শ্রেণি: ১২শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: ইসলাম শিক্ষা ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04 বিষয় কোডঃ 2861 |
বিভাগ: মানবিক শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ ফিকহ্ কী? মাযহাব অনুসরণ করা জরুরী? প্রমাণসহ লিখুন।
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
ফিক্হ শব্দের আভিধানিক অর্থ বুদ্ধিবৃত্তি, প্রজ্ঞা, গভীর জ্ঞান ও সূক্ষ্মদর্শিতা। ইসলামি পরিভাষায় যে শাস্ত্রে মুসলমানদের ব্যবহারিক জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কিত শরীআতের বিধি-বিধান ইত্যাদি খুঁটিনাটি আলোচিত হয় তাকে ‘ইলমুল ফিক্হ’ বলে।
হিজরি প্রথম শতাব্দীর শেষ দিকে অনেক মুসলিম মনীষী কুরআন ও হাদিসের ওপর গবেষণা চালিয়ে তা থেকে জীবন যাপনের বাস্তব কর্মপন্থা বের করার চেষ্টা করেন। তাদের গবেষণার ফল হচ্ছে ফিক্হ শাস্ত্র
ফক্হ শাস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা
ফিক্হের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মহানবী (স) বলেনÑ “প্রত্যেক বস্তুর কতকগুলো স্তম্ভ আছে। এ দ্বীনের স্তম্ভ ফিক্হ”। (বায়হাকী) কুরআন ও হাদিসের আলোকে ফক্ীহগণ বলেন, দৈনন্দিন জীবনে জরুরি মাসআলা শিক্ষা করা ফরযে আইন এবং এর চেয়ে বেশি শিক্ষা করা ফরযে কিফায়া।
কুরআন ও হাদিসে ইসলামি শরীআতের বিধি-বিধান বিন্যস্ত অবস্থায় নেই। আহকামে শরীআতকে গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করা না হলে সাধারণ মানুষ দূরের কথা, শিক্ষিত ব্যক্তিদের পক্ষেও আল্লাহর আইন অনুযায়ী চলা সম্ভব হত না। তাছাড়া নিত্য- নতুন সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্দেশে কুরআন ও হাদিসের গবেষণামূলক ব্যাখ্যা দিয়ে মানব কল্যাণমূলক বিধান প্রস্তুত করা জনসাধারণের পক্ষে সহজ নয়। ইসলামের প্রাজ্ঞ মনীষীগণ অক্লান্ত সাধনার ফলে ফিক্হ শাস্ত্র প্রণয়নে এগিয়ে আসেন। এর উদ্ভাবন ও উৎপত্তির কারণসমূহ বিশ্লেষণ করলে এর প্রয়োজনীয়তা বুঝা যাবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ফিক্হ শাস্ত্রের বিষয়বস্তু
ফিক্হ শাস্ত্রের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে শরীআতের হুকুম-আহকাম। শরীআতের অনুসারী তথা মুকাল্লাফ অর্থাৎ বালিগ ও জ্ঞানবান মানুষের কর্ম ও আমল নিয়ে আলোচনা। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব, মুস্তাহাসান, মুবাহ, জায়িয, নাজায়িয, হালাল, হারাম, মাকরূহ, তাহ্রীমী ও মাকরূহ তানযীহি ইত্যাদি নির্দেশ করা হয়। তাই শরীআতের অনুসারী মানুষের কর্ম ও আমলই হল ফিক্হ শাস্ত্রের বিষয়বস্তু।
ফিক্হ শাস্ত্রের আলোচ্য বিষয়কে ছয় ভাগে ভাগ করা যায়
১. ইবাদাত : আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর বান্দার মধ্যে গভীর সংযোগকারী বিষয় হল ইবাদাত।
২. মু’আমালাত : সামাজিক জীবনের লেন-দেন যেমন, অর্থনৈতিক নিয়ম-কানুন যা পরস্পর সাহায্য সহায়তা দান ও যৌথ কাজের জন্য নির্ধারিত। যেমন, বেচা-কেনা, লেন-দেন, ধার-কর্জ, আমানত ইত্যাদি।
৩. মুনাকিহাত : বৈবাহিক বিষয়াদি তথা মানব বংশ বজায় রাখা সম্বন্ধীয় আইন-কানুন। যেমন-বিবাহ, তালাক, ইদ্দত, বংশ, আধিপত্য, ওয়াসিয়াত, উত্তরাধিকার ইত্যাদি।
৪. উকূবাত : অপরাধ ও শাস্তি। যেমন- হত্যা, চুরি, যিনা, দুর্নাম-অপবাদ এর হূদূদ, কিসাস, দিয়াত ইত্যাদি বিষয়ক আইন-কানুন।
৫. মুখাসামাত : বিচার সংক্রান্ত বিষয়াদি।
৬. হুকুমাত ও খিলাফত : জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি। লেন-দেন, সন্ধি ও যুদ্ধের নিয়ম-কানুন, রাষ্ট্রীয় উচ্চ পদমর্যাদার বিস্তারিত বিষয়াদি।
ফিক্হ শাস্ত্রের উৎপত্তির কারণ
মহানবীর (স) জীবদ্দশায় শরী‘আহর যাবতীয় ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি ওহীর আলোকে প্রদান করতেন। তাঁর তিরোধানের পর সাহাবীগণ কুরআন ও হাদিসের আলোকে যাবতীয় সমস্যার সমাধান দিতেন। তাবি’ঈ ও তাবি-তাবি‘ঈনের যুগেও এ ধারাই চলতে থাকে। তবে সাহাবী, তাবি‘ঈ এবং তাবি-তাবি‘ঈনের সময় কুরআন ও হাদীসের সাথে তাঁদের বুদ্ধি- বৃত্তি এবং অভিজ্ঞান দ্বারাও কিছু নতুন সমস্যার সমাধান দিতেন। তখন থেকেই ফিক্হ শাস্ত্রের ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে শুরু করে।
নব নব যুগ সমস্যা
গতিশীল জীবনের প্রয়োজনে জটিলতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেসব সমস্যার সমাধান দিতে কেবল কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান থাকাই যথেষ্ট নয় বরং গবেষণা, প্রজ্ঞা ও উদ্ভাবনী অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। সাহাবী, তাবি’ঈ ও তাঁদের অনুগামীগণের মধ্যে যারা এরূপ গুণে গুণানি¦ত ছিলেন-মুসলিম জগৎ তাঁদের গবেষণা, ইজতিহাদ ও ফয়সালার ওপর নির্ভর করত। তাঁরা কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবীদের সমাধান বহাল রেখে নতুন সমস্যার ব্যাপারে সমাধান দিয়েছেন। এছাড়া ভবিষ্যতে আরো যে সকল নতুন সমস্যা সৃষ্টি হবে সেগুলো সমাধানের মূলনীতি ও পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ফলে উসূলুল ফিক্হ নামক এক নতুন বিজ্ঞানের উদ্ভব হয়।
আইন সুসংবদ্ধকরণ
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
কুরআন ও হাদিস থেকে হুকুম-আহকাম খুঁজে বের করে সাধারণের পক্ষে আমল করা সহজ ছিল না। এমতাবস্থায় ইসলাম একটি দুর্বোধ্য নীতি নিয়ে এসেছে- এ ধারণা দূরীভূত করার জন্য ইসলামি আইন-বিধান সুসংবদ্ধ করা অনিবার্য হয়ে পড়ে। এসব প্রয়োজনে সাহাবীদের যুগেই ফিক্হ শাস্ত্রের উদ্ভব হয়। তবে তাবি‘ঈনের যুগে শাস্ত্রাকারে এর সংকলন শুরু হয়। এরপর তাবি-তাবি’ঈনের যুগে তথা আব্বাসীয় খিলাফতকালে বিধিবদ্ধ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফিক্হ শাস্ত্রের ব্যাপক সংকলন ও সম্পাদনা সম্পন্ন হয়।
ফিক্হ শাস্ত্র পাঠের উপকারিতা
ফিক্হ শাস্ত্র পাঠ করলে ইসলামি আইন-কানুন তথা শরীআতের যাবতীয় বিধি-বিধান জানা যায়। অর্থাৎ ফিক্হ শাস্ত্র পাঠে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদি সম্পর্কে শরীআতের বিধানসমূহ সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়।
ফিক্হ শাস্ত্রের মূল উৎস বা ভিত্তি
ফিক্হ শাস্ত্রের মূল উৎস বা ভিত্তি চারটি।
(ক) কুরআন, (খ) হাদিস, (গ) ইজমা ও (ঘ) কিয়াস। প্রথম দুটির ওপর পরবর্তী দুটি নির্ভরশীল।
(ক) কুরআন
শরীআতের প্রধান উৎস কুরআন মাজীদ। এটি শরীআতের অকাট্য দলিল। এর ওপরই শরীআতের মূল কাঠামো দণ্ডায়মান। কুরআনে শরীআতের উৎস হিসেবে প্রায় পাঁচ শতাধিক আয়াত রয়েছে।
(খ) হাদিস
শরীআতের উৎস হিসেবে সুন্নাহ বা হাদিসের স্থান দ্বিতীয়। আল-কুরআন হচ্ছে শরীআতের মূল; আর হাদিস এর ব্যাখ্যা। কুরআন মাজীদে শরীআতের সকল বিষয় সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে। আর হাদিস ঐ সব বিষয়ের বিশ্লেষণ। যেমন সালাত আদায় করা ফরয। তবে কিভাবে আদায় করতে হবে কুরআনে তার উল্লেখ নেই। হাদিসে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
(গ) ইজমা
শরীআতের তৃতীয় উৎস ইজমা। কুরআন ও হাদিস সম্পর্কে গভীর জ্ঞানসম্পন্ন আলিমগণের কোন সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে একমত হওয়াকে ইজমা বলে। বহু নতুন প্রশ্নের মীমাংসা প্রসঙ্গে সাহাবী, তাবিঈ ও তাবিঈ-তাবিঈনদের এরূপ একমত হওয়ার বিবরণ পাওয়া যায়। যে সকল বিধানে ঐকমত্য স্থাপিত হয়েছে, বিশেষত সাহাবীদের ঐকমত্যযুক্ত বিধানসমূহ মুসলমানদের পক্ষে অবশ্য পালনীয়।
(ঘ) কিয়াস
শরীআতের চতুর্থ উৎস কিয়াস। যে বিষয় সম্পর্কে কুরআন, হদিস ও ইজমায় সুস্পষ্ট বিধি-বিধান পাওয়া যায় না, সে ক্ষেত্রে কুরআন ও হাদিসের মধ্যে প্রদত্ত অনুরূপ প্রশ্নের মীমাংসাকে ভিত্তি করে যুক্তি প্রয়োগে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, এ ধরনের যুক্তি প্রয়োগকে কিয়াস বলা হয়। সাহাবী, তাবিঈ ও তাবি-তাবিঈগণ এ পদ্ধতিতে শরীআতের বহু নতুন নতুন প্রশ্নের সমাধান দিয়েছেন। এটি কুরআন ও হাদিসের সমতুল্য নয়; বরং সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধান।
মাযহাব ( ْبَ ھْ ذَ م (আরবি শব্দ। আভিধনিক অর্থ হচ্ছে- পথ, মত, দল। ইসলামি আইন-কানুন, মু’আমালাত ও ইবাদাত সম্পর্কিত মৌলিক বিষয়সমূহ ব্যতীত সেগুলোর শাখা-প্রশাখায় ইসলামি আইন বিশারদগণের বিভিন্ন মতবাদকে মাযহাব বলে। অর্থাৎ কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা এবং হাদিসমূহের মধ্যে কোনটি অধিক প্রামাণ্য আর কোনটি কম নির্ভরযোগ্য এসব বিষয়ে ইমামদের মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে মুসলিম সমাজে যে সকল ধর্মীয় আইন সংক্রান্ত মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে তাকে মাযহাব বলে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
মুসলিম সমাজে অনেকগুলো মাযহাব বা মতবাদের উদ্ভব হয়। এসবের মধ্যে চারটি মাযহাব অন্যতম। এ চারটি মাযহাব সহীহ হওয়ার ব্যাপারে আলিমগণ একমত পোষণ করেছেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আলিমগণ এ চারটি মাযহাবের যে কোন একটির অনুসরণ বা তাকলিদ করাকে অবশ্য করণীয় বলে ফাতওয়া প্রদান করেন। বিশ্বমুসলিম কর্তৃক সমাদৃত চারটি মাযহাব হচ্ছে-
(ক) হানাফি মাযহাব : ইমাম আবু হানিফা (র)-এর মতানুসারীকে হানাফি বলা হয়।
(খ) মালিকি মাযহাব : ইমাম মালিক (র)-এর মতানুসারীকে মালিকি বলা হয়।
(গ) শাফি’ঈ মাযহাব : ইমাম শাফিঈ (র)-এর মতানুসারীকে শাফিঈ বলা হয়।
(ঘ) হাম্বলী মাযহাব : ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (র)-এর মতানুসারীকে হাম্বলি বলা হয়।
মাযহাবের পার্থক্যের কারণ
ইসলামি শরীআতের ফিক্হি মাযহাবের পার্থক্যের অনেক যৌক্তিক কারণ রয়েছে যার কয়েকটি নিম্নরূপপ্রথমত: মহানবী (স)-এর হাদিস বিভিন্ন সাহাবী বর্ণনা করেন। অনেক বর্ণনাকারী তা অপরের নিকট বর্ণনা করেছেন।
এ বর্ণনার ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। সুতরাং একই হাদিস বহু ক্ষেত্রে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। ফলে বর্ণনার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা পার্থক্য দেখা দিয়েছে।
দ্বিতীয়ত: হাদিসের ব্যাখ্যার ব্যাপারেও মতপার্থক্য হয়েছে।
তৃতীয়ত: কখনও বর্ণনার সূত্রেও কোন দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। যেমন বর্ণনাকারীদের মধ্যে কোন এক বা একাধিক ব্যক্তির বর্ণনা নির্ভরযোগ্য না হওয়া। সুতরাং এক ইমামের বিবেচনায় যে হাদিসটি গ্রহণযোগ্য, তা হয়ত অন্য ইমাম গ্রহণ করতে রাযি হননি। তিনি হয়ত অন্য হাদিসটি গ্রহণ করেছেন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
চতুর্থত: বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত একই মর্মের হাদিসে একটি মর্মকে একজন ইমাম অধিকতর নির্ভরযোগ্য মনে করেছেন। অপর ইমাম অন্য মর্মকে নির্ভরযোগ্য মনে করে গ্রহণ করেছেন।
পঞ্চমত : আল-কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যায় মতানৈক্য। এটিও মাযহাবের পার্থক্যের অন্যতম কারণ হতে পারে। একজন তাফসীরকার একটি আয়াতের এক ধরনের ব্যাখ্যা করেছেন। আর একজন অন্যরূপ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। অবশ্য এসব শরীআতের কোন মৌলিক নির্দেশের (ফরযের) ব্যাপারে ফকিহদের মধ্যে পার্থক্য হয়নি; বরং মতপার্থক্য হয়েছে শাখাপ্রশাখায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়:
ফজরের সালাত পড়া ফরয। এ ব্যাপারে সকল ইমাম একমত। মতানৈক্য রয়েছে আদায়ের সময়ের ব্যাপারে। একজন ইমাম ফজরের সালাত আলো-আঁধারে পড়া ভালো মনে করেন। অন্যজন ফরসা বা আরো আলো হবার পর পড়া ভালো মনে করেন। এ ব্যাপারে দুই ইমাম দুই হাদিস দ্বারা নিজেদের মতামত প্রমাণ করেছেন। অনুরূপভাবে ইমামের পেছনে কিরাত পাঠ করতে হবে, না চুপ করে থাকতে হবে, এ ব্যাপারেও দুটি মত রয়েছে। প্রত্যেকেরই যুক্তির ভিত্তিতে হাদিস রয়েছে। এমন সব প্রাসংগিক বিষয়ে ইমামদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে।
ষষ্ঠত: যে সকল সমস্যার সমাধান কুরআন ও হাদিসে পাওয়া যায় না এক্ষেত্রে ইজমা ও কিয়াসের সাহায্যে হুকুম প্রদানের ক্ষেত্রে এ মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে। ফয়সালা যেমন দুইজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ মৌলিক আইনের ব্যাখ্যায় একমত হওয়া সত্ত্বেও এর ধারা-উপধারায় ভিন্ন ভিন্ন রায় প্রকাশ করে থাকেন। আর মুজতাহিদদের ভিন্ন মত পোষণ করা কোন দূষণীয় নয়। মহানবী (স) বলেছেন, “যারা এ জাতীয় গবেষণায় আত্মনিয়োগ করবে, তারা নির্ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছলে দুটি পুরস্কার পাবে, আর ভুল হলেও শ্রমের মর্যাদাস্বরূপ একটি পুরস্কার পাবে।”
সপ্তমত: বিতর্কমূলক প্রশ্নে আইনজ্ঞের পরামর্শ ও বিচারকের মীমাংসা। যেমন, ইসলামি আইনের ব্যাপারে ফকিহদের ফাতওয়াও সেইরূপ। বিভিন্ন বিচারক ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করতে পারেন। যেসব ব্যাপারে কুরআন ও সুন্নাহতে ফয়সালা পাওয়া যায় না, সেসব ব্যাপারে ফকিহদের ইজতিহাদ ও রায়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর ঐ সব ইজতিহাদ ও রায়ের ব্যাপারে সব সময়ে মতৈক্যের আশা করা যায় না।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
- degree 3rd year philosophy 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- degree 3rd year psychology 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- ডিগ্রি ১ম বর্ষের রেজাল্ট NU Degree 1st Year Result
- ডিগ্রী ২য় বর্ষের সাজেশন pdf
- Degree 2nd year suggestion
- Degree 2nd Year Math 4th paper Suggestion