বাণিজ্যিক ব্যাংক কাকে বলে, ঋণ আমানত সৃষ্টি ,জামানত গ্রহণ করার সময় ব্যাংকের বিবেচ্য বিষয়গুলাে

বাণিজ্যিক ব্যাংক হলাে স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যাবসায়ী, যার প্রধান কাজ হলাে স্বল্পসুদে বা লাভে আমানত হিসেবে মক্কেলদের অর্থ জমা গ্রহণ এবং অধিক সুদে বা লাভে উক্ত অর্থ ঋণ হিসেবে অন্যদের প্রদান করা। ব্যাংক ঋণ প্রদানের সময় নিরাপত্তার উদ্দেশ্য তৃতীয় পক্ষের নিশ্চয়তা গ্রহণ করে থাকে।
নির্দেশনাঃ

ক. বাণিজ্যিক ব্যাংক কাকে বলে সংক্ষেপে লিখতে হবে।

খ. বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ আমানত সৃষ্টি করে আলােচনা কর।

গ.জামানত গ্রহণ করার সময় ব্যাংকের বিবেচ্য বিষয়গুলাে ব্যাখ্যা করতে হবে।

উত্তর সমূহ:

ক. বাণিজ্যিক ব্যাংক কাকে বলে সংক্ষেপে লিখতে হবে।

উত্তর :

সাধারণভাবে ব্যাংক বলতে আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংক এই বুঝে থাকি। যুগের সাথে সাথে বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যবস্থায় অনেক আধুনিকায়ন ও বিশেষায়ন ঘটেছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংক একটি মুনাফাকেন্দ্রিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্যিক ব্যাংক সাধারণত জনগণের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সঞ্চিত অর্থ সংগ্রহ করে গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে থাকে।

➡ Commercial Bank (বাণিজ্যিক ব্যাংক)

বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলিই বাণিজ্যিক ব্যাংকিং। বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশের কোম্পানি ও ব্যাংকিং আইন অনুযায়ী গঠন করা হয়ে থাকে। এ ব্যাংক জনগণ থেকে বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে আমানত গ্রহণ করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এ ব্যাংক দেশের মুদ্রা বাজারের সদস্য হিসাবেও কাজ করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক সরকারি, বেসরকারি ও সরকারি-বেসরকারি মালিকানায় হয়ে থাকে। একটি দেশে একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকতে পারে এবং দেশে-বিদেশে শাখা খুলতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি সাপেক্ষে এ ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্যেও অংশগ্রহণ করে।

নিকাশ ঘর পরিচালনার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সহায়তা করে। এ প্রকার ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বাধ্যতামূলকভাবে হিসাব বিবরণী পেশ করতে হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

খ. বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ আমানত সৃষ্টি করে আলােচনা কর।

উত্তর :

ঋণগ্রহীতাকে দেয়া অর্থ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ আমানত সৃষ্টি করে। ব্যাংক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ মঞ্জুর করলে সরাসরি নগদ অর্থ দেয় না। ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকে একটি হিসাব খুলতে হয়।

ব্যাংক এ হিসাবে ঋণের অর্থ স্থানান্তর করে। চেকের মাধ্যমে সেখান থেকে ঋণগ্রহীতা তার প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলন করেন। এভাবে ঋণ থেকে ব্যাংকগুলো আমানত সৃষ্টি করে।

বাণিজ্যিক ঋণ কার্যক্রম মুদ্রা সরবরাহের বিরাট অংশ। ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আমানত সৃষ্টি, অর্থের উপযোগ ও ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। অর্থাৎ প্রতিটি ঋণই একটি আমানত সৃষ্টি করে। এম.এন. মিশ্রা বলেন-” অর্থাৎ আমানত ঋণ সৃষ্টি করে এবং ঋণ আমানত সৃষ্টি করে। ঋণ প্রদানের সময় বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণের টাকা সরাসরি না দিয়ে ঋণগ্রহীতার নামে হিসাব খুলে সেই হিসাবে জমা দেয়। ফলে প্রদত্ত অর্থ ব্যাংকেই থেকে যায় এবং এতে ব্যাংকের আমানত বৃদ্ধি পায়। ঋণ গ্রহীতা প্রয়োজন অনুযায়ী চেক কেটে ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করে। সাধারণতঃ ঋণগ্রহীতা পুরো ঋণকৃত অর্থই একবারে তুলে নেয় না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ঋণদান থেকে আমানত, পুনঃআমানত থেকে ঋণদান প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। এই প্রক্রিয়ায় আমানত সৃষ্টিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমানত-ঋণ এবং ঋণ-আমানত বলে। এই প্রক্রিয়ায় ঋণের পরিমাণ যতো বৃদ্ধি হয়, আমানতের পরিমাণও
ততো বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংক অন্য পদ্ধতিতেও ঋণ আমানত সৃষ্টি করতে পারে। যেমন- সম্পদ ক্রয়, বিনিময় বিল বাট্টাকরণ, শেয়ারসিকিউরিটি ক্রয়, জমাতিরিক্ত ঋণদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে যদি ব্যাংক নগদ অর্থ পরিশোধ না করে ” চেকের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করে, তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই নতুন নতুন আমানত সৃষ্টি হয়।

নিচে একটি উদাহরণের মাধ্যমে ঋণ
আমানত সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো ঃ জনাব সিদ্দিক তার সোনালী ব্যাংক হিসেবে ২০,০০০ টাকা জমা দিল। সোনালী ব্যাংক এ জমা থেকে বিধিবদ্ধ তারল্য
১০% (২০,০০০ দ্ধ ১০%) অর্থাৎ ২,০০০ টাকা হাতে রেখে বাকী (২০,০০০-২০০০) ১৮,০০০ টাকা জনাব জামানকে ঋণ প্রদান করলো। জনাব জামানকে টাকা নগদে না দিয়ে তার ব্যাংক হিসাবে জমা করা হলো। এই জমাকৃত টাকার ১০% (১৮০০০* ১০%) অর্থাৎ ১৮০০ রেখে ব্যাংক জনাব খালিদকে ১৬,২০০ টাকা ঋণ প্রদান করলো। এবং পূর্ব নিয়মেই টাকা না দিয়ে মিঃ খালিদের ব্যাংক হিসেবে জমা করলো। এই জমাকৃত টাকা থেকে ১০% অর্থাৎ ১,৬২০ টাকা তারল্য রেখে বাকি ১৪,৫৮০ টাকা মিসেস জাহানকে প্রদান করলো। এর ফলে দেখা যায়, ৩ (তিন) হাত অর্থাৎ জামান, খালেদ ও জাহানের হাত বদল হয়ে জনাব সিদ্দিকের ২০,০০০ টাকার আমানত ব্যাংকের জন্য ২০,০০০+১৮,০০০+১৬,২০০+১৪,৫৮০ = ৬৮,৭৮০ টাকার ঋণ আমানত সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এরূপে আমানত পুনঃঋণদানের সুযোগ যতো বেশি হবে, ব্যাংকের ঋণ আমানতের পরিমাণও ততো বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

ঋণ আমানত সৃষ্টির পদ্ধতি বা কৌশল : বাণিজ্যিক ব্যাংক টাকা প্রচলন করতে না পারলেও ঋণ আমানত সৃষ্টি করতে পারে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ আমানত
সৃষ্টির বিভিন্ন পদ্ধতি বা কৌশলগুলোকে আমরা নিম্নরূপে বর্ণনা করতে পারি ঃ

১. জনগণের অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করেঃ জনগণ তাদের অর্থ ব্যাংকে জমা রাখে যা ব্যাংকের প্রাথমিক আমানত। এ আমানতের একটি অংশ সংরক্ষিত রেখে ব্যাংক ঋণদান করে। ফলে আমানত থেকে ঋণের সৃষ্টি হয়। এভাবে
একটি প্রাথমিক আমানত থেকে কয়েকগুণ ঋণ আমানতের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে তা রিজার্ভে সংরক্ষণের হারের উপর নির্ভরশীল। নিম্নের সূত্রের সাহায্যে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায় ঃ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

২. ঋণদানের মাধ্যমে ঋণ আমানতের সৃষ্টি ঃ বাণিজ্যিক ব্যাংক যখন ঋণ প্রদান করে তখন ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকে একটি হিসাব খোলার অনুরোধ করে। ঋণের অর্থ পরিশোধ না হলে ব্যাংক হিসাবে ক্রেডিট করা হয়। ঋণ গ্রহীতা পুরো অর্থ
একবারে উত্তোলন না করে প্রয়োজন অনুযায়ী চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে। ফলে প্রদত্ত ঋণের অর্থ ব্যাংকে থেকে যায় যা ব্যাংকের জন্য একটি আমানত।

৩. সম্পদ ক্রয় করে ঋণ আমানত সৃষ্টি ঃ ব্যাংক যখন কোন সম্পদ ক্রয় করে তার মূল্য নগদে পরিশোধ না করে চেকের মাধ্যমে তা পরিশোধ করে থাকে। প্রাপক চেকটি তার ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়। এতে ব্যাংকের আমানত বৃদ্ধি পায়।

৪. বিনিময় বিল বাট্টাকরণঃ বাণিজ্যিক ব্যাংক যখন কোন বিনিময় বিল বাট্টাকরে তখন তার মূল্য চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করে। ফলে চেকটি আবার ব্যাংক হিসাবে এসে জমা হয় এবং এতে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

৫. শেয়ার-সিকিউরিটি ক্রয়ঃ বাণিজ্যিক ব্যাংক অনেক সময় শেয়ার, সিকিউরিটি, ঋণপত্র, সরকারি বন্ড ক্রয়ের মূল্য দাগকাটা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করে ঋণ সৃষ্টি করে। অপর দিকে চেকের মূল্য বিক্রেতার ব্যাংক হিসাবে জমা হয়ে
আমানত সৃষ্টি করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

গ.জামানত গ্রহণ করার সময় ব্যাংকের বিবেচ্য বিষয়গুলাে ব্যাখ্যা করতে হবে।

উত্তর :

ব্যাংক আমানত হিসাবে যে অর্থ সংগ্রহ করে তা ব্যবহারের একটি প্রধান খাত হলো ঋণ দেওয়া। সঠিকভাবে ঋণ মঞ্জুর করার উপরে ঋণ ফেরত পাওয়া নির্ভর করে। তাই ব্যাংক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিচার বিশেষণ করে ঋণ মঞ্জুর করে। নিচে ঋণ মঞ্জুরের সময় বিবেচ্য বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো ঃ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১. তারল্য :

বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ মঞ্জুরের সময় সর্বপ্রথম তারল্য নীতি অনুসরণ করে। ব্যাংক নিজের টাকার উপরে ভিত্তি করে ব্যবসা পরিচালনা করে না, বরং আমানতকারীদের টাকার উপরেই একে নির্ভর করতে হয়। তাই ভবিষ্যতে যাতে আমানতকারীরা চাওয়ামাত্র তাদের দাবি পরিশোধ করা যায় এমন পরিমাণ সঞ্চিতি রেখে তবেই ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে। শুধু তাই নয়, কত দ্রুত এই ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে সেটাও বিবেচ্য বিষয়।

২. নিরাপত্তা :

ঋণগ্রহীতা ঋণের অর্থ ফেরত দিতে না পারলে অথবা যথাসময়ে ফেরত দিতে না পারলে ব্যাংককে মারাত্মক অর্থের ঘাটতিতে পড়তে হয়। তাই ব্যাংক ঋণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সাধারণত ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে উপযুক্ত ব্যক্তিগত ও অব্যক্তিগত জামানত গ্রহণ করে থাকে। ঋণগ্রহীতা যথাসময়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে ব্যাংক জামানতী সম্পত্তি বিক্রি করে ঐ টাকা আদায় করে নিতে পারে। অবশ্য জামানত বিক্রি করে ঋণের টাকা আদায় করতে হবে আগে থেকেই এমন সন্দেহ সৃষ্টি হলে ব্যাংক তাকে ঋণ দেয় না।

৩. ঋণগ্রহীতার আর্থিক সচ্ছলতা:

ঋণগ্রহীতা আর্থিকভাবে সচ্ছল হলে তার কাছ থেকে ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু তার আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে অথবা তার সম্পত্তির পরিমাণ ঋণের দায় পরিশোধের জন্য যথেষ্ট না হলে সেক্ষেত্রে ঋণের অর্থ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তাই ঋণ মঞ্জুর করার সময় ঋণগ্রহীতার আর্থিক স্বচ্ছলতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখা হয়।

৪. ঋণগ্রহীতার সততা:

ব্যাংক কখনোই অসৎ ব্যক্তিকে ঋণ দিতে চায় না। কারণ এমন লোক সবসময়ই বিভিন্ন টালবাহানা করে ঋণের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে।

৫. ঋণগ্রহীতার ব্যবসায়ীক দক্ষতা:

ঋণগ্রহীতা যদি কোন ব্যবসায়ী হন তবে তাকে ঋণ মঞ্জুরের সময় ব্যাংক তার ব্যবসায়ীক দক্ষতা ও যোগ্যতা বিশেষণ করে দেখে। কেননা, অসফল ব্যবসায়ী ঋণ নিলে সে ঋণ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৬. মুনাফার সম্ভাব্যতা:

ঋণগ্রহীতা যে খাতে ব্যবহারের জন্য ঋণের আবেদন করে ঐ খাতে কতটা মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে ব্যাংক তা বিশ্লেষণ করে। যেসব খাতে বেশি মুনাফা অর্জন করা সম্ভব সেসব খাতে ঋণ দিতে ব্যাংক বেশি আগ্রহী হয়, কারণ ঐ খাতে ঋণের টাকা
ফেরত পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৭. ঋণের উদ্দেশ্য:

ঋণগ্রহীতা যে খাতে বিনিয়োগের জন্য ঋণের আবেদন করে ঐ খাত কতটা উৎপাদনশীল তা বিবেচনা করে দেখা হয়, কারণ অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ দিলে তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে না এবং ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।

৮. ঋণের বৈচিত্রকরণ:

ব্যাংক তার তহবিলের একটা বড় অংশ ঋণ হিসাবে বিতরণ করে। এই ঋণ যদি মাত্র কয়েকজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে অথবা মাত্র কয়েকটি খাতে এই ঋণ দেওয়া হয় তবে ঋণের অর্থের ঝুঁকির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কোন একক ঋণগ্রহীতাকে অনেক বেশি পরিমাণ ঋণ দিলে সে যদি তা যথাসময়ে পরিশোধ করতে না পারে অথবা কোন একক খাতে অনেক বেশি পরিমাণ ঋণ দিলে ঐ খাত যদি সফল না হয় তবে ব্যাংক বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই ঋণ মঞ্জুরের সময় ব্যাংক বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরণের খাতে বিনিয়োগের জন্য ঋণ দিতে আগ্রহী হয়।

৯. জামানতের গুণাগুণ:

জামানতের বিপক্ষে ঋণ দেওয়া হলে ব্যাংক জামানতের গুণাগুণ ভালো করে যাচাই করে দেখে। ভালো মানের জামানত না হলে ব্যাংক তা সহজে বিক্রি করতে পারে না বলে অনাদায়ী ঋণের অর্থ আদায় করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১০. জামানতের বিক্রয়যোগ্যতা:

যে জামানতের বিপক্ষে ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে তা সহজে বিক্রয়যোগ্য হতে হবে। স্থাবর সম্পত্তি সহজে বিক্রি করা যায় না বলে এর বিপক্ষে ঋণ দিতে ব্যাংক খুব বেশি আগ্রহী হয় না।

সবশেষে বলা যায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে এর ঋণ ব্যবস্থাপনার সফলতার উপরে। কারণ যথাসময়ে ঋণ মঞ্জুর করলে এবং যথাসময়ে তা ফেরত পাওয়া গেলে ব্যাংক চলমান আয় সংগ্রহ করতে পারে এবং নতুন নতুন
ঋণের সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং ব্যাংকের ঋণদানের সামর্থ্য ও মুনাফা বাড়ানোর জন্য উপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে বিবেচনা করে ঋণ দেওয়া উচিত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Assignment

2 thoughts on “বাণিজ্যিক ব্যাংক কাকে বলে, ঋণ আমানত সৃষ্টি ,জামানত গ্রহণ করার সময় ব্যাংকের বিবেচ্য বিষয়গুলাে”

Leave a Comment