বাংলাদেশে মাইক্রোফাইন্যান্স সম্পর্কিত সরকারি গাইডলাইন সমূহ উল্লেখ কর

বাংলাদেশে মাইক্রোফাইন্যান্স সম্পর্কিত সরকারি গাইডলাইন সমূহ উল্লেখ কর।

বাংলাদেশে মাইক্রো ফাইন্যান্স সম্পর্কিত সরকারি গাইডলাইনসমূহ উল্লেখ কর।

উত্তর : বাংলাদেশে অসংখ্য মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান যাতে সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে সেজন্য সরকার কতিপয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এসব দিকনির্দেশনা পালন করে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে ।

বাংলাদেশে মাইক্রো ফাইন্যান্স সম্পর্কিত সরকারি গাইডলাইনসমূহ : নিম্নে বাংলাদেশের মাইক্রো ফাইন্যান্স সম্পর্কিত গাইডলাইনসমূহ উল্লেখ করা হলো :

১. সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে আইন এবং এই বিধিমালার সফল বিধান প্রতিপালন করতে পারে ।

২. সনদপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত কর্ম এলাকার বাইরে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না ।

৩. প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ও শাখা কার্যালয়ে সুস্পষ্ট ঠিকানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

৪. প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে পূর্বেই অবহিত করতে হবে।

৫. প্রধান কার্যালয় ও শাখা কার্যালয়ের ঠিকানা পরিবর্তনের বিষয়টি গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকলকে অবহিত করতে হবে।

৬. সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বিধি ১৫ এ নির্ধারিত বাৎসরিক ফি প্রদান করতে হবে।

৭. কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ এবং কর্তৃপক্ষ পরিদর্শক ও তদন্ত কাজে সহায়তা করতে বাধ্য থাকবে । সনদ সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ, প্রত্যাহার ইত্যাদি; যেমন-

(ক) কর্তৃপক্ষের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, আমানতকারীদের স্বার্থে বা জনস্বার্থে কোনো সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা প্রয়োজন তাহলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে শুনানির সুযোগ প্রদানপূর্বক লিখিত আদেশ দ্বারা অনবিক ১২ মাস মেয়াদের জন্য সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে পারবে।

(খ) উপবিধি (১) এ যা কিছুই থাকুক না কেন কর্তৃপক্ষের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, জনস্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে শুনানির সুযোগ ব্যতিরেকেই তার সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে পারবে। যার মেয়াদ সর্বাধিক ১২ মাসের বেশি হবে না ।

(গ) উপরিধি (২) এর অধীনে সাময়িকভাবে সনদ স্থগিত রাখার আদেশ প্রদানের অনুবর্তী ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানের বিজ্ঞপ্তি
প্রদান করতে হবে ।

(ঘ) উপবিধি (৩) এর অধীন প্রদত্ত কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তি প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে তার জবাব প্রদান করলে উক্ত জবাব কর্তৃপক্ষের নিকট সন্তোষজনক বিবেচিত হলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আদেশ প্রত্যাহার করবে ।

(ঙ) উপবিধি (১) ও (২) এর অধীনে সাময়িকভাবে সনদ স্থগিত রাখার আদেশের মেয়াদ বলবৎ থাকাকালে কর্তৃপক্ষ যদি এই মের্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনস্বার্থ বা আমানতকারীদের স্বার্থে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষ উক্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করতে পারবে।

(চ) উপবিধি (১) ও (২) এর অধীনে কোনো ক্ষুদ্র ঋণ- প্রতিষ্ঠানের সনদ সমসাময়িকভাবে স্থগিত করার আদেশ দ্বারা কোনো ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান সংক্ষুব্ধ হলে উক্ত আদেশের তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবে এবং আবেদনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত ধরে গণ্য হবে। পরিশেষে বলা যায়, উল্লিখিত দিকনির্দেশনার আলোকে ক্ষুদ্র অর্থায়ন পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়।

একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ বাংলাদেশে মাইক্রোফাইন্যান্স সম্পর্কিত সরকারি গাইডলাইন সমূহ উল্লেখ কর।

Leave a Comment