বণিকবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ বণিকবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ,আমদানি নয় রপ্তানির গানি বাণিজ্য বাড়ানোর মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশ লাভবান হতে পারে বণিকবাদের আলোকে বিবৃতিটি ব্যাখ্যা কর

প্রশ্ন সমাধান: বণিকবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ বণিকবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ,আমদানি নয় রপ্তানির গানি বাণিজ্য বাড়ানোর মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশ লাভবান হতে পারে বণিকবাদের আলোকে বিবৃতিটি ব্যাখ্যা কর

ভূমিকা : বাণিজ্যবাদের মূল বৈশিষ্ট্য হলাে তাদের ত্তিক কার্যপদ্ধতির নীতির পরিবর্তন। বাণিজ্যবাদের মূল কর্মপন্থা A নিজ দেশের উন্নয়ন নি অর্থনীতি গড়ে তােলা। এজন্য দেশীয় হেপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি, আমদানি হ্রাস, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, দেশে ও বিদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সংরক্ষণমূলক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাণিজ্যবাদের বিকাশ হয়।

বণিকবাদের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ : বণিকবাদের কতকগুলাে অপেষ্ট বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে। নিম্নে বণিকবাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা করা হলাে:

১ বৈদেশিক বাণিজ্য : বাণিজ্যবাদ সবসময় অনুকূল বাণিজ্যিক ভারসাম্যের পক্ষে। তাদের মতে, রাষ্ট্র দুইভাগে ধনী ও শক্তিশালী হতে পারে। হয় স্বর্ণ বা রূপার খনির মালিক হতে হবে অথবা পানিজ্যে লিপ্ত হতে হবে। যেহেতু অধিকাংশ দেশে স্বর্ণ ও রূপার নিকই তাই সর্বোচ্চ পরিমাণ শিল্পজাত পণ্য রপ্তানিপূর্বক অতি প্রয়ােজনীয় দ্রব্য ন্যূনতম পরিমাণ আমদানি পূর্বক স্বর্ণ ও রূপা অর্জন করা সম্ভব।

২. আয়, কর্মসংস্থান ও ঐতিহ্য বৃদ্ধি : বাণিজ্যমন্ত্রী থমাস অনের মতে, বাণিজ্য থেকে রাজার প্রধান রাজস্ব আসে। রাজ্যের সন্মান এবং বণিকের সম্মানিত পেশা, শিল্পের কলাকৌশল, নিজস্ব সাহিদা পূরণের লক্ষ্যে উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি, দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান, জমি উন্নয়ন, রাজ্য রক্ষা করার প্রাচীর, ধনাগমের উপায়, যুদ্ধের সরঞ্জাম, শত্রুদের ভীতি প্রদান ইত্যাদি বাণিজতন্ত্রের মূল বিষয়।

৩. সরফশনীতি অনুসরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন : থমাস মুন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাের্ড অব ডিরেক্টরস এর সদস্য ছিলেন। বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যাপারে তার মতামত শাসক ও ব্যবসায়ী মহলে বিশেষ সমাদৃত হয়। সংরক্ষণমূলক ভাবধারার উপর তার মতামত যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিল। তার সংরক্ষণমূলক বাণিজ্যনীতি ছিল নিম্নরূপ৪

(ক) কৃষি পণ্যের উপাদন বৃদ্ধি, দেশীয় চাহিদা মেটানাে ? এবং বিদেশি আমদানি বদ্ধ বা হ্রাস করা।

(খ) খাদ্যদ্রব্যসহ পােশাক পরিচ্ছদ, বিদেশি জিনিস ব্যবহার র বন্ধ করা দরকার।

(গ) রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশের চাহিদা মেটানাে যায় এমন পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করা।

(ঘ) স্বদেশি পণ্য স্বদেশি জাহাজেই রপ্তানি করতে হবে। এতে আয় বাড়বে।

(ঙ) ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের নিকটবর্তী . সমুদ্রগুলােতে যে মৎস্য সম্পদ আছে তা আহরণ করে সমস্ত খ্রিস্টজগতে রপ্তানি করতে হবে।

(চ) দূরবর্তী দেশগুলােতে বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে হবে।

(ছ) পণদ্রব্য ও অর্থকড়ি উভয়ই রপ্তানি করলে দেশে। মূল্যবান ধাতু ও মুদ্রার আমদানি বেশি হবে।


আরো ও সাজেশন:-

৪. অর্থের গুরুত্ব : বাণিজ্যবাদিরা মনে করতেন স্বর্ণ বা রূপাই হচ্ছে মূল সম্পদ। তাদের মতে বেশি স্বর্ণের অর্থ হচ্ছে বেশি সম্পদ এবং বেশি ক্ষমতা। ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে অর্থ। তারা মনে করতেন প্রচুর অর্থের উপর বাণিজ্যের পরিধি ও গতিবিধি নির্ভর করে। সুতরাং, তাদের মতে যত বেশি অর্থ থাকবে তত বেশি বিনিয়োগ, নিয়ােগ উৎপাদন, আয় ইত্যাদি বাড়বে। এজন্য তারা অর্থের উপর বেশি গুরুত্বারােপ করেন।

৫. জনসংখ্যা নীতি : বাণিজ্যবাদিরা দুটো কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সমর্থন করেন।

প্রথমত, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সস্তায় প্রচুর শ্রম পাওয়া যাবে। এ সস্তা শ্রম দিয়ে দেশে উৎপাদিত পণ্যকে বিদেশি প্রতিযােগিতার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।

দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন দেশের সাথে যুদ্ধ বিগ্রহের জন্য প্রচুর জনসংখ্যা দরকার।

৬. উৎপাদনের উপকরণসমূহ : বাণিজ্যবাদিরা শুধু শ্রম ও জমিকে উৎপাদনের উপায় হিসেবে মনে করেন। তারা পতিত কৃষিজমির চাষাবাদের উপর গুরুত্বারােপ করেন। কারণ এতে খাদ্য উৎপাদন বাড়বে। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে খাদ্য আমদানি বন্ধ হবে। এতে প্রচুর অর্থ বেঁচে যাবে যা বিনিয়োগ ও অধিকতর নিয়ােগ এবং উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যাবে।

৭. সুদের হার : বাণিজ্যবাদিরা কম সুদের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখেন। মূলত তরল তহবিলের দুপ্রাপ্যতা, আনুপাতিক অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং বণিক উৎপাদক এবং বড় বড় ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক বিরােধিতা ইত্যাদি কারণে তারা সুদের হার কম স্তরে রাখার সুপারিশ করেন।

৮. বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ : বাণিজ্যবাদিরা, বিশ্বাস করতেন সামাজিক কল্যাণ সর্বোচ্চ এবং জনগণের অর্থনৈতিক জীবন নিয়ন্ত্রণের জন্য বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ প্রয়ােজন। এজন্য তারা খাদ্য আমদানির বিপক্ষে ছিলেন। অথচ শিল্পোন্নয়নের জন্য প্রয়ােজনীয় কাঁচামাল আমদানির বিপক্ষে ছিলেন না। তারা ঔপনিবেশিক থেকে ঔপনিবেশিক দেশে কোনাে দ্রব্য আমদানির বিপক্ষে মতামত প্রকাশ করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়ােজনে। ব্যাংক ব্যবস্থার উন্নয়নের সুপারিশ তারা করেন। অনুকূল বাণিজ্য ভারসাম্যের জন্য তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে রপ্তানি, মৎস্য এবং জাহাজ শিল্পের জন্য ভর্তুকি প্রদানের সুপারিশ করেন। |

৯, মজুরি নীতি : বাণিজ্যবাদী কম মজুরি প্রদানের পক্ষপাতী ছিলেন। তাঁদের মতে, বেশি মজুরি দিলে শ্রমিকরা কম কাজ । করবে। তদুপরি মজুরি কম থাকলে উৎপাদন খরচ কম পড়বে, ফলে বিদেশে কম দামে বেশি করে পণ্য

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

রপ্তানি করা যাবে। আমদানি নয় বরং রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানাের মাধ্যমেই বিশ্বের সকল দেশ পানি হতে পারে ব্যাখ্যা :

১. সম্পদের উত্তম ব্যবহার : আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে উন্নত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি বিদ্যা আমদানির ফলে নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদগুলাের উত্তম ব্যবহার দ্বারা উৎপাদিত দ্রব্যের বাজার বিস্তৃত হলে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের পরিপূর্ণ ব্যবহার করা সম্ভব হয়।

২. মােট উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। একটি দেশ সকল প্রকার | প্ৰব্য সমান পারদর্শিতার সাথে লালন করতে পারে না। তাই যে দেশের যে দ্রব্য উৎপাদনে আপেক্ষিক সুবিধা বেশি পায় সে দেশ সে দ্রব্য উৎপাদন করবে। এভাবে আস্তর্জাতিক শ্রম বিভাগ ও বিশেখীকরণের ফলে পৃথিবীর মােট উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

৩. উবৃব্ধ পণ্য রপ্তানি: কোনাে দেশ তার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি দ্রব্য উৎপন্ন করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে উঃ পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে আয় বৃদ্ধি করতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে তার উদ্বৃত্ত পণ্য কাজে লাগানাে সব নয় ।

৪. উৎপাদন ব্যয়স : আতর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদনে বিশেষত্ব অর্জন করে। এরূপ আঞ্চলিক শ্রম বিভাগের সুবিধার জন্য উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায় এবং দ্রব্যের দাম কম হয়। এর ফলে ভােগকারীর সুবিধা হয়।

৫. অনুৎপাদিত দ্রব্য ভােগের সুবিধা ; কোনাে দেশ কোনাে বিশেষ দ্রব্য উৎপাদন করতে না পারলেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে অন্য দেশ থেকে তা আমদানি করে ভােগ করতে পারে। যেমন- বাংলাদেশ কম্পিউটার, সেলাই মেশিন, রেফ্রিজারেটর প্রভৃতি আমদানি করতে পারে। আবার পাট, চা, চামড়া অন্যান্য দেশে রপ্তানি করতে পারে।

৬. খাদ্য ঘাটতি পূরণ : বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই খাদ্য ঘাটতি থাকে। এ ঘাটতি পূরণ করার জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধা থাকা প্রয়ােজন। কারণ ঘাটতিকালীন সময়ে একাধিক দেশ অন্য দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করে তা পূরণ করা হয়।

৭. কমমূল্যে ক্রয় করা যায় : যে সমস্ত দ্রব্য দেশের মধ্যে উৎপাদন করা ব্যয়বহুল তা কম দামে অন্য কোনাে দেশ হতে ক্রয় করা সম্ভব। এভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে একটি দেশ নিজের দেশের ব্যয়হুল দ্রব্য উৎপাদন না করে তা কম দামে বিদেশ হতে আমদানি করে দেশীয় মূলধনের সংস্থান করতে পারে।

৮, মূলধনী দ্রব্য আমদানি : বাংলাদেশের ন্যায় দরিদ্র | দেশের উন্নয়নের জন্য মূলধনী দ্রব্যের প্রয়ােজন। কিন্তু নিজেদের প্রযুক্তিতে জ্ঞান ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এরূপ দ্রব্য উৎপাদনের কাঠামাে স্থাপন করতে পারে না। তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সুবিধা লাভের মাধ্যমে কম খরচে মূলধনী দ্রব্য আমদানি করতে পারে।

৯. কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান : বাংলাদেশের মতাে অনুন্নত এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলােতে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব রয়েছে। এমতাবস্থায় এসব দেশ বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমেই শিল্পোয়নের জন্য প্রয়ােজনীয় কারিগরি জ্ঞান ও পরিচালনায় দক্ষতা লাভ করতে পারে।

১০.দেশীয় উৎপাদালের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় । আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে দেশে বিদেশে উৎপাদনকারীগণের মধ্যে প্রতিযােগিতা বৃদ্ধি পায়। বৈদেশিক বাজারে টিকে থাকার জন্য দ্রব্যের মান উন্নত ও দাম কম হওয়া দরকার। এজন্য প্রয়ােজন। উৎপাদনের দক্ষতা বৃদ্ধি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের ফলে সকল দেশের উৎপাদনকারীগণ তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালায়।

১১. অত্যাবশ্যকীয় আমদানি: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ত বাংলাদেশ অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্য যেমন- খাদ্য দ্রব ঔষধপত্র, নিত্য প্রয়ােজনীয় পণ্য দ্রব্য আমদানি করতে পারে।

১২. দেশীয় বাজার সম্প্রসারণ : আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কারণে বিশ্বব্যাপী দেশীয় বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। ফry উৎপাদনকারীদের উৎপাদন ক্ষমতা এবং মুনাফা উভয়ই বৃদ্ধি পায়।

১৩. প্রব্যের গুণগত মান বৃদ্ধি প্রতিযােগিতার ফলে দ্রব্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। নানা প্রকার দ্রব্য ও সেবার মানের ক্ষে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অনেকাংশে ভূমিকা পালন করে।

১৪. নির্ভরশীলতা হ্রাস: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে বাংলাদেশের মতাে উন্নয়নশীল দেশগুলাে লাভবান হলে ধীরে ধীরে অর্থনীতি স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পায়।

১৫. ভােক্তাদের সুবিধা ; আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে লিপ্ত দেশের ভােক্তাগণ কম মূল্যে উন্নতমানের পণ্য দ্রব্য ও সেবা ভােগ করতে পারে। |

১৬. জ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রসার ও বৈদেশিক বাণিজ্যের ফলে বিভিন্ন দেশ পরস্পরের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসে এবং এর ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে জ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রসার ঘটে।

১৭. মূলধনের গতিশীলতা : বাংলাদেশের সাথে একাধিক দেশের বাণিজ্যিক সুবিধার কারণে মূলধনের আমদানি ও রপ্তানির মাধ্যমে এর গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।

১৮. একচেটিয়া কারবার প্রতিরােধ : বৈদেশিক বাণিজ্যের দ্বারা দেশের মধ্যে একচেটিয়া কারবারের সম্প্রসারণ রােধ করা সম্ভব হয়।

১৯.জরুরি অবস্থা মােকাবিলা : প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কোনাে দেশে দ্রব্যসামগ্রী, খাদ্য ঘাটতি দেখা দিলে বৈদেশিক বাণিজ্যের সাহায্যে এর মােকাবিলা করা যায়। ঘূর্ণিঝড়, জলােচ্ছাস, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা প্রভৃতির জন্য জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হলে অন্যদেশ হতে প্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদি আমদানি করে অতি সহজে এরূপ সংকট মােকাবিলা করা যায়।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

২০. অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা ; অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নকামী দেশ উন্নয়নের জন্য উন্নত দেশ হবে বিভিন্ন প্রকার মূলধন দ্রব্য, প্রযুক্তি বিদ্যা প্রভৃতি আমদানি করে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। আবার উন্নত দেশসমূহ অনুন্নত দেশ হতে কাঁচামাল | আমদানি করে এবং কম খরচে পণ্য উৎপাদন করে তা অনুন্নত দেশে বিক্রি করে। এভাবে বৈদেশিক বাণিজ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে | সহায়তা করে।

২১, আন্তর্জাতিক সহযােগিতা বৃদ্ধি । আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের আদান-প্রদান ঘটে। ফলে বাণিজ্যে লিপ্ত | দেশগুলাের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহযােগিতা বৃদ্ধি পায়। এভাবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি অর্জিত হয়।

২২. শিল্পের বিকাশ সাধন ; আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দেশের শিল্পের বিকাশ ঘটবে। বিভিন্ন দেশে দ্রব্য রপ্তানি করার সুযােগ সৃষ্টি হলে তা আরাে প্রসারিত হবে।

২৩. জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন : আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায় এবং বিদেশি অনেক দ্রব্য সস্তায় ভােগ করার সুযােগ সৃষ্টি হয় বলে জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন ঘটে।

২৪. জনশক্তির বী মানবসম্পদ উন্নয়ন : আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে অনেক নতুন প্রযুক্তির আগমন ঘটে। ফলে দশের মানব সম্পদ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ সকল পয়জিতে পারদর্শিতা হয়ে উঠে। এতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। উৎপাদন বেশি হয় এবং উৎপাদন খরচ কম হয়।

২৫ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন : এরূপ বাণিজ্যের চলে বিভিন্ন দেশের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিভিন্ন কাশের সাথে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক লিজ্যের কারণে রাজনৈতিক দলগুলাের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। দেশপ্রেমের উদ্ভব ঘটে। এতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জিত হয়।

উপসংহার: উপরিউক্ত আলােচনা থেকে বলা যায় যে, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভূমিকা গুরুত্ব অপরিসীম। একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment