ব্যবসার ক্ষেত্রে মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার তাৎপর্য উল্লেখ করো,ব্যবসায় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বলতে কি বুঝায়?, ব্যবসায় নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা, মূল্যবোধ কাকে বলে এবং মূল্যবোধের উৎস ও প্রকারভেদ কী?, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ রেখেও ব্যবসায় সফল হওয়া যায়

ব্যবসায়িক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা

Necessity of business values and Ethics

ব্যবসার ক্ষেত্রে মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার তাৎপর্য উল্লেখ করো

উত্তর:

যদিও ব্যবসায়ের প্রধান উদ্দেশ্য, মুনাফা অর্জন তবু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার এটি মেনে চলতে হয় । সমাজ ও ব্যবসায় সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে ব্যবসায়ী ও ব্যবসায় উদ্যোক্তাকে সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লালন ও পালন করতে হয়। এ অধ্যায়ে আমরা ব্যবসায়ে নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারব।

ব্যবসায়িক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার ধারনা (Concept of Business Values And Ethics)

ব্যবসায়িক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা শব্দ দুটির ধারনা প্রায় অবিচ্ছেদ্য। যে জ্ঞানবোধ এবং আচরন সমাজ মূল্যবান ও অনুকরণীয় মনে করে তাকেই মূল্যবোধ বলে অভিহিত করা যায়। মূল্যবোধ ও নৈতিকতাবোধ মানুষকে ন্যায়, অন্যায়, ঠিক বেঠিক, ভালো মন্দের মধ্যে পার্থক্য চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। এটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক, মঙ্গলময় ও কল্যানময় দিকের নির্দেশনা দেয়। অন্যায় থেকে ন্যায়, অর্ধম থেকে ধর্ম, অসত্য থেকে সত্য, অনুচিত থেকে উচিত পৃথকীকরন বা নিরূপনের ক্ষমতা নৈতিক নীতিবোধ থেকে আসে। একটি সুন্দর সুখী সমাজ গঠন এবং দেশের জনগনের জন্য নৈতিক আচরনবিধি অনুসরন একান্ত আবশ্যক।

নৈতিকতা (Ethics)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

নৈতিকতা শব্দটি গ্রীক শব্দ ইথস (Ethos)শব্দ হতে উদ্ভব হয়েছে। যার অর্থ মানব আচরনের মানদন্ড। নৈতিকতা মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের সাথে জড়িত।আমরা জানি, একজন শিক্ষকের প্রধান কাজ হলো শিক্ষার্থী ছাত্রীদের সুষ্ঠ পাঠদান করা। কিন্তু পাঠদানই শেষ নয়, তাকে দেখতে হবে শিক্ষার্থী ছাত্রীরা পাঠদান বুঝতে পারছে কিনা। পড়াশুনায় মনোযোগী না অমোনোযোগী, বাগির কাজ ঠিকমত করছে কিনা তা দেখা এবং ভুল সংশোধন করে দেওয়া, প্রভৃতি কাজগুলো শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শিক্ষকের ন্যায় শিক্ষার্থী ছাত্রীদেরও কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। যেমন যথাসময়ে স্কুলে যাওয়া, বাড়ির কাজ করা এবং শিক্ষকের আদেশ নির্দেশ ইত্যাদি। নৈতিকতা বলতে, মানুষের ভালো মন্দের বিচার বিশ্লেষন করে সঠিকটি গ্রহন করাকে বুঝায়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছাত্রীদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন নৈতিকতার অংশ।

ব্যবসায়ে নৈতিকতা ( Business ethics)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

একটি ব্যবসায়ের ধারনা চিহ্নিত করা থেকে শুরু করে এটি সফলভাবে পরিচালনার সাথে অনেক কাজ জড়িত। এসব কাজ সুন্দর , সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে নৈতিকতা দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে। সাথে সাথে ব্যবসায়ে নৈতিকতা বা নৈতিক মূল্যবোধ ব্যবসায় জগতে আমাদের আচরনকে সঠিক পথে পরিচালনা করে।

ব্যবসায় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সমাজে জনগনের বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং অন্যান দব্যের চাহিদা মেটানোর জন্য একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয় ও চলমান থাকে। একজন ব্যবসায়ী বা ব্যবসায় উদ্যোক্তা জনগনের চাহিদা মোতাবেক পণ্য দ্রব্য উৎপাদন বা প্রস্ত্তত করে উৎপাদন খরচের সাথে মুনাফা যোগ করে বা অন্য ব্যবসায়ীর কাছে থেকে ক্রয় করে ক্রয়মূল্যের সাথে মুনাফার পরিমান যোগ করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রয় করে। ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের ব্যবধানই মুনাফা। অতিরিক্ত লাভের আশায় পণ্যের কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করে বেশি দাম ধার্য করলে তা হবে নৈতিকতার পরিপন্থী। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু নৈতিকতা রয়েছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

যেমন: পণ্যের দাম এমন দাম নির্ধারন করতে হবে যাতে তার লাভ হয় কিন্তু মূল্য জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে।ব্যবসায়ী এমন পণ্য দ্রব্য সরবরাহ করবে না যেটি জনগনের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অর্থাৎ জনগন এবং ব্যবসা উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করেই ব্যবসা পরিচালনা করা বাঞ্চনীয়। ব্যবসায়ে অন্য নৈতিকতাগুলো হলো-

সততা বজায় রাখা
ক্ষতিকর পণ্য উৎপাদন ও বিপনন না করা
গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা না করা
মেয়াদোত্তীর্ন পণ্যদ্রব্য বিক্রি না করা
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করা
বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও শিল্প আইন মেনে চলা
পরিবেশের ক্ষতিসাধন না করা
জনকল্যানে অবদান রাখা

ব্যবসায়িক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা(Necessity of business vslues and Ethics)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন বা অন্য কোন কারনেই হোক ব্যবসায় অনৈতিক কার্যকলাপ দিনদিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে ব্যবসায় নৈতিকতার প্রয়োগ অনেক ক্ষেত্রে সন্তোষজক নয়। প্রতিদিন খবরের কাগজের পাতা উল্টালে ব্যবসায় সংক্রান্ত অনেক নেতিবাচক খবর ও চিত্র চোখে পড়ে। মরা মুরগী কেনা বেচা, খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল,নিম্নমানের পন্য তৈরী বা বিক্রয়, ওজনে কম,ফরমালিনযুক্ত মাছ ও ফলমূল, স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর রং খাদ্যে মেশানো, পন্যদ্রব্যের গুনাগুন সম্পর্কে মিথ্যা ও অতিরিক্ত তথ্যদান,

নির্মানকাজে নিম্নমানের দ্রব্য ব্যবহার, ঔষধে ভেজাল, চলাচলের অযোগ্য যানবাহনের রাস্তায় চলাচল ইত্যাদি ব্যবসায়ে অনৈতিক কার্যকলাপের উদাহরন। এসব অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ।ভেজাল ঔষধ খেয়ে অনেক শিশু মারা গেছে এবং অনেক শিশু অসুস্থ হচ্ছে।ভেজাল খাদ্য খেয়ে মানুষ নানারকম ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। ব্যবসায়দের এসব অনৈতিক কার্যকলাপ রোধ না করা গেলে রোগাক্রান্ত মানুষদের একটি অসুস্থ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। যার ফল হবে ভয়াবহ। নিম্নোক্ত কারনে ব্যবসায়ে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

১। সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ট সৃষ্টিমানুষ। অনৈতিক কার্যকলাপ ও অনৈতিক আচরন মানুষের কাছ থেকে কাম্য নয়।


২।ব্যবসায়ী প্রস্তুকৃত বা সরবরাহকৃত পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে জীবন ধারন করে। তাদের নৈতিক দায়িত্ব সঠিকপণ্য দ্রব্য বা সেবা সরবরাহ করা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


৩।বর্তমানে ভেজাল খাবার খেয়ে মানুষ কঠিন ও জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যার প্রতিক্রিয়াও ভয়াবহ। একমাত্র ব্যবসায় নৈতিকতা বোধ এই ভয়াবহ পরিণতি থেকে রক্ষা করতে পারে।


৪। ঔষুধপত্রে ভেজালের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঔষুধ প্রস্ত্ততকারকদের নৈতিক আচরনই এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে পারে।


৫। ব্যবসায় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সমাজের ভালো মন্দ, কল্যান দেখা একটি গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


৬। ব্যবসায়ের মূল লক্ষ্য মুনাফা অর্জন হলেও সামাজিক দায়িত্ব পালনও একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ। একাজে অবহেলা বা অনীহা ব্যবসায়ের জন্য মঙ্গলময় নয়।


৭। ব্যবসায়ের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য সামাজিক দায়িত্বপালন অপরিহার্য।


৮। ব্যবসায় সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে নৈতিকতার ভূমিকা অপরিসীম। নৈকিতকার সাধারন নীতিমালা অনুসরন করলে ব্যবসায় সিদ্ধান্তসমূহ সঠিক হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


৯। ব্যবসায়ে অনৈতিক কার্যবলির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হলেও এর পরিনাম কখনও ভালো হয় না। অনেক ব্যবসায় প্রথমে ভালো ফলাফল করেও অনৈতিক কার্যকলাপে নিয়োজিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়।


১০। অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যবসায়ীকে সবাই ঘৃণা করে। সমাজের সন্মান ও শ্রদ্ধা পেতে হলে ব্যবসায় নৈতিক আচরন বা সত্য পথ অবলম্বনের বিকল্প নেই।

ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতার ধারনা ও গুরুত্ব ( Concept of Social Responsibilities and Its Impotant)

ব্যবসার সামাজিক দায়বদ্ধতা বলতে মুনাফা অর্জনের সাথে সমাজের কিছু মঙ্গলময় বা কল্যানমূলক কাজ করাকে বুঝায়। প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জনকে ঘিরেই পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্ত্ত বর্তমানে এই ধারনার পরির্বতন এসেছে। ব্যবসায় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান।সমাজকে ঘিরেই এর কর্যক্রম।সমাজে বসবাসকারী জনগনের বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য এবং অন্যান্য পণ্য বা সেবার চাহিদা নিরূপন করে যেটি প্রস্ত্তত বা সংগ্রহ করে জনগনের কাছে পৌঁছে দেওয়া ব্যবসার কাজগুলোর অন্যতম।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

তবে সন্দর জীবন যাপনের জন্য আরো কিছু চাহিদা থাকে। যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিনোদন প্রভৃতি। ব্যয়বহুল বিধায় জনগনের নাগালের বাইরে এসব কাজ সাধারনত সরকারের দায়িত্ব বলে গন্য করা হয়। সাম্প্রতিককালে কিছু কিছু ববসায় প্রতিষ্ঠান জনহিতকর কাজ যেমন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, স্কুল স্থাপান, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ইত্যাদি কাজে এগিয়ে এসেছে। ব্যবসায় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং জনগনের সমর্থনের উপর এর স্থায়িত্ব ও মুনাফা নির্ভরশীল। প্রত্যেক ব্যবসায়ের সামাজিক দায়িত্বপালন একটি নৈতিক দায়িত্ব।

প্রকৃতপক্ষে একজন ব্যবসায়ী সমাজের একজন সৃজনশীল এবং সচেতন নাগরিক।যে কোন ব্যবসায়ী একজন সৃজনশীল, চিত্তশীল ও কর্মক্ষম ব্যক্তি। সমাজের কাছ থেকে তার যেমন কিছু পাওয়ার রয়েছে তেমনি তারও সমাজে কিছু দেওয়ার রয়েছে। তার অর্জিত মুনাফার কিছু অংশ জনহিতকরকাজে ব্যয় করলে সমাজ যেমন ‍উপকৃত হবে তেমনি তার সন্মানও বাড়বে।

বিভিন্ন পক্ষের প্রতি ব্যবসায়ের সামাজিক দায়বদ্ধতা

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায় জগতে ব্যবসায়ীকে নিজের মুনাফা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য অর্জনের পাশাপাশি অনেক পক্ষের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হয়।এরা হল রাষ্ট্র, সমাজ, ক্রেতা ও কর্মচারী। এসব পক্ষ কোনো না কোনো ভাবে ব্যবসায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা Resposibility to State)

জনগনের স্বার্থ রক্ষা করে ব্যবসা পরিচালিত হোক এটাই রাষ্ট্রের লক্ষ্য। ব্যবসায় স্থাপন ও অগ্রগতির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে জনগনের চাহিদা মেটানো হলে অর্থাৎ পণ্য বা সেবা প্রদানের পাশাপাশি নিয়মিত কর প্রদান করা হলে সরকার খুশী। ব্যবসায়কে রাষ্ট্রের প্রতি নিম্নোক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়-

ক. সরকারকে নিয়মিত কর ও রাজস্ব প্রদান করা।
খ. সরকারের নিয়মনীতি যথাযথভাবে পালন করা।
গ. কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা।

সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ( Responsibility to Society)

সমাজ থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেই ব্যবসায়ের উন্নতি ও সমৃদ্ধি ঘটে। তবে ব্যবসায়কে সমাজের প্রতি নিম্নোক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়।

ক. সমাজের প্রয়োজনমাফিক মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করা
খ. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা
গ. বিভিন্ন জনহিতকর কাজে সহায়তা করা
ঘ. জাতীয় দূর্যোগে জনগনের পাশে দাঁড়ানো
ঙ.পরিবেশদূষন থেকে এলাকাকে রক্ষা করা।
চ. পণ্যের মজুতদারী না করা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ক্রেতা ও ভোক্তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা(Resposibility to Customer and Consumer)

ক্রেতা ও ভোক্তাদেরআস্থা ও সহযোগিতার উপর ব্যবসায়ের সফলতা নির্ভর করে। তাই ব্যবসায়ীকে নিম্নোক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়-

ক. পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা
খ. মানসম্ম্মত পণ্য সরবরাহ করা।
গ. পণ্য সামগ্রীর প্রাপ্তি সহজতর করা।
ঘ. পন্য ও বাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করা

শ্রমিক –কর্মচারীদের প্রতি দায়বদ্ধতা: ( Resposibility to Employee)

শ্রমিক ও কর্মচারীদের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলেই ব্যবসায়ে মুনাফা অর্জিত হয়। তাই তাদের স্বার্থকে অবহেলা করে ব্যবসা পরিচালনা করা যায় না। ব্যবসায় উন্নতির সাথে তাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও বোনাস প্রদান করা এবং তাদের অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করা উচিত। একজন ব্যবসায়কে তার প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ও কর্মচারীদের প্রতি নিন্মোক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়-

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ক. উপযুক্ত পারিশ্রমিক ও আর্থিক সুবিধা দান
খ. চাকরির নিরাপত্তা বিধান করা
গ. কাজের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা
ঘ. প্রশিক্ষন ও পদোন্নতির ব্যবস্থা করা
ঙ. বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রম( Social Activities by Different business Organization)

কিছু কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তরুণ সমাজের প্রতিভা অনুসন্ধান ও বিকাশে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়িত্ব পালনের প্রবণতা বেশিদিনের নয়। আশা করা যায়, আমাদের শিল্পোদ্যোক্তা শ্রেণী মুনাফামূখী ব্যবসায় পরিচালনার সাথে সাথে সামাজিক উন্নয়নে সামাজিক দায়িত্ব পালনে আরো এগিয়ে আসবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পরিবেশ দূষন ও ব্যবসায়(Environmental Pollution and Business)

ব্যবসা করে বিশেষ করে শিল্পোন্নয়নেরসবচেয়ে বড় সমস্যা পরিবেশ দূষন। শিল্পবর্জ্য নির্গত তরল পদার্থ নদী নালায় পড়ে পানি দূষিত করছে। বিষাক্ত পানি মাছসহ জলজ প্রাণী বাস করার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।অন্যদিকে যত্রতত্র ময়লা নিক্ষেপ ও যানবাহনের ধোঁয়া বায়ু দূষিত করে। কারখানার মেশিন ও জেনারেটরের বিকট আওয়াজে ভয়াবহ শব্দদূষন হচ্ছে। তাছাড়া শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার নামে অবাধে গাছ নিধন ও পাহাড় কেটে পরিবেশকে দূষন করা হচ্ছে। আবাসনের নামে চাষের জমি হরন, খাল বিল ভরাট করে আবাসন তৈরী, নদঅ ভাঙ্গন, নির্বিচারে অনুপযুক্ত যানবাহন রাস্তায় চালানো ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার পরিবেশ দূষনের জন্য দায়ী। এতে মানুষের স্বাস্থ্যহানি তো হচ্ছেই তদুপরি জীব বৈচিত্র্য মারাত্নকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে।

দূষনের প্রভাবমুক্ত হতে সরকার আইন প্রনয়ন করেছে। কিন্ত্ত আইনের প্রয়োগ যথার্থভাবে হচ্ছে না বলে পরিবেশ দূষন বেড়েই চলেছে। পরেবেশ দুষনের জন্য অন্য কারখানাগুলোর মধ্যে জনগনের অসচেতনতা, যেখানে সেখানে ময়লা নিক্ষেপ ও ত্রুটিপুর্ন পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও দায়ী।

এছাড়াও পরিবেশ দূসন থেকে রক্ষা পেতে হলে গনমাধ্যমের সাহায্রে সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনের যথার্থ প্রয়োগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতিকরন এবং পাঠ্যসূচীতে পরিবেশ দূষন কোর্স অন্তর্ভূক্তি একান্ত আবশ্যক।

পরিবেশ দূষন রোধে ব্যবসায়ীদের দায়বদ্ধতা:

প্রায় পতিটি কারখানা থেকে বর্জ্য বের হয়ে থাকে। যেমন: চামড়াজাত শিল্প, কাপড়ের রঙ, ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ক্যামিকেল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই কারখানার বর্জ্য কোনো অবস্থায় প্রবাহমান নদী, খাল বিল বা জলাশয়ে ফেলা উচিত নয়, সে ক্ষেত্রে কারখানার মালিক বা ব্যবসাযীদের কারখানা প্রতিষ্ঠা এবং চালু অবস্থায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রতিটি কারখানার বর্জ্য শোধনাগার থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

H.S.C

Leave a Comment