‘বঙ্গবন্ধু টানেল এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব ’ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ লিখুন বঙ্গবন্ধু টানেল এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে

‘বঙ্গবন্ধু টানেল এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব ’ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ লিখুন বঙ্গবন্ধু টানেল এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে, অনুচ্ছেদ বঙ্গবন্ধু টানেল এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা বঙ্গবন্ধু সুড়ঙ্গ বা কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত নির্মানাধীন সম্পর্কি সুড়ঙ্গ। এই সুড়ঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এই সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে ঢাকা কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং প্রকল্পের ভিত্তিসমূহ স্থার্থন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলটি নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। টানেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১০,৬৮/৯ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দেশের তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। এটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানী লিমিটেড । টানেলটি নির্মাণে অর্থায়ন করে চীনের এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার।


আরো ও সাজেশন:-

প্রকল্পটির মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরকে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু (টাউন) রূপে গড়ে তোলা হচ্ছে। টানেলটি মূলত আনোয়ারা উপজেলাকে চট্টগ্রামের মূল শহরের সাথে যুক্ত করবে। এই প্রকল্পের অধীনে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৪ লেনের সড়ক টানেল নির্মাণ করা হবে। মূল টানেলে থাকবে দুটি টিউব যার দৈর্ঘ্য হবে ৩.৪ কিলোমিটার। এছাড়া টানেলের পূর্ব ও পশ্চিমে ৫.৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি সংযোগ সড়ক থাকবে। জানা যাচ্ছে এরই মধ্যে টানেলটির ৯৫ শতাংশের মতো কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহরকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে। একপাশে রয়েছে নগর ও বন্দর অন্যপাশে রয়েছে ভারী শিল্প এলাকা। কর্ণফুলী নদীর উপর ইতোমধ্যে ৩টি সেতু নির্মিত হয়েছে যা বিরাজমান প্রচুর পরিমাণ যানবাহনের জন্য যথেষ্ট নয়। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পলি জমা একটি বড় সমস্যা।

পলি জমা সমস্যা মোকাবেলার জন্য কর্ণফুলী নদীর উপর আর কোন সেতু নির্মাণ না করে এর তলদেশে টানেল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। কর্নফুলী নদীর মুখে অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমেই দেশের অধিকাংশ আমদানি ও রপ্তানি কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দর – নগর কর্ণফুলী নদীর অপর অংশকে সরাসরি যুক্ত করবে এবং ঢাকা চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে সারা দেশের সাথে সংযুক্ত করবে

সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন করাই এই মনেলটি নির্মাণের অন্যতম কারণ। টানেলটি চালু হলে ঢাকা – চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের সাথে নতুন একটি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে। টানেলটি চালু হলে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে ১৫ কিলোমিটার।

ভবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়ের সাথেও সংযোগ স্থাপন করবে এই টানেল। সেই সাথে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব দিকের শহরাঞ্চলকে যুক্ত করে সেখানে উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এটি। অন্যদিকে পশ্চিম দিকে চট্টগ্রাম মূল শহরের সাথে সাগর ও বিমানবন্দরের দূরত্বও কমে আসবে। টানেলটি নির্মাণের পর চট্টগ্রাম বন্দরের সুযোগ – সুবিধা বাড়বে। ) কম খরচে ভ্রমণ আরো সহজ হবে। আর দুই বন্দর থেকেই মালামাল পরিবহন সহজ হবে।

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

টানেল প্রকল্পকে ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ইকোনমিক জোনসহ বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ চলছে। আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড), বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড় সার কারখানা কাফকো, চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারের মহেশখালি উপজেলার মাতারবাড়িতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি স্টেশনসহ বহুবিধ শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে।

যার ফলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাবে। কর্ণফুলী চানেল নির্মিত হলে এই এলাকার আশেপাশে শিল্পোন্নয়ন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। ফলে দরিদ্র দূরী করণসহ দেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কে ঘিরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যার সুফল ভোগ করবে দেশবাসী।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। আগামী ২৮ অক্টোবর ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির উদ্বোধন করবেন।

রচনা ,প্রবন্ধউত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণউত্তর লিংক Paragraphউত্তর লিংক
আবেদন পত্র ও Applicationউত্তর লিংক অনুচ্ছেদ রচনাউত্তর লিংক Compositionউত্তর লিংক
চিঠি Letterউত্তর লিংক প্রতিবেদনউত্তর লিংক CVউত্তর লিংক
ইমেলEmailউত্তর লিংক সারাংশ ও সারমর্মউত্তর লিংক Seen, Unseenউত্তর লিংক
Essayউত্তর লিংকCompleting Storyউত্তর লিংকDialog/সংলাপউত্তর লিংক
অনুবাদউত্তর লিংকShort Stories/Poems/খুদেগল্পউত্তর লিংকSentence Writingউত্তর লিংক

Leave a Comment