বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসায়ের প্রভাব বিশ্লেষণ। (নির্দেশনা-ব্যবসায়ের ধারণা, গুরুত্ব, প্রকারভেদ ও ব্যবসায়িক পরিবেশের প্রভাব আলোচনা করতে হবে।) ২০২১ সালের ssc উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নবম শ্রেণি ব্যবসায় উদ্যোগ ১ম অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 2021

শ্রেণি: ৯ম/ ssc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 08 বিষয় কোডঃ 1663
বিভাগ: ব্যবসায় শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

ব্যবসায়ের ধারণা

সাধারণভাবে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ব্যবসায় বলে। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে মানুষ যে সব বৈধ অর্থনৈতিক কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকে তাকে ব্যবসায় বলে। পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য

উৎপাদন করা হাঁস মুরগী পালন করা সবজি চাষ করাকে ব্যবসায় বলা যায় না। কিন্তু যখন কোন কৃষক মুনাফার আশায় ধান চাষ করে বা সবজি ফলায় তা ব্যবসায় বলে গণ্য হবে। তবে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যবসায় বলে গণ্য হবে যদি সেগুলো দেশের আইনে বৈধ ও সঠিক উপায়ে পরিচালিত হয়। সুতরাং যে কাজটিকে আমরা ব্যবসায় বলবো তা চারটি মৌলিক উপাদান আছে। যেমন – ক. অর্থনৈতিক কাজ, খ. মুনাফার উদ্দেশ্য, গ. ঝুঁকি, ঘ. বৈধতা। এই ৪টি উপাদান না থাকলে কোন কাজকে ব্যবসায় বলা যাবে না।

ব্যবসায়ের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা একে অন্য সব পেশা থেকে আলাদা করেছে। ব্যবসায়ের সাথে জড়িত পণ্য বা সেবার অবশ্যই আর্থিক মুল্য থাকতে হবে। ব্যবসায়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল এর সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক। মূলত মুনাফা অর্জনের আশাতেই ব্যবসায়ী অর্থ বিনিয়োগ করে। ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অবশ্যই সেবার মনোভাব থাকতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

গুরুত্ব

অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসাবে গণ্য হলেও ব্যবসায় যে কোন দেশের অর্থ সামাজিক রাজনৈতিক তথা সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে চলছে। ব্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেই গড়ে উঠেছে ছোট বড় দোকান থেকে শুরু করে বিশাল শিল্প-কারখানা। বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসিম। আজকের পৃথীবিতে যে সকল দেশ উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করছে সে সকল দেশগুলো ব্যবসা বাণিজ্যে তত উন্নত। ব্যবসায়ের মাধ্যমে পৃথিবীতে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার সহজ হয় এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হয়।

বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবসায়ের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো:

১. পণ্য দ্রব্য ও সেবার যোগান : ব্যবসায় মানুষের বিভিন্ন-মূখী চাহিদা পুরণের জন্য ও সেবা সামগ্রীর যোগান দিয়ে থাকে। এর ফলে মানুষ তার প্রয়োজনীয় সামগ্রী অনায়াসে ভোগ করতে পারে।

২. প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার: দেশের প্রাকুতিক সম্পদের সদ্ব্যবহারের ওপর জাতীয় উন্নয়ন নির্ভরশীল। ব্যবসায় দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন : খনিজ দ্রব্য, জল সম্পদ, বনজ সম্পদ ইত্যাদি সংগ্রহ করে শিল্প দ্রব্য পরিণত করে জনগণের চাহিদা পূরণ করে।

৩. জাতীয় আয়বৃদ্ধি : ব্যবসায়ের ফলে সঞ্চয় বৃদ্ধি পায়, মূলধন গঠিত হয় ফলে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায়।

৪. সঞ্চয়ে উৎসাহ প্রদান : ব্যবসায়ের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে আয় রোজগার ও সম্পদ অর্জন করা সহজ বলে অনেকেই ব্যবসায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে সঞ্চয়ে আগ্রহী হয়।

৫. মুলধন গঠনও তার সদ্ব্যবহার : ব্যবসায়ের প্রয়োজনে উদ্যোক্তাগণ বিভিন্ন উৎস হতে মুলধন সংগ্রহ করে এবং উক্ত মুলধন উপযুক্ত খাতে বিনিয়োগ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত করে।

৬. কর্মসংস্থান : ব্যবসায় মানুষের কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করে থাকে। ব্যবসায়ের মাধ্যমে বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হয়। ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসাারিত হলে অধিক সংখ্যক শিল্পকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে এবং শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

৭. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন : ব্যবসায়ের প্রয়োজনের কাঁচামাল ও পণ্যসামগ্রী আনয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হয়ে থাকে।

৮. সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি : দেশের ব্যবসায়ের তথা শিল্প বাণিজ্যের প্রসারের ফলে সরকার বিভিন্ন খাতে প্রচুর রাজস্ব আদায় করতে পারে। এতে সরকারের অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত হয়।

৯. জীবনের মানোন্নয়ন : ব্যবসায় সমাজের জনগনের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ণে সহায়ক। ব্যবসায়ের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি পায়। ফলে জনগনের ক্রয়ক্ষমতা ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়, যা তাদের জীবনত্রার মানকে উন্নত করে তোলে।

১০. সভ্যতা ও সংস্কৃতির আদান প্রদান : ব্যবসায়ের আর্ন্তজাতিক গতিশীলতা বিভিন্ন দেশ, সমাজ, জাতির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলে। ফলে বিভিন্ন দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির আদান প্রদানের পথ প্রসারিত হয়।

১১. নগরায়ন : ব্যবসায়ের ফলে সভ্যতার দ্রুত ক্রমবিকাশ ঘটে থাকে। যার ফলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে দ্রুত নগরায়নের উদ্ভব হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রকারভেদ

বর্তমানে ব্যবসায় শুধু পণ্যদ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পণ্য-দ্রব্য ও সেবা-কর্ম উৎপাদন, পণ্য-দ্রব্য বিনিময় ও এর সহায়ক কাজের সমষ্টিকে ব্যবসায় বলে। পণ্য-দ্রব্য বিনিময় সংক্রান্ত সহায়ক কাজে পরিবহন, বিমা, ব্যাংকিং গুদামজাতকরণ ও বিজ্ঞাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক ব্যবসাকে প্রধানত: তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

ক. শিল্প, খ. বাণিজ্য ও গ. প্রত্যক্ষ সেবা শিল্প

শিল্পকে উৎপাদনের বাহন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ, কাঁচামালে রূপদান এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে কাঁচামালকে মানুষের ব্যবহার-উপযোগী পণ্যে পরিণত করা হয় তাকে শিল্প বলা হয়। শিল্পকে প্রধানত পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

প্রজনন শিল্প: প্রজনন শিল্পে উৎপাদিত সামগ্রী পুনরায় সৃষ্টি বা উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন- নার্সারি, হ্যাচারি ইত্যাদি।

নিস্কাশন শিল্প: নিস্কাশন শিল্পের মাধ্যমে ভূগর্ভ, পানি বা বায়ু হতে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করা হয়। যেমন- খনিজ শিল্প।

নির্মাণ শিল্প: নির্মাণ শিল্পের মাধ্যমে রাস্তাঘাট, সেতু ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়।

উৎপাদন শিল্প: উৎপাদন শিল্পে শ্রম ও যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কাঁচামালকে প্রক্রিয়াজাত করে চুড়ান্ত পণ্যে রূপান্তর করা হয়। যেমন- বস্ত্র শিল্প।

সেবা শিল্প: সেবা শিল্প বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ ও আরামদায়ক করে। যেমনবিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন ও বিতরণ, ব্যাংকিং ও স্বাস্থ্য সেবা ইত্যাদি।

  • ব্যবসায়
  • শিল্প বাণিজ্য প্রত্যক্ষ সেবা
  • আইনবৃত্তি
  • ডাক্তারি
  • প্রকৌশলবৃদ্ধি
  • অডিট ফার্ম
  • পণ্য বিনিময় (ক্রয়-বিক্রয়)
  • পরিবহন গুদামজাতকরণ
  • ব্যাংকিং
  • বিমা
  • বিজ্ঞাপন
  • প্রজনন শিল্প
  • নিস্কাশন শিল্প
  • নির্মাণ শিল্প
  • সেবামূলক শিল্প
  • উৎপাদন শিল্প

বাণিজ্য:

বাণিজ্যকে ব্যবসায়ের পণ্য বা সেবা সামগ্রী বন্টনকারী শাখা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ব্যবসায় বা শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল উৎপাদকের নিকট পৌছানো কিংবা শিল্পে উৎপাদিত পণ্য বা সেবা সামগ্রী ভোক্তাদের নিকট পৌছানোর সকল কার্যাবলিকে বাণিজ্য বলে। পণ্য-দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় কার্য যথার্থভাবে সমাধানের ক্ষেত্রে অর্থগত, ঝুঁকিগত, স্থানগত, কালগত ও তথ্যগত বাধা বা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সকল বাধা দূরীকরণে বাণিজ্যের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন পরিবহন, গুদামজাতকরণ, ব্যাংকিং, বিমা, বিপণন ও বিজ্ঞাপন ইত্যাদির সহযোগীতার প্রয়োজন হয়। বাণিজ্যকে আধুনিককালে ব্যবসায় টু ব্যবসায় বলেও অভিহিত করা হয়। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ব্যবসায়িক পরিবেশের প্রভাব

একটি দেশের কোন ধরনের শিল্প গড়ে উঠবে তা নির্ভর করে ওই দেশের ব্যবসায়ী পরিবেশের উপাদান এর উপর। যেমন অমুসলিম দেশগুলোতে মদ ও বিয়ার এর কারখানা গড়ে উঠতে পারে কিন্তু মুসলিম দেশগুলোতে এগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে গড়ে উঠতে পারে না। আবার বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বৃদ্ধির মূল কারণ হলো এদেশের সস্তা মানব সম্পদ। অর্থাৎ কোন দেশের শিল্প গড়ে ওঠার পেছনে ওই দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানগুলো প্রভাব বিস্তার করে। নিচে বাংলাদেশের শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদান এর প্রভাব বর্ণনা করা হলো।

প্রাকৃতিক উপাদানঃ

প্রাকৃতিক পরিবেশের অধিকাংশ উপাদানই বাংলাদেশে ব্যবসায় স্থাপনের জন্য অনুকূল। দেশের প্রায় সকল অংশই নদী বিধৌত। ফলে সহজেই এখানে কৃষিজাত বিভিন্ন শিল্প ও ভােগ্য পণ্যের কাঁচামাল উৎপাদন করা সম্ভব। ব্যবসায় বা শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়ােজনীয় প্রাকৃতিক গ্যাস বিদ্যমান। দেশে বিদ্যমান খনিজ কয়লা, চুনা পাথর, কঠিন শিলা ও খনিজ তৈল শিল্প বিকাশে সহায়ক। দিন বনভূমির পরিমাণ কমে গেলেও আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ বনজ সম্পদ। অসংখ্য নদী বিধৌত ও সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় মৎস্য শিল্প বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশও এখানে বিদ্যমান।

অর্থনৈতিক উপাদানঃ

দেশে বিরাজমান কার্যকর অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা, কৃষি ও শিল্পের অবদান, জনগণের সঞ্চয় ও বিনিয়ােগ মানসিকতা ও সরকারের পৃষ্ঠপােষকতা ব্যবসায় পরিবেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উপাদানগুলাের কয়েকটির ভিত্তি বেশ মজবুত হলেও অনেকগুলাের ভিত্তি তেমন সুদৃঢ় নয়। চাহিদার তুলনায় প্রয়ােজনীয় মূলধনের অভাব, গ্রামীণ জনগণের ব্যাংকিং সেবা ও ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শহরের তুলনায় কম সুবিধা,প্রশাসনিক জটিলতা, দালাল শ্রেণির লােকদের হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ইত্যাদি প্রতিকূল অবস্থা কাটাতে পারলে বাল্লাদেশ ব্যবসায় বিকাশে আরও দ্রুত অগ্রসর হতে পারবে।

সামাজিক উপাদানঃ

জাতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, ভােক্তাদের মনােভাব, মানব সম্পদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রভৃতি ব্যবসায়ের সামাজিক উপাদানগুলাের বেশিরভাগ বাংলাদেশে ব্যবসায় প্রসারের ক্ষেত্রে অনুকূল। এ দেশের মানুষ জাতিগত, ঐতিহ্যগত এবং সাংস্কৃতিকভাবে উদার,পরিশ্রমী এবং সৃজনশীল। অতীতে জাহাজ নির্মাণ করে এবং মসলিন কাপড় উৎপাদন করে এ দেশের মানুষ তাদের প্রতিভা ও পরিশ্রমের বাক্ষর রেখেছে। সােনারগাঁও এক সময় ব্যবসায়, শিক্ষা-দীক্ষা, কৃষি, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প, কারু শিল্পে ছিল বিশ্বসেরা। বর্তমানেও জামদানি শাড়ি তৈরি এবং জাহাজ নির্মাণ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে মুখস্থ নির্ভরতা থেকে বের করে আরও দক্ষতা ও শ্রমনির্ভর করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিল্প, বাণিজ্য, গবেষণায় আরও বেশি সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারবে। সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

রাজনৈতিক উপাদানঃ

সুস্থ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অনুকূল শিল্প ও বাণিজ্যনীতি, প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের সাথে সুসম্পর্ক ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করে। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ঘন সরকার পরিবর্তন, হরতাল, ধর্মঘট, ব্যবসায়-বান্ধব শিল্প ও বাণিজ্য নীতির অভাব ইত্যাদি প্রতিকূল রাজনৈতিক উপাদান শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসারে বাধা সৃষ্টি করে। দেশি ও বিদেশি বিনিয়ােগকারীগণও বিনিয়ােগ করতে উৎসাহিত হয় না। বাংলাদেশে ব্যবসায়ের উক্ত রাজনৈতিক উপাদানের সবগুলাে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বিদ্যমান নেই। শ্রমিক অসন্তোষ, ধর্মঘট, হরতালসহ বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড পরিহার করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসায়ের জন্য রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নত করা যায়।

আইনগত উপাদানঃ

আইনগত পরিবেশের বেশ কিছু উপাদান বালাদেশে আধুনিক ও যুগােপযােগী হলেও অনেকগুলাে বেশ পুরাতন। পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভােক্তা আইনের কঠোর প্রয়ােগ, শিল্প ও বিনিয়ােগ বান্ধব আইন তৈরি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও চাদাবাজি প্রতিরােধে আইনের কঠোর প্রয়ােগের মাধ্যমে দেশের ব্যবসাবাণিজ্যের উন্নতি নিশ্চিত করা যায়।

প্রযুক্তিগত পরিবেশঃ

শিল্প ও ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতিতে দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী, উন্নত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির প্রয়ােজন হয়। সাধারণত দেখা যায়, যে সকল দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত পরিবেশে উন্নত তারা ব্যবসাবাণিজ্যেও উন্নত। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সহজতর করে। ফলে উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশের প্রযুক্তিগত উপাদানগুলাে অনেকক্ষেত্রেই অনুকূল। ব্যবসায়ের সকল শাখায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment