গুবরে পোকা সর্বাধিক সংখ্যক প্রজাতিবিশিষ্ট পতঙ্গ। এরা কোলিওপ্টেরা বর্গভুক্ত; গ্রিক ভাষায় কোলিওস অর্থ আবরণ এবং টেরন অর্থ পাখা, অর্থাৎ আবরণযুক্ত পাখা,
যে বর্গে প্রাণীজগতের অন্যান্য যেকোন বর্গের হতে অধিক সংখ্যক প্রজাতি বিদ্যমান, যা কিনা সকল প্রকার জ্ঞাত জীবের ২৫% বর্ণিত হওয়া পতঙ্গের মধ্যে ৪০% হল গুবরে পোকা (প্রায় ৩,৫০,০০০ প্রজাতি), এবং প্রায়ই এর নতুন প্রজাতি আবিষ্কার হচ্ছে।
ধারণা করা হয় বর্ণিত ও অবর্ণিত মিলিয়ে গুবরে পোকার সর্বমোট প্রজাতি সংখ্যা ৫০ থেকে ৮০ লক্ষ। সবচেয়ে বড় পরিবারও এই বর্গভুক্ত, সারকুলিওনিডে।
গুবরে পোকা প্রায় সর্বত্রই পাওয়া যায়, তবে সমুদ্র ও মেরু অঞ্চল ব্যতীত। তারা তাদের বাস্তুসংস্থানের সাথে নানাভাবে আদান-প্রদান করে। উদ্ভিদ ও ছত্রাক এদের সাধারণ খাদ্য, এরা পঁচে যাওয়া প্রাণী ও উদ্ভিদ এবং অন্যান্য অমেরুদন্ডী প্রাণী খেয়ে থাকে।কিছু কিছু প্রজাতি পাখি ও স্তন্যপায়ী সহ বিভিন্ন প্রাণী শিকার করে, আবার কেউ কেউ ফসলের ক্ষতিকারক বালাই।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
গুবরে পোকা Coleoptera বর্গের একদল পোকা। প্রায় সব প্রজাতির গুবরে পোকার দুই জোড়া ডানা আছে। সামনের ডানা জোড়া শক্ত ও পুরু। সামনের জোড়া পেছনের জোড়া ও এদের উদরকে ঢেকে রাখে এবং নিরাপত্তা দেয়। গোবর, মলমূত্র, শবদেহ, জৈব আবর্জনায় এদের বসবাস।
দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রজাতি গোবর বা মলমূত্রকেই পছন্দ করে। আবার কিছু পোকা বিভিন্ন ধরনের বিষ্ঠার মধ্যে বাস করতে অভ্যস্ত। মাটির নিচে বসবাসকারী এসব পোকা মাটির উপরিভাগের জৈব ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করে ভূ-পৃষ্ঠ পরিষ্কার রাখার কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখে।
গোবরে বসবাসকারী পোকগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে গোবরের দলার নিচে সরু সুড়ঙ্গপথে গোবরের ছোট ছোট টুকরা মাটির নিচে বয়ে নিয়ে যায়। গোবরের এসব অংশ তারা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের এ কাজ মাটির উর্বরতা বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া গুবরে পোকা মলমূত্রের মধ্যে বসবাসকারী নানা ধরনের পরজীবী ধ্বংস করে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করে। কোনো কোনো পোকা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষের কিছু ক্ষতিও করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
গবাদি পশুর রোগ সৃষ্টিকারী কয়েকটি পরজীবীর মাধ্যমিক পোষক হিসেবে এদের ভূমিকা আছে। কিছু পোকা বাগানের ফুলগাছ, লতাগুল্ম অথবা ফসলের ক্ষতি করে। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় চার লাখ প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের গুবরে পোকা পৃথিবীতে রয়েছে। মেরু অঞ্চল বাদে পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই দেখা যায় এদের। এরা প্রায় সব ধরনের খাবার খায়। কিছু প্রজাতি উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ যেমন—পাতা, ফল, বীজ অথবা গুঁড়ি খায়।
আবার কিছু প্রজাতি তাদের থেকে ছোট পোকামাকড় শিকার করে খায়। স্ত্রী গুবরে পোকা ডিম পাড়ে। ডিম থেকে লার্ভা বের হয়, যাদের কোনো ডানা থাকে না। লার্ভা থেকে পিউপা পর্যায়ে এরা কোনো খাদ্য গ্রহণ করে না। পিউপা থেকে এরা পোকায় রূপান্তরিত হয়। গুবরে পোকা দেহের কেমিক্যাল নিঃসরণের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
পুরুষরা দৈহিক গন্ধের মাধ্যমে স্ত্রীদের শনাক্ত করে। কিছু পোকা শব্দ উৎপন্ন করে যোগাযোগের জন্য। Beetle প্রজাতির গুবরে পোকা নিজেদের ওজনের থেকে প্রায় এক হাজার ১০০ গুণ বেশি ভার বহন করতে পারে।
এসব পোকা নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণা শুরু হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে। সাম্প্রতিক এক জরিপে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৫ প্রজাতির গুবরে পোকার সন্ধান মিলেছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
P.S.C
- বিজ্ঞান বইয়ের নবম অধ্যায়ে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের উল্লেখ আছে
- ৫ম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের ‘সুন্দরবনের প্রাণী’ প্রবন্ধে শকুনের উল্লেখ আছে
- ৫ম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের ‘শখের মৃিশল্প’ প্রবন্ধে ‘মাটির চুলা’র উল্লেখ আছে
- সকাল বেলায় আমার নভেলের সপ্তদশ পরিচ্ছেদে হাত দিয়াছি এমন সময় মিনি আসিয়াই আরম্ভ করিয়া দিল বাবা রামদয়াল দারােয়ান কাকাকে কৌয়া বলেছিল সে কিছু জানে না না সে আমার লিখিবার টেবিলের
- ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বইয়ের এয়োদশ অধ্যায় উইন্ডমিলের উল্লেখ আছে
- ৫ম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের শখের মৃৎশিল্প প্রবন্ধে শখের হাঁড়ির উল্লেখ আছে
- পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের সুন্দরবনের প্রাণী প্রবন্ধে মদনটাকের উল্লেখ আছে
- পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের ‘অবাক জলপান’ নাটকের ‘আলুবোখারা’
- পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের ‘হাতি আর শিয়ালের গল্প’ নামক গদ্যে ‘গুবরে পোকা’র
- পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের ‘অবাক জলপান’ নাটক ‘চালতা’র