ফার্মওয়্যার কি,কম্পাইলার কি,কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি,ওয়াই-ফাই Wifi কি,ক্যাশ মেমরি কি
i. ফার্মওয়্যার: সাধারণত কম্পিউটার সিস্টেম তৈরি করার সময় কম্পিউটারের মেমোরিতে যে সকল প্রোগ্রাম স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে দেয়া হয়, তাকে ফার্মওয়্যার বলে। এ সকল প্রোগ্রাম কম্পিউটার ব্যবহারকারী পরিবর্তন করতে পারে না। এটি বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার যা সুনির্দিষ্ট কাজে হার্ডওয়্যারের সাথে যোগাযোগ করে হার্ডওয়্যারকে পরিচালনা করে। ফার্মওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে পার্থক্য হলো ব্যবহারকারী সফটওয়্যার মুছতে পারে কিন্তু ফার্মওয়্যার মুছতে পারে না। ফার্মওয়্যার পড়া যায় কিন্তু পরিবর্তন করা যায় না।
ii. কম্পাইলার: কম্পাইলার হলো এমন একটি অনুবাদক যা সোর্স প্রোগ্রামকে একসাথে সম্পূর্ণরূপে মেশিনের ভাষায় অনুবাদ করে একটি অবজেক্ট প্রোগ্রাম তৈরি করে। ভিন্ন ভিন্ন উচ্চতর ভাষার প্রোগ্রামের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কম্পাইলার ব্যবহৃত হয়। কারণ কোন নির্দিষ্ট কম্পাইলার একটি মাত্র উচ্চতর ভাষার প্রোগ্রামকে কম্পাইল করতে পারে। যেমন- যে কম্পাইলার COBOL প্রোগ্রামকে কম্পাইল করত পারে সেই কম্পাইলার বেসিক প্রোগ্রামকে কম্পাইল করতে পারে না। কম্পাইলার অনুবাদ করা ছাড়াও উৎস প্রোগ্রামের গুণাগুণও বিচার করতে পারে।
iii. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সমন্বয়। মানুষ যেভাবে চিন্তা করে তেমনি কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটারে সেভাবে চিন্তা ভাবনার রূপদান করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। ১৯৫৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের MIT এর John McCarthy সর্বপ্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শব্দটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক হলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ অ্যালান টুরিং (Alan Mathison Turing)।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় Java, CLIP, MATLAB, PROLOG, C/C++ ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়। Natural Language Processing (NLP) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি শাখা যা কম্পিউটারগুলোকে মানুষের ভাষা বোঝার, ব্যাখ্যা ও পরিচালনা করতে সহায়তা করে।
iv. ওয়াই-ফাই (Wifi): বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলোকে তারবিহীন উপায়ে সংযুক্ত করার একটি কৌশল হলো ওয়াই-ফাই। ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮ সালে ভিক্টর ভিক হেইয়েস ওয়াইফাই আবিষ্কার করেন। এটি হলো জনপ্রিয় একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা তারবিহীন উচ্চগতির ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সংযোগ সমূহ সরবরাহের জন্য বেতার তরঙ্গকে ব্যবহার করে থাকে। Wi-Fi এর পূর্ণরূপ হলো Wireless Fidelity এবং এর স্ট্যান্ডার্ড হলো IEE802.11 |
ঘ. ক্যাশ মেমরি (Cache Memory) কী? এর কাজ লিখুন।
উ. ক্যাশ মেমরি এক ধরনের বিশেষ উচ্চগতির মেমোরিব্যবস্থা। কাজের গতি বৃদ্ধির জন্য প্রসেসর এবং প্রধান মেমোরির মাঝে স্থাপিত অতি উচ্চ গতির ও কম ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মেমোরিকে ক্যাশ মেমোরি বলে। কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের গতি বৃদ্ধি তথা মাইক্রোপ্রসেসরের প্রক্রিয়াকরণের গতি বৃদ্ধির জন্য ক্যাশ মেমোরি ব্যবহৃত হয়। সিপিইউয়ের কোন নির্দেশ প্রয়োজন হলে প্রথমে ক্যাশ মেমোরি পরীক্ষা করে, সেখানে না পেলে পরে প্রধান মেমোরিতে খোঁজ করে। তাই যেসব নির্দেশ ও ডেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদেরকে ক্যাশ মেমোরিতে রাখা হয়।
ঙ. ওয়েব ব্রাউজারের কাজ কী? ২ (দুই) টি ওয়েব ব্রাউজারের নাম লিখুন ।
উ. ওয়েব ব্রাউজার হলো এমন একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী যেকোন ওয়েব পেইজ, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব অথবা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে অবস্থিত কোন ওয়েবসাইটের যেকোন লেখা, ছবি এবং অন্যান্য তথ্যের অনুসন্ধান, ডাউনলোড কিংবা দেখতে পারেন। ২টি ওয়েব ব্রাউজারের নাম: UC Browser, Google Chrome.
চ. হ্যাকিং কী?
কাদের হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বলা হয়? উ. হ্যাকিং বলতে বোঝায় ডিজিটাল সম্পত্তিতে (পিসি, সার্ভার, মোবাইল, আইওটি ইত্যাদি) অননুমোদিত প্রবেশ বা পুরো সিস্টেম অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হলো যারা সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বের করে অন্যান্য হ্যাকারদের থেকে ডেটা সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে। এরা
মূলত সিকিউরিটি হ্যাকার। কোনো সিস্টেম বা সফটওয়্যারের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত ও ঠিক করার জন্য তারা সিস্টেমে প্রবেশাধিকার নেন। সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করা যায় কিনা, সেটি পরীক্ষা এবং দুর্বলতা মূল্যায়ন করেন তারা।
ছ. Search Engine কী? দুটি Search Engine এর নাম লিখুন।
উ. সার্চ ইঞ্জিন মূলত একটি ওয়েব অনুসন্ধান ইঞ্জিন বা
সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা World Wide Web এর অন্তর্ভুক্ত সাইটগুলো থেকে তথ্য খুঁজে প্রয়োজনীয় শব্দের সূত্র ধরে তথ্য প্রদান করে। দুটি Search Engine হলো: ইয়াহু, গুগল।
জ. ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কী?
এটি সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন। ২ উ. ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটাপাঠানো হয়। উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে বিবেচনা করে ডেটা পাঠানোর পদ্ধতিকে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। উৎস প্রবাহের দিকের ওপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: সিমপ্লেক্স, হাফ ডুপ্লেক্স ও ফুল- ডুপ্লেক্স। প্রাপকের সংখ্যা ও ডেটা গ্রহণের অধিকারের উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: ইউনিকাস্ট, ব্রডকাস্ট ও মাল্টিকাস্ট।
ঝ. প্রোগ্রামিং ভাষা কী?
চারটি প্রোগ্রামিং ভাষার নাম লিখুন। 02 উ. মূলত কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম হলো কম্পিউটারের ভাষা। কম্পিউটারের ভাষা হচ্ছে প্রোগ্রামের ভাষা। অর্থাৎ কম্পিউটার ব্যবহার করে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য যে সব ভাষা ব্যবহার করে প্রোগ্রাম রচনা করা হয় সে সকল ভাষাকে প্রোগ্রামিং ভাষা বলে। ৪টি প্রোগ্রামিং ভাষা: মেশিন ভাষা, অ্যাসেম্বলি ভাষা, উচ্চতর ভাষা ও স্বাভাবিক ভাষা ।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।