বিষয়: বেগম সুফিয়া কামাল সম্পর্কে A-Z তথ্য PDF,বেগম সুফিয়া কামাল সম্পর্কে বিগত সালের প্রশ্ন সমাধানসহ, বেগম সুফিয়া কামাল জীবনী, এক নজরে বেগম সুফিয়া কামাল জীবনী,একনজরে বেগম সুফিয়া কামাল বর্ণাঢ্য সংক্ষিপ্ত জীবনী,বেগম সুফিয়া কামাল নিয়ে আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সমূহ, বিসিএস প্রস্তুতি বেগম সুফিয়া কামাল,বেগম সুফিয়া কামাল প্রশ্ন উত্তর
সুফিয়া কামাল
কবি পরিচিতি
নাম: সুফিয়া কামাল।
জন্মতারিখ : ২০ জুন, ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ
জন্মস্থান : শায়েস্তাবাদ, বরিশাল।
পিতার নাম : সৈয়দ আবদুল বারী।
মাতার নাম : নওয়াবজাদী সৈয়দা সাবেরা খাতুন।
শিক্ষাজীবন= অনানুষ্ঠানিক ও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত।
পেশা/কর্মজীবন কলকাতার একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা। পরবর্তীতে সাহিত্য সাধনা ও নারী আন্দোলনে ব্রতী হন।
সাহিত্যকর্ম কাহিনী কাব্য : সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, উদাত্ত পৃথিবী, মন ও জীবন, প্রশস্তি ও প্রার্থনা।
গল্প : কেয়ার কাঁটা।
ভ্রমণকাহিনী : সোভিয়েতের দিনগুলি।
স্মৃতিকথা : একাত্তরের ডায়েরী।
শিশুতোষ গ্রন্থ : ইতল বিতল, নওল কিশোরের দরবারে।
পুরস্কার ও সম্মাননা= বুলবুল ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার।
জীবনাবসান মৃত্যু তারিখ : ২০ নভেম্বর, ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ।
কবি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- সুফিয়া কামালের প্রথম বিয়ে হয়-মামাত ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সঙ্গে ১৯২৩ সালে।
- তখন তিনি পরিচিত হন-সুফিয়া এস. হোসেন নামে।
- তাঁকে বলা হয় জননী সাহসিকা।
- সুফিয়ার স্বামী সৈয়দ নেহাল মৃত্যুবরণ করেন-১৯৩২ সালে যক্ষা রোগে।
- তাঁর দ্বিতীয়বার বিবাহ হয়-১৯৩৯ সালে চট্টগ্রাম নিবাসী লেখক কামাল উদ্দীন আহমেদের সঙ্গে। এরপর তিন„সুফিয়া কামাল নাম গ্রহণ করেন।
- সুফিয়া কামাল সম্পাদক ছিলেন-বেগম পত্রিকা (১৯৪৭)।
- তিনি মহিলা সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্ব দেন-মহিলা সংগ্রাম পরিষদ (১৯৬৯)। আজ এর নাম বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
- তিনি যে ধরনের কবি-রবীন্দ্র কাব্যধারার গীতিকবিতা রচিয়তা।
- তিনি পুরস্কার লাভ করেন- বাংলা একাডেমি পুরস্কার(১৯৬২),লেনিন পুরস্কার, রাশিয়া (১৯৭০), একুশে পদক (১৯৭৬), বেগম রোকেয়া পদক (১৯৯৬),স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৭) ইত্যাদি।
আরো ও সাজেশন:-
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সুফিয়া কামালঃ
বেগম সুফিয়া কামাল (জন্মঃ ২০শে জুন, ১৯১১ – মৃত্যুঃ ২০শে নভেম্বর, ১৯৯৯) বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা কবি, লেখিকা, নারীবাদী ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত।
জন্মঃ
সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার পিতার নাম সৈয়দ আব্দুল বারী। তিনি কুমিল্লার বাসিন্দা ছিলেন। যে সময়ে সুফিয়া কামালের জন্ম তখন বাঙ্গালি মুসলিম নারীদের কাটাতে হত গৃহবন্দি জীবন। স্কুল কলেজে পড়ার কোনো সুযোগ তাদের ছিলো না। পরিবারে বাংলা ভাষার প্রবেশ এক রকম নিষিদ্ধ ছিল। ঐ বিরুদ্ধ পরিবেশে সুফিয়া কামাল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি। তিনি পারিবারিক নানা উত্থান পতনের মধ্যে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন।
প্রাথমিক জীবনঃ
যে পরিবারে সুফিয়া কামাল জন্মগ্রহণ করেন সেখানে নারীশিক্ষাকে প্রয়োজনীয় মনে করা হতোনা। তিনি তাঁর মা সাবেরা বেগমের কাছে বাংলা পড়তে শেখেন। মাত্র বার বছর বয়সে তাঁকে সৈয়দ নেহাল হোসেনের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। নেহাল অপেক্ষাকৃত আধুনিকমনস্ক ছিলেন, তিনি সুফিয়া কামালকে সাহিত্যপাঠে উৎসাহিত করেন। সুফিয়া সে সময়ের বাঙালি সাহিত্যিকদের লেখা পড়তে শুরু করেন। ১৯১৮ সালে কলকাতায় গিয়েছিলেন সুফিয়া কামাল। সেখানে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিলো। সুফিয়া কামালের শিশু মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলো বেগম রোকেয়ার কথা ও কাজ, সুফিয়া কামালের কাজেকর্মেও ছাপ পাওয়া যায় বেগম রোকেয়ার।
সাহিত্যচর্চার সূচনা এবং কলকাতার জীবনঃ
সাহিত্য পাঠের পাশাপাশি সুফিয়া কামাল সাহিত্য রচনা শুরু করেন। ১৯২৬ সালে তাঁর প্রথম কবিতা বাসন্তী সেসময়ের প্রভাবশালী সাময়িকী সওগাতে প্রকাশিত হয়। ত্রিশের দশকে কলকাতায় অবস্থানকালে বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র যেমন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র প্রমুখের দেখা পান। মুসলিম নারীদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইস
লামে’ রোকেয়ার সঙ্গে সুফিয়া কামালের পরিচয় হয়। বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা ও প্রতিজ্ঞা তাঁর মধ্যেও সঞ্চারিত হয়, যা তাঁর জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁর সাহিত্যচর্চা চলতে থাকে। ১৯৩৭ সালে তাঁর গল্পের সংকলন কেয়ার কাঁটা প্রকাশিত হয়। ১৯৩৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ সাঁঝের মায়ার মুখবন্ধ লিখেন কাজী নজরুল ইসলাম। বইটি বিদগ্ধজনের প্রশংসা কুড়ায় যাদের মাঝে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৯৩২ সালে তাঁর স্বামীর আকস্মিক মৃত্যু তাঁকে আর্থিক সমস্যায় ফেলে। তিনি কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং ১৯৪২ সাল পর্যন্ত এ পেশায় নিয়োজিত থাকেন। এর মাঝে ১৯৩৯ সালে কামালউদ্দীন আহমেদের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। দেশবিভাগের পূর্বে তিনি নারীদের জন্য প্রকাশিত সাময়িকী বেগমের সম্পাদক ছিলেন।
মহাপ্রয়াণঃ
১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় সুফিয়া কামাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশী নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন।
রচনাঃ
কাব্যগ্রন্থঃ
* সাঁঝের মায়া (১৯৩৮)
* মায়া কাজল (১৯৫১)
* মন ও জীবন (১৯৫৭)
* শান্তি ও প্রার্থনা (১৯৫৮)
* উদাত্ত পৃথিবী (১৯৬৪)
* দিওয়ান (১৯৬৬)
* মোর জাদুদের সমাধি পরে (১৯৭২)
গল্পঃ
* কেয়ার কাঁটা (১৯৩৭)
ভ্রমনকাহিনীঃ
* সোভিয়েতে দিনগুলি (১৯৬৮)
স্মৃতিকথাঃ
* একাত্তুরের ডায়েরি (১৯৮৯)
পুরস্কারঃ
সুফিয়া কামাল ৫০টির বেশী পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মাঝে কয়েকটিঃ
* বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২)
* সোভিয়েত লেনিন পদক (১৯৭০)
* একুশে পদক (১৯৭৬)
* বেগম রোকেয়া পদক (১৯৯২)
* জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার (১৯৯৫)
* দেশবন্ধু সি আর দাস গোল্ড মেডেল (১৯৯৬)
* স্বাধীনতা দিবস পদক (১৯৯৭)
রচনা ,প্রবন্ধ | উত্তর লিংক | ভাবসম্প্রসারণ | উত্তর লিংক |
আবেদন পত্র | উত্তর লিংক | অনুচ্ছেদ রচনা | উত্তর লিংক |
চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক | প্রতিবেদন | উত্তর লিংক |
Paragraph | উত্তর লিংক | Composition | উত্তর লিংক |
Application | উত্তর লিংক | উত্তর লিংক | |
Essay | উত্তর লিংক | Letter | উত্তর লিংক |
জন্ম: ১৯১১ সালের ২০ জুন, বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদ গ্রামে মামার বাড়িতে।
→ কবি, সংগঠক ও নারীনেত্রী।
→ ১৯২৩ সালে মাত্র বারো বছর বয়সে মামাতো ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সাথে প্রথম বিয়ে হয়।আধুনিকমনস্ক নেহাল হোসেন স্ত্রী সুফিয়া কামালকে সাহিত্যপাঠে উৎসাহিত করেন। এ সাহিত্য পাঠের পাশাপাশি সাহিত্য রচনার শুরু।
→ বেগম রোকেয়ার লেখা তাঁর ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলে।
→১৯২৩ সালে তাঁর প্রথম গল্প ‘সৈনিক বধূ’ বরিশালের ‘তরুণ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
→ ১৯২৬ সালে তাঁর প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ সে-সময়ের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘সওগাতে’ প্রকাশিত হয়।
→ ১৯৩২ সালে স্বামীর আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। সংসার সামলাতে কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু এবং ১৯৪২ সাল পর্যন্ত এ পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
→ ১৯৩৭ সালে গল্পের সংকলন ‘কেয়ার কাঁটা’ প্রকাশিত হয়।
→ ১৯৩৮ সালে প্রথম কাব্য ‘ সাঁঝের মায়া’র মুখবন্ধ লিখেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
→ ১৯৩৯ সালে চট্টগ্রামের কামাল উদ্দীনের সঙ্গে বিয়ে হয়।
→১৯৪৭ সালে তাঁর সম্পাদনায় ‘বেগম’ পত্রিকা বের হয়। এ বছর দেশবিভাগের পর সপরিবারে ঢাকায় আগমন।
→ ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং এতে অংশ নেয়ার জন্য নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন।
→ ১৯৫৬ সালে শিশুদের সংগঠন ‘কচিকাঁচার মেলা’ প্রতিষ্ঠা করেন।
→ ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে যুক্ত।এ বছর সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানটে’র সভাপতি নির্বাচিত হন।
→ ১৯৬৯ সালে নারীদের জন্য ‘মহিলা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করেন; তিনি এ সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে এর নাম ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’। এ বছরের গণঅভ্যুত্থানেও অংশগ্রহণ করেন।
→১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন।মুক্তিযুদ্ধের সময় ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দিতেন।স্বাধীন বাংলাদেশে নারীজাগরণ আর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন।
→ সুফিয়া কামালের কাব্যগ্রন্থ :
অভিযাত্রিক দিওয়ান সাঁঝের মায়ায় স্মৃতিকাতর হয়ে মায়া কাজল পরে উদাত্ত পৃথিবীতে মৃত্তিকার ঘ্রাণ নিয়ে মোর জাদুদের সমাধি পরে গিয়ে শান্তি ও প্রার্থনা করে মন ও জীবনকে মানাল।
উপরের বাক্যের অভিযাত্রিক,দিওয়ান,সাঁঝের মায়া,মায়া কাজল,উদাত্ত পৃথিবী, মৃত্তিকার ঘ্রাণ,মোর জাদুদের সমাধি পরে,শান্তি ও প্রার্থনা, মন ও জীবন হল সুফিয়া কামালের কাব্যগ্রন্থ।
→ শিশুতোষ গ্রন্থ: ইতল বিতল (১৯৬৫), নওল কিশোরের দরবারে (১৯৮২)।
→ ভ্রমণকাহিনি: সোভিয়েতে দিনগুলি ( ১৯৬৮)।
→ আত্মজীবনী : একালে আমাদের কাল (১৯৮৮)।
→ স্মৃতিকথা: একাত্তরের ডায়রী (১৯৮৯)।
→ স্বাধীনতা দিবস পদক, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ ৫০টিরও বেশি পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যু : ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
- শীর্ষ ১০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যানিমে কী কী?, সর্বকালের সেরা ২০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যানিমে
- বৃষ্টির আবহাওয়ায় আমার মোটরসাইকেলের যত্ন
- কিভাবে মরিচা থেকে আপনার মোটরসাইকেলকে রক্ষা করবেন?, বাইকে মরিচা কিভাবে দূর করা যায় ?