সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া সহজ এবং ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে পণ্য বা সেবার নাম ছড়িয়ে দেওয়া যায় দেশের ৩ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীর কাছে।
ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে বর্তমানে সময়ে সব থেকে বড় মাধ্যম ফেসবুক আর খরচের দিক থেকে অন্যান্য প্রচার মাধ্যমের চেয়ে তুলনামূলক কম। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন সহজলভ্য হলেও নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেওয়া বেশ কঠিন।
বারবার অ্যাকাউন্ট ডিজেবল বা অ্যাড অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময় সব নিয়মনীতি মেনে অ্যাড রান করতে হয়, যা একজন সাধারণ ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তার পক্ষে মেনে চলা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। নিয়মগুলোও আবার প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে ফেসবুকের ব্যবসা বা বিজ্ঞাপনের মাত্রা অত্যধিক হওয়ায় তারা অনেক ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বসিয়েছে বিভিন্ন যাচাই প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে। এতে করে অনেক ধরনের অ্যাড বা কনটেন্ট রিজেক্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
নূরে আলম সোহাগ একজন পাঞ্জাবি ব্যবসায়ী। ফেসবুক বিজ্ঞাপনের জন্য তার বাজেট মাসিক ৫০ হাজার টাকা। নিয়মিত ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন এবং ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তিনি অ্যাড চালাতে কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হন। তিনি বলেন, অল্প বাজেটের মধ্যে কোনো বড় বিজ্ঞাপনী সংস্থার সহযোগিতা পাওয়া অসম্ভব। তাই আমরা নিজেদের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন চালিয়ে আসছিলাম; কিন্তু ফেসবুকের অ্যাড পলিসির ব্যাপক পরিবর্তন আনায় আমরা অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়ে গেছি।
দেশে ফেসবুকের অথরাইজড অ্যাড অ্যাকাউন্ট নিয়ে কাজ করে সিস্টেমআই ডিজিটাল। এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল ইসলাম ফেসবুক বিজ্ঞাপনের এ অসুবিধাগুলোর কারণ ও সমাধানের উপায় নিয়ে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। সঠিকভাবে পেমেন্ট না করা: ফেসবুক বিজ্ঞাপনে ভ্যাট ফাঁকি দিতে অনেকেই অনুমোদনবিহীন আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে বা অন্য দেশের কার্ড ব্যবহার করেন। এজন্য অ্যাড অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হয়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
একই অ্যাকাউন্ট দিয়ে একাধিক পেজের বিজ্ঞাপন: অনেকেই একাধিক ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করে এবং একটি মাত্র অ্যাড অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক পেজের বিজ্ঞাপন চালানো শুরু করে। এ কারণে অ্যাড অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হয়ে যায়। তাই একাধিক পেজে বিজ্ঞাপনের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাড অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হবে।
সঠিক অ্যাড ক্যাটাগরি ব্যবহার না করে বুস্ট করা: ফেসবুকে অ্যাড প্লেসমেন্টের বেশ কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি ক্যাটাগরি স্পেশাল ক্যাটাগরি হিসাবে অ্যাড করা হয়েছে। আপনার পণ্য যদি এ তিন ক্যাটাগরির মধ্যে যে কোনো একটি হয়, তবে আপনাকে অবশ্যই স্পেশাল অ্যাড ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে অ্যাড প্লেস করতে হবে। এ ছাড়া ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কনটেন্ট না হলে অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হয়, সুতরাং কোনো অ্যাড পোস্টে কপি করা ইমেজ ও লেখা ব্যবহার করা যাবে না। ইমেজের ক্ষেত্রে সঠিক সাইজ ও অল্প লেখা ব্যবহার করতে হবে।
ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল ব্যবহার করে অ্যাড দিলে আইডি রেস্ট্রিকটেড বা ডিজেবল হয়। তাই একটি ফটো আইডির সঠিক তথ্য দিয়ে একটি প্রোফাইল আইডি ওপেন করতে হবে।
- কর্পোরেট অর্থের কৌশল সমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা করো
- এজেন্সির সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় ব্যাখ্যা কর
- পায়ের তলায় তেল লাগানোর উপকারিতা
- এসইও (SEO) পারি, কোর্স করেছি কিন্তু কাজ পাচ্ছিনা কি করব?, এসইও কি? কিভাবে এসইও শিখবো?,এসইও (SEO) কি?
- BD ftp server list