বদর কে ছিলেন,বদরের পরিচয় দাও,বদরের পরিচয় ও অবদান
ভূমিকা : উমাইয়া আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আব্দুর রহমানের অত্যন্ত বিশ্বস্ত ভৃত্য ছিলেন বদর। উমাইয়া আমিরাত প্রতিষ্ঠায় তার বিশেষ ভূমিকা বা অবদান ছিল ।
→ বদরের পরিচয় ও অবদান : ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে যাবের যুদ্ধে উমাইয়াদের পতনের পর আব্বাসীয়গণ উমাইয়া বংশের উপর চরম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই হত্যাযজ্ঞের হাত থেকে প্রথম আব্দুর রহমান সুকৌশলে ছদ্মবেশে একটানা পাঁচ বছর যাযাবর জীবনযাপন করেন।
তার এই অনিশ্চয়তার জীবনে সার্বক্ষণিক সাথী হয়েছিলেন বিশ্বস্ত ও সুযোগ্য দাস বদর। স্পেনের পথে আব্দুর রহমান সিউটায় এসে উপস্থিত হন এবং তার ভগ্নির ভৃত্য সেলিমের পরামর্শে স্পেনে তার ভাগ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আব্দুর রহমান তার বিশ্বস্ত ভৃত্য বদরকে স্পেনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রেরণ করেন। বদর স্পেনের বিভিন্ন সিরীয়া আরবগণদের কাছ থেকে আব্দুর রহমানকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি লাভ করেন।
বদর স্পেনের সিরীয় আরবরে দামেস্ক শাখার উমাইয়া দলপতি উবায়দুল্লাহ বিন ওসামনের নিকট আব্দুর রহমানের পত্র দেন এবং তারা আব্দুর রহমানকে স্পেনে আনার জন্য দূত হিসেবে আবু গালিব তাম্মামকে বদরের সাথে প্রেরণ করেন।
বদর এই সুসংবাদটি আব্দুর রহমানকে প্রদান করেন। স্পেন থেকে প্রত্যাবর্তন করে অনুকূল পরিবেশের আশ্বাস দিলে তিনি সিরীয় আরবদের সমর্থন পেয়ে স্পেনের টোরক্স দুর্গ দখল করেন এবং সেখানে একটি শক্তিশালী ঘাঁটি নির্মাণ করেন।
আরো ও সাজেশন:-
অতঃপর তিনি আর্কিডোনা ও সিডোনিয়া দখল করেন। এসময় স্পেনের শাসক আব্দুর রহামন বিন ইউসুফ আল ফিহরী উত্তর স্পেনে বিদ্রোহ দমনে ব্যস্ত ছিলেন। অতঃপর তার সাথে মাসারাহর যুদ্ধে মোকাবিলা করেন। এবং স্পেন দখল করে ফেলেন।
পরবর্তীকালে আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিনি বদরকে কারাগারে অন্তরীন করে রাখা হয়। শেষ জীবনে এক সীমান্ত শহরে বদর নির্বাসিত জীবনযাপন করেন। তিনি ছিলেন আব্দুর রহমানের দুর্দিনের সহযাত্রী ও সঙ্গী
[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, আব্দুর রহমান স্পেনে যে স্বাধীন উমাইয়া আমিরাত প্রতিষ্ঠা করেন তার পিছনে বদরের অবদান ছিল অনিস্বীকার্য।
বদরের জীবন বাজি রাখা অভিযানে অংশ নিয়ে আব্দুর রহমানের সফর সঙ্গী ও দুঃখ কষ্টের ভাগীদার হিসেবে থেকে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন । অথচ শেষ জীবনে বদরকে পেতে হয়েছে পুরস্কারের পরিবর্তে তিরস্কার ।