প্রাইজবন্ড কি,প্রাইজ বন্ড কোথায় পাওয়া যায়?,প্রাইজবন্ড নিয়ে যে যে তথ্য আপনার জানা উচিত

প্রাইজবন্ড হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর কর্তৃক প্রবর্তিত এক প্রকার কাগুজে মুদ্রা। অনেকে এর নাম জানলেও জানা নেই বিস্তারিত। জানা নেই কোথায় পাওয়া যায় এটা। কীভাবেই বা মেলে লাখ লাখ লাখ পুরস্কার! আজ আমরা সে বিষয়টিই একটু জানার চেষ্টা করবো। প্রাইজবন্ড কি,প্রাইজ বন্ড কোথায় পাওয়া যায়?,প্রাইজবন্ড নিয়ে যে যে তথ্য আপনার জানা উচিত

প্রাইজবন্ড কি,প্রাইজ বন্ড কোথায় পাওয়া যায়?,প্রাইজবন্ড নিয়ে যে যে তথ্য আপনার জানা উচিত

প্রাইজবন্ড বিষয়টা অনেকটা লটারির মতো হলেও এর মধ্যে বেশ পার্থক্য আছে। তবে লটারি ‘ড্র’ হয়ে গেলে সেটার আর মেয়াদ থাকে না এবং লটারিটির মূল্যও থাকে না। অর্থাৎ লটারিতে না জিতলে পুরো টাকাটা লস। কিন্তু প্রাইজবন্ড ‘ড্র’ হয়ে যাওয়ার পরও এর মেয়াদ শেষ হয় না। পরবর্তী ‘ড্র’ এর সময়ও এর মেয়াদ থাকে। অর্থাৎ প্রাইজবন্ড এর মেয়াদ শেষ হয় না।

আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো প্রাইজবন্ড এর কয়েকবার ‘ড্র’ হওয়ার পরও, চাইলে সেগুলো ভাঙানো যায়। তবে প্রাইজবন্ডের গ্রাহক কোনো মুনাফা পান না, এটি মূলত সরকারের প্রতি জনগণের একটি সুদমুক্ত বিনিয়োগ। তাই প্রাইজবন্ডকে সুদমুক্ত জাতীয় বন্ড বলা হয়।

নিয়মাবলীঃ

বছরে চারবার প্রতি তিন মাস অন্তর প্রাইজবন্ডের ভাগ্যপরীক্ষা বা ড্র (draw) অনুষ্ঠিত হয়, তারিখগুলো হল:

  • ৩১ জানুয়ারি
  • ৩০ এপ্রিল
  • ৩১ জুলাই
  • ৩১ অক্টোবর

তবে উক্ত তারিখগুলোর কোনটিতে কোন সাপ্তাহিক ছুটি (বর্তমানে শুক্র ও শনিবার) বা সরকারি ছুটি (সাধারণ/নির্বাহী আদেশে/ঐচ্ছিক), অথবা অন্য কোন কারনে প্রাইজবন্ডের ভাগ্যপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে না পারলে পরবর্তী কার্যদিবসে তা সম্পন্ন করা হয়। প্রাইজবন্ড কি

প্রাইজবন্ড কেনার দুই মাস পার হওয়ার পরই কেবলমাত্র এটি ভাগ্যপরীক্ষার আওতায় আসে।

ভাগ্যপরীক্ষার দুই বছর পর্যন্ত প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থ দাবি করতে হয়, অন্যথায় এ অর্থ তামাদি হয়ে সরকারি কোষাগারে ফেরত যায়।

ভাগ্যপরীক্ষার ফলাফল সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইট অথবা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

পুরস্কারের মূল্যমানঃ

বর্তমানে প্রাইজবন্ডের ৫৮টি সিরিজ প্রচলিত আছে। প্রতিটি সিরিজের জন্য ৪৬টি পুরস্কার বিদ্যমান রয়েছে। এর পুরস্কারের বিন্যাস নিম্নরূপঃ

পুরস্কারসংখ্যাঅর্থের পরিমাণ (প্রতিটি)
প্রথমএকটি৬ লাখ টাকা
দ্বিতীয়একটি৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা
তৃতীয়দুটি১ লাখ টাকা
চতুর্থদুটি৫০ হাজার টাকা
পঞ্চম৪০টি১০ হাজার টাকা

ভাগ্যপরীক্ষায় জেতার পর মূল প্রাইজবন্ডসহ সরকারের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে অর্থ দেওয়া হয়।

কোথায় কিনতে পাওয়া যায়?

বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল অফিসের ক্যাশ কাউন্টারসহ সকল বানিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, সকল পোস্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে নগদ অর্থের বিনিময়ে প্রাইজবন্ড ক্রয় করা ও ভাংগানো যায়।

কীভাবে পুরস্কার দাবি করবেন?

জেতার পর মূল বন্ডসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডার দেওয়া হয়। পুরষ্কারের দাবী ফরম পাওয়া যাবে যে কোনো ব্যাংক অথবা টিউন অফিসে। এ ছাড়া অনলাইনে পাওয়া যাবে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ফরম এই দুই ওয়েবসাইটে।

পে-অর্ডারের মাধ্যমে পুরষ্কার দেয়া হবে, তাই বিজয়ীর ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। পুরস্কারের টাকার ওপর কর দিতে হয় ২০ শতাংশ। এখনে উল্লেখ্য যে, ড্র’র তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছরের মধ্যে ঐ ড্র-তে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থ দাবি করা না হলে ঐ পুরস্কার বাতিল হয়ে যায় যা কোনক্রমেই আর পরিশোধ করা হয় না। প্রাইজবন্ড কি

প্রাইজ বন্ড কোথায় পাওয়া যায়?

বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল শাখা অফিস, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলির অনুমোদিত শাখাসমূহ, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো এবং দেশের যে কোনো ডাকঘর থেকে প্রাইজ বন্ড সংগ্রহ করা যায়। প্রাইজবন্ড কি

ঘরে বসে টাকা আয় করার কিছু পরামর্শ

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment