পোর্টফোলিও বিশ্লেষণ কি?,সিকিউরিটি বিশ্লেষণ পদ্ধতি বর্ণনা কর
পোর্টফোলিও বিশ্লেষণ কি? অথবা, পোর্টফোলিও বিশ্লেষণ বলতে কি বুঝ?
উত্তর : ভূমিকা : বিনিয়োগকারীরা সাধারণত একটি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করার পর আবার পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে, এক্ষেত্রে তাকে দক্ষ পোর্টফোলিও সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে নিতে হয়।
পোর্টফোলিও বিশ্লেষণ : বিনিয়োগকারীরা সাধারণত ঝুঁকিবিমুখ হয়ে থাকে, এজন্য তারা একটিমাত্র সিকিউরিটির পরিবর্তে সিকিউরিটিসমূহের পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে থাকে । পোর্টফোলিও বলতে সিকিউরিটির গ্রুপ বুঝায় যেখানে একসাথে বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। বিনিয়োগকারীরা পোর্টফোলিও গঠনের মাধ্যমে ঝুঁকি ছড়িয়ে দেয়।
এক্ষেত্রে তাদের নীতি থাকে এই বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে বিনিয়োগের ঝুঁকি হ্রাস করা এবং এটাই তাদের মূল্য লক্ষ্য থাকে । সিকিউরিটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকৃত মূল্য সম্পদ কাঙ্ক্ষিত সিকিউরিটি চিহ্নিত করা যায়।
এসব সিকিউরিটি হতে অনির্দিষ্ট সংখ্যক পোর্টফোলিও গঠন করা যায় যেখানে সিকিউরিটির বিভিন্ন অনুপাত অবস্থান করে থাকে। প্রত্যেক স্বতন্ত্র সিকিউরিটির ক্ষেত্রে নিজস্ব আয় ঝুঁকি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান যার সংখ্যাত্মক ধারণা পরিমাপ করা হয়ে থাকে ।
উপসংহার : আলোচনা পরিশেষে বলা যায় যে, বিনিয়োগকারীরা তাদের ঝুঁকি সর্বনিম্নকরণের জন্য এককভাবে বিনিয়োগ না করে বিশ্লেষণের মাধ্যমে দক্ষ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে থাকে ।
সিকিউরিটি বিশ্লেষণ পদ্ধতি বর্ণনা কর। , সিকিউরিটি বিশ্লেষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ আলোচনা কর।, সিকিউরিটি বিশ্লেষণ পদ্ধতির শ্রেণিবিভাগ কর।
উত্তর : একটি পোর্টফোলিওতে বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটি অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাই পোর্টফোলিওতে এসব সিকিউরিটি অন্তর্ভুক্ত করার আগে তাদের বিশ্লেষণও তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
সিকিউরিটি বিশ্লেষণ পদ্ধতি : অবমূল্যায়িত সিকিউরিটি ক্রয় করা এবং অতিমূল্যায়িত সিকিউরিটি বিক্রয় করা হয় সিকিউরিটি বিশ্লেষণের মৌলিক কৌশল। কিন্তু এক্ষেত্রে ভুল মূল্যায়িত সিকিউরিটি চিহ্নিত করা একটি সমস্যা হলেও এটিই এর মূলকথা।
তবে এর দুটি বিকল্প পদ্ধতি আছে। যেমন-
১. মৌলিক বিশ্লেষণ ও ২ কৌশলগত বিশ্লেষণ ।
১. মৌলিক বিশ্লেষণ : মৌলিক বিশ্লেষণ কোম্পানির ওপর প্রভাব বিস্তারকারী কতিপয় মৌলিক বিষয়ের উপর দৃষ্টিপাত করে থাকে। যেমন- কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয়, লভ্যাংশ প্রদান অনুপাত, বাজারের অংশ, কোম্পানির প্রতিযোগিতা মোকাবিলা, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে এখানে শুধুমাত্র কোম্পানিকে প্রভাব বিস্তারকারী মৌলিক বিষয়সমূহের উপরই আলোকপাত করে না।
এ পদ্ধতিতে কোম্পানির শেয়ার মূল্য এসব মৌলিক বিষয়সমূহ দ্বারা নির্বাচিত হয়। মৌলিক বিশ্লেষণ এসব বিষয়ের উপর ভিত্তি কেের থাকে। একটি সিকিউরিটির প্রকৃত মূল্য বের করেন তারপর বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে এ প্রকৃত মূল্যের তুলনা করেন একজন মৌলিক বিশ্লেষণকারী ।
সিকিউরিটির বর্তমান বাজার মূল্য বেশি হলে উক্ত সিকিউরিটি অতিমূল্যায়িত অবস্থায় আছে বলে ধরে নেয়া হয়। আর বিপরীত অবস্থা ঘটলে সেটি অবমূল্যায়িত হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে ।
২. কৌশলগত বিশ্লেষণ : একজন কৌশলগত বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে, শেয়ার মূল্যের পরিবর্তন একটি সুনিয়ন্ত্রিত বিষয় এবং এর দ্বারা কিছু সঙ্গতিপূর্ণ আচরণ প্রকাশ পেতে পারে । এক্ষেত্রে যে শেয়ার মূল্যের অতীত পরিবর্তনশীলতা পর্যবেক্ষণ করেন এবং গতিধারা ও আচরণ চিহ্নিত করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন মূল্যের ভবিষ্যৎ পরিবর্তন পূর্বানুমান করেন।
উপসংহার : আলোচনা পরিশেষে বলা হয় যে, সিকিউরিটি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে এর মূলকথা বাদেও দুটি বিকল্প পদ্ধতির ব্যবহার ব্যবহার করা হয় যা এর বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে উপযোগী।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।