প্রশ্ন সমাধান: বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণ এবং এর উন্নয়নের জন্য পাঁচটি বাক্য লিখুন,পৃথিবীতে মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান কততম? এ অগ্রগতির উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ লিখুন,হরমুজ প্রনালীর গুরুত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন
বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণ এবং এর উন্নয়নের জন্য পাঁচটি বাক্য লিখুন ।
উত্তর: প্রথমত, ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যায়, এতে প্রাকৃতিক পরিবেশে বা ইকোসিস্টেমে ভারসাম্য ক্ষুণ্ন হয়। এছাড়াও দখল-দূষণে নদী, খাল, বিল ধ্বংস করা ও পানির অপব্যবহার এর অন্যতম কারণ।
এর উন্নয়নের জন্য পাঁচটি বাক্য নিম্নরূপ:
১ . ভূ-উপরিস্থিত বিভিন্ন উৎস থেকে পানির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
২. ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে নদীর পানির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া উচিত।
৩. রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং বা বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার ওপর জোর দেওয়া উচিত।
৪. নদী দখলমুক্ত করা সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে নির্মাণের নামে নদীর স্বকীয়তা নষ্ট করা হচ্ছে, দখল-দূষণ হচ্ছে- এগুলো বন্ধ করতে হবে।
৫. নদীসহ খাল ও অন্যান্য জলাশয়ে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।
আরো ও সাজেশন:-
পৃথিবীতে মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান কততম? এ অগ্রগতির উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ লিখুন ।
উত্তর: মিঠা পানির মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এ অগ্রগতির উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ নিম্নরূপ:
এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে মূলত ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি। দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়গুলোতে গত এক যুগে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এর কারণ প্রজনন ঋতুতে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা আগের তুলনায় বেশি কার্যকর হচ্ছে।
দেশের হাওড় এবং উজানে প্রাকৃতিকভাবে গত এক দশকে মাছের উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাওড় এলাকায় জলাশয় ইজারা দেবার সরকারি পদ্ধতি বাতিল হবার কারণে এ অগ্রগতি হয়েছে। এখন নতুন নিয়মে কোন নির্দিষ্ট কম্যুনিটি একটি জলাশয়ের দায়িত্ব পায়, সেখানে মাছের আবাস ও উৎপাদন স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারের দেয়া নিয়মাবলী মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটর করা হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এর ফলেই মাছের আবাসস্থল বা হ্যাবিটাট অটুট থাকছে, ফলে মাছের প্রজনন নির্বিঘ্নে হতে পারছে। বাংলাদেশে গত এক দশকে ‘প্রায় বিলুপ্তির মুখ থেকে ফিরে এসেছে এমন দেশি মাছের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। ‘প্রায় বিলুপ্ত অবস্থা থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে মাছের ফিরে আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে হাওড় এলাকা এবং মেঘনা নদীর অববাহিকায়। এর বাইরে গবেষণার মাধ্যমে ফেরানো হয়েছে কিছু প্রজাতির মাছ, যেগুলো এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়।
এর বাইরে প্রাকৃতিক উপায়েও মাছের উৎপাদন বেড়েছে, মূলত হাওড় অঞ্চল এবং মেঘনা নদীর অববাহিকায়। প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই ২৩টি প্রজাতির মাছকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ফলেই এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
হরমুজ প্রনালীর গুরুত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর: হরমুজ প্রণালী গুরুত্বপূর্ণ একটি সমুদ্রপথ। হরমুজ প্রণালী একটি সরু জলপথ যা পশ্চিমের পারস্য উপসাগরকে পূর্বে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এটি আরব উপদ্বীপকে ইরান থেকে পৃথককারী। বিশ্বের অন্যতম বড় কয়েকটি অশোধিত তেল উৎপাদক দেশ এই পানিপথ দিয়েই তাদের তেল রফতানি করে থাকে।
৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চ্যানেলটি পারস্য উপসাগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ওমান ও ইরানকে সংযুক্ত করেছে। এই রুটটি আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তেলবাহী জাহাজ যাতায়াতের এটিই একমাত্র পথ । বিশ্বব্যাপী পেট্রোলিয়াম পরিবহনে প্রণালীটির কৌশলগত গুরুত্ব অত্যধিক। জলপথটির সবচেয়ে সরু অংশের দৈর্ঘ্য ২১ মাইল এবং প্রস্থ ২ মাইল ।
মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন কর্তৃপক্ষের মতে, ২০০৯ সালে সমুদ্রপথে তেল বাণিজ্যের ৩৩ শতাংশ হয় হরমুজ প্রণালী দিয়ে এবং ২০০৮ সালে হয়েছিল ৪০ শতাংশ। ২০০৯ সালে হরমুজ দিয়ে এক দিনে দেড় কোটি ব্যারেল তেল পরিবাহিত হতো। এ অঞ্চল দিয়ে তেল পরিবহন নির্বিঘ্ন রাখতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নিয়মিত পাহারা দিচ্ছে। হরমুজ প্রণালী দিয়ে পরিবাহিত তেলের বেশিরভাগই যায় এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ।
জাপান তার আমদানিকৃত তেলের তিন-চতুর্থাংশ হরমুজের ওপর দিয়ে নিয়ে যায়। আর চীনের আমদানিকৃত তেলের অর্ধেকই আসে হরমুজ প্রণালী হয়ে। তাছাড়াও: পৃথিবীতে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল রফতানি হয়, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগই যায় হরমুজ প্রণালী দিয়ে ।
প্রতিদিন এক কোটি ৯০ লাখ ব্যারেল তেল রফতানি হয় এ সমুদ্রপথে। অন্যদিকে মালাক্কা প্রণালী দিয়ে জ্বালানি তেল রফতানি হয় এক কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল এবং সুয়েজ খাল দিয়ে প্রতিদিন ৫৫ লাখ ব্যারেল তেল রফতানি হয়।
ইরানের জ্বালানি তেল রফতানির প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহার হয় হরমুজ প্রণালী। সে হিসেবে দেশটির অর্থনীতির জন্য এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- পরিচলনা পর্ষদের কার্যক্রম কিভাবে মূল্যায়ন করা হয়
- একস্তর ও দ্বিস্তর পার্থক্য । একস্তর vs দ্বিস্তর পার্থক্য
- মার্চেন্ট ফাইন্যান্স ও কর্পোরেট ফাইন্যান্স পার্থক্য, মার্চেন্ট ফাইন্যান্স vs কর্পোরেট ফাইন্যান্স পার্থক্য
- অর্থের সময় মূল্যের অগ্রাধিকার কারণ সমূহ আলোচনা কর
- একটি কোম্পানিতে চেয়ারম্যানের ভূমিকা মূল্যায়ন কর
- বিজনেস ফাইন্যান্স ও কর্পোরেট ফাইন্যান্স বৈষম্য