বিজ্ঞান বইয়ের নবম অধ্যায়ে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের উল্লেখ আছে

দূরবীক্ষণ যন্ত্র তথা দূরবীন (টেলিস্কোপ) এমন একটি যন্ত্র যা দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তু দর্শনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি দূরবর্তী বস্তু থেকে নির্গত বিকিরণ সংগ্রহ, পরিমাপ এবং বিশ্লেষণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। সাধারণ দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করা হয় লেন্স এবং দর্পণের সাহায্যে। এ ধরনের দুরবিনের সাহায্যে দূরের বস্তু আরো উজ্জ্বলভাবে বা অস্পষ্ট বস্তু আরো স্পষ্ট করে দেখা যায়। আবার বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত দূরবীক্ষণ যন্ত্র বলতে এমন কৌশল বুঝায় যার সাহায্যে সীমিত দিক থেকে আগত তড়িচ্চুম্বক বিকিরণ বা কণা-বিকিরণ হিসেবে আগত বিকিরণ সংগ্রহ করা যায়।

দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা দুরবিন এমন একটি যন্ত্র যা দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তু দেখার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে দূরের বস্তু আরো উজ্জ্বলভাবে বা অস্পষ্ট বস্তু আরো স্পষ্ট করে দেখা যায়। দূরবীক্ষণ যন্ত্রকে ইংরেজিতে টেলিস্কোপ (Telescope) বলে। টেলিস্কোপ শব্দটি প্রাচীন গ্রিক শব্দ টেলি ‘দূর’ ও স্কোপেইন ‘দেখতে’ থেকে এসেছে। টেলিস্কোপের মূল অর্থ ‘দূরদর্শন’।

দূরবীক্ষণ যন্ত্র নলাকৃতি। এটি সাধারণত লেন্স ও দর্পণ দিয়ে তৈরি করা হয়। মহাকাশের গ্রহ, নক্ষত্র ও গ্যালাক্সি নিয়ে গবেষণা করতে বিজ্ঞানীরা একনলা দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করেন। আরেক ধরনের দোনলা দূরবীক্ষণ যন্ত্র আছে। সেগুলো সাধারণত প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা বিভাগ ব্যবহার করে দূরের বস্তু পর্যবেক্ষণের জন্য।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১৬০৯ সালে ইতালির জ্যোতির্বিজ্ঞানী গালিলিও দূরবর্তী তারা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি দুরবিন তৈরি করেন। তিনি এই যন্ত্র তৈরির ধারণা লাভ করেছিলেন মিডলবার্গের হ্যান্স লিপারশে নামক এক চশমা নির্মাতার কাছ থেকে। গ্যালিলিওই প্রথম দূরবীক্ষণ যন্ত্রকে আকাশের দিকে তাক করেন এবং এর সাহায্যে বৃহস্পতির উপগ্রহ এবং শনির বলয় পর্যবেক্ষণ করেন। তিনিই প্রথম মানুষ যিনি গ্রহ-নক্ষত্রগুলোকে শুধু আলোকবর্তিকা হিসেবে নয়, তাদের স্পষ্ট চেহারায় দেখেছিলেন এবং ১৬১০ সালে তিনি নিজের তৈরি দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে বৃহস্পতি গ্রহকে প্রদক্ষিণরত চারটি উপগ্রহ দেখেন।

১৬১১ সালে ইয়োহানেস কেপলারও একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করেন। তখন পর্যন্ত প্রতিসরণ দূরবীক্ষণ যন্ত্রের যুগ চলছিল, যা লেন্সের সাহায্যে কাজ করত। পরবর্তীকালে জেমস গ্রেগরি প্রথমবারের মতো প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যার মূল উপাদান হলো দর্পণ বা আয়না। প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরিতে অবদান আছে আইজ্যাক নিউটনেরও। এসব আবিষ্কারের ওপর ভিত্তি করেই ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ডের জর্ডেল ব্যাংকে তৈরি করা হয় রেডিও টেলিস্কোপ।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ দূরবীক্ষণ যন্ত্রের নাম জেমস ওয়েব স্পেস। এটি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা প্রায় দুই দশক ধরে নির্মাণ করেন। এর আগে ২৬ বছর ধরে সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী দূরবীক্ষণ যন্ত্র ছিল হাবল স্পেস। জেমস ওয়েব স্পেস হচ্ছে তারই উত্তরসূরি। চলতি বছর ৩১ অক্টোবর জেমস ওয়েব স্পেসের উৎক্ষেপণ করা হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শিক্ষা

Leave a Comment