুফতী তাকী উসমানী
তিনি যাকে (এ কাজের জন্য) মনোনীত করেছেন সেই রাসূল ছাড়া। ১৪ এরূপ ক্ষেত্রে তিনি সেই রাসূলের সামনে ও পেছনে কিছু প্রহরী নিযুক্ত করেন।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত। সেই ক্ষেত্রে আল্লাহ্ রাসূলের অগ্রে এবং পশ্চাতে প্রহরী নিয়োজিত করেন,
Mufti Taqi Usmani
except a messenger whom He chooses (to inform through revelation), and then He appoints (angels as) watching guards before him and behind him, (so that devils may not tamper with the divine revelation,)
Sherif Ahmeti
Me përjashtim të ndonjë të dërguari që Ai do. Atëbotë Ai vë roje para edhe prapa tij (kur i shpall fshehtësinë),
তাফসীরঃ
১৪. আল্লাহ তাআলা ছাড়া আলিমুল গায়েব বা অদৃশ্যের জ্ঞাতা আর কেউ নেই। তবে তিনি তাঁর নবী-রাসূলগণের মধ্যে যাকে ইচ্ছা করেন ওহীর মাধ্যমে গায়েবের সংবাদ দান করেন। এরূপ ক্ষেত্রে ফেরেশতাগণকে সেই ওহীর পাহারাদার করে পাঠানো হয়, যাতে শয়তান তাতে কোন রকমের হস্তক্ষেপ করতে না পারে।
২৮
لِّیَعۡلَمَ اَنۡ قَدۡ اَبۡلَغُوۡا رِسٰلٰتِ رَبِّہِمۡ وَاَحَاطَ بِمَا لَدَیۡہِمۡ وَاَحۡصٰی کُلَّ شَیۡءٍ عَدَدًا ٪
লিইয়া‘লামা আন কাদ আবলাগূরিছা-লা-তি রাব্বিহিম ওয়া আহা-তাবিমা-লাদাইহিম ওয়াআহসা- কুল্লা শাইয়িন ‘আদাদা- ।
মুফতী তাকী উসমানী
তারা (অর্থাৎ রাসূলগণ) তাদের প্রতিপালকের বাণী যে ঠিক পৌঁছিয়ে দিয়েছে তা জানার জন্য। আর তিনি তাদের যাবতীয় অবস্থা পরিবেষ্টন করে আছেন এবং তিনি সমস্ত কিছু পুরোপুরি হিসাব করে রেখেছেন।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
যাতে আল্লাহ তা’আলা জেনে নেন যে, রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পয়গাম পৌছিয়েছেন কি না। রসূলগণের কাছে যা আছে, তা তাঁর জ্ঞান-গোচর। তিনি সবকিছুর সংখ্যার হিসাব রাখেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
রাসূলগণ তাদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন কি না জানবার জন্যে। রাসূলগণের নিকট যা আছে তা তাঁর জ্ঞানগোচর এবং তিনি সমস্ত কিছুর বিস্তারিত হিসেব রাখেন।
Mufti Taqi Usmani
so that He knows that they (angels) have conveyed the messages of their Lord. And He has encompassed all that is with them, and has comprehensive knowledge of every thing by numbers.
Sherif Ahmeti
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
আমাদের নতুন ইসলামিক নিউজ ও জিজ্ঞাসা ভিত্তিক সাইড
Islamic Info Hub ( www.islamicinfohub.com ) আজই ভিজিড করুন !!
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল