‘বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন’ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ লিখুন বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, অনুচ্ছেদ বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন , অনুচ্ছেদ বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন অনুচ্ছেদ, বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন অনুচ্ছেদ PDF Download,অনুচ্ছেদ নিয়োগ পরীক্ষায় আসা বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ

বিষয়: ‘বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন’ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ লিখুন বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, অনুচ্ছেদ বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন , অনুচ্ছেদ বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন অনুচ্ছেদ, বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন অনুচ্ছেদ PDF Download,অনুচ্ছেদ নিয়োগ পরীক্ষায় আসা বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বাস্তবায়ন হয়েছে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ’। দেশের প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। নেই লোডশেডিংয়ের ভয়াবহ সেই যন্ত্রণা। শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার (২১ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাঙ্খিত মাইলফলক অর্জনের ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে সরকার। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রায় পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের দেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন তিনি । এসময় তিনি দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন।

করোনা মহামারি শুরুর পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাইরে দেশের অন্য কোথাও এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সফর। এদিন প্রধানমন্ত্রী পায়রা তাপ বিদ্যুকেন্দ্র পরিদর্শন এবং এর নাম ফলক উন্মোচন করবেন। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে ১৩২০টি পায়রা ওড়ানো হবে।

রোববার (২০ মার্চ) বিকেলে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সাংবাদিকদের বলেন, সময়ের আগে কাজ শেষ হয়ে গেছে। করোনা বাস্তবতার কারণে প্রধানমন্ত্রী এখন উদ্বোধন করছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করবেন। প্রধানমন্ত্রী মুজিব বর্ষে সবাইকে বিদ্যুৎ দিতে চেয়েছিলেন, দিয়ে ফেলেছি।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ছিল ৪৭ শতাংশ। গত ১৩ বছরে ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। সম্ভাব্য সব এলাকায় সঞ্চালন লাইন স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে সরকার। একেবারের দুর্গম এলাকাগুলোতে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।

২০০৯ সালে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। গত ১৩ বছরে ৩ কোটি ১৩ লাখ বেড়ে বর্তমানে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা হয়েছে ৪ কোটি ২১ লাখ। ২০০৯ সালে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, বর্তমানে এ ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্যসহ)।

২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল ২৭টি, বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১৫০ টি। ১৩ হাজার ২১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।

২০০৯ সালে বিদ্যুতের বিতরণ লাইন ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার, বর্তমানে ৬ লাখ ২১ হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দুর্গম এলাকার মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে ৬০ লাখ সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে।

কলাপাড়ার ধানখালীর পায়রাতে নির্মিত সর্বাধুনিক আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কয়লা ভিত্তিক এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালুর মধ্য দিয়ে ২০২০ সালেই বাংলাদেশ আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল ক্লাবে প্রবেশ করে। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৩তম দেশ; এশিয়ায় সপ্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়া শুধু ভারতে এ ধরনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।

৬৬০ মেগাওয়াট করে দুই ইউনিট মিলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি উৎপাদনে আসে ২০২০ সালের মে মাসের ১৫ তারিখে। সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসে একই বছরের ৮ ডিসেম্বর। তবে সঞ্চালন অবকাঠামো নির্মাণ শেষ না হওয়ায় কেন্দ্রটি থেকে ক্ষমতার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানায় যৌথভাবে রয়েছে বাংলাদেশ ও চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)। বাংলাদেশের নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডাব্লিউপিজিসিএল) ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান অংশীদারিত্বে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।

শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রসঙ্গে সম্প্রতি গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। যেসব জায়গায় গ্রিড লাইন নেই সেখানে সোলার প্যানেল দিয়েছি। খুঁটে খুঁটে বের করছি, কোন জায়গায় নেই। সর্বশেষ পেলাম গঙ্গাছড়াতে ৭০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। সেখানে আমি সোলার প্যানেল করে দিয়েছি। এখন কিন্তু শতভাগ বিদ্যুৎ হয়ে গেছে আমাদের দেশে। যেটা আমাদের টার্গেট ছিল।

তিনি বলেন, কিছু কিছু দ্বীপ অঞ্চল, সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে লাইন নিয়ে গেছি, যেমন সন্দীপে নিয়ে গেছি, ভোলার কিছু অঞ্চল, তাছাড়া বেশির ভাগ স্থানে সোলার প্যানেল দিচ্ছি। গ্রিড লাইন আরও তৈরি করছি, যাতে আরও সুষ্ঠু ভাবে বিদ্যুৎ দিতে পারি।


আরো ও সাজেশন:-

অথবা, অনুচ্ছেদ বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন

শতভাগ বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বিশ্বের ১৩তম আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশে পরিণত হল ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশ।

আজ সোমবার বেলা ১টার দিকে পটুয়াখালীর পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের (১ম পর্যায়) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে ‘মুজিব শতবর্ষে শতভাগ’ বিদ্যুৎ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তিনি।

এদিন বেলা পৌনে ১২টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি সুধীসমাবেশে যোগ দিয়ে দেশের শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসা কথা ঘোষণা দেন।

সুধীসমাবেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এখন পর্যন্ত স্থাপিত দেশের সর্ব বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ১৩তম আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশ। এই কেন্দ্রে জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব ক্লিন কোল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সালফার নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ফ্লু-গ্যাস ডিসালফারাইজেশন (এফজিডি) ইউনিট এবং ফ্লাই এ্যাশ নির্গমণ রোধে ৯৯% দক্ষতা সম্পন্ন ইলেক্ট্রো-স্ট্যাটিক প্রেসিপিটেটর (ইএসপি) যুক্ত করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে, আমরা প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০টি পরিবারকে বাড়ির চাবি ও দলিলাদি হস্তান্তর করেছি। একটি মাধ্যমিক (ভোকেশনাল) ইনস্টিটিউট স্থাপন করে ২০২০ সাল থেকে পাঠদান শুরু করেছি। তাছাড়া, এখানে কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, খেলার মাঠও স্থাপনসহ সবুজ বনায়ন কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়েছে।’

‘আমাদের নির্মাণাধীন অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু হলে যথাসময়েই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারব। সারা দেশে শিল্পায়নের ভারসাম্য রক্ষা হবে, দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়ক হবে। মহামারির সময়েও দেশি-বিদেশি কর্মী, প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়ায় আমি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

‘১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করার পর বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম ১৬০০ মেগাওয়াট, ২০০০-২০০১ অর্থবছরে তা ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিলাম। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি এবং সরকারি-বেসরকারি মিশ্রখাত সৃষ্টির জন্য আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছিলাম। পুরোনো প্লান্টগুলো পুনর্বাসনসহ ক্যাপ্টিভ পাওয়ার জেনারেশনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম, যাতে ব্যবহারের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে বিক্রি করতে পারে। তাছাড়া, তাপবিদ্যুৎ, গ্যাস টারবাইন, জলবিদ্যুৎ, কম্বাইন্ড সাইকেল এবং পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমে বহুমুখী বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিয়েছিলাম।’ বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে সময়ই আমরা ২০২০ সালের মধ্যে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে ‘ভিশন স্টেটমেন্ট ও পলিসি স্টেটমেন্ট অন পাওয়ার সেক্টর রিফর্মস’ প্রণয়ন ও অনুমোদন করি। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে ‘বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার পাওয়ার এ্যাকশন প্লান-২০০০’ প্রণয়ন করি। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৪৮৯ কি.মি. বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন নির্মাণ করে ১৩ হাজার ৭১৩টি গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করি এবং আরও ৩৪ হাজার গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করার পরিকল্পনা নিই। আমরা ৩২ হাজার নতুন সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিই।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (স্রেডা), বাংলাদেশ এনার্জি ও পাওয়ার রিসার্স কাউন্সিল (বিপিআরসি) এবং এ ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়নে ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা সঞ্চালন লাইন ২৮ হাজার ৩২০ সার্কিট কিলোমিটারে এবং বিতরণ লাইন ছয় লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটারে উন্নীত করব। গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে সকল সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে এবং পর্যায়ক্রমে সকল মিটার প্রিপেইডে রূপান্তরিত করব। ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আহরণ করা লক্ষ্যে কাজ করছি।’

রচনা ,প্রবন্ধ উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র উত্তর লিংক অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক
চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রতিবেদন উত্তর লিংক
Paragraphউত্তর লিংক Compositionউত্তর লিংক
Applicationউত্তর লিংক Emailউত্তর লিংক
Essayউত্তর লিংক Letterউত্তর লিংক

অথবা, অনুচ্ছেদ বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন

শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ’ বাস্তবায়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করছে তারা।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে ‘পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র’ নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)। প্রকল্পের প্রথম অংশে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট মিলিয়ে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আরও ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান। এটি ২০২৪ সালের মাঝামাঝি শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদুল আলম।

তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির। এখানে আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যেন পরিবেশকে সুরক্ষা করা যায়। পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সালফার, নাইট্রোজেন ও বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালস দ্বারা। এই তিনটিই এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি।

এম খোরশেদুল আলম আরও বলেন, আমরা পরিবেশকে এতটাই গুরুত্ব দিচ্ছি যে, কেউ যদি না বলে এটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, আপনি বুঝতেও পারবেন না। কয়লার একটা ডাস্টও এখানে পাবেন না।

বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা হলো- বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে। তিনি জানান, দুটো লাইনে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন হবে। একটি পায়রা থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকার আমিনবাজার পর্যন্ত। আরেকটি খুলনা হয়ে যশোর পর্যন্ত।

বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুৎ সুবিধা পেত ৪৭ শতাংশ মানুষ। ২০২২ সালে এসে এটি শতভাগে উন্নীত হয়েছে। গত ১৩ বছরে ৫৩ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, মুজিববর্ষের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা ছিল আমাদের। আমরা সেটি করতে সক্ষম হয়েছি। একটা সময় অনেকে এ নিয়ে নানা সমালোচনা করেছেন, আজ কিন্তু সেটি বাস্তবতা। পুরো জাতি দেখতে পাচ্ছে ও এর সুফল ভোগ করবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফলে এ অঞ্চলে কর্মচাঞ্চল্য গতি পাবে। শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে।

এ দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের একটা স্বপ্নের প্রকল্প উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সোমবার। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে এই এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নানাভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘিরে মানুষের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। এই প্রকল্পে অনেকেই কাজ করছেন এবং এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আরও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিস্তৃত হয়েছে। সে কারণে এই এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পরে কুয়াকাটাকেন্দ্রিক পর্যটনেরও ব্যাপক উন্নয়ন হবে। সামগ্রিকভাবে মানুষ খুব আশাবাদী, অনেক খুশি।

তিনি বলেন, আগামী ৫-১০ বছরে এটা বাংলাদেশের জন্য একটা পাওয়ার হাবে পরিণত হবে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করার যে প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন শেখ হাসিনা, তা আজ দৃশ্যমান। দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের সময় মানুষ যে অন্ধকার যুগে ছিল, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তা থেকে বেরিয়ে শতভাগ আলোর পথে এসেছে।

তিনি বলেন, জনগণের প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা, যে দায়িত্ব- তা পালনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। সে পথেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আগামীকাল পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে শতভাগ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষও উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ শুধু কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী জানিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মানুষের কাছে যে অঙ্গীকার করেছেন তা পূরণের মাধ্যমেই তিনি মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ কাজে বিশ্বাসী, এই কারণেই বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ওপর আস্থাশীল। জনগণের সমর্থন নিয়েই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবারও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি যেখানে আছে তখন তার চেয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। তার সুদৃষ্টির কারণে আজ পুরো বাংলাদেশ বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, শেখ কামাল সেতু, শেখ জামাল সেতু, শেখ রাসেল সেতু, সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের মতো মেগা প্রকল্প এ অঞ্চলে করেছেন। এ সব কিছুই তার অবদান।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবারের জন্য নির্মিত আবাসন প্রকল্প ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ উদ্বোধন করেছিলেন। সেসময় প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন। তারও আগে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।



অথবা, অনুচ্ছেদ বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে। ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশের প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ। এখন আর নেই লোডশেডিংয়ের ভয়াবহ যন্ত্রণা। এরই মধ্য দিয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার (২১ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাঙ্খিত মাইলফলক অর্জনের ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে রবিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সশরীরে উপস্থিত থেকে দেশের সর্ববৃহৎ এই বিদ্যুতকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। এরপর সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি। এই সমাবেশ থেকেই দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিব, চীনা রাষ্ট্রদূত, বিসিপিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় সাজ সাজ রব। রংবেরঙের আল্পনা দিয়ে সাজানো হয়েছে জেলেদের মাছ ধরার ২২০টি নৌকা, যেগুলো উদ্বোধন স্থলের পাশে রাবনাবাদ নদীতে ভাসবে। প্রতিটি নৌকায় রংবেরঙের পোশাকে থাকা পাঁচজন জেলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী আগমন উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট করপোরশনের (সিএমসি) মধ্যে দুটি ইউনিট থেকে মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বেশ কিছু দিন আগে। প্রথম ইউনিটটি ২০২০ সালের ১৫ মে প্রথম উৎপাদনে আসে। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজও শেষ হয়। কিন্তু গোপালগঞ্জ সাবস্টেশনের ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় এবং গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিনবাজার পর্যন্ত সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখনো জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়নি। এগুলোর কাজ এখনো চলছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প পরিচালক শাহ গোলাম মাওলা জানান, পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে। ১ হাজার একর জমির ওপর নির্মিত কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। তবে পুরো টাকা খরচ হয়নি। ১শ মিলিয়ন ডলারের মতো সাশ্রয় হয়েছে। পরিবেশবান্ধব এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন ১৩ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হবে। এখন দ্বিতীয় ফেইজের নির্মাণকাজ চলছে। আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ নির্মাণকাজ শেষ হলে এই প্রকল্প থেকে মোট ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শুধু পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রই নয়, দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।


[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


অথবা, অনুচ্ছেদ বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন

বাংলাদেশ এখন শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে। চর থেকে পাহাড়, দ্বীপ থেকে প্রত্যন্ত জনপদ সব জায়গায় পৌঁছে গেছে বিদ্যুতের আলো, পাল্টে গেছে জীবনযাত্রা। বাকি কেবল পার্বত্য চট্টগ্রামের ০ দশমিক ১৫ ভাগ এলাকা। চলতি মাসের মধ্যে অবশিষ্ট কাজও শেষ করতে চায় বিদ্যুৎ বিভাগ।

খাগড়াছড়ির ঠাকুরছড়া, বিচ্ছিন্ন এই জনপদে আঁধার নামতেই জনজীবন স্থবির হতো। তবে এখন রাতের অন্ধকার দূর করে জনজীবন সচল থাকে বহুক্ষণ। দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সৌর বিদ্যুতের আলো জীবনযাত্রা পাল্টে দিয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং বলেন, রিমোট এলাকা, সেই এলাকায় আমরা প্রায় ১১ হাজারের মতো সৌরবিদ্যুতের লাইন দিয়েছি। সাড়ে ৪২ হাজার পরিবারের মধ্যে সোলার আলো দেওয়া হবে বিনাপয়সায়।

মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দুর্গম চরাঞ্চলে নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আরও দুর্গম কিছু এলাকায় দেওয়া হয়েছে জেনারেটর। এভাবেই গেল এক যুগে বিদ্যুতের গ্রাহক বেড়েছে তিন কোটি ২১ লাখ।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন বলেন, আগে গ্রাহকরা অফিসে আসত বিদ্যুৎ লাইনের জন্য। এখন আমরা উল্টো গ্রাহকের কাছে যাচ্ছি বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য। ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ আমাদের একটি কর্মসূচি। তার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আর আমাদের অফিসে আসলেও আমরা দ্রুত বিদ্যুতায়নের আওয়ায় নিয়ে আসছি। পাওয়ার সেলের তথ্যমতে, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুতের গ্রাহক ছিল এক কোটি আট লাখ, বর্তমানে যা ৪ কোটি ১৮ লাখ। ২০০৯ সালে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, বর্তমানে ২৫ হাজার ২৮৪ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎকেন্দ্র ২৭টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭টিতে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলক অতিক্রম করবে বাংলাদেশ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা গ্রিড লাইনে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করে ফেলেছি প্রায় ২০২০ সালের শেষ নাগাদ। আমাদের চ্যালেঞ্জটা ছিল চর এলাকায় কত দ্রুত বিদ্যুৎ নিয়ে আসতে পারি। আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য দুর্গম চরগুলোতে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কানেকশন দিচ্ছি। যে চ্যালেঞ্জটা আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় এখনও বাকি আছে, সেগুলো সোলার ছাড়া উপায় নাই।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, দশমিক ১৫ হলো ওই অংশটুকু। সে অংশটুকু সোলারের মাধ্যমে, পার্বত্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সেটা বিদ্যুতায়ন হবে। আমরা যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রীর সুবিধামতো সময়ে শতভাগ যে বিদ্যুতায়ন হয়েছে তা আমরা ঘোষণা আসবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানের পর বাংলাদেশই হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ। তবে মাত্র সাড়ে সাত লাখ মানুষের দেশ ভুটানের চেয়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটা অনেক বড় ছিল, যা জনসংখ্যার বিচার করলেই বোঝা যায়।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, আমাদের বিদ্যুতের ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনীতিকে সমর্থন করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হবে ২২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। সে সময় উৎপাদন ক্ষমতা থাকবে প্রায় দ্বিগুণ


রচনা ,প্রবন্ধ উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ উত্তর লিংক
আবেদন পত্র উত্তর লিংক অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক
চিঠি ও ইমেল উত্তর লিংক প্রতিবেদন উত্তর লিংক
Paragraphউত্তর লিংক Compositionউত্তর লিংক
Applicationউত্তর লিংক Emailউত্তর লিংক
Essayউত্তর লিংক Letterউত্তর লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

Leave a Comment