প্রশ্ন সমাধান: প্রবেশন ব্যবস্থার ৪টি কর্মকৌশল সম্পর্কে আলোচনা কর,প্রবেশন ব্যবস্থার ৪টি কর্মকৌশল সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর,প্রবেশন ব্যবস্থার ৪টি কর্মকৌশল সম্পর্কে বিশ্লেষণ করে দেখাও
ভূমিকা : “প্রবেশন হচ্ছে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির চরিত্র সংশোধনের এমন একটি ব্যবস্থা যেক্ষেত্রে আদালতের শর্তানুযায়ী একজন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধান অপরাধীকে তার নিজ সমাজে জীবনযাপনের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে সংশোধনের প্রচেষ্টা চালানো হয়।”
প্রবেশন ব্যবস্থার কর্মকৌশল :
১. অনুসন্ধান : প্রবেশন ব্যবস্থা এবং প্রবেশন কার্যক্রমকে যথাযথভাবে কার্যকর এবং অর্থবহ করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অনুসন্ধান ও চিন্তাভাবনা করতে এবং তারই আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. ব্যক্তি হিসেবে বিচার : অপরাধী সম্পর্কে অনুসন্ধানটি তার একান্ত ব্যক্তিগত পর্যায়ে। প্রতিটি অপরাধীকে একজন ব্যক্তি হিসেবে বিচার করতে হবে এবং ঘটনার পার্থক্য বিচারে ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।প্রত্যেক অপরাধীর আর্থসামাজিক পরিবেশ সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানো প্রয়োজন।প্রবেশনে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে অপরাধীর ব্যক্তিগত পরিবেশ, সমস্যা এবং তার মনোভাব সম্পর্কে নিবিড় অনুসন্ধান সফল প্রবেশন ব্যবস্থার একটি অন্যতম পূর্বশর্ত।
আরো ও সাজেশন:-
৩. সহযোগিতা : প্রবেশনাধীন কিশোর অপরাধীদের সামাজিক পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে বাড়ি এবং প্রতিবেশী উভয়ের সহযোগিতা কাজে লাগানো যেতে পারে। কেননা আদালত থেকে প্রত্যাবর্তনের পর সমাজে পুনরায় একীভূত হওয়ার প্রাক্কালে অপরাধী ব্যক্তির পরিবার, জ্ঞাতিগোষ্ঠী, প্রতিবেশী তথা স্থানীয় কোন সংঘ-সমিতির মনোভাব বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
অপরাধীর চারপাশের মানুষ যদি সহানুভূতিপ্রবণ হয় তাহলে তার চারিত্রিক সংশোধন এবং পুনর্বাসন কাজটি সহজ হতে পারে। অপরপক্ষে, অপরাধীর প্রতি তাদের বিরূপ এবং বিদ্রূপমূলক মনোভাব অপরাধীকে ততটা সহজে পুনর্বাসন করতে পারে না। তাই পারিবারিক অবস্থা, পরিবার পরিজন, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতা প্রবেশনারের অনুকূলে আনার জন্য সব ধরনের প্রয়াস চালাতে হবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৪. অপরাধীর দৈহিক এবং মানসিক অবস্থা বিচারবিশ্লেষণ : অপরাধের কারণ এবং সংশোধনের ক্ষেত্রে অপরাধীর দৈহিক এবং মানসিক অবস্থা বিচারবিশ্লেষণ করতে হবে। বস্তুত প্রবেশন কর্মকর্তা তার তত্ত্বাবধান কাজে এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখেই অপরাধীকে সংশোধিত করার প্রয়াস চালাবেন। এ লক্ষ্যে নিবিড় ইেসওয়ার্ক পদ্ধতি অত্যন্ত উপযোগী একটি কর্মপন্থা।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রবেশনাধীনকালে প্রবেশনার যদি ক্রমশ তার চারিত্রিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়, তা হলে তার অপরাধকে আর অপরাধ বলে গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন নেই। অপরপক্ষে, যদি সে চারিত্রিক উন্নতি আনয়নে ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে পুনরায় আদালতে হাজির করতে হবে এবং তার জন্য যথাযথ শাস্তি প্রদান করতে হবে।অতএব,লক্ষণীয় যে প্রবেশনের উদ্দেশ্য অপরাধীকে মুক্ত করে দেয়া নয়, বরং তাকে হয় সংশোধন করা নতুবা উপযুক্ত শাস্তির জন্য কারাগারে পুনরায় প্রেরণ করা।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো
- ব্যবসায়িক ঝুকি বলতে কি বুঝায় উদাহরণ সহ আলোচনা করো
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো
- খিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য । খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য
- What do you near by Business communication?, Explain the concept of business communication
- Describe the barriers to effective communication in business organization