বাংলায় ইউরােপীয়দের আগমন ও শাসন
- সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে বাংলায় আসা ইউরােপীয় জাতি– পর্তুগিজ।
- সমুদ্র পথে প্রথম ভারতে আসেন; পতুর্গিজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা।
- তিনি ভারতের কালিকট বন্দরে পৌঁছেন ১৪৯৮ সালের ২৭ মে।
- ওলন্দাজরা উপমহাদেশে আসে- ১৬০২ খ্রিস্টাব্দে; দিনেমাররা (ডেনমার্ক) আসে- ১৬১৬ সালে, ফরাসিরা আসে- ১৬৬৪ সালে।
- পর্তুগিজরা চট্টগ্রাম ও সাতগাঁওয়ে কুঠি স্থাপনের অনুমতি লাভ করে ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে; তাদের চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত করেন- শায়েস্তা খান।
- পর্তুগিজরা চট্টগ্রাম বন্দরের নাম দেন – পাের্টোগ্রান্ডে।
- ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয় – ১৬০০ সালে; সম্রাট জাহাঙ্গীরের অনুমতি নিয়ে তারা প্রথম কুঠি স্থাপন করেন— সুরাটে (১৬১২)।
- ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মিত হয় কলকাতায় (১৭০০); এ দুর্গকে কেন্দ্র করেই ভারতে সূচিত হয় ব্রিটিশ শাসন।
- ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার রাজস্ব আদায় ক্ষমতা/দেওয়ানী লাভ করে–১৭৬৫ সালে ।
- ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় দ্বৈত শাসন প্রবর্তন করে— ১৭৬৫ সালে।
- বাংলায় দ্বৈত শাসনের মারাত্মক পরিণতি ছিয়াত্তরের মন্বন্তর (বাংলা ১১৭৬, ইংরেজি ১৭৭০ খ্রি.)।
- দ্বৈতশাসনের অবসান ঘটে- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে।
- ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময় বাংলার গভর্নর ছিলেন কার্টিয়ার ।
- লর্ড কর্ণওয়ালিস গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে, তিনি চিরস্থায়ী ভূমি বন্দোবস্ত ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন- ১৭৯৩ খ্রি.।
- ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন— ১৭৭২ সালে; তিনি পাঁচসালা বন্দোবস্ত চালু করেন- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে।
- তিনি ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের প্রথম সূচনা করেন।
- ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম পুলিশ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন- লর্ড ক্যানিং; উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রাও তিনি চালু করেন।
- লর্ড রিপন কর্তৃক গঠিত শিক্ষা কমিশনের নাম হান্টার কমিশন।
[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]
মুঘল শাসনামলে বাংলা
- মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মুহম্মদ বাবর (১৫২৬); বাবর শব্দের অর্থ— বাঘ, সম্রাট বাবর রচিত আত্মজীবনীর নাম- তুযুক-ই-বাবর বা বাবরনামা।
- সম্রাট আওরঙ্গজেব এর পরবর্তী বংশধর – দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ। এজন্য মূলত: আওরঙ্গজেবকে সম্রাট বাবরের শেষ বংশধর হিসেবে গণ্য করা হয়।
{বাবর থেকে আওরঙ্গজেব মনে রাখুন এভাবে বাবার (বাবর) হইল (হুমায়ূন) আবার (আকবর) জ্বর (জাহাঙ্গীর) সারিল (সাজাহান) ঔষধে (ঔরঙ্গজেব বা আওরঙ্গজেব)।}।
- মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক- সম্রাট আকবর; তিনি বাংলা জয় করেন- ১৫৭৫ সালে; সম্রাট আকবর প্রবর্তিত ধর্মের নাম দীন-ই-ইলাহী।
- ই-বাঙ্গালা’ নামে পরিচিতি লাভ করে- সম্রাট আকবরের সময়।
- সম্রাট আকবরের রাজসভার গায়ক তানসেনকে বলা হয়- বুলবুল-ই-হিন্দ; তাঁর রাজসভার বিখ্যাত কৌতুককার ছিলেন- বীরবল।
- মুঘল সম্রাট হুমায়ুন বাংলার নাম দেন জান্নাতাবাদ; হুমায়ুনকে পরাজিত করে দিল্লির সিংহাসনে বসেন- শেরশাহ।
- ভারতবর্ষে ঘােড়ার ডাকের প্রবর্তক শেরশাহ; গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রােডের নির্মাতা- শেরশাহ; গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রােডের অপর নাম— সড়ক-ই-আজম; শেরশাহ চালুকৃত মুদ্রার নাম— দাম।
- বাংলায় বার ভূঁইয়াদের উত্থান ঘটে— সম্রাট আকবরের সময়।
- বার ভূঁইয়াদের শ্রেষ্ঠ ভূঁইয়া ঈশা খান।
- ঈশা খান বাংলার রাজধানী প্রতিষ্ঠিত করেন- সােনারগাঁওয়ে।
- পানি পথের প্রথম যুদ্ধ—১৫২৬, দ্বিতীয় যুদ্ধ- ১৫৫৬, তৃতীয় যুদ্ধ- ১৭৬১।
- পানিপথ অবস্থিত দিল্লির অদূরে যমুনা নদীর তীরে, ভারতবর্ষে প্রথম কামানের ব্যবহার হয় পানি পথের প্রথম যুদ্ধে।
- পানিপথের ১ম যুদ্ধে ইব্রাহিম লােদি বাবরের বাহিনীর নিকট পরাজিত হন, পানি পথের ২য় যুদ্ধে- আফগান নেতা হিমু আকবরের সেনাপতি বৈরাম খানের নিকট পরাজিত হন এবং পানি পথের ৩য় যুদ্ধে মারাঠারা আহমদ শাহ আবদালির নিকট পরাজিত হন।
- আইন-ই-আকবরীর রচয়িতা- আবুল ফজল।
- এই গ্রন্থে বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি সর্বাধিক উল্লেখিত হয়েছে।
- তাজমহল ও ময়ূর সিংহাসনের নির্মাতা- সম্রাট শাহজাহান; দিল্লি আক্রমণ করে কোহিনুর ও ময়ূর সিংহাসন লুট করেন নাদির শাহ।
- বাংলার প্রথম সুবেদার ইসলাম খা; তিনি প্রথম বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন ঢাকায় (১৬১০); ঢাকার নামকরণ করেন— জাহাঙ্গীরনগর। ঢাকা প্রথম রাজধানী হয়— ১৬১০ সালে।
- ঢাকার ধােলাই খাল নির্মাণ করেন—ইসলাম খা; লালবাগ দুর্গ নির্মাণ করেন শায়েস্তা খান।
- বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন নবাব-মুর্শিদকুলি খান (কেননা তিনি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার প্রথম স্বাধীন নবাব ছিলেন)।
- শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর বা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ, তাঁর কবর- ইয়াঙ্গুন।
- বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা।
- পলাশী যুদ্ধ সংগঠিত ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন; ভাগিরথী নদীর তীরে, এ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতের ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা হয়।
- পলাশী যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন রবার্ট ক্লাইভ; নবাব বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন— মীর জাফর।
- সিরাজউদ্দৌলার প্রকৃত নাম— মির্জা মােহাম্মদ; পিতার নাম জয়েন উদ্দিন; মাতার নামআমিনা বেগম; তাঁর বিরুদ্ধে প্রসাদ ষড়যন্ত্র করেন- ঘসেটি বেগম।
- বক্সারের যুদ্ধ সংগঠিত হয়— ২২ অক্টোবর, ১৭৬৪ সালে; এ যুদ্ধে ইংরেজদের নিকট শােচনীয় পরাজয় বরণ করেন- মীর কাসিম।
- অন্ধকূপ হত্যা কাহিনী তৈরি করেন— হলওয়েল; হলওয়েল মনুমেন্ট হলাে- সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে নির্মিত মনুমেন্ট।
সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
বাংলায় মুসলমান ও স্বাধীন সুলতানি শাসনামল
- ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন— মুহাম্মদ বিন কাসিম; সিন্ধু ও মুলতানের রাজা দাহিরকে পরাজিত করে তিনি ৭১২ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু জয় করেন। তিনি সর্বপ্রথম উপস্থিত হন- সিন্ধুর দেবল শহরে।
- বাংলায় মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন— ইখতিয়ার উদ্দিন মােহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী; বাংলার শেষ হিন্দু রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে তিনি বাংলা জয় করেন-১২০৪ খ্রিস্টাব্দে।
- ভারতে সর্বপ্রথম তুর্কি সাম্রাজ্যের বিস্তার করেন— মুহাম্মদ ঘুরী; ঘুরীর প্রকৃত নাম মঈজউদ-দীন মুহাম্মদ-বিন-সাম।
- তারাইনের প্রথম ও দ্বিতীয় যুদ্ধ সংগঠিত হয়— মুহাম্মদ ঘুরী ও পৃথ্বীরাজ চৌহানের মধ্যে; প্রথম যুদ্ধে (১১৯১) জয়লাভ করেন— পৃথ্বীরাজ; দ্বিতীয় যুদ্ধে (১১৯২) জয়লাভ করেনমুহাম্মদ ঘুরী।
- গজনীর সুলতান মাহমুদ ১০০০ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারত আক্রমণ করেন— ১৭ বার; সুলতান মাহমুদের সভাকবি ছিলেন মহাকবি ফেরদৌসী (প্রাচ্যের হােমার); সভার শ্রেষ্ঠ দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ ছিলেন- আল বেরুনী।
- বাংলায় স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করেন— ফখরুদ্দিন মােবারক শাহ; তিনি চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি রাজপথ নির্মাণ করেছিলেন।
- দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা— শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ; তিনি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন- কুতুব মিনারের।
- দিল্লির সিংহাসনে আরােহণকারী প্রথম মুসলিম নারী— সুলতানা রাজিয়া সুলতানা রাজিয়া সিংহাসনে আরােহণ করেন- ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ছিলেন— শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশের কন্যা।
- দিল্লি থেকে বাংলার রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন— মুহাম্মদ বিন তুঘলক; তিনি ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম প্রবর্তন করেন প্রতীকী মুদ্রা।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মধ্যযুগীয় মসজিদ— ষাট গম্বুজ মসজিদ (বাগেরহাট); মসজিদের প্রকৃত গম্বুজ সংখ্যা- ৮১টি; মসজিদটি (পঞ্চম শতাব্দীতে) নির্মাণ করেন— খান জাহান আলী।
- তৈমুর লং ভারত আক্রমণ করেন—১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে।
- ভারতবর্ষে স্থায়ী মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান কুতুবুদ্দিন আইবেক; তিনি প্রথম জীবন শুরু করেছিলেন মুহাম্মদ ঘুরীর কৃতদাস হিসেবে তিনি কুতুব মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
- দানশীলতার জন্য তাকে বলা হতাে— লাখবক্স। ইবনে বতুতা ভারতবর্ষে আগমন করেন— মুহাম্মদ বিন তুঘলকের রাজত্বকালে; তুঘলক— ইবনে বতুতাকে প্রথমে দিল্লির কাজী এবং পরে চীনের রাষ্ট্রদূত করেন।
- বতুতা ছিলেন- মরক্কোর নাগরিক; ভ্রমণ করেন সােনারগাঁও; তাঁর রচিত গ্রন্থ রেহেলা; তিনি বাংলাকে ধনসম্পদপূর্ণ নরক বলে অভিহিত করেন।
- বাংলাকে ‘বুলগাকপুর’ বা বিদ্রোহের নগর হিসেবে অভিহিত করেন ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারানী।
- সমগ্র বাংলার সর্বপ্রথম অধিপতি মুসলিম সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ; তিনি বাংলায় ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা; তিনি লাভ করেন শাহ-ই-বাঙ্গালা উপাধি। তাঁর সময় থেকেই সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিতি লাভ করে বাঙ্গালা নামে।
- মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করেন আলাউদ্দিন খলজি। রক্তপাত ও কঠোর নীতি’ যে সুলতানের বৈশিষ্ট্য ছিল- গিয়াসুদ্দীন বলবন।
- বাংলা গজল ও সুফি সাহিত্য সৃষ্টি – হুসেন শাহী আমলে; বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপােষকতার জন্য বিখ্যাত হুসেনশাহী শাসক আলাউদ্দিন হুসেন শাহ।
- গৌড়ের বিখ্যাত বড় সােনা মসজিদ ও বারদুয়ারী মসজিদের নির্মাতা— নুসরত শাহ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
বাংলার প্রাচীন জনপদ ও শাসনামল
- মৌর্যযুগে বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী ছিল—পুণ্ড্রনগর, গৌড়ের— কর্ণসুবর্ণ, রাঢ়ের কোটিবর্ষ।
- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজ্যসভার গ্রিক দূত ছিলেন— মেগাস্থিনিস, মেগাস্থিনিস ভারতবর্ষ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য লিপিবদ্ধ করেন- ইন্ডিকা গ্রন্থে।
- বরেন্দ্র বলতে বর্তমানে বুঝায়— রাজশাহী অঞ্চল/বিভাগকে; রাজশাহীর উত্তরাংশ, বগুড়ার পশ্চিমাংশ, রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল— বরেন্দ্রভূমি।
- প্রাচীনকালে সমতট বলতে বুঝাতে— কুমিল্লা ও নােয়াখালী অঞ্চলকে, সমতট রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল— কুমিল্লার বড়কামতায়।
- প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশ বিশেষ অবস্থিত— চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
- সর্বপ্রথম গৌড় নামের উল্লেখ পাওয়া যায় পাণিনির গ্রন্থে।
- বাংলাদেশের পূর্বাংশে অবস্থিত ছিল প্রাচীন বাংলার হরিকেল জনপদ।
- বর্তমান সিলেট জেলা প্রাচীনকালে অন্তর্ভুক্ত ছিল— হরিকেল জনপদের।
- প্রাচীন রাঢ় জনপদের অবস্থান বর্ধমান।
- মৌর্য ও গুপ্ত বংশের রাজধানী ছিল— গৌড়, সুলতানী আমলেও বাংলার রাজধানী ছিল— গৌড়।
- মহাস্থানগড়— এক সময় বাংলার রাজধানী ছিল; তখন তার নাম ছিল— পুণ্ড্রনগর।
- প্রাচীন বাংলায় রাজ্য ছিল দুটি স্বাধীন বঙ্গ ও স্বাধীন গৌড় রাজ্য; বাঙালি জাতির উৎপত্তি বঙ্গ নাম থেকে।
- ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সাম্রাজ্য— মৌর্য সাম্রাজ্য, ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। তাঁর রাজধানীর নাম- পাটলিপুত্র (পালিবােথরা)।
- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন— চাণক্য, যার ছদ্মনাম— কোটিল্য; কোটিল্য রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ- অর্থশাস্ত্র।
- মৌর্য বংশের তৃতীয় সম্রাট অশােক, উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়– সম্রাট অশােকের সময়; কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সম্রাট অশােক গ্রহণ করেন— বৌদ্ধধর্ম। তাঁকে বলা হয়- বৌদ্ধ ধর্মের কনস্ট্যানটাইন।
- ভারতে গুপ্ত বংশ প্রতিষ্ঠিত হয়—৩২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, গুপ্ত বংশের রাজধানী ছিল— পাটলিপুত্র, বাংলায় গুপ্তবংশের রাজধানী ছিল— পুণ্ড্রনগর।
- গুপ্তবংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম চন্দ্র গুপ্ত; শ্রেষ্ঠ রাজা- সমুদ্রগুপ্ত; শেষ রাজা দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত; যার উপাধি ছিল— বিক্রমাদিত্য।
- গ্রিক বীর আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেন- ৩২৭-৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে; আলেজান্ডার অগ্রসর হয়েছিলেন- সিন্ধু নদীর তীর পর্যন্ত; তাঁর শিক্ষক ছিলেন এরিস্টটল।
- চারজন গ্রিক গুরু শিষ্যের ক্রম হলাে— সক্রেটিস → প্লেটো → এরিস্টটল → আলেকজান্ডার।
- পরিব্রাজক ফা-হিয়েন বাংলায় আসেন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে (৩৯৯ খ্রিস্টাব্দে), তিনি ছিলেন প্রথম চৈনিক পরিব্রাজক। আর বাংলায় প্রথম পরিব্রাজক ছিলেন মেগাস্থিনিস।
- চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এর দীক্ষাগুরু ছিলেন শিলভদ্র, শিলদ্র আচার্য ছিলেন— নালন্দা বিহারের; নালন্দা বিহার প্রতিষ্ঠিত হয় খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে, এটি বর্তমানে ভারতের বিহার রাজ্যে অবস্থিত।
- বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা শশাঙ্ক, তিনি বাংলার জনপদগুলােকে গৌড় নামে একত্রিত করে রাজধানী স্থাপন করেন কর্ণসুবর্ণে (মুর্শিদাবাদে)। তার উপাধি ছিল— মহাসামন্ত, প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন কৃষক, ৭ম শতকের শুরুতে তিনি সিংহাসনে আরােহণ করেন।
- বাংলায় প্রথম বংশানুক্রমিক শাসন সূচিত হয়— পাল বংশের মাধ্যমে; পাল বংশের রাজাগণ বাংলায় রাজত্ব করেন প্রায় চারশ বছর।
- পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা— গােপাল; শ্রেষ্ঠ রাজা ধর্মপাল; শেষ রাজা রামপাল।
- সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা হেমন্ত সেন, শ্রেষ্ঠ সম্রাট বিজয় সেন, শেষ রাজা লক্ষণ সেন (বাংলার শেষ হিন্দু রাজা); সেন রাজা বল্লাল সেন রচিত গ্রন্থ— দানসাগর ও অদ্ভুত সাগর।
- শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় দীর্ঘদিন যােগ্য শাসকের অভাবে যে অরাজক ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করে তাকে বলা হয়- মাসান্যায়; সময়কাল-৭ম-৮ম শতক।
- বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ; বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনী (নেপাল); বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের নামত্রিপিটক ।
[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]
বাঙালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশ
- বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে অস্ট্রিক জাতিগােষ্ঠী থেকে।
- বাংলার আদি অধিবাসীগণের ভাষাও ছিল— অস্ট্রিক।
- আর্যরা এদেশে এসেছে— ইরান থেকে, তাদের আদি বাসস্থান- ইউরাল পর্বতের দক্ষিণ তৃণভূমি অঞ্চল, ধর্ম- সনাতন, ধর্মগ্রন্থ বেদ, ভারতে প্রথম বসতি স্থাপন করে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল ও পাঞ্জাব।
- নৃতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ অন্তর্ভুক্ত– আদি অস্ট্রেলীয় নরগােষ্ঠী, বাংলাদেশের প্রাচীন জাতি- দ্রাবিড়, বর্তমানে বাঙালি জাতির পরিচয় সংকর জাতি হিসেবে।
- বাংলার আদি উপজাতি- কোল, ভেল, সাঁওতাল, মুন্ডা প্রভৃতি।
- নিষাদ জাতি বলা হয় অস্ট্রিক গােষ্ঠী থেকে উদ্ভূত বাঙালি জাতিকে।
- সিন্ধু সভ্যতা প্রথম আবিষ্কার করেন— রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায়, সিন্ধু সভ্যতায় পাওয়া যায়তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগের নিদর্শন।
- বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদ— পুণ্ডু, পুরে রাজধানী ছিল— পুণ্ড্রনগর, পুণ্ড্র জনপদের বিস্তৃতি বর্তমান বগুড়া, রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলা জুড়ে। মহাস্থানগড় ও পুণ্ডু নগরী যে একই তা সনাক্ত করেন— কানিংহাম।
- প্রাচীনকালে এদেশের নাম ছিল বঙ্গ, বঙ্গ নামের উল্লেখ প্রথম পাওয়া যার ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে, সর্বপ্রথম দেশবাচক শব্দ বাংলা ব্যবহৃত হয়- আবুল ফজলের ‘আইন-ইআকবরী গ্রন্থে।
- বর্তমান বৃহত্তর ঢাকা জেলা প্রাচীনকালে অন্তর্ভুক্ত ছিল বঙ্গ জনপদের; বৃহত্তর বরিশাল ও ফরিদপুর জেলাও প্রাচীনকালে অন্তর্ভুক্ত ছিল বঙ্গের।
সবার আগে সাজেশন আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
১ম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রশ্ন ও সমাধান লিংক
Professor Primary Assistant Teacher book লিংক
ইংরেজি
বাংলা
বাংলা ব্যাকরণ
গণিত
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সুপার সাজেশন ও উত্তর, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক সাজেশন,প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সাজেশন,কম সময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার সাজেশন,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার সাজেশন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (EEDMOE) উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)’ ও ‘ড্রাফটসম্যান’ নিয়োগ পরীক্ষার সাজেশন