বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি উদ্দেশ্যসমূহ কি?, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি উদ্দেশ্যসমূহ আলোচনা কর,বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি কি?, দেশের বাণিজ্য নীতি কাকে বলে, বাংলাদেশের বাণিজ্যে উদ্দেশ্য

প্রশ্ন সমাধান: বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি উদ্দেশ্যসমূহ কি?, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি উদ্দেশ্যসমূহ আলোচনা কর,বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি কি?, দেশের বাণিজ্য নীতি কাকে বলে, বাংলাদেশের বাণিজ্যে উদ্দেশ্য

কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে প্রভাবিত করে এমন নিয়মকানুন ও রীতিনীতিসমূহের একটি সমন্বিত রূপ হলো বাণিজ্যনীতি। বাণিজ্যনীতি যত স্পষ্ট হয়, ততই তা ব্যবসায়ী ও বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য সহায়ক হয়।

১. প্রয়ােজনীয় দ্রব্যের অমিদানি । প্রয়ােজনীয় অনেক বিদেশগামী আছে যেগুলো আমাদের দেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন সেসব পণ্যদ্রব্য ও সেবাসমাগী বিদেশ হতে আমদানি করা হয়। এক্ষেত্রে জনগণের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবা সভার দিকটি নিশ্চিত করে আমদানি করা হয়। যেমনজীবন রক্ষাকারী ঔষধ এবং শিল্পীয় যন্ত্রপাতি।

২. অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি নিষিদ্ধকরণ : অনেক পণ্যসামগ্রী আছে যেগুলাে আমদানি না করলে কোনাে অসুবিধা নাই, বাণিজ্যনীতি প্রণয়ন করে এ ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হলে অহেতুক বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় হতে দেশ রক্ষা পায়। যেমন- বিলাসজাত দ্রব্য ও ক্ষতিকারক দ্রব্য।

৩. রপ্তানি বৃদ্ধি : দেশের চাহিদা মেটানাের পরদেশীয় উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। রপ্তানির ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যাগুলাে সমাধান করে সুষ্ঠু বাণিজ্যনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে সম্প্রসারণ করা যায়।


আরো ও সাজেশন:-

৪. জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি ও বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে এথেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রায় প্রয়ােজনীয় পণ্য আমদানি করা ; অধিক জনশক্তি রপ্তানি করে অধিক হারে ট্রান্স পাওয়ার মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা বাণিজ্যনীতির উদ্দেশ্য।

৫. শিল্পায়ন একটি দেশের শিল্পের উন্নয়নের উপর। অর্থনীতির উন্নতি নির্ভর করে। যে দেশ শিল্পের দিক থেকে বেশি উন্নত তার অর্থনৈতিক কাঠামাে সুগঠিত। আর এ উন্নয়নের জন্য প্রয়ােজন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এজন্য আমদানি নীতি সহজ করতে হবে, যাতে স্বল্পব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে শিল্পের প্রয়ােজনীয় উপকরণ আমদানি করা যায়।

৬. কর্মসংস্থান : দেশে অনুকূল বাণিজ্যনীতি বিদ্যমান থাকলে শিল্পায়ন ঘটে, উৎপাদন বাড়ে, রপ্তানি বৃদ্ধি পায় এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। এর ফলে শিল্পের প্রসার ঘটে এবং নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে ওঠে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব।

৭. নতুন বাজার সৃষ্টি : বাংলাদেশে রপ্তানিযােগ্য পণ্যের | বাজার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে যােগাযােগের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। এর ফলে পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি হবে এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৮. লেনদেনে ভারসাম্য : বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল | দেশ। এখানে পণ্য রপ্তানির চেয়ে আমদানি করতে হয় বেশি। ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা করা যায় না। লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য পরিকল্পিত | বাণিজ্যনীতি প্রয়ােজন।

৯. অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি : বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলাে প্রচলিত পণের পাশাপাশি অপ্রচলিত পণ্যদ্রব্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করা। অর্থাৎ যে সমস্ত পণ্য | বিদেশে রপ্তানি করা যায় না ঐ সমস্ত পণ্যের বাজার সৃষ্টি করে রপ্তানি বৃদ্ধি করা।

১০, আন্তর্জাতিক পণ্য উন্নয়ন ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিভিন্ন দেশের সাথে সংঘটিত হয়। ফলে সে সকল দেশের সাথে সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। তাই সুষ্ঠু বাণিজ্য নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পণ্য উন্নয়ন ও সম্পর্ক স্থাপন সহজ করা যায়।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, মূলত উপরােক্ত উদ্দেশ্যসমূহ অর্জনের জন্য দেশের বাণিজ্যনীতি নির্ধারিত হলেও সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক কল্যাণ ও সমৃদ্ধির দিক বিবেচনা করে যেকোনাে সময় এক্ষেত্রে বিভিন্ন নীতির সংযােজন, বিয়ােজন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন ঘটে থাকে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment