আগামী শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বেসরকারি স্কুলগুলো ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কার্যক্রম ও লটারি পরিচালনা করতে পারবে। তবে, এক্ষেত্রে ভর্তির সংশোধিত নীতিমালা মেনে চলতে হবে। সামাজিত দুরত্ব মেনে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা নিশ্চিত করে ভর্তির লটারি করতে বেসরকারি স্কুলগুলোকে বলেছে সরকার। আর লটারির মাধ্যমে ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনায় বেসরকারি স্কুলগুলোকে এসব নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এসব নির্দেশনা দিয়ে চিঠি সব বেসরকারি স্কুলে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বেসরকরি স্কুলগুলোকে লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে জানাতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে লটারি পরিচালনা করতে হবে। লটারির স্বাচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত ভর্তি তদারকিও পরিবীক্ষণ কমিটি, স্কুলের ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি লটারি কার্যক্রমে নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া করোনা ভাইরাস মহামারিতে জনসমাগম এড়াতে লটারির প্রক্রিয়া ফেসবুক লাইভ বা অন্য কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে সংশোধিত ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া যেন কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে বেসরকারি স্কুলগুলোকে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বেসরকারি স্কুলগুলোকে দেয়া নির্দেশনাটি দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।