বাংলাদেশের অর্থনেতিক ও শিল্পের উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগের ভূমিকা বিশ্লেষণ। (নির্দেশনা-ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার ধারণা, বৈশিষ্ট্য, ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠার পরিবেশ, ব্যবসায় উদ্যোগের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।)

শ্রেণি: ৯ম/ ssc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 07 বিষয় কোডঃ 1663
বিভাগ: ব্যবসায় শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের অর্থনেতিক ও শিল্পের উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগের ভূমিকা বিশ্লেষণ। (নির্দেশনা-ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার ধারণা, বৈশিষ্ট্য, ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠার পরিবেশ, ব্যবসায় উদ্যোগের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।)

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার ধারণা

প্রতিটি স্কুলে কোনো না কোনো সময়ে শিক্ষা সফর হয়ে থাকে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে একজন
প্রস্তাব দিল যে, ঐ শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা সফর আয়োজনে সব প্রকার সহযোগিতা সে করবে। কাজটি বেশ
কষ্টসাধ্য এবং কিছুটা সৃজনশীলতা তো রয়েছে। এই যে, একজন শিক্ষার্থী শিক্ষা সফর করা নিয়ে মূল ভূমিকা পালন করল,
এটি এক ধরনের উদ্যোগ। সাধারণভাবে যে কোনো কাজের কর্ম প্রচেষ্টা বা তৎপরতাই উদ্যোগ।

ব্যবসায় কোনো একজন ব্যক্তি বা কয়েকজন ব্যক্তির সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। একটি ব্যবসায় স্থাপনের চিন্তা বা ধারণা
সনাক্তকরণ থেকে শুরু করে ব্যবসায় স্থাপন ও সফলভাবে পরিচালনা করাই হলো ব্যবসায় উদ্যোগ। বিশদভাবে বলতে
গেলে, ব্যবসায় উদ্যোগ বলতে বোঝায় মুনাফা অর্জনের আশায় লোকসানের সম্ভাবনা মাথায় রেখেও ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায়
স্থাপনের জন্য দৃঢ় চিত্ত ও মনোবল নিয়ে সফলভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করা ।

মানুষের অপরিসীম চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টা থেকেই মূলত: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শুরু। এরূপ গতিশীল ও সৃজনশীল
অর্থনেতিক কর্মকাণ্ডের রূপকার হলেন উদ্যোক্তা বা ব্যবসায় উদ্যোক্তা বা শিল্পোদ্যোক্তা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বৈশিষ্ট্য

উদ্যোগ যে কোন বিষয়ের ব্যাপারেই হতে পারে কিন্তু লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করাই হলো ব্যবসায় উদ্যোগ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মনে কর তুমি বাঁশ ও বেত দিয়ে সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করতে পার। এখন নতুন এক ধরনের বেতের চেয়ার দেখে সেটা বানানোর চেষ্টা করলে। এটি তোমার উদ্যোগ।

এখন তুমি যদি অর্থসংগ্রহ করে বাঁশ ও বেতের সামগ্রি তৈরির দোকান ন্থাপন করে সফলভাবে ব্যবসায় পরিচালনা কর, তখন এটি হবে ব্যবসায় উদ্যোগ। ব্যবসায় উদ্যোগের ধারণা বিশ্লেষণ করলে যে সকল বৈশিষ্ট্য ও কার্যাবলি লক্ষ্য করা যায় তা হলো ঃ

১। এটি ব্যবসায় স্থাপনের কর্ম উদ্যোগ। ব্যবসায় স্থাপনসংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড সফলভাবে পরিচালনা করতে ব্যবসায় উদ্যোগ সহায়তা করে।

২। ঝুঁকি আছে জেনেও লাভের আশায় ব্যবসায় পরিচালনা। ব্যবসায় উদ্যোগ সঠিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ করতে এবং পরিমিত ঝুঁকি নিতে সহায়তা করে।

৩। ব্যবসায় উদ্যোগের ফলাফল হলো একটি ব্যবসার প্রতিষ্ঠান । এর মানে হলো ব্যবসায় উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা কোনো চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করে।

৪। ব্যবসায় উদ্যোগের অন্য একটি ফলাফল হলো একটি পণ্য বা সেবা।

৫। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালনা।

৬। নিজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা নিজের উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন।

৭। অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগ মালিকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থানের সূযোগ সৃষ্টি করেন।

৮। নতুন সম্পদ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে যেমন মানবসম্পদ উন্নয়ন হয় তেমনি মূলধনও গঠন হয়।

৯। সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা। ব্যবসায় উদ্যোগ দেশের আয় বৃদ্ধি ও বেকার সমস্যার সমাধানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারে।

১০। মুনাফার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা গ্রহণ করা। ব্যবসায় উদ্যোগ উদ্যোক্তাদের সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে অণুপ্রাণিত করে।

ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক

ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক সর্বদা বিদ্যমান। কোনো ব্যবসায়ে ঝুঁকি কম, আবার কোনো ব্যবসায়ে ঝুঁকি বেশি। যে ব্যবসায়ে ঝুঁকি বেশী তাতে লাভের সম্ভাবনাও বেশী। আবার যে ব্যবসায় ঝুঁকি কম তাতে লাভের সম্ভাবনাও কম। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, মুদি দোকানে ঝুঁকি কম তাই মুনাফাও সীমিত। অন্যদিকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের মতো ব্যবসায়ে যেমন অনেক লাভের সম্ভাবনা আছে তেমনি অত্যধিক ঝুঁকিও আছে ।

ব্যবসায়ে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। যে কোনো সময় উৎপাদিত পণ্যের অথবা সরবরাহকৃত সেবার চাহিদা কমে যেতে পারে। এর ফলে অর্জিত মুনাফা কমে যেতে পারে। এই সম্ভাবনাই ব্যবসায়িক ঝুঁকি। অন্যদিকে দেখা গেল ব্যবসায় থেকে বছরে উদ্যোক্তা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মুনাফা আশা করেছিল। কিন্তু বাস্তবে এর চেয়ে কম মুনাফা অর্জিত হয়েছে। এটিই হলো আর্থিক ঝুঁকি।

ব্যবসায় স্থাপন ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। অন্যদিকে ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে সাফল্যজনকভাবে লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে অধিক পরিমাণ আয় করাও সম্ভব। কিন্তু মনে রাখতে হবে, একজন সফল উদ্যোক্তা সর্বদা ঝুঁকি আগেই নিরূপণ করেন এবং তা হ্রাসের ব্যবস্থা নেন এবং সবসময়ই পরিমিত পরিমাণ ঝুঁকি গ্রহণ করেন। মাত্রারিক্ত ঝুঁকি এবং অতি আত্মবিশ্বাস যেকোনো পরিকল্পনাকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠার পরিবেশ

পৃথিবীর বিভিন্ন শিল্পোন্নত দেশকে লক্ষ করলে দেখা যায়, তাদের উন্নতির প্রধান কারণ হলো নতুন নতুন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপনা, পরিচালনা ও সম্প্রসারণের অনুকূল পরিবেশ। বাংলাদেশে মেধা, উদ্যোগ, মনন ও দক্ষতার অভাব না থাকলেও ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ মোটেই সন্তোষজনক নয়। ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে ওঠা ও বিকাশের জন্য নিচের অনুকূল পরিবেশ থাকা আবশ্যক।

১। উন্নত অবকাঠামো: ব্যবসায় স্থাপনা ও পরিচালনার জন্য যে সকল সুযোগ-সুবিধা যেমন: বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি প্রয়োজন তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।

২। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা: একটি দেশের ব্যবসায় বান্ধব পরিবেশ গঠনে সবচেয়ে সহায়ক ভুমিকা পালন করে রাষ্ট্র তথা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা। কারণ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ব্যবসায় উদ্যোগের সম্প্রসারণ ও সমৃদ্ধি ঘটে থাকে। কর অবকাশ, স্বল্প বা বিনা সুদে ঋণ প্রদান, মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানিতে এবং উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক সুবিধা প্রদান ইত্যাদি ব্যবসায় উদ্যোগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারে।

৩। আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতা: যে কোনো দেশের ব্যবসায় উদ্যোগের সমৃদ্ধি তথা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা জরুরি। এগুলোর অস্থিরতা ব্যবসায় উদ্যোগের উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলে।

৪। অনুকূল আইন-শৃঙ্ঘলা ও নিরাপত্তা: দেশের সুষ্ঠু ও সাবলীলভাবে ব্যবসায় পরিচালনা ও সম্প্রসারনের জন্য অনুকূল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রয়োজন। এ কারণে মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা বিধান না করতে পারলে ব্যবসায়ের অগ্রগতি সম্ভব নয়। ৫। প্রশিক্ষণের সুযোগ- সুবিধা: টেকসই ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায় উদ্যোগের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। যত বেশি প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে, তত বেশি মানসম্মত পণ্য ও সেবা উৎপাদনকারী শিল্প, কল-কারখানা বিনির্মাণ সম্ভব হবে।

৬। পর্যান্ত মূলধনের সহজপ্রাপ্যতা: যে কোনো ব্যবসায় উদ্যোগ সফল ও দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ পুঁজি বা মূলধন। উপযুক্ত সময়ে ও সঠিক পরিমাণ মূলধনের অভাবে অধিকাংশ ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনা সম্ভব হয় না। তাই দেশে এরূপ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে যাতে ব্যবসায় উদ্যোগে কোনো পুঁজির ঘাটতি না হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ব্যবসায় উদ্যোগের গুরুত্ব

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে উদীয়মান বাঘ হিসেবে খ্যাত। বিশ্বের নামকরা অর্থনীতিবিদগণ বলেছেন দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের সিংহভাগ সেবা ও কৃষি খাত থেকে আসলেও শতকরা ৩০ ভাগ আসে শিল্প খাত থেকে। সেই দেশকে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশ বলা হয়, যার মোট জাতীয় উৎপাদনের বেশির ভাগ আসে শিল্প খাত থেকে। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্প খাতসহ সকল খাতের উন্নয়ন সম্ভব ।

ব্যবসায় উদ্যোগ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের যেভাবে ভূমিকা বা অবদান রাখে তা নিম্নরূপ:

১। সম্পদের সদ্ব্যবহার: দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে ব্যবসায় উদ্যোগ দেশে নতুন নতুন ব্যবসায় গঠন ও শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে।

২। মূলধন গঠন: মূলধন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান গঠন বা নতুন কিছু উৎপাদন সম্ভব নয়। ব্যবসায় উদ্যোগ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও বিচ্ছিন্ন সঞ্চয়কে একত্রিত করে মূলধন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৩। জাতীয় উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি: ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে মোট দেশজ উৎপাদন [এৎড়ংং উড়সবংঃরপ চৎড়ফঁপঃ (এউচ)] ও মোট জাতীয় উৎপাদন [এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ (এঘচ)] বৃদ্ধি পায়। ফলে, মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মাথা পিছু আয়ও বৃদ্ধি পায়।

৪। কর্মসংস্থান সৃষ্টি: বর্তমান উন্মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সরকারের পুরোপুরি কর্মসংস্থানের দায়িত্বভার নেয়ার সুযোগ নেই। বরং রাষ্ট্র এরূপ সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাতে দেশে বেসরকারি মালিকানায় নতুন নতুন শিল্প কল-কারখানা, ব্যবসায় ইউনিট গড়ে উঠে এবং নিত্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আর এটা ব্যবসায় উদ্যোগ ছাড়া সম্ভব নয়।

৫। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি: বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনশীল কাজে বিনিয়োজিত করে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তর করা যায়। জাপান এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

৬। পরনির্ভরশীলতা হ্রাস: যে সকল পণ্য ও সেবাকর্ম বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্প, কল-কারখানা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করে ঐ সকল পণ্য ও সেবাকর্ম উৎপাদন করে পরনির্ভরতা দূর করা যায়।

৭। শিল্পোন্নয়ন: ব্যবসায় উদ্যোগের অর্থাৎ দক্ষ ও সৃজনশীল উদ্যোক্তাদের দ্বারাই নতুন নতুন ব্যবসায় সংগঠন স্থাপন, পণ্য ও সেবাকর্ম উৎপাদন এবং আধুনিকায়নের মাধ্যমে শিল্পোন্নয়ন ঘটে থাকে।

৮। বিনিয়োগ বৃদ্ধি: ব্যবসায় উদ্যোগের দ্বারা দেশে এরূপ ব্যবসায় বান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়, যার ফলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী নতুন নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে।

৯। পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন: ব্যবসায় উদ্যোগের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়।

১০। প্রযুক্তির উন্নয়ন: প্রযুক্তি সতত পরিবর্তনশীল। উন্নত গবেষণার মাধমে ব্যবসায় উদ্যোগ বা উদ্যোক্তা ক্রমাগতভাবে লাগসই প্রযুক্তি সংগ্রহ ও ব্যবহার করেন। ফলে দেশের প্রযুক্তির বিকাশ ও উন্নয়ন হয়ে থাকে।

সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগ বা উদ্যোক্তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment