বাগধারা চাকরির পরীক্ষার জন্য কমন 2024
প্রবাদ প্রবচন ও বাগধারা হল ভাষার বিশেষ সম্পদ। এই বাগধারার ব্যবহারে আমরা বাক্যকে, ভাষাকে ব্যঞ্জনাধর্মী করে তুলতে পারি। শুধু তাই না, বাগধারা বাক্যকে আলংকারিকও করে তোলে। এখানে বর্ণের ক্রমানুসারে বেশ কিছু প্রবাদ, প্রবচন ও বাগধারা ও তার অর্থ তুলে ধরা হল।
2016 – 2024 সালের সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান পেতে ক্লিক করুন
প্রবাদ প্রবচন ও বাগধারা (অ)
অকর্মার ঢেঁকি (যা কোন কাজে লাগে না)
অকূল পাথার (খুব সমস্যা)
অগাধ জলের মাছ (খুব গোপনে যে কাজ করে)
অগ্নিশর্মা (অত্যন্ত ক্রুদ্ধ)
অন্ধের যষ্ঠি (একমাত্র সহায়)
অমাবস্যার চাঁদ (দুর্লভ দৃশ্য)
অরণ্যে রোদন (নিষ্ফল আবেদন)
অর্ধচন্দ্র (গলাধাক্কা)
অষ্টরম্ভা (কিছুই না)
অহিনকুল সম্পর্ক (চির শত্রুতা)
আ
আঁতে ঘা (অন্তরে আঘাত)
আকাশ কুসুম (অবাস্তব কল্পনা)
আকাশ থেকে পড়া (অবাক হওয়া)
আকাশ ভেঙে পড়া (হঠাৎ বিপদ)
আক্কেল সেলামি (বোকামির দণ্ড)
আঠারো মাসে বছর (দীর্ঘকালীন)
আদাজল খেয়ে লাগা (অক্লান্ত চেষ্টা)
আদার ব্যাপারী (সামান্য মানুষ)
আলালের ঘরের দুলাল (আদুরে সন্তান)
আষাঢ়ে গল্প (আজগুবি)
আয়ারাম গয়ারাম (ফাঁকি বাজ)
ই – ও
ইঁচড়ে পাকা (অকালপক্ক)
উড়নচণ্ডী (যে বাজে খরচ করে)
উড়ো খবর (ভিত্তিহীন সংবাদ)
উত্তম মধ্যম (ব্যাপক প্রহার)
উভয় সঙ্কট (দু দিকেই বিপদ)
ঊনপঞ্চাশ বায়ু (বাতুলতা বা পাগলামি)
এক কথার মানুষ (সিদ্ধান্তে অটল)
একাই একশো (অনেক ক্ষমতার অধিকারী)
একাদশে বৃহস্পতি (সুসময়)
ওজন বুঝে চলা (ক্ষমতা অনুসারে কাজ করা)
ক
কচ্ছপের কামড় (ভীষণ আঘাত)
কত ধানে কত চাল (উপলব্ধি বা অভিজ্ঞতা)
কলুর বলদ (অন্যের কথায় অন্ধের মত কাজ করে চলা)
কড়ায় গণ্ডায় (পুরোপুরি হিসেব)
কাঠের পুতুল (নিষ্ক্রিয়)
কান পাতলা (সহজে অন্যের কথায় বিশ্বাসী)
কানে খাটো (কম শোনা)
কুমীরের কান্না (শোকের ভান)
কূপমণ্ডুক (সংকীর্ণমনা)
কেঁচে গণ্ডুষ (গোড়া থেকে আরম্ভ করা)
কেউকেটা (গণ্যমান্য ব্যক্তি)
কৈ মাছের প্রাণ (যা সহজে মরে না)
কোমর বাঁধা (তীব্র প্রস্তুতি)
খ – ঘ
খয়ের খাঁ (তোষামুদে)
গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো (অন্যের বস্তু নিয়ে তাকেই সন্তুষ্ট করা)
গণেশ উল্টানো (ব্যবসার সমাপ্তি)
গদাই লস্করি চাল (ধীর গতি)
গভীর জলের মাছ (অতি চালাক)
গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল (নিজেকে সর্বেসর্বা ভাবা)
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল (কাজ হওয়ার আগেই ভোগের চিন্তা)
গোঁফ খেজুরে (অলস)
গোবর গণেশ (যে কোন কাজে লাগে না বা অপদার্থ)
গোড়ায় গলদ (প্রথমেই ভুল)
ঘাটের মড়া (অতিশয় বৃদ্ধ)
ঘোড়ার ডিম (যার কোন অস্তিত্ব নেই)
চ – জ
চক্ষুশূল (কাউকে সহ্য না করতে পারা)
চাঁদের হাট (গুণীদের সমাবেশ)
চোখে চোখে রাখা (নজরে রাখা)
চোখের চামড়া (লজ্জা)
চুনোপুঁটি (নগণ্য ব্যক্তি)
ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো (একমাত্র অবলম্বন)
ছুঁচোর কেত্তন (অনর্গল বিবাদ)
ছেলের হাতে মোয়া (সহজলভ্য)
জলের আলপনা (ক্ষণস্থায়ী)
জিলিপির প্যাঁচ (কুটিল বুদ্ধি)
ট – ড
টইটম্বুর (কানায় কানায় ভরতি)
টনক নড়া (জ্ঞানের জাগরণ)
টাকার কুমীর (খুব ধনী)
ঠোঁঠকাটা (ষ্পষ্টবাদী)
ঠুঠো জগন্নাথ (নিষ্কর্মা)
ডাকাবুকো (সাহসি ব্যক্তি)
ডান হাতের ব্যাপার (ভোজন)
ডুমুরের ফুল (অদৃশ্য)
ত – ন
তাসের ঘর (ক্ষণস্থায়ী)
তীর্থের কাক (পর প্রত্যাশী ব্যক্তি)
তুলসী বনের বাঘ (ভণ্ড সাধু)
দক্ষযজ্ঞ (হুলুস্থুল কাণ্ড)
দশের লাঠি একের বোঝা (সকলের সাহায্যে কৃত কাজ লঘু হওয়া)
দহরম মহরম (খুব খাতির)
দু কান কাটা (নির্লজ্জ)
দু নৌকায় পা (উভয় দিকে তাল মেলানো)
দু মুখো সাপ (যার কাছে যেমন)
দুষ্ট সরস্বতী (বদ বুদ্ধি)
ধনুক ভাঙা পণ (চরম প্রতিজ্ঞা)
ধর্মের ষাঁড় (অকর্মা)
নখদর্পণ (সব খবর রাখা)
ননীর পুতুল (আদরে পালিত)
নবমীর পাঁঠা (বিপদের মুখোমুখি)
নাজেহাল (হয়রান হওয়া)
প – ব
পরকাল ঝরঝরে (ভবিষ্যত নষ্ট)
পাকা ধানে মই (ক্ষতি সাধন)
পায়াভারি (পদ গর্ব)
পায়রার খোপ (ছোট ঘর)
পি পু ফি সু (অত্যন্ত অলস)
পুকুর চুরি (নিঃশেষে হরণ)
ফুলবাবু (শৌখীন মানুষ)
বকধার্মিক (ভণ্ড)
বর্ণচোরা (যার স্বভাব লুকিয়ে থাকে)
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় (মালিকের থেকে শাগরেদের ক্ষমতা দেখানো)
বাঘের দুধ (যা সহজে মেলে না)
বারো মাসে তেরো পার্বণ (পরপর অনুষ্ঠান বা উৎসব)
বালির বাঁধ (ক্ষণস্থায়ী)
বাস্তু ঘুঘু (খুব চালাক)
ব্যাঙের আদুলি (সামান্য সম্বল)
বিনা মেঘে বজ্রপাত (হঠাৎ বিপদ)
বিসমিল্লায় গলদ (প্রথমেই ভুল)
বুকের পাটা (সাহস)
ভ – ম
ভস্মে ঘি ঢালা (অনর্থক ব্যয়)
ভাঁড়ে মা ভবানী (সঞ্চয় শূন্য)
ভাগের মা (যৌথ বিষয়)
ভিজে বিড়াল (যে চুপিসারে কাজ করে)
ভুতের বেগার (পণ্ডশ্রম)
মগের মুলুক (অত্যাচারী শাসন)
মশা মারতে কামান দাগা (অল্প কাজে বিপুল আয়োজন)
মহাপালের গীত (অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা)
মাটির মানুষ (অতি নিরীহ)
মাথার ঘাম পায়ে ফেলা (কঠোর শ্রম করা)
মান্ধাতার আমল (অতি প্রাচীন আমল)
মিছরির ছুরি (মধুর আঘাত)
মুখের কথা (সহজ কাজ)
মুনিনাঞ্চ মতিভ্রমঃ (মুনি-ঋষিদের যদি মতির ভ্রম হয় তাহলে সাধারণের হবেই)
মেঘ না চাইতে জল (অতিরিক্ত প্রাপ্তি)
য – হ
যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ (জীবনের শেষ লগ্ন পর্যন্ত আশায় থাকা)
যে সয় সে রয় (যার ধৈর্য আছে সে সফল হয়)
রথদেখা কলাবেচা (একই সময় একাধিক উদ্দেশ্য পূরণ)
রাঘব বোয়াল (অধিক লোভী)
লঙ্কাকান্ড (তুমুল ঝগড়া)
শাঁখের করাত (উভয় দিকেই বিপদ)
শাপে বর (অনিষ্টের পরিবর্তে ইষ্টপ্রাপ্তি)
শিরে সংক্রান্তি (আসন্ন বিপদ)
সাপের পাঁচ পা (অহঙ্কার)
সুখের পায়রা (সুসময়ের বন্ধু)
হ – য – ব – র – ল (বিশৃঙ্খল)
হরিঘোষের গোয়াল (যেখানে শুধুই গোল, কাজের কাজ হয় না)
হাঁড়ি ভাঙা (সমস্ত তথ্য ফাঁস)
হাড় কালি (খুব পরিশ্রম)
হাত করা (বশীভূত)
হাত টান (চুরি করা)
হাতে খড়ি (প্রথম শিক্ষাদান)
হাতের পাঁচ (শেষ সম্বল)
হাল ছাড়া (হতাশ হওয়া)
বাগধারা চাকরির পরীক্ষার জন্য কমন
বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা ৫০টি বাগধারা একনজরে দেখে নিন-
০১-প্রশ্নঃ অন্ধকার দেখা—
ক. দুর্লোভ বস্তু
খ. হতবুদ্ধি
গ. দৃষ্টি শক্তিহীন
ঘ. স্বার্থে আঘাত লাগা
উত্তরঃ খ
০২-প্রশ্নঃ ‘উত্তম মধ্যম’ বলতে কি বুঝায়?
ক. প্রহার করা
খ. সম্মান করা
গ. আদর করা
ঘ. সমাদর করা
উত্তরঃ ক
০৩-প্রশ্নঃ ‘বিড়াল তপস্বী’ কথাটির অর্থ কি?
ক. দেখতে সাধু হলেও ভণ্ড
খ. অপদার্থ
গ. অজানা থাকা
ঘ. কাল্পনিক কাহিনী
উত্তরঃ ক
০৪-প্রশ্নঃ ‘আদিখ্যেতা’ বাগধারাটির অর্থ কি?
ক. ন্যাকামি
খ. অপদার্থ
গ. না জেনে কিছু করা
ঘ. মারা যাওয়া
উত্তরঃ ক
০৫-প্রশ্নঃ কোন বাগধারা দ্বারা ‘ভনিতা’ বোঝানো হয়?
ক. টইটম্বুর
খ. কুপমণ্ডুক
গ. গৌরচন্দ্রিকা
ঘ. গনেশ উল্টান
উত্তরঃ গ
০৬-প্রশ্নঃ ‘দস্ত-ব-দস্ত’ কথার অর্থ কি?
ক. বন্ধু বনাম বন্ধু
খ. হাতে-হাতে
গ. খেতে-খেতে
ঘ. আস্তে-আস্তে
উত্তরঃ খ
০৭-প্রশ্নঃ ‘পটল তোলা’ এই বাগধারাটির সঠিক অর্থ কোনটি?
ক. পটল গাছ হতে পটল তোলা
খ. পটল খাওয়া
গ. পরীক্ষায় ফেল করা
ঘ. মারা যাওয়া
উত্তরঃ ঘ
০৮-প্রশ্নঃ ‘ঢাকের কাঠি’ বাগধারার অর্থ-
ক. সাহায্যকারী
খ. তোষামুদে
গ. বাদক
ঘ. স্বাস্থ্যহীন লোক
উত্তরঃ খ
০৯-প্রশ্নঃ কোনটি ভিন্নার্থক?
ক. আকাশ পাতাল
খ. আদায় কাঁচকলায়
গ. অহিনকুল
ঘ. দা-কুমড়া
উত্তরঃ ক
১০-প্রশ্নঃ ‘কংস মামা’ বলতে বুঝায়–
ক. নির্মম
খ. সৎ মামা
গ. আপন মামা
ঘ. নির্দয় আত্মীয়
উত্তরঃ ঘ
১১-প্রশ্নঃ ‘নদের চাঁদ’ বাগধারার অর্থ কি?
ক. অতি আকাঙ্কিত বস্তু
খ. অহমিকাপূর্ণ নির্গুণ ব্যাক্তি
গ. অদৃষ্টের পরিহাস
ঘ. বিশেষ সম্মানিত ব্যাক্তি
উত্তরঃ খ
১২-প্রশ্নঃ ‘গোবর গণেশ’ দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে?
ক. চাটুকার
খ. মূর্খ
গ. নির্বোধ
ঘ. অপদার্থ
উত্তরঃ খ
১৩-প্রশ্নঃ নিম্নের বাক্যসমূহরে মধ্যে কোনটি বিশিষ্টার্থক বাক্যযুক্ত নির্দেশ করুন-
ক. বুড়ীর নাতিটা ছিল অন্ধের ষষ্ঠি, সেও মারা গেল
খ. বাঙ্গালীরা আলস বলে পরিচিত
গ. সমুদ্রে লোনাপানির ঢেউ উঠেছে
ঘ. ঘাড়ে কিলিয়েও ওকে দিয়ে কাজ করাতে পারবে না
উত্তরঃ ক
১৪-প্রশ্নঃ ‘ভাবনা চিন্তাহীন’ কোন বাগধারাটির অর্থ প্রকাশ করে?
ক. সুখের পায়রা
খ. খোদার খাসি
গ. যক্ষের ধন
ঘ. বসন্তের কোকিল
উত্তরঃ খ
১৫-প্রশ্নঃ ‘সাপে নেউলে’ কথাটির অর্থ কি?
ক. শত্রুতা
খ. বন্ধুত্ব
গ. অতিশয় ভালো সম্পর্ক
ঘ. মহাবিপদ
ঙ. কোনটিই নয়
উত্তরঃ ক
১৬-প্রশ্নঃ ‘আমড়া কাঠের ঢেঁকি’ বলতে বুঝায়–
ক. অকালপক্ক
খ. অলস
গ. অপদার্থ
ঘ. চাটুকার
উত্তরঃ গ
১৭-প্রশ্নঃ সাহায্যের অভাবে স্কুলটি উঠে গেছে’-
বাক্যে ‘উঠে’ শব্দের অর্থ-
ক. ভেঙে পড়া
খ. বন্ধ হওয়া
গ. স্থানান্তরিক হওয়া
ঘ. উন্নতি করা
উত্তরঃ খ
১৮-প্রশ্নঃ ‘চোখের বালি’ অর্থ কি?
ক. চোখের অসুখ
খ. চোখের যত্ন
গ. শত্রু
ঘ. কৃতঘ্ন
উত্তরঃ গ
১৯-প্রশ্নঃ ‘সুসময়ের বন্ধু’ কোন বাগধারা দিয়ে প্রকাশ
করা হয়?
ক. সুখের পায়রা
খ. দহরম মহরম
গ. লেফাফা দুরস্থ
ঘ. কংস মামা
ঙ. দুধের পায়রা
উত্তরঃ ক
২০-প্রশ্নঃ ‘অকালপক্ক’ এর বাগধারার অর্থ কোনটি?
ক. ইচঁড়ে পাকা
খ. গোড়ায় পাকা
গ. গাছে পাকা
ঘ. অসময়ে পাকা
উত্তরঃ ক
প্রশ্নঃ ‘ভূষণ্ডির কাক’ অর্থ কি?
ক. ষড়যন্ত্রকারী
খ. বাক সর্বস্ত
গ. দীর্ঘ প্রত্যক্ষমাণ
ঘ. দীর্ঘায়ু ব্যক্তি
উত্তরঃ ঘ
২১-প্রশ্নঃ ‘ছাই চাপা আগুন’ কোন অর্থ প্রকাশ করে?
ক. মন্দ ভাগ্য
খ. গোপন দোষ
গ. বদ মেজাজ
ঘ. গোপন গুণ
উত্তরঃ গ
২২-প্রশ্নঃ কোন বাগধারাটি ভিন্নার্থক?
ক. অহিনকুল
খ. উত্তম-মধ্যম
গ. আদায় কাঁচকলায়
ঘ. সাপে-নেউলে
উত্তরঃ খ
২৩-প্রশ্নঃ ‘ইঁদুর কপালে’- এর বিপরীত বাগধারা কোনটি?
ক. অদৃষ্টের পরিহাস
খ. অন্ধকার
গ. একাদশে বৃহস্পতি
ঘ. কেউকেটা
উত্তরঃ গ
২৪-প্রশ্নঃ ‘একাদশে বৃহস্পতি’ এর অর্থ কি?
ক. আশার কথা
খ. সৌভাগ্যের বিষয়
গ. মজা পাওয়া
ঘ. আনন্দের বিষয়
উত্তরঃ খ
২৫-প্রশ্নঃ বাগধারার অর্থ নির্নয় করুনঃ ‘ধর্মের ষাঁড়’–
ক. অকর্মণ্য
খ. বেহায়া
গ. স্বার্থপর
ঘ. সুসময়ের বন্ধু
উত্তরঃ ক
২৬-প্রশ্নঃ কোন বাগধারা দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্নার্থক?
ক. সাপে-নেউলে/দা-কুমড়া
খ. পটল তোলা/অক্কা পাওয়া
গ. ঢাকের কাঠি/ঢাকের বায়া
ঘ. অন্ধের যষ্টি/অন্ধের নড়ি
উত্তরঃ গ
২৭-প্রশ্নঃ “সে তোমার মাথা খেয়েছে।” এ বাক্যে খাওয়ার অর্থ কি?
ক. মস্তক কামড়ে খাওয়া
খ. সর্বনাশ করা
গ. পাগলামি করা
ঘ. মাথায় আঘাত করা
উত্তরঃ খ
২৮-প্রশ্নঃ ‘বক দেখানো’ বাগধারাটির অর্থ কী?
ক. কথায় পটু
খ. পড়ুয়া
গ. অশোভনভাবে বিদ্রুপ করা
ঘ. মতিচ্ছন্ন হওয়া
উত্তরঃ গ
২৯-প্রশ্নঃ ‘চাঁদের হাট’-অর্থ কি?
ক. বন্ধুদের সমাগম
খ. আত্মীয় সমগম
গ. প্রিয়জন সমাগম
ঘ. গণ্যমান্যদের সমাগম
উত্তরঃ গ
৩০-প্রশ্নঃ কান ভারী করা শব্দ দ্বয়ের অর্থ কি?
ক. নির্মম
খ. কুপরামর্শ দেয়া
গ. কানে ভার দেয়া
ঘ. কানে পানি দেয়া
উত্তরঃ খ
৩১-প্রশ্নঃ কোন বাগধারাটি ‘সক্রিয় হওয়া’ অর্থ জ্ঞাপক?
ক. গোঁ ধরা
খ. ঔষধ ধরা
গ. লাইন ধরা
ঘ. ঠোঁট কাটা
উত্তরঃ খ
৩২-প্রশ্নঃ ‘লক্কা পায়রা’ বাগধারার সঠিক অর্থ কি?
ক. ফুলবাবু
খ. উল্টাফল
গ. কুচক্রী
ঘ. পলায়ন করা
উত্তরঃ ক
৩৩-প্রশ্নঃ ‘গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ান’ বাগধারাটির অর্থ কি?
ক. আপন মনে বাদশাহী করা
খ. কোন দায়িত্ব গ্রহণ না করা
গ. বেকার মত চলা
ঘ. দাংগাবাজি করা
উত্তরঃ খ
৩৪-প্রশ্নঃ ‘বিষ নেই তার কুলোপনা চক্কর’ বাগধারাটির সঠিক অর্থ কোনটি?
ক. যার কোন প্রকার ক্ষমতা নেই
খ. অন্তঃসার শূণ্য অবস্থা
গ. ক্ষমতাশালীর দম্ভ প্রকাশ
ঘ. অক্ষম ব্যাক্তির বৃথা আস্ফালন
উত্তরঃ ঘ
৩৫-প্রশ্নঃ ‘তালকানা’ এর অর্থ কি?
ক. বেহায়া
খ. বেতাল হওয়া
গ. শ্রমবিমুখ
ঘ. নিরেট মূর্খ
উত্তরঃ খ
৩৫-প্রশ্নঃ ‘অগস্ত্য যাত্রা’ বাগধারাটির অর্থ কী?
ক. শুরু করা
খ. তাড়াতাড়ি শেষ করা
গ. বিশ্রাম করা
ঘ. শেষ বিদায়
উত্তরঃ ঘ
৩৬-প্রশ্নঃ কোন বাগধারাটি স্বতন্ত্র অর্থ প্রকাশক?
ক. আদায় কাঁচকলায়
খ. সাপে-নেউলে
গ. সাতেও না পাঁচেও না
ঘ. দা-কুমড়া
উত্তরঃ গ
৩৭-প্রশ্নঃ ‘বড়র পীরিত বালির বাঁধ’ বাগধারাটির সঠিক অর্থ হচ্ছে-
ক. ভঙ্গুর
খ. চাপের মুখে ভেঙ্গে যায়
গ. একতরফা
ঘ. কোন বাধ্যবাধকতা নেই
উত্তরঃ ক
৩৮-প্রশ্নঃ উলু খাগড়া বলতে কি বোঝায়?
ক. যাচ্ছে তাই
খ. অলক্ষণে
গ. অসম্ভব বস্তু
ঘ. নিরীহ প্রজা
উত্তরঃ ঘ
৩৯-প্রশ্নঃ ‘ফাঁকা আওয়াজে কাজ আদায়’— এর সমার্থক বাগধারা কোনটি?
ক. কলকাঠি নাড়া
খ. কুপোকাত
গ. কালে ভদ্রে
ঘ. কথায় চিড়া ভিজা
উত্তরঃ ঘ
৪০-প্রশ্নঃ ‘যার অনেক বুদ্ধি আছে’ তাকে বাগধারা
দিয়ে প্রকাশ করলে কি দাঁড়ায়?
ক. বুদ্ধির ঢেঁকি
খ. ভূষণ্ডীর কাক
গ. বিড়াল তপস্বী
ঘ. গভীর জলের মাছ
উত্তরঃ ঘ
৪১-প্রশ্নঃ ‘হাত জোড়া থাকা’ বাগধারাটির অর্থ?
ক. চিন্তায় পড়া
খ. নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়া
গ. অলস থাকা
ঘ. কর্মব্যস্ত থাকা
উত্তরঃ ঘ
৪২-প্রশ্নঃ ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’- এটি এলো-
ক. খনার বচন
খ. প্রবাদ বাক্য
গ. কবিতার চরণ
ঘ. বাগধারা
উত্তরঃ খ
৪৩-প্রশ্নঃ ‘ফেকলু পার্টি’ বাগধারাটির অর্থ কী?
ক. ক্ষমতাসীন পার্টি
খ. বিরোধী পার্টি
গ. কদরহীন লোক
ঘ. নিকৃষ্ট লোক
উত্তরঃ গ
৪৪-প্রশ্নঃ ‘আমড়া কাঠের ঢেঁকি’ এর অর্থ কি?
ক. আমড়া
খ. বাজে কাঠ
গ. অকেজো
ঘ. বাজে ঢেঁকি
উত্তরঃ গ
৪৫-প্রশ্নঃ ‘সাতকাহন’ বাগধারার অর্থ কি?
ক. অলিক কথা
খ. সুখের সম্ভার
গ. স্বল্প পরিমাণ
ঘ. প্রচুর পরিমাণ
উত্তরঃ ঘ
৪৬-প্রশ্নঃ বাগধারার অর্থ নির্নয় করুনঃ ‘একচোখা’–
ক. পক্ষপাতদুষ্ট
খ. প্রাচীনপন্থী
গ. ভণ্ড সাধু
ঘ. ধার্মিক
উত্তরঃ ক
৪৭-প্রশ্নঃ ‘উত্তম মধ্যম’ বলতে কি বুঝায়?
ক. সম্মান
খ. মাঝামাঝি
গ. মারা
ঘ. ওপর-নিচে
উত্তরঃ গ
৪৮-প্রশ্নঃ ‘কেঁচো গণ্ডূষ’ অর্থ কি?
ক. নতুন করে আরম্ভ করা
খ. নিরেট মূর্খ
গ. সীমাবদ্ধ জ্ঞান
ঘ. বিপদজ্জনক পরিণতি
উত্তরঃ ক
৪৯-প্রশ্নঃ আকাশ ভেঙ্গে পড়া—
ক. হঠাৎ বিপদ হওয়া
খ. আশ্চর্য্য হওয়া
গ. মন্দ ভাগ্য
ঘ. কঠিন পরীক্ষা
উত্তরঃ ক
৫০-প্রশ্নঃ ‘দুকান কাটা’ বাগধারাটির অর্থ কি?
ক. অসুস্থ ব্যাক্তি
খ. নিরীহ ব্যাক্তি
গ. দাগি আসামি
ঘ. বেহায়া
উত্তরঃ ঘ
উত্তর ভুল থাকলে কমেন্ট করে সংশোধনন করতে সাহায্য করুন।
Most Important বাগধারা চাকরির পরীক্ষা
1. অগত্যা মধুসূদন – অনন্যোপায় হয়ে। [কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর – ২০১৪]
2. অজগর বৃত্তি – আলসেমি। [ Sonali Bank – 2016 ]
3. অপোগণ্ড – অকর্মণ্য, অপ্রাপ্ত বয়স্ক, নাবালক। [জীবন বীমা কর্পোরেশন – ২০১৪]
4. অবরে সবরে – কালে -ভদ্রে। [মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে – ২০১৬]
5. অজগর বৃত্তি – আলসেমি। [বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক – ২০১৪]
6. অশ্বমেধ যজ্ঞ – বিপুল আয়োজন। [ডাক বিভাগ -২০১৫, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড – ২০১৭]
7. অচলায়তন – গোরামিপূর্ণ [Modhumoti Bank – 2018]
8. অষ্টরম্ভা – কাঁচকলা, ফাঁকি, কিছুই না। [প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর – ২০১৫, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো – ২০১৬]
9. অক্ষয় বট – প্রাচীন ব্যক্তি।
10. অকাল কুষ্মাণ্ড – অপদার্থ।
11. অকালের বাদলা -অপ্রত্যাশিত বাধা। [স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় – ২০১৬], [পিকেএসএফ – ২০১৫]
12. অক্ষরে অক্ষরে -সম্পূর্ণভাবে।
13. অষ্টবজ্র সম্মিলন -প্রতিভাবান ব্যক্তিদের একত্র সমাবেশ
14. অলক্ষ্মীর দশা -দারিদ্র্য
15. অক্ষয়ভাণ্ডার -যে ভাণ্ডারের ধন কখনো ফুরায় না [জনতা ব্যাংক – ২০১৮]
16. অগ্নিগর্ভ -বলিষ্ঠ
17. অঞ্চলের নিধি – যে সম্পদ আঁচলে ঢেকে সুরক্ষিত রাখতে হয়/সনত্মান
18. অন্ধিসন্ধি -ফাঁকফোকর/গোপন তথ্য
19. আঠারো মাসে বছর – দীর্ঘসূত্রিতা।
20. আঁটকুড়ো – নিঃসনত্মান।
21. আমড়া কাঠের ঢেঁকি-অকেজো লোক/অকর্মণ্য। [Standard Bank – 2018]
22. আসরে নামা -আবির্ভূত হওয়া।
23. আধা খেঁচড়া -বিশৃঙ্খলা [BASIC Bank – 2018]
24. আঁচা-আঁচি -পরস্পরের মনের ভাব
25. আগলদার -জমির ফসল আগলানোর বা পাহারা দেয়ার জন্য নিযুক্ত লোক [NGO,Public Jobs- 2015]
26. আদিখ্যেতা – ন্যাকামি
27. আস্ত কেউটে – অত্যন্ত বিপজ্জনক লোক [অগ্রনী ব্যাংক – ২০১৭, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড-২০১৬]
28. ইলশে গুঁড়ি – গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
29. ইয়ারবকসি – বন্ধুবান্ধব
30. ইল্লতে কাণ্ড – নোংরা ব্যাপার / নোংরা কাণ্ড [মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয় – ২০১৭]
31. ইতুনিদকুঁড়ে – অলস: দীর্ঘসূত্রীতা
32. উলুখাগড়া – গুরুত্বহীন লোক।
33. উজানের কৈ – সহজলভ্য।
34. উপোসি ছারপোকা – অভাবগ্রস্থ লোক।
35. উপরোধের ঢেঁকি গেলা – অন্যায় আবদার করা
36. উদোমারা – বোকা।
37. উটকো লোক – অচেনা লোক/হঠাৎ অবাঞ্ছিতভাবে এসে [স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় – ২০১৬], [পিকেএসএফ – ২০১৫]
38. ঊনকোটি চোষট্টি – প্রায় সম্পূর্ণ।
39. ঊনপাঁজুরে – অপদার্থ।
40. ঊরুস্তম্ভ – ফোঁড়া জাতীয় রোগ [Probashi Kallyan Bank – 2015]
41. ঊর্মিমালী – সমুদ্র
42. এলেবেলে – নিকৃষ্ট।
43. এক ছাঁচে ঢালা – সাদৃশ্য।
44. একাদশ বৃহস্পতি – মহাসৌভাগ্য/ সৌভাগ্যের লক্ষণ।
45. একা দোকা – নিঃসঙ্গ
46. ওষুধে ধরা – প্রার্থিত ফল পাওয়া।
47. ওষুধ করা – গুণ করা। [NGO,Public Jobs- 2015]
48. ওষুধ পড়া – সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া।
49. কচ্ছপের কামড় – যা সহজে ছাড়ে না।
50. কলমি কাপ্তেন – দরিদ্র কিন্তু বিলাসী। [পিকেএসএফ – ২০১৮]
51. কাক ভূষণ্ডি – সম্পূর্ণ ভেজা।
52. কাটনার কড়ি – উপার্জন সামান্য।
53. কায়েতের ঘরের ঢেঁকি – অপদার্থ লোক। [মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে – ২০১৬]
54. কিম্ভূতকিমার – অদ্ভুত ও কুৎসিত।
55. কাগুজে বাঘ – মিথ্যা জুজু।
56. কাঁঠালের আমসত্ত্ব – অলীক বস্তু।
57. কুমিরের সান্নিপাত – অসম্ভব ব্যাপার। [ Sonali Bank – 2016 ]
58. কূপমণ্ডুক – ঘরকুনো / সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন। [বন অধিদপ্তরের – ২০১৪], [মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর – ২০১৬]
59. কেউ কেটা – সামান্য।
60. কেঁচো গণ্ডূষ – গোড়া থেকে শুরু।
61. কলির সন্ধ্যা – দৌরাত্ম্যের শুরু।
62. কূর্ম অবতার – অলস।
63. কুনো ব্যাঙ – সীমিত জ্ঞান
64. কুম্ভীরাশ্রু – লোক দেখানো কান্না/নকল সমবেদনা [বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক – ২০১৫]
65. খামকাজ – ভুলকাজ। [Private Sector – 2017]
66. খাবি খাওয়া – ছটফট করা।
67. খুঁটে খাওয়া – ¯ সাবলম্ভি হওয়া।
68. গয়ংগচ্ছ – ঢিলেমি।
69. গোকুলের ষাঁড় – স্বেচ্ছাচারী [রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো – ২০১৭]
70. গণ্ডগ্রাম – বড়গ্রাম।
71. গোঁয়ার গোবিন্দ – কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষ
72. গলগ্রহ – পরের বোঝা হয়ে থাকা [মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয় – ২০১৭]
73. ঘাড়ে গর্দানে – অত্যনত্ম মোটা। [জীবন বীমা কর্পোরেশন – ২০১৪]
74. ঘাড়ার কামড় – দৃঢ় পণ।
75. ঘটিরাম – অপদার্থ[পল্লী বিকাশ কেন্দ্র – ২০১৬, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড-২০১৭]
76. চক্ষুদান করা – চুরি করা।
77. চডুই পাখির প্রাণ – ক্ষীণজীবী লোক। [Modhumoti Bank – 2018]
78. চতুর্ভুজ হওয়া – উৎফুল্ল হওয়া।
79. চাঁদের হাট – ধনেজনে পরিপূর্ণ সংসার।
80. চাঁদ-কপালে – ভাগ্যবান।
81. চোখের চামড়া / পর্দা – চক্ষুলজ্জা।
82. চক্ষের পুতলি – আদরের ধন।
83. চর্বিত চর্বণ – পুনরাবৃত্তি।
84. ঢাকের বাঁয়া – অপ্রয়োজনীয়।
85. চোরাবালি – প্রচ্ছন্ন আকর্ষণ
86. ছামনি নাড়া – দৃষ্টি বিনিময়। [মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে – ২০১৬]
87. ছাঁদনা তলা – বিবাহের মণ্ডপ।
88. ছক্কা-পাঞ্জা – ইতঃস্তত করা/ বড় বড় কথা বলা। [Private Sector – 2017]
89. ছাঁদাবাঁধা – পুজোরপর বা ভোজবাড়ি থেকে ফেরার সময় চাঁদর বা গামছায় খাবার বেঁধে নেয়া
90. জগদ্দল পাথর – গুরুভার।
91. জেলঘুঘু – যে ব্যক্তি বারবার জেল খাটে
92. ঝাঁকের কৈ – এক দলভুক্ত।
93. ঝাড়ে বংশে – সবশুদ্ধ।
94. টুপ ভুজঙ্গ – নেশায় বিভোর।
95. টেণ্ডাই মেণ্ডাই – আস্ফালন।
96. টেঁকে গোঁজা – আত্মসাৎ করা। [জনতা ব্যাংক – ২০১৮]
97. ঠাটঠমক – হাবভাব, চালচলন [ডাক বিভাগ -২০১৫, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড – ২০১৭]
98. ডুমুরের ফুল – অদর্শনীয়। [NGO,Public Jobs- 2015]
99. ডামাডোল – গোলযোগ।
100. ডাকাবুকো – দুঃসাহসী
101. ঢেঁকির কুমির – অপদার্থ। [Standard Bank – 2018]
102. ঢেঁকি অবতার – নির্বোধ লোক। [Modhumoti Bank – 2018]
103. ঢেঁকির কচকচি – বিরক্তিকর কথা।
104. ঢাকের কাঠি – তোষামুদে।
105. ঢাকের বায়া – অপ্রয়োজনীয়। [Probashi Kallyan Bank – 2017]
106. ঢুলুঢুলু – তন্দ্রালুতা
107. তামার বিষ – অর্থের কুপ্রভাব। [BASIC Bank – 2015]
108. নবমীর পাঁঠা – প্রাণ ভয়ে ভীত ব্যক্তি।
109. তাসের ঘর – ক্ষণস্থায়ী।
110. তেল নুন লকড়ি – মৌলিক প্রয়োজন।
111. তীর্থের কাক – প্রতীক্ষারত।
112. তুর্কি নাচন – নাজেহাল অবস্থা। [মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে – ২০১৬]
113. তুলসী বনের বাঘ – সুবেশে দুর্বৃত্ত।
114. ত্রাহি ত্রাহি – পরিত্রাণ কর বলে চিৎকার
115. তরবেতর – নানারকম
116. থাউকি বেলা – বিকালবেলা
117. দড়ি কলসি – আত্মহত্যার উপায়।
118. দোজবরে – দ্বিতীয়বার যে ছেলে বিয়ে করতে চায়। [বন অধিদপ্তরের – ২০১৪], [মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর – ২০১৬]
119. দড়বড়ে – তাড়াহুড়ো
120. দবকানো – ওপরে ভার চাপানো/উপর থেকে চাপ দেয়া [অগ্রনী ব্যাংক – ২০১৭, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড-২০১৬]
121. দশবাই চণ্ডী – অত্যনত্ম রাগী স্ত্রীলোক [BB Combined Exam– 2017]
122. দাঁদুড়ে – অত্যন্ত/দুর্দান্ত
123. দাতাকর্ণ – অত্যন্ত উদার ও দানশীল [পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে – ২০১৪, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর – ২০১৬]
124. দায়-দৈব – ছোট বড় সমস্যা
চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা, বিগত নিয়োগ পরীক্ষায় কমন বাগধারা
125. দেবদ্বিজ মানা – ধর্মে বিশ্বাস থাকা [পল্লী বিকাশ কেন্দ্র – ২০১৬, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড-২০১৭]
126. দোপড়া – এক জায়গায় বিয়ে স্থির হওয়ার পরে কিংবা
127. দক্ষযজ্ঞ ব্যাপার – বিরাট সমারোহ
128. ধর্মের কল – সত্য।
129. ধামাধরা – তোষামোদকারী।
130. ধোপে টেকা – পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। [Standard Bank – 2017]
131. ধোপার গাধা – পরের জন্য খাটা।
132. ধর্মের ষাঁড় – যথেচ্ছাচারী।
133. ধিনিকেষ্ট – দায়িত্বপালনহীন ব্যক্তি
134. ধোঁকার টাটি – প্রতারণার উপরের আবরণ ,[Modhumoti Bank – 2018]
135. ধোপার গাধা – ভারবাহী [পিকেএসএফ – ২০১৮]
136. ধড়িবাজ – ধূর্ত ও ফন্দিবাজ
137. ধোপার ভাঁড়ার – প্রচুর জিনিসপত্র যা ব্যবহার করা যাবে না
138. নয়-দুয়ারি – দ্বারে দ্বারে।
139. নারদের ঢেঁকি – বিবাদের বিষয়।
140. নগদ নারায়ণ – নগদ অর্থ।
141. নিরানবক্ষইয়ের ধাক্কা – সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি, টাকা জমানোর প্রবৃত্তি।
142. ননির পুতুল – সহজে কাতর, আদরে দুলাল। [যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের – ২০১৬] [জীবন বীমা কর্পোরেশনে – ২০১৪]
143. নন্দভৃঙ্গী – অত্যন্ত আদুরে, অকর্মণ্য
144. ননদী ভুলী – কুকর্মের সঙ্গী
145. নব কার্তিক – সুদর্শন কিছু অকর্মণ্য ব্যক্তি
146. ন্যালাখ্যাপা – পাগলাটে
147. নবমীর পাঁঠা – প্রাণভয়ে ভীত ব্যক্তি
148. পঞ্চত্ব প্রাপ্ত – মারা যাওয়া।
149. পায়াভারি – অহংকার। [Private Sector – 2017]
150. পটের বিবি – সুসজ্জিত।
151. পালের গোদা – দলপতি।
152. পগারপার – পালানো।
153. পাণ্ডববর্জিত – সভ্য লোকের বাসের অযোগ্য। [জনতা ব্যাংক – ২০১৫]
154. পত্রপাঠ – তৎক্ষণাৎ।
155. পয়মন্ত – সুলক্ষণযুক্ত
156. পালপাল – প্রচুর সংখ্যক [Standard Bank – 2017]
157. পিণিগেলা – অনিচ্ছায় বা ঘৃণায় কোনো রকমে খাওয়া
158. বচনবাগীশ – কথায় পটু। [Private Sector – 2017]
159. ফোঁস মনসা – ক্রোধী লোক।
160. ফুসমনত্মর – ফাঁকির মন্ত্র
161. ফোঁপরা – বাজে, অকেজো
162. বামনের গরু – যে অল্প পারিশ্রমিকে বেশি কাজ করে। [বন অধিদপ্তরের – ২০১৪], [মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর – ২০১৬]
163. বিদুরের খুদ – শ্রদ্ধার সামান্য উপহার।
164. বিড়াল তপস্বী – ভণ্ড লোক।
165. ব্যাঙের আধুলি – সামান্য পুঁজি হলেও যা গর্বের। [পল্লী বিকাশ কেন্দ্র – ২০১৬, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড-২০১৭]
166. ব্যাঙের লাথি – নগণ্য লোকের দ্বারা অপমান। [পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে – ২০১৪, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর – ২০১৬]
167. ব্যাঙের সর্দি – অসম্ভব ব্যাপার। [মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর – ২০১৬ , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর – ২০১২]
168. বাস্তু ঘুঘু – প্রচ্ছন্ন শয়তান।
169. বচনাবাগীশ – কেবল কথায় পটু
170. বিষের পুটুঁলি – বিদ্বেষী
171. বারো ভূত – অনাত্মীয় লোকজন [ভূমি অফিস – ২০১৫] , [বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক – ২০১৬]
172. বাপানত্ম করা – গালাগালি দেয়া
173. বারফট্টাই – বড়াই
174. বিশ বাও জল – ভীষণ বিপাক
175. ভেরেণ্ডা ভাজা – অকাজে সময় নষ্ট করা/ বেকার জীবন যাপন করা।
176. ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা – অনড় সংকল্প।
177. ভূষণ্ডির কাক – বিচক্ষন ব্যক্তি/দীর্ঘকালের অভিজ্ঞ ব্যক্তি।
178. ভানুমতীর খেল – অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
179. ভূঁই ফোড় – নতুন আগমন।
180. ভুঁইফোঁড় – অর্বাচীন।
181. মণিহারা ফণী – প্রিয়জনের জন্য অস্থির লোক। [ভুমি মন্ত্রণালয় – ২০১৭, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর – ২০১৫]
182. ম্যাও ধরা – দায়িত্ব নেওয়া।
183. যশুরে কই – যে ব্যক্তির মাথাটা মোটা কিন্তু শরীর শীর্ণ
184. রাশভারি – গম্ভীর প্রকৃতির। [BB Combined Exam– 2017]
185. রামগরুড়ের ছানা – গোমড়ামুখো লোক। [NGO,Public Jobs- 2015]
186. রাবণের চিতা – চির অশান্তি।
187. রায়বাগিণী – উগ্রচণ্ডা নারী, দজ্জাল স্ত্রীলোক
188.লম্বাদেয়া – পালানো।
189. লেজে খেলা – ছলনা করা/চাতুরি দ্বারা কষ্ট দেয়া।
190. লোহার কার্তিক – কালো কুৎসিত লোক
191. শর্বরীর প্রতীক্ষা – দীর্ঘকাল ধরে প্রতীক্ষা।
192. শিবরাত্রির সলতে – একমাত্র বংশধর/সন্তান। [BASIC Bank – 2014]
193. শুয়োরের গোঁ – ভয়ানক।
194. শরতের শিশির-ক্ষণস্থায়ী (যদি না থাকে তবে
হবে-সুসময়ের বন্ধু)
195. শাঁখের করাত – উভয় সংকট।
196. শিকে ছেঁড়া – হঠাৎ সৌভাগ্যের উদয় হওয়া
197. সাতকাহন – প্রচুর পরিমাণ।
198. সরফরাজি করা – প্রভাব খাটানোর চেষ্টা/ অযোগ্য ব্যক্তির চালাকি।
199. স্বখাত সলিলে – স্বীয় কর্মে ফল ভোগ/ঘোর বিপদে নিপতিত।
200. সাতকাণ্ড রামায়ণ – মস্তবড় ব্যাপার
201. সোঁতের শেওলা – নিরাশ্রয় ও সহায় সম্বলহীন লোক [খাদ্য অধিদপ্তর – ২০১৫]
202. ষাঁড়ের গোবর – অপদার্থ লোক/অযোগ্য। [বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক – ২০১৬]
203. ষত্ব ণত্ব জ্ঞান – কাণ্ডজ্ঞান।
204. ষণ্ডামার্কা – গুণ্ডা বা বাজে ধরনের লোক।
205. হ্রস্বদীর্ঘ জ্ঞান – কাণ্ড জ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান।
206. হাত ধরা – অনুরোধ করা।
207. হাড় হদ্দ – নাড়ী নক্ষত্র।
208. হাড়ির হাল – দুর্দশার একশেষ। [ভুমি মন্ত্রণালয় – ২০১৭, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর – ২০১৫]
209. হাত পাকান – দক্ষতা
210. হাড় জুড়ানো – শান্তি পাওয়া
211. হাঁড়ির হাল – মলিন
212. রসাতলে গমন- অধঃপাতে যাওয়া। [মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর – ২০১৬ , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর – ২০১২]
213. পৃষ্ঠপ্রদর্শন- পালানো।
214. ঊনপঞ্চাশের বায়ু- পাগলামী
215. একচোঁখা- পক্ষাপাতিত্বপূর্ণ
216. কাষ্ঠহাসি- কপট হাসি
217. ওঁৎপাতা- সুযোগের প্রতীক্ষায় থাকা
218. এক গোয়ালের গরু- একই স্বভাবের লোক [কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর – ২০১৪]
219. কুলকাঠের অঙ্গার- তীব্র জ্বালা
220. ক. অংশ- বর্ণপরিচয়হীন
221. কেতাদুরস্ত – চৌকস
222. খয়ের খাঁ- তোষামোদকারী [রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো – ২০১৭]
223. খাদানাকে তিলক- অশোভন সাজসজ্জা
224. খাটো করা- মর্যাদা না দেওয়া [Private Sector – 2017]
225. গোঁফখেজুরে-অলস [Probashi Kallyan Bank – 2018]
226. গৌড়চন্দ্রিকা- ভূমিকা
227. গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজা- তুষ্ঠি সাধন [BB Combined Exam– 2017]
228. টাইটম্বর- ভরপুর
229. ঠোঁটকাটা- স্পষ্টভাষী
230. ঠুটো জগন্নাথ- অকর্মন্য ব্যক্তি
231. ঠান্ডা লড়াই- দুরভিসন্ধি করা
232. তাল পাতার সোপাই-কঙ্কালসার দেহ [যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় – ২০১৬] [জীবন বীমা কর্পোরেশন – ২০১৪]
233. তুবড়ি ছোটা- বেশি কথা বলা [বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক – ২০১৭]
234. ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির- ধার্মিক
235. বাপের ঠাকুর- শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি [ভূমি অফিস – ২০১৫]
236. বাঘের মাসি- নির্ভীক
237. ভানুমতির খেলা- কেরামতি [স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় – ২০১৬], [পিকেএসএফ – ২০১৫]
238. ঘোড়ার রোগ – বাতিক [NGO,Public Jobs- 2015]
239. ঘরপোড়া গরু- বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা [পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর – ২০১৪, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর – ২০১৬]
240. চোরাবালি- প্রচ্ছন্ন আকর্ষণ
241. চোখের বালি- অপ্রিয়
242. ছুচোর কেত্তন- কলহ [মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর – ২০১৬ , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর – ২০১২]
243. ঢি ঢি পড়া- কলঙ্ক
244. টিমে তেতলা- মন্থর গতি
245. ফোড়ন দেওয়া- খোঁচা দেওয়া।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ক্রম | বাগধারা | অর্থ |
১ | অকাল কুষ্মাণ্ড | অপদার্থ,অকেজো |
২ | অকূল পাথার | ভীষণ বিপদ |
৩ | অক্কা পাওয়া | মারা যাওয়া |
৪ | অগস্ত্য যাত্রা | চির দিনের জন্য প্রস্থান |
৫ | অগাধ জলের মাছ | খুব চালাক, সুচতুর ব্যক্তি |
৬ | অগ্নিপরীক্ষা | কঠিন পরীক্ষা |
৭ | অগ্নিশর্মা | নিরতিশয় ক্রুদ্ধ, ক্ষিপ্ত |
৮ | অতি চালাকের গলায় দড়ি | বেশি চাতুর্যর পরিণাম |
৯ | অতি লোভে তাঁতি নষ্ট | লোভে ক্ষতি |
১০ | অথৈ জলে পড়া | খুব বিপদে পড়া |
১১ | অদৃষ্টের পরিহাস | ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা |
১২ | অনধিকার চর্চা | সীমার বাইরে পদক্ষেপ |
১৩ | অনুরোধে ঢেঁকি গেলা | অনুরোধে দুরূহ কাজ সম্পন্ন করতে সম্মতি দেয়া |
১৪ | অন্ধকার দেখা | দিশেহারা হয়ে পড়া |
১৫ | অন্ধকারে ঢিল মারা | আন্দাজে কাজ করা |
১৬ | অন্ধের নড়ি | একমাত্র অবলম্বন |
১৭ | অন্ধের যষ্ঠি | একমাত্র অবলম্বন |
১৮ | অমাবস্যার চাঁদ | দুর্লভ বস্তু |
১৯ | অমৃতে অরুচি | দামি জিনিসের প্রতি বিতৃষ্ণা |
২০ | অরণ্যে রোদন | নিষ্ফল আবেদন |
২১ | অর্ধচন্দ্র | গলা ধাক্কা |
২২ | অর্ধচন্দ্র দেওয়া | গলা ধাক্কা দিয়ে দেয়া |
২৩ | অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী | সামান্য বিদ্যার অহংকার |
২৪ | অষ্টরম্ভা | ফাঁকি |
২৫ | অহিনকুল সম্বন্ধ | ভীষণ শত্রুতা |
২৬ | আকাশ কুসুম | অসম্ভব কল্পনা |
২৭ | আকাশ থেকে পড়া | অপ্রত্যাশিত |
২৮ | আকাশ পাতাল | প্রভেদ প্রচুর ব্যবধান |
২৯ | আকাশ ভেঙে পড়া | ভীষণ বিপদে পড়া |
৩০ | আকাশে তোলা | অতিরিক্ত প্রশংসা করা |
৩১ | আকাশের চাঁদ | আকাঙ্ক্ষিত বস্তু |
৩২ | আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া | দুর্লভ বস্তু প্রাপ্তি |
৩৩ | আক্কেল গুড়ুম | হতবুদ্ধি, স্তম্ভিত |
৩৪ | আক্কেল সেলামি | নির্বুদ্ধিতার দণ্ড |
৩৫ | আগুন নিয়ে খেলা | ভয়ঙ্কর বিপদ |
৩৬ | আগুনে ঘি ঢালা | রাগ বাড়ানো |
৩৭ | আঙুল ফুলে কলাগাছ | অপ্রত্যাশিত ধনলাভ, হঠাৎ বড়লোক হওয়া |
৩৮ | আটকপালে | হতভাগ্য |
৩৯ | আঠার আনা | সমূহ সম্ভাবনা |
৪০ | আঠার মাসের বছর | দীর্ঘসূত্রিতা |
৪১ | আদা জল খেয়ে লাগা | প্রাণপণ চেষ্টাকরা |
৪২ | আদায় কাঁচকলায় | তিক্ত সম্পর্ক, শত্রুতা |
৪৩ | আমড়া কাঠের ঢেঁকি | অপদার্থ |
৪৪ | আমতা আমতা করা | ইতস্তত করা, দ্বিধা করা |
৪৫ | আলালের ঘরের দুলাল | অতি আদরে নষ্ট পুত্র |
৪৬ | আষাঢ়ে গল্প | আজগুবি কেচ্ছা |
৪৭ | আহ্লাদে আটখানা | খুব খুশি |
৪৮ | ইঁচড়ে পাকা | অকালপক্ব |
৪৯ | ইঁদুর কপালে | নিতান্ত মন্দভাগ্য |
৫০ | ইতর বিশেষ | পার্থক্য |
৫১ | ইলশে গুঁড়ি | গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি |
৫২ | উজানে কৈ | সহজলভ্য |
৫৩ | উড়নচন্ডী | অমিতব্যয়ী |
৫৪ | উড়ে এসে জুড়ে বসা | অনধিকারীর অধিকার |
৫৫ | উড়ো চিঠি | বেনামি পত্র |
৫৬ | উত্তম মধ্যম | প্রহার |
৫৭ | উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে | একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো |
৫৮ | উভয় সংকট | দুই দিকেই বিপদ |
৫৯ | উলু বনে মুক্ত ছড়ানো | অপাত্রে/অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান |
৬০ | ঊনপঞ্চাশ বায়ু | পাগলামি |
৬১ | ঊনপাঁজুড়ে | অপদার্থ |
৬২ | এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো | একই স্বভাবের, একই দলভুক্ত |
৬৩ | এক চোখা | পক্ষপাতিত্ব,পক্ষপাতদুষ্ট |
৬৪ | এক বনে দুই বাঘ | প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী |
৬৫ | এক মাঘে শীত যায় না | বিপদ একবারই আসে না, বার বার আসে |
৬৬ | একাদশে বৃহস্পতি | সৌভাগ্যের বিষয় |
৬৭ | এলাহি কাণ্ড | বিরাট আয়োজন |
৬৮ | এলোপাতাড়ি | বিশৃঙ্খলা |
৬৯ | এসপার ওসপার | মীমাংসা |
৭০ | ওজন বুঝে চলা | অবস্থা বুঝে চলা |
৭১ | ওষুধে ধরা | প্রার্থিত ফল পাওয়া |
৭২ | কই মাছের প্রাণ | যা সহজে মরে না |
৭৩ | কচু পোড়া | অখাদ্য |
৭৪ | কচুকাটা করা | নির্মমভাবে ধ্বংস করা |
৭৫ | কচ্ছপের কামড় | যা সহজে ছাড়ে না |
৭৬ | কড়ায় গণ্ডায় | পুরোপুরি |
৭৭ | কত ধানে কত চাল | হিসেব করে চলা |
৭৮ | কথায় চিঁড়ে ভেজা | ফাঁকা বুলিতে কার্যসাধন |
৭৯ | কথার কথা | গুরুত্বহীন কথা |
৮০ | কপাল ফেরা | সৌভাগ্য লাভ |
৮১ | কলম পেষা | কেরানিগিরি |
৮২ | কলুর বলদ | এক টানা খাটুনি |
৮৩ | কাঁচা পয়সা | নগদ উপার্জন |
৮৪ | কাঁঠালের আমসত্ত্ব | অসম্ভব বস্তু |
৮৫ | কাক ভূষণ্ডী | দীর্ঘজীবী |
৮৬ | কাকতাল | আকস্মিক/দৈব যোগাযোগজাত ঘটনা |
৮৭ | কাছা আলগা | অসাবধান |
৮৮ | কাছা ঢিলা | অসাবধান |
৮৯ | কাঠের পুতুল | নির্জীব, অসার |
৯০ | কান খাড়া করা | মনোযোগী হওয়া |
৯১ | কান পাতলা | সহজেই বিশ্বাসপ্রবণ |
৯২ | কান ভাঙানো | কুপরামর্শ দান |
৯৩ | কান ভারি করা | কুপরামর্শ দান |
৯৪ | কানকাটা | নির্লজ্জ |
৯৫ | কাপুড়ে বাবু | বাহ্যিক সাজ |
৯৬ | কুঁড়ের বাদশা | খুব অলস |
৯৭ | কুল কাঠের আগুন | তীব্র জ্বালা |
৯৮ | কূপমণ্ডুক | সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন, ঘরকুনো |
৯৯ | কেঁচে গণ্ডুষ | পুনরায় আরম্ভ |
১০০ | কেঁচো খুড়তে সাপ | সামান্য থেকে অসামান্য পরিস্থিতি |
১০১ | কেউ কেটা | গণ্যমান্য |
১০২ | কেতা দুরস্ত | পরিপাটি |
১০৩ | কৈ মাছের প্রাণ | যা সহজে মরে না |
১০৪ | খণ্ড প্রলয় | ভীষণ ব্যাপার |
১০৫ | খয়ের খাঁ | চাটুকার |
১০৬ | খাল কেটে কুমির আনা | বিপদ ডেকে আনা |
১০৭ | গড্ডলিকা প্রবাহ | অন্ধ অনুকরণ |
১০৮ | গণেশ উল্টানো | উঠে যাওয়া,ফেল মারা |
১০৯ | গদাই লস্করি চাল | অতি ধীর গতি,আলসেমি |
১১০ | গরজ বড় বালাই | প্রয়োজনে গুরুত্ব |
১১১ | গরমা গরম | টাটকা |
১১২ | গরিবের ঘোড়া রোগ | অবস্থার অতিরিক্ত অন্যায় ইচ্ছা |
১১৩ | গলগ্রহ | পরের বোঝা স্বরূপ থাকা |
১১৪ | গা ঢাকা দেওয়া | আত্মগোপন |
১১৫ | গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল | প্রাপ্তির আগেই আয়োজন |
১১৬ | গাছে তুলে মই কাড়া | সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা |
১১৭ | গায়ে কাঁটা দেওয়া | রোমাঞ্চিত হওয়া |
১১৮ | গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো | কোনো দায়িত্ব গ্রহণ না করা |
১১৯ | গুড়ে বালি | আশায় নৈরাশ্য |
১২০ | গুর খোঁজা | তন্ন তন্ন করে খোঁজা |
চাকরির পরীক্ষার জন্য কমন বাগধারা
ক্রম | বাগধারা | অর্থ |
১২১ | গুরু মারা বিদ্যা | যার কাছে শিক্ষা তারই উপর প্রয়োগ |
১২২ | গুরু মেরে জুতা দান | বড় ক্ষতি করে সামান্য ক্ষতিপূরণ |
১২৩ | গোঁফ খেজুরে | নিতান্ত অলস |
১২৪ | গোঁয়ার গোবিন্দ | নির্বোধ অথচ হঠকারী |
১২৫ | গোকুলের ষাঁড় | স্বেচ্ছাচারী লোক |
১২৬ | গোড়ায় গলদ | শুরুতে ভুল |
১২৭ | গোবর গণেশ | মূর্খ |
১২৮ | গোলক ধাঁধা | দিশেহারা |
১২৯ | গোল্লায় যাওয়া | নষ্ট হওয়া,অধঃপাতে যাওয়া |
১৩০ | গৌরচন্দ্রিকা | ভূমিকা |
১৩১ | গৌরীসেনের টাকা | বেহিসাবী অর্থ |
১৩২ | ঘটিরাম | আনাড়ি হাকিম |
১৩৩ | ঘর ভাঙানো | সংসার বিনষ্ট করা |
১৩৪ | ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো | নিজ খরচে পরের বেগার খাটা |
১৩৫ | ঘাটের মড়া | অতি বৃদ্ধ |
১৩৬ | ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া | মধ্যবর্তীকে অতিক্রম করে কাজ করা |
১৩৭ | ঘোড়া রোগ | সাধ্যের অতিরিক্ত সাধ |
১৩৮ | ঘোড়ার ঘাস কাটা | অকাজে সময় নষ্ট করা |
১৩৯ | ঘোড়ার ডিম | অবাস্তব |
১৪০ | ঘোল কলা | পুরোপুরি |
১৪১ | চক্ষুদান করা | চুরি করা |
১৪২ | চক্ষুলজ্জা | সংকোচ |
১৪৩ | চর্বিত চর্বণ | পুনরাবৃত্তি |
১৪৪ | চশমখোর | চক্ষুলজ্জাহীন |
১৪৫ | চাঁদের হাট | আনন্দের প্রাচুর্য |
১৪৬ | চামচিকের লাথি | নগণ্য ব্যক্তির কটূক্তি |
১৪৭ | চিনির পুতুল | শ্রমকাতর |
১৪৮ | চিনির বলদ | ভারবাহী কিন্তু ফল লাভের অংশীদার নয় |
১৪৯ | চিনে/ছিনে জোঁক | নাছোড়বান্দা |
১৫০ | চুঁনোপুটি | নগণ্য |
১৫১ | চুনকালি দেওয়া | কলঙ্ক |
১৫২ | চুলোয় যাওয়া | ধ্বংস |
১৫৩ | চোখ কপালে তোলা | বিস্মিত হওয়া |
১৫৪ | চোখ টাটানো | ঈর্ষা করা |
১৫৫ | চোখে ধুলো দেওয়া | প্রতারণা করা |
১৫৬ | চোখের চামড়া | লজ্জা |
১৫৭ | চোখের পর্দা | লজ্জা |
১৫৮ | চোখের বালি | চক্ষুশূল |
১৫৯ | চোখের মণি | প্রিয় |
১৬০ | ছ কড়া ন কড়া | সস্তা দর |
১৬১ | ছক্কা পাঞ্জা | বড় বড় কথা বলা |
১৬২ | ছা পোষা | অত্যন্ত গরিব |
১৬৩ | ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা | সামান্য কাজের জন্য অপদার্থ ব্যক্তি |
১৬৪ | ছিঁচ কাদুনে | অল্পই কাঁদে এমন |
১৬৫ | ছিনিমিনি খেলা | নষ্ট করা |
১৬৬ | ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করা | নগণ্য স্বার্থে দুর্নাম অর্জন |
১৬৭ | ছেলের হাতের মোয়া | সহজলভ্য বস্তু |
১৬৮ | জগাখিচুড়ি পাকানো | গোলমাল বাধানো |
১৬৯ | জলে কুমির ডাঙায় বাঘ | উভয় সঙ্কট |
১৭০ | জিলাপির প্যাঁচ | কুটিলতা |
১৭১ | ঝড়ো কাক | বিপর্যস্ত |
১৭২ | ঝাঁকের কৈ | এক দলভুক্ত |
১৭৩ | ঝিকে মেরে বউকে বোঝানো | একজনের মাধ্যমে দিয়ে অন্যজনকে শিক্ষাদান |
১৭৪ | ঝোপ বুঝে কোপ মারা | সুযোগ মত কাজ করা |
১৭৫ | টনক নড়া | চৈতন্যোদয় হওয়া |
১৭৬ | টাকার কুমির | ধনী ব্যক্তি |
১৭৭ | টুপভুজঙ্গ | নেশায় বিভোর |
১৭৮ | টেকে গোঁজা | আত্মসাৎ করা |
১৭৯ | ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় | আদর্শহীনতার প্রাচুর্য |
১৮০ | ঠাঁট বজায় রাখা | অভাব চাপা রাখা |
১৮১ | ঠুঁটো জগন্নাথ | অকর্মণ্য |
১৮২ | ঠেলার নাম বাবাজি | চাপে পড়ে কাবু |
১৮৩ | ঠোঁট কাটা | বেহায়া |
১৮৪ | ডাকের সুন্দরী | খুবই সুন্দরী |
১৮৫ | ডান হাতের ব্যাপার | খাওয়া |
১৮৬ | ডামাডোল | গণ্ডগোল |
১৮৭ | ডুমুরের ফুল | দুর্লভ বস্তু |
১৮৮ | ঢাক ঢাক গুড় গুড় | গোপন রাখার চেষ্টা |
১৮৯ | ঢাকের কাঠি | মোসাহেব,চাটুকার |
১৯০ | ঢাকের বাঁয়া | অপ্রয়োজনীয় |
১৯১ | ঢি ঢি পড়া | কলঙ্ক প্রচার হওয়া |
১৯২ | ঢিমে তেতালা | মন্থর |
১৯৩ | ঢেঁকির কচকচি | বিরক্তিকর কথা |
১৯৪ | তামার বিষ | অর্থের কু প্রভাব |
১৯৫ | তালকানা | বেতাল হওয়া |
১৯৬ | তালপাতার সেপাই | ক্ষীণজীবী |
১৯৭ | তাসের ঘর | ক্ষণস্থায়ী |
১৯৮ | তিলকে তাল করা | বাড়িয়ে বলা |
১৯৯ | তীর্থের কাক | প্রতীক্ষারত |
২০০ | তুলসী বনের বাঘ | ভণ্ড |
২০১ | তুলা ধুনা করা | দুর্দশাগ্রস্ত করা |
২০২ | তুষের আগুন | দীর্ঘস্থায়ী ও দুঃসহ যন্ত্রণা |
২০৩ | থ বনে যাওয়া | স্তম্ভিত হওয়া |
২০৪ | থরহরি কম্প | ভীতির আতিশয্যে কাঁপা |
২০৫ | দহরম মহরম | ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক |
২০৬ | দা-কুমড়া | ভীষণ শত্রুতা |
২০৭ | দাদ নেওয়া | প্রতিশোধ নেয়া |
২০৮ | দিনকে রাত করা | সত্যকে মিথ্যা করা |
২০৯ | দু মুখো সাপ | দু জনকে দু রকম কথা বলে পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টিকারী |
২১০ | দুকান কাটা | বেহায়া |
২১১ | দুধে ভাতে থাকা | খেয়ে-পড়ে সুখে থাকা |
২১২ | দুধের মাছি | সু সময়ের বন্ধু |
২১৩ | দেঁতো হাসি | কৃত্তিম হাসি |
২১৪ | ধড়া-চূড়া | সাজপোশাক |
২১৫ | ধরাকে সরা জ্ঞান করা | অহঙ্কারে সবকিছু তুচ্ছ মনে করা |
২১৬ | ধরি মাছ না ছুঁই পানি | কৌশলে কার্যাদ্ধার |
২১৭ | ধর্মের কল বাতাসে নড়ে | সত্য গোপন থাকে না |
২১৮ | ধর্মের ষাঁড় | যথেচ্ছাচারী |
২১৯ | নগদ নারায়ণ | কাঁচা টাকা/নগদ অর্থ |
২২০ | নথ নাড়া | গর্ব করা |
২২১ | ননীর পুতুল | শ্রমবিমুখ |
২২২ | নয় ছয় | অপচয় |
২২৩ | নাটের গুরু | মূল নায়ক |
২২৪ | নাড়ি নক্ষত্র | সব তথ্য |
২২৫ | নামকাটা সেপাই | কর্মচ্যূত ব্যক্তি |
২২৬ | নিমক হারাম | অকৃতজ্ঞ |
২২৭ | নিমরাজি | প্রায় রাজি |
২২৮ | নেই আঁকড়া | একগুঁয়ে |
২২৯ | নেপোয় মারে দই | ধূর্ত লোকের ফল প্রাপ্তি |
২৩০ | পগার পার | আয়ত্তের বাইরে পালিয়ে যাওয়া |
২৩১ | পটল তোলা | মারা যাওয়া |
২৩২ | পটের বিবি | সুসজ্জিত |
২৩৩ | পত্রপাঠ | অবিলম্বে/সঙ্গে সঙ্গে |
২৩৪ | পরের ধনে পোদ্দারি | অন্যের অর্থের যথেচ্ছ ব্যয় |
২৩৫ | পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা | অপরকে দিয়ে কাজ উদ্ধার |
২৩৬ | পাকা ধানে মই | অনিষ্ট করা |
২৩৭ | পাখিপড়া করা | বার বার শেখানো |
২৩৮ | পাততাড়ি গুটানো | জিনিসপত্র গোটানো |
২৩৯ | পাথরে পাঁচ কিল | সৌভাগ্য |
২৪০ | পায়াভারি | অহঙ্কার |
চাকরির পরীক্ষার জন্য কমন বাগধারা
ক্রম | বাগধারা | অর্থ |
২৪১ | পালের গোদা | দলপতি |
২৪২ | পুঁটি মাছের প্রাণ | যা সহজে মরে যায় |
২৪৩ | পুকুর চুরি | বড় রকমের চুরি |
২৪৪ | পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটা | পুরোনো প্রসঙ্গে কটাক্ষ করা |
২৪৫ | পোঁ ধরা | অন্যকে দেখে একই কাজ করা |
২৪৬ | পোয়া বারো | অতিরিক্ত সৌভাগ্য |
২৪৭ | প্রমাদ গোণা | ভীত হওয়া |
২৪৮ | ফপর দালালি | অতিরিক্ত চালবাজি |
২৪৯ | ফুলবাবু | বিলাসী |
২৫০ | ফুলের ঘাঁয়ে মূর্ছা যাওয়া | অল্পে কাতর |
২৫১ | ফেউ লাগা | আঠার মতো লেগে থাকা |
২৫২ | ফোড়ন দেওয়া | টিপ্পনী কাটা |
২৫৩ | বইয়ের পোকা | খুব পড়ুয়া |
২৫৪ | বক ধার্মিক | ভণ্ড সাধু |
২৫৫ | বগল বাজানো | আনন্দ প্রকাশ করা |
২৫৬ | বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো | সহজে খুলে যায় এমন |
২৫৭ | বরাক্ষরে | অলক্ষুণে |
২৫৮ | বর্ণচোরা আম | কপট ব্যক্তি |
২৫৯ | বসন্তের কোকিল | সুদিনের বন্ধু |
২৬০ | বাঁ হাতের ব্যাপার | ঘুষ গ্রহণ |
২৬১ | বাঁধা গৎ | নির্দিষ্ট আচরণ |
২৬২ | বাঘের দুধ/ চোখ | দুঃসাধ্য বস্তু |
২৬৩ | বাজখাঁই গলা | অত্যন্ত কর্কশ ও উঁচু গলা |
২৬৪ | বাজারে কাটা | বিক্রি হওয়া |
২৬৫ | বাড়া ভাতে ছাই | অনিষ্ট করা |
২৬৬ | বায়াত্তরে ধরা | বার্ধক্যের কারণে কাণ্ডজ্ঞানহীন |
২৬৭ | বালির বাঁধ | অস্থায়ী বস্তু |
২৬৮ | বিড়াল তপস্বী | ভণ্ড সাধু |
২৬৯ | বিদ্যার জাহাজ | অতিশয় পণ্ডিত |
২৭০ | বিনা মেঘে বজ্রপাত | আকস্মিক বিপদ |
২৭১ | বিশ বাঁও জলে | সাফল্যের অতীত |
২৭২ | বিসমিল্লায় গলদ | শুরুতেই ভুল |
২৭৩ | বুদ্ধির ঢেঁকি | নিরেট মূর্খ |
২৭৪ | ব্যাঙের আধুলি | সামান্য সম্পদ |
২৭৫ | ব্যাঙের সর্দি | অসম্ভব ঘটনা |
২৭৬ | ভরাডুবি | সর্বনাশ |
২৭৭ | ভস্মে ঘি ঢালা | নিষ্ফল কাজ |
২৭৮ | ভাঁড়ে ভবানী | নিঃস্ব অবস্থা |
২৭৯ | ভাদ্র মাসের তিল | প্রচণ্ড কিল |
২৮০ | ভানুমতীর খেল | অবিশ্বাস্য ব্যাপার |
২৮১ | ভাল্লুকের জ্বর | ক্ষণস্থায়ী জ্বর |
২৮২ | ভিজে বিড়াল | কপটাচারী |
২৮৩ | ভূঁই ফোড় | হঠাৎ গজিয়ে ওঠা |
২৮৪ | ভূতের ব্যাগার | অযথা শ্রম |
২৮৫ | ভূশন্ডির কাক | দীর্ঘজীবী |
২৮৬ | মগের মুল্লুক | অরাজক দেশ |
২৮৭ | মড়াকান্না | উচ্চকণ্ঠে শোক প্রকাশ |
২৮৮ | মণিকাঞ্চন যোগ | উপযুক্ত মিলন |
২৮৯ | মন না মতি | অস্থির মানব মন |
২৯০ | মশা মারতে কামান দাগা | সামান্য কাজে বিরাট আয়োজন |
২৯১ | মাকাল ফল | অন্তঃসারশূণ্য |
২৯২ | মাছের মায়ের পুত্রশোক | কপট বেদনাবোধ |
২৯৩ | মিছরির ছুরি | মুখে মধু অন্তরে বিষ |
২৯৪ | মুখ চুন হওয়া | লজ্জায় ম্লান হওয়া |
২৯৫ | মুখে দুধের গন্ধ | অতি কম বয়স |
২৯৬ | মুখে ফুল চন্দন পড়া | শুভ সংবাদের জন্য ধন্যবাদ |
২৯৭ | মুস্কিল আসান | নিষ্কৃতি |
২৯৮ | মেছো হাটা | তুচ্ছ বিষয়ে মুখরিত |
২৯৯ | মেনি মুখো | লাজুক |
৩০০ | যক্ষের ধন | কৃপণের ধন |
৩০১ | যমের অরুচি | যে সহজে মরে না |
৩০২ | রত্নপ্রসবিনী | সুযোগ্য সন্তানের মা |
৩০৩ | রাই কুড়িয়ে বেল | ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বৃহৎ |
৩০৪ | রাঘব বোয়াল | সর্বগ্রাসী ক্ষমতাবান ব্যক্তি |
৩০৫ | রাজ যোটক | উপযুক্ত মিলন |
৩০৬ | রাজা উজির মারা | আড়ম্বরপূর্ণ গালগল্প |
৩০৭ | রাবণের গুষ্টি | বড় পরিবার |
৩০৮ | রাবণের চিতা | চির অশান্তি |
৩০৯ | রায় বাঘিনী | উগ্র স্বভাবের নারী |
৩১০ | রাশভারি | গম্ভীর প্রকৃতির |
৩১১ | রাহুর দশা | দুঃসময় |
৩১২ | রুই-কাতলা | পদস্থ বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি |
৩১৩ | লগন চাঁদ | ভাগ্যবান |
৩১৪ | ললাটের লিখন | অমোঘ ভাগ্য |
৩১৫ | লাল পানি | মদ |
৩১৬ | লাল বাতি জ্বালা | দেউলিয়া হওয়া |
৩১৭ | লাল হয়ে যাওয়া | ধনশালী হওয়া |
৩১৮ | লেজে গোবরে | বিশৃঙ্খলা |
৩১৯ | লেফাফা দুরস্ত | বাইরের ঠাট বজার রেখে চলেন যিনি |
৩২০ | শকুনি মামা | কুটিল ব্যক্তি |
৩২১ | শত্রুর মুখে ছাই | কুদৃষ্টি এড়ানো |
৩২২ | শরতের শিশির | সুসময়ের বন্ধু |
৩২৩ | শাঁখের করাত | দুই দিকেই বিপদ |
৩২৪ | শাপে বর | অনিষ্টে ইষ্ট লাভ |
৩২৫ | শিকায় ওঠা | স্থগিত |
৩২৬ | শিঙে ফোঁকা | মরা |
৩২৭ | শিবরাত্রির সলতে | একমাত্র সন্তান |
৩২৮ | শিরে সংক্রান্তি | বিপদ মাথার ওপর |
৩২৯ | শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়া | আলস্যে সময় নষ্ট করা |
৩৩০ | শ্রীঘর | কারাগার |
৩৩১ | ষাঁড়ের গোবর | অযোগ্য |
৩৩২ | ষোল আনা | পুরোপুরি |
৩৩৩ | সখাত সলিলে | ঘোর বিপদে পড়া |
৩৩৪ | সব শেয়ালের এক রা | ঐকমত্য |
৩৩৫ | সবুরে মেওয়া ফলে | ধৈর্যসুফল মিলে |
৩৩৬ | সবে ধন নীলমণি | একমাত্র অবলম্বন |
৩৩৭ | সরফরাজি করা | অযোগ্য ব্যক্তির চালাকি |
৩৩৮ | সাক্ষী গোপাল | নিষ্ক্রিয় দর্শক |
৩৩৯ | সাত খুন মাফ | অত্যধিক প্রশ্রয় |
৩৪০ | সাত সতের | নানা রকমের |
৩৪১ | সাতেও নয়, পাঁচেও নয় | নির্লিপ্ত |
৩৪২ | সাপের ছুঁচো গেলা | অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে কাজ করা |
৩৪৩ | সাপের পাঁচ পা দেখা | অহঙ্কারী হওয়া |
৩৪৪ | সেয়ানে সেয়ানে | চালাকে চালাকে |
৩৪৫ | সোনায় সোহাগা | উপযুক্ত মিলন |
৩৪৬ | হ য ব র ল | বিশৃঙ্খলা |
৩৪৭ | হরি ঘোষের গোয়াল | বহু অপদার্থ ব্যক্তির সমাবেশ |
৩৪৮ | হরিলুট | অপচয় |
৩৪৯ | হস্তীমূর্খ | বুদ্ধিতে স্থূল |
৩৫০ | হাটে হাঁড়ি ভাঙা | গোপন কথা প্রকাশ করা |
৩৫১ | হাড় হদ্দ | নাড়ি নক্ষত্র/সব তথ্য |
৩৫২ | হাড় হাভাতে | হতভাগ্য |
৩৫৩ | হাড়ে দুর্বা গজানো | অত্যন্ত অলস হওয়া |
৩৫৪ | হাতটান | চুরির অভ্যাস |
৩৫৫ | হাতুড়ে বদ্যি | আনাড়ি চিকিৎসক |
৩৫৬ | হাতের পাঁচ | শেষ সম্বল |
৩৫৭ | হালে পানি পাওয়া | সুবিধা করা |
৩৫৮ | হিতে বিপরীত | উল্টো ফল |
৩৫৯ | হীরার ধার | অতি তীক্ষ্ণবুদ্ধি |
৩৬০ | হোমরা চোমরা | গণ্যমান্য ব্যক্তি |
চাকরির জন্য বাগধারা, চাকরির পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা
মগের মুল্লুক
এইতো সেদিন, বিশাল এক জ্যামে আটকে বসে ছিলাম। আর এদিকে গরমও ছিল প্রচণ্ড। সব মিলিয়ে মেজাজ ছিল চরমে। ঢাকা শহরের ওপর রাগ হচ্ছিল আর মনে হচ্ছিল, “এক মগের মুল্লুকে বাস করছি”।
এই “মগের মুল্লুক” কথাটি কীভাবে এল? গ্লাসের কিংবা জগের মুল্লুক নয় কেন?
এই মগ কিন্তু আমাদের পানি খাবার মগ নয়।
মোগল আমলের কথা। তখন আমাদের এই দেশ অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য জাতি এবং দস্যুদের চোখ পড়ল এদেশের ওপর। সেসময় আমাদের দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরাকান থেকে আগত মগ জলদস্যুরা অনেক লুটপাট আর অরাজকতা চালাত। আমাদের ওসময়ের শাসকেরা তো আফগান থেকে আসা মোগল, জলে যুদ্ধে ওরা অতটা পারদর্শী ছিল না। আর এখনকার বার্মা বা মায়ানমার থেকে আসা মগরা ছিল খুব দুর্ধর্ষ জলদস্যু।
সেসময় ঢাকার সুবেদার খানজাদ খাঁর কাছে প্রজারা গেল এর প্রতিকারের আশায়। ভীরু খানজাদ খাঁ এর কোনো বিহিত তো করলেনই না বরং চলে গেলেন রাজমহলে। ফলে মগরা যাচ্ছেতাই করতে লাগল। অত্যাচার, লুটপাট, এদেশের লোকদের ধরে নিয়ে দাস হিসেবে বিক্রি, কিচ্ছুই বাদ রাখেনি তারা। তাই সেসময়ের পরিস্থিতির সাথে তুলনা করে, এখন যখন কোথাও আমরা অরাজকতা, দুর্বলের ওপর সবলের নির্যাতন, অত্যাচার, অনাচার দেখি, তাকে বলি “মগের মুল্লুক”।
লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন
কেউ যখন আমাদের কাছে টাকা চায়, তখন আমরা মজা করে হাসতে হাসতে বলি, “লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন”। কে এই গৌরী সেন? কেনই বা তিনি টাকা দেবেন?
হুগলির বাসিন্দা গৌরী সেন সপ্তদশ শতকের লোক। কথিত আছে, ব্যবসাসূত্রে তিনি দস্তার পরিবর্তে এক জাহাজ রূপো পেয়েছিলেন। পারিবারিক আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায় তিনি বিপুল ধনসম্পদ অর্জন করেন। সেই লাভের টাকা তিনি সৎকর্মে ব্যয় করবেন বলে সংকল্প করেন। দুহাতে অসহায়দের মাঝে দান করতে থাকেন। সবার প্রয়োজনে মুক্তহস্তে দান করে তিনি প্রবাদে স্থান করে নিয়েছেন।
আর এভাবেই লোকমুখে চলে এসেছে, “লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন”।
মান্ধাতার আমল
অনেক পুরনো কিছু বোঝাতে আমরা “মান্ধাতার আমল” কথাটি ব্যবহার করি।
এই মান্ধাতা হলো একজন ব্যক্তি কিংবা হিন্দু পুরাণের চরিত্র। সূর্যবংশ অর্থাৎ রামচন্দ্রের বংশের এক অতিপ্রাচীন পূর্বপুরুষ এই মান্ধাতা। তাই বহু প্রাচীন কোনো ঘটনা বোঝাতে “মান্ধাতার আমল” ব্যবহৃত হয়।
ধ্রুব সত্য
চরম সত্য বোঝাতে আমরা বলি “ধ্রুব সত্য”। এর পেছনেও আছে পুরাণের একটি গল্প।
রাজা উত্থানপাদের দুয়োরানির পুত্র ধ্রুব একদিন সৎভাইদের সঙ্গে সিংহাসনে বাবার কোলে বসতে চান। তখন তার সৎমা তাকে পরামর্শ দেন কৃষ্ণ ভজনা করে এই অধিকার লাভ করতে। কঠিন তপস্যার মাধ্যমে ধ্রুব কৃষ্ণকে অবতরণ করালেন। তো কৃষ্ণ এসে তাকে বর দিতে চান। ধ্রুব বর হিসেবে চাইলেন কৃষ্ণের চরণে স্থান।
সত্যের জন্য তার এই চরম নিষ্ঠা থেকেই এল “ধ্রুব সত্য”। রাতে উত্তর আকাশে যে ধ্রুবতারা, তা কিন্তু এই অবিচল সত্যনিষ্ঠারই প্রতীক।
ধুন্ধুমার কাণ্ড
বিশাল হাঙ্গামা বোঝাতে আমরা “ধুন্ধুমার কাণ্ড” ব্যবহার করি।
কে এই ধুন্ধুমার? কী কাণ্ড সে করেছিল?
পুরাণ মতে, ধুন্ধু ছিল এক বিশাল দৈত্য। ব্রহ্মার বর পেয়ে প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে সে স্বর্গ-মর্ত্য-পাতালে গণ্ডগোল শুরু করেছিল। তাকে থামাতে এক ঋষির সহায়তায় রাজা কুবলাশ্ব তাকে হত্যা করেন। সে থেকে রাজা কুবলাশ্ব উপাধি পেলেন “ধুন্ধুমার” নামে।
কিন্তু ধুন্ধুর সাথে যুদ্ধটা সহজ ছিলনা মোটেই। এই যুদ্ধে বিশাল দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়। বহু লোক মারা যায়। তাই সে থেকে মারপিট, দাঙ্গা-হাঙ্গামা অর্থে আমরা “ধুন্ধুমার কাণ্ড” কথাটি ব্যবহার করি।
তুঘলকি কাণ্ড
সুলতান মহম্মদ বিন তুঘলকের নাম আমরা মোটামুটি সবাই পড়েছি। তিনি ছিলেন খামখেয়ালি শাসক। একদিন তার হঠাৎ মনে হল রাজধানী দিল্লি থেকে সরিয়ে দেবগিরিতে নিয়ে গেলে সাম্রাজ্য পরিচালনায় সুবিধা হবে। যে কথা সেই কাজ।
খুবই স্বল্প সময়ের নোটিশে তিনি সাম্রাজ্যের সব অফিস-আদালত, উজির-নাজির নিয়ে চলে গেলেন দেবগিরিতে। সেখানে যেয়ে সৃষ্টি হল বিশাল এক সমস্যা। কেননা, সাম্রাজ্যের রাজধানী হওয়ার জন্য যে স্থাপনা বা কাঠামো দরকার তার কোনো ব্যবস্থা না করেই রাজধানী স্থানান্তর ছিল অবিবেচকের মত একটি সিদ্ধান্ত। তার ফলও তিনি পান হাতেনাতে। অল্পদিনেই আবার তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফিরে আসেন দিল্লীতে।
আর এই খামখেয়ালি সুলতানের নাম থেকেই এল “তুঘলকি কাণ্ড”।
অগস্ত্য যাত্রা
প্রাচীন পুরাণের অগস্ত্য মুনির নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। তাঁর নাম থেকেই এই বাগধারাটি এসেছে।
পুরাণ মতে, বিন্ধ্যপর্বত একবার কঠিন তপস্যা করে হিমালয়ের মত বড় হতে চেয়েছিল। কিন্তু বিন্ধ্যপর্বত এত বড় হয়ে পড়ায় সূর্যের আলো আসতে বাঁধা পেতে থাকে। মহা মুশকিল!
এর একটা সুরাহা করার জন্য দেবতারা ধরলেন বিন্ধ্যপর্বতের গুরু অগস্ত্য মুনিকে। অগস্ত্য মুনি যাত্রা শুরু করলেন দক্ষিণে, বিন্ধ্যপর্বতের উদ্দেশ্যে। তিনি সেখানে পৌঁছামাত্র বিন্ধ্যপর্বত তাকে নিচু হয়ে প্রণাম করল। এই সুযোগে অগস্ত্য মুনি বিন্ধ্যপর্বতকে আদেশ করলেন তিনি ফিরে আসা পর্যন্ত যেন বিন্ধ্যপর্বত এভাবেই নত হয়ে থাকে। অগস্ত্য মুনি সেই যে গেলেন, আর ফিরলেন না। আর বিন্ধ্যপর্বতও নত অবস্থায়ই থেকে গেল। অগস্ত্য মুনির সেই না ফেরা থেকেই এল “অগস্ত্য যাত্রা”।
সাক্ষী গোপাল
এই বাগধারাটি এসেছে প্রাচীন লোকগাঁথা থেকে।
অনেক অনেক কাল আগে, পুরীতে তীর্থ করতে যেয়ে এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেসময় এক তরুণ তার সেবা করে তাকে সুস্থ করে তোলে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ব্রাহ্মণ নিজের মেয়ের সাথে ওই তরুণের বিয়ে দিতে চাইলেন।
তীর্থ শেষে ব্রাহ্মণ নিজের দেশে ফিরে গেলেন। আর ভুলেও গেলেন তরুণের কথা।
এদিকে তরুণ দেশেবিদেশে ঘুরে অবশেষে ব্রাহ্মণের সন্ধান পেল। ব্রাহ্মণকে যেয়ে তার প্রতিজ্ঞার কথা বলতেই ব্রাহ্মণ বেঁকে বসলেন। ব্রাহ্মণ দাবী জানালেন প্রতিজ্ঞার সাক্ষী হাজির করার।
তরুণ গেল শ্রীকৃষ্ণের কাছে। তাকে অনুনয় জানাল সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য। তরুণের অনুনয় বিনয় শুনে তিনি রাজী হলেন সাক্ষ্য দিতে। তবে একটা শর্ত বেঁধে দিলেন। কী সেই শর্ত?
তিনি সাক্ষ্য দিতে তরুণের পেছন পেছন ব্রাহ্মণের গ্রামে যাবেন। তবে যাত্রাপথে তরুণ পেছন ফিরে তাকালেই তিনি থেমে যাবেন। আর সাক্ষ্য দিতে যাবেন না। ভয়ে ভয়ে তরুণ যাত্রা করল। যাত্রাপথে কৃষ্ণের মাথায় দুষ্টবুদ্ধি চাপল। তিনি পায়ের শব্দ লুকিয়ে ফেললেন। এতে তরুণ ভয় পেয়ে গেল। পেছন ফিরে তাকাল। আর কৃষ্ণ সেখানেই দাঁড়িয়ে গেলেন।
সেই থেকে যারা কোনো সমস্যা দেখেও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে, তাদের বলা হয় “সাক্ষী গোপাল”।
হরি ঘোষের গোয়াল
নিতান্ত অলস আর নিষ্কর্মা লোকদের আড্ডাকে বলে হরি ঘোষের গোয়াল।
এই হরি ঘোষ একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি। নদীয়ার বাসিন্দা হরি ঘোষের বাড়ির গোয়ালে ছিল এক পণ্ডিতের পাঠশালা।সেখানে দূরদূরান্ত থেকে ছাত্ররা আসত বিদ্যালাভের আশায়। সেই পাঠশালায় সমবেত ছাত্রের কোলাহল থেকেই এই বাগধারাটির উৎপত্তি।
তবে এটি নিয়ে ভিন্ন মতামতও পাওয়া যায়। কলকাতা শহরের শোভাবাজার এলাকায় হরি ঘোষ নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তি বাস করতেন। তার ছিল বিশাল এক অতিথিশালা যেখানে তিনি সবাইকে আশ্রয় দিতেন। ফলে ক্রমেই সেটা অলস আর কুঁড়ে লোকের আস্তানায় পরিণত হয়। সে থেকেও “হরি ঘোষের গোয়াল” বাগধারাটি আসতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
১ম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রশ্ন ও সমাধান লিংক
Professor Primary Assistant Teacher book লিংক
ইংরেজি
ইংরেজি ব্যাকরণ