প্রসাধানীতে থাকা কিছু উপাদান স্তন্যদাকারী নারী ও শিশুর জন্য নিরাপদ নয়। কারণ ময়েশ্চারাইজার, ক্লিঞ্জার বা সেরামে থাকা উপাদান মায়ের মাধ্যমে সরাসরি শিশুর দেহে পৌঁছে যায়।
আর সেসব শিশুর জন্যও ক্ষতিকর।তাই গর্ভাবস্থা বা সন্তানকে স্তন্যদান করছেন এমন মায়েদের প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিক সচেতন থাকা প্রয়োজন।
কারণ ময়েশ্চারাইজার, ক্লিঞ্জার বা সেরামে থাকা উপাদান মায়ের মাধ্যমে সরাসরি শিশুর দেহে পৌঁছে যায়। আর সেসব শিশুর জন্যও ক্ষতিকর।
তাই গর্ভাবস্থা বা সন্তানকে স্তন্যদান করছেন এমন মায়েদের প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিক সচেতন থাকা প্রয়োজন।
প্রসাধানীতে থাকা কিছু উপাদান স্তন্যদাকারী নারী ও শিশুর জন্য নিরাপদ নয়
ত্বক ভালো রাখবে এবং সন্তানেরও কোনো ক্ষতির কারণ হবে না এমন প্রসাধনী বেছে নিতে হবে।
ব্যবহার করা যাবে না এমন উপদানের মধ্যে আছে রেটিনল এবং হাইড্রোকুইনন
নিউ ইয়র্ক’য়ের নিবন্ধিত ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যানা কার্প বলেন, “রেটিনল অ্যান্টি-এইজিংয়ের সবচেয়ে ভালো উপাদান। যা ভিটামিন এ থেকে তৈরি করা হয় এবং এর মুখে খাওয়ার সংস্করণটি গর্ভাবস্থায় ভ্রূণে বৃদ্ধি ব্যহত করে।
তাই অ্যানা কার্প ‘হ্যালো গিগিলস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরামর্শ দেন, “বুকের দুধ পান করাচ্ছেন এমন মায়েদের রেটিনল ব্যবহার এড়ানো উচিত।”
ত্বকের দাগছোপ হালকা করতে হাইড্রোকুইনন সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
ডা. কার্প বলেন, “হাইড্রোকুইনন দাগছোপ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপাদান। তবে গবেষণায় দেখা গেছে এই উপাদান গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য নিরাপদ নয়।”
তাই দাগ ছোপ কমাতে যে কোনো উপাদান ব্যবহারের আগে এর উপকরণের তালিকা ভালো মতো দেখে নেওয়া জরুরি।
ত্বকের যত্নে যে সকল উপাদান ব্যবহার করা যাবে- ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, গ্লিসারিন, স্কোয়ালেন
ত্বক ভালো রাখতে আর্দ্রতা মূল চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে।
ডা. কার্প বলেন, “স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করা এবং রোদ থেকে সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন।”
তাই ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ উপাদান ব্যবহার উপকারী। গর্ভাবস্থায় হরমোনের কারণে হওয়া দাগছোপ কমাতে ভিটামিন সি কার্যকর।
তাই গর্ভকালীন দাগ দূর করতে প্রসাধনী কেনার সময় সুগন্ধিহীন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ও ভিটামিন সি যুক্ত তেল কেনার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
যুক্তরাষ্ট্রের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ডেবরা জালিমান বলেন, “যখন নিজের শুশ্রুষা করবেন তখন মনে রাখতে হবে ত্বক পরিচর্যায় গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল আর্দ্রতা রক্ষা করা।”
এক্ষেত্রে গ্লিসারিন, শিয়া বাটার এবং স্কোয়ালেন সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ডেবরা। কারণ স্তন্যদানকারী মায়েদের ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে এগুলো ভালো কাজ করে।
এছাড়া ত্বকের জন্য সুগন্ধিহীন মৃদু ক্লিঞ্জার, ব্যবহার করা উচিত বলে জানান তিনি।
ডা. কার্প এবং ডা. জালিম্যান দুজনেই ত্বকের সুরক্ষার জন্য মূল উপাদান হিসেবে জিংক অক্সাইড সঙ্গে টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইডের তৈরি সানব্লক ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
এছাড়া নায়াসিনামাইড সমৃদ্ধ সানব্লক ত্বকের দাগ, প্রদাহ, ব্রণের কারণে হওয়া লালচেভাব কমাতে ভালো কাজ করে।
পরিশেষে : প্রসাধানীতে থাকা কিছু উপাদান স্তন্যদাকারী নারী ও শিশুর জন্য নিরাপদ নয়,স্তন্যদানকারী মায়েদের যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত না, স্তন্যদানকারী মায়েদের চুলে রং করা কি নিরাপদ?
আপনার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো কিছু পোস্ট