ব্যাংকে জুনিয়র ও সিনিয়র অফিসারের এর কাজ করতে কি কি যোগ্যতা দরকার, ব্যাংকে জুনিয়র ও সিনিয়র অফিসারের কাজটি কি আপনার জন্য, একজন ব্যাংকে জুনিয়র ও সিনিয়র অফিসারের প্রতিদিনের কাজের তালিকা
বর্তমানে সকলে তাদের পড়াশোনা শেষ করে সাবলম্বি হতে চায়। একটা ভালো চাকরি পাওয়া তাই অনেকের কাছে খুবই কাঙ্খিত অর্জন এর নাম।পড়াশোনার পর ভালো একটি ক্যারিয়ার সকলের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে। তাই অনেকেই পড়াশোনার পর চাকরি নিতে চায়।
কিন্তু চাকরি পাওয়া আজকাল সোনার হরিণ হতে দাড়িয়েছে। কিন্তু তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখে একটি ভালো চাকরি পাওয়ার। চাকরির ক্ষেত্রে অনেকের আবার অনেক পছন্দ রয়েছে। কেউ যেমন শিক্ষকতা করতে চায়, কেউবা চিকিৎসা সেবা দিতে চায়, কেউবা অফিসে চাকরি করার স্বপ্ন দেখে আর কেউবা ব্যাংকে চাকরি করার স্বপ্ন দেখে। আজকালকার স্মার্ট জব গুলোর মধ্যে সবার উপরে যে নামটি আসে তা হলো ব্যাংকে চাকরি।
সদ্য স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে চাকরীর ক্ষেত্রে দুটি পদ নির্দিষ্ট থাকে তা হলোঃ
১.জুনিয়র অফিসার
২.সিনিয়র অফিসার
সদ্য স্নাতক পাশ বা স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা শিক্ষার্থীরা প্রথমে জুনিয়র অফিসার পদের জন্যই ব্যাংকগুলোতে আবেদন করে। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা সিনিয়র অফিসার হবার জন্য। কিন্তু অনেকেই আমরা জানিনা যে ব্যাংকের সিনিয়র এবং জুনিয়র অফিসার পদে কি ধরণের কাজ করতে। আজ আমি তাই ব্যাংকের সিনিয়র এবং জুনিয়র অফিসার পদে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কি ধরণের কাজ করতে হয় তা আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের উপকার হবে।
ব্যাংকে জুনিয়র অফিসারের কাজ কি?
ট্রেইনি অফিসার, অফিসার, সিনিয়র অফিসার পদ গুলোর নামের সাথে কাজের কোন নির্দিষ্টতা নেই। উল্লেখিত পদগুলোর মধ্যে সরকারি ব্যাংক গুলোতে প্রথমটির কোন অস্তিত্ব নেই শুধু কিছু কিছু প্রাইভেট ব্যাংকে আছে। কোন কোন ব্যাংকে ট্রেইনি অফিসার পদের নামটি প্রোভিশন অফিসার হিসাবে পরিচিত। যেহেতু পদগুলো এক এক ব্যাংকে গ্রেড অনুযায়ী এক এক রকম তাই তাদের কাজের ডেস্কও তাদের নির্বাহীদের অর্ডারের উপর নির্ভর করে।
জুনিয়র অফিসারের কাজঃ
একজন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে ব্যাংকে যে পদে আবেদন করতে পারবে তা হলো জুনিয়র অফিসার। জুনিয়র অফিসারের ক্ষেত্রে একেক ব্যাংকে একেক রকম।যোগ্যতা লাগে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্নাতক সম্পন্নদের জুনিয়র অফিসারের পদে আবেদন করতে দেখা যায়। জুনিয়র অফিসারকে চাকরি জীবনের শুরুতে প্রথমে M.T.O (Management Trainee officer) or P.O(probationary officer) পদে কাজ করতে হয়। এই পদকে তাই future leader of bank বলা হয়। এইখানে প্রথমে সকল কাজ ধরণের ব্যাংকিং সংক্রান্ত কাজ শিখানো হয়। জুনিয়র অফিসার এর মূলত
১.আমানত গ্রহণ
২.ঋণ দান
৩.চেক প্রচলন
৪.বৈদেশিক বাণিজ্য
এই সকল কাজ হয়ে থাকে একজন জুনিয়র অফিসারের ।
ব্যাংকে সিনিয়র অফিসারের কাজ কি?
ব্যাংকে চাকরি অনেকের কাছে ফিক্সড ডিপোজিট এর মতো। যেখানে রয়েছে একটি এনং সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার নিশ্চিত সুযোগ। তাই আজকাল অনেকেই ব্যাংকে চাকরি করার স্বপ্ন দেখে।একসময় ব্যবসা প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে ব্যাংকে জব এর জন্য আবেদন করতো। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে।সেই সাথে মানুষের চিন্তাধারাও পাল্টেছে। তাই এখন শুধু ব্যবসা প্রশাসন এর শিক্ষার্থীরা নয় বরং ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মানবিক শাখার স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরাও আসছে ব্যাংকে জব করার জন্য।
সিনিয়র অফিসারের কাজঃ
সিনিয়র অফিসারদের মূলত জুনিয়র অফিসার থেকে প্রমোশন হবার পর হয়। সিনিয়র অফিসার মূলত বিভিন্ন ধরণের বৈদেশিক লেনদেন এবং বাইরের দেশের ব্যাংকগুলোর সাথে মিটিং এবং ব্যাংকের লেনদেন সম্পর্কিত কাজ করা হয়। এছাড়া পদানুযায়ী সিনিয়রদের সবসময় ক্রিটিক্যাল ও ডিসিশন মেকিং টেবিলগুলোতে বসানো হয়। আর অফিসার/সিনিয়র অফিসার ক্যাশের ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা তাদের সাধারনত নগদ লেনদেনের ডেস্কগুলোতে বসানো হয়। এর বাইরেও ব্যাংকের পলিসি, গাইডলাইন, এরিয়া অফ অপারেশন থাকতে পারে যেখানে কোন অফিসার কি কাজ করবে তার জব রেস্পন্সব্যালিটিতে উল্লেখ থাকে অনুযায়ী তার নির্ধারিত ডেস্কে বসাতে পারে।
বাংলাদেশে ব্যাংকের সংখ্যা কত এবং স্কেলসহ বেতন-ভাতাদি কত?
বাংলাদেশের ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৪২টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক ও ৯টি বিদেশি ব্যাংকসহ বাংলাদেশে মোট তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি এবং অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৫টি থাকায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় জনপ্রিয় এবং সরকারি ব্যাংকগুলিতে চাকরি পাওয়া একটি কষ্টসাধ্য ব্যাপার। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড সরকারি ব্যাংক। ডাচ বাংলা ব্যাংকের সারা দেশে প্রচুর এটিএম বুথ রয়েছে। অন্যদিকে, ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড,ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ইত্যাদি এরকম বিখ্যাত ব্যাংকের তালিকাভূক্ত।
এখানে সরকারি ব্যাংকের স্কেলসহ বেতন-ভাতাদি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।
স্পেশাল গ্রেড
বাংলাদেশের যেসকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হয় সেসকল ব্যাংকে স্পেশাল গ্রেডের কর্মকর্তারা সরাসরি সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হোন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে থাকা কর্মকর্তাদের পদবী হয় গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর। আবার অন্যদিকে রাষ্ট্রায়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদবী হয় চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর। স্পেশাল গ্রেডের কর্মকর্তারা সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্ধারিত বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটা বেতন পেয়ে থাকেন।
গ্রেড-০১
গ্রেড-০১ এর কর্মকর্তাদের ৭৮,০০০/- টাকা নির্ধারিত বেতন পেয়ে থাকেন। সরকারি ব্যাংকে গ্রেড-০১ কর্মকর্তাদের নিয়োগ নেই। তবে রাষ্ট্রায়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকে “MD” পদ রয়েছে।
গ্রেড-০২
গ্রেড-০২ এর কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৬৬,০০০/-৭৬,৪৯০/- টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকেন। এঁরা Executive Director হিসেবে ভূষিত হোন। কিন্তু রাষ্ট্রায়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকে DMD/GM পদ রয়েছে।
গ্রেড-০৩
বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-০৩ এর কর্মকর্তাদের ৫৬,৫০০/-৭৪,৪০০/- টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকেন। এ পদের কর্মকর্তারা GM পদবীতে ভূষিত হোন। তবে রাষ্ট্রায়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকে DGM নামে পদ রয়েছে।
গ্রেড-০৪
বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-০৪ এর কর্মকর্তাদের ৫০,০০০/-৭১,২০০/- টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকেন। এ পদের কর্মকর্তারা DGM পদবীতে ভূষিত হোন। আবার অন্যদিকে রাষ্ট্রায়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকে AGM নামে পদ রয়েছে।
গ্রেড-০৫
বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-০৫ এর কর্মকর্তাদের ৪৩,০০০/-৬৯,৮৫০/- টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকেন। এ পদের কর্মকর্তারা JD (Join Director) পদবীতে ভূষিত হোন। আবার অন্যদিকে রাষ্ট্রায়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকে SPO (Senior Principal Officer) নামে পদ রয়েছে।
গ্রেড-০৬
বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-০৬ এর কর্মকর্তাদের ৩৫,৫০০/-৬৭,০১০/- টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকেন। এ পদের কর্মকর্তারা DD (Deputy Director) পদবীতে ভূষিত হোন। আবার অন্যদিকে রাষ্ট্রায়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকে PO (Principal Officer) নামে পদ রয়েছে।
গ্রেড-০৯
বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-০৯ এর কর্মকর্তাদের ২২,০০০/-৫৩,০৬০/- টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকেন। এ পদের কর্মকর্তারা AD (Assistant Director) পদবীতে ভূষিত হোন। Senior Officer থেকে Assistant Director পদে পদোন্নতি রয়েছে।
গ্রেড-১০
বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-১০ এর কর্মকর্তাদের ২২,০০০/-৫৩,০৬০/- টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকেন। এ পদের কর্মকর্তারা AD (Assistant Director) পদবীতে ভূষিত হোন। Senior Officer থেকে Assistant Director পদে পদোন্নতি রয়েছে। আবার অন্যদিকে রাষ্ট্রায়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকে SO (Senior Officer) নামে পদ রয়েছে।
ব্যাংকে বেতন স্কেল অনুযায়ী বেসিক বেতন, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা মিলিয়ে মুল বেতন কত হয়? (২০১৫ এর স্কেল)
ক) ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তার বেসিক বেতন ১৬,০০০/- তাদের জন্য মূল বেতনের ৬০% ভাতা, তবে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ও গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার জন্য মূল বেতনের ৫০% অতিরিক্ত ভাতা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার জন্য ৪৫% অতিরিক্ত ভাতা পাবেন। উল্লেখ্য যে, ১৬,০০০/- বেসিক বেতনের কর্মকর্তারা সকলেই মাসিক ১,৫৫০/- টাকা চিকিৎসা ভাতা পাবেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
খ) ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য যেসব ব্যাংক কর্মকর্তার বেসিক বেতন ১৬,০০০/-২২,০০০/- তাদের জন্য মূল বেতনের ৫৫% ভাতা, তবে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ও গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার জন্য মূল বেতনের ৫০% অতিরিক্ত ভাতা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার জন্য ৪০% অতিরিক্ত ভাতা পাবেন। উল্লেখ্য যে, ১৬,০০০/-২২,০০০/- বেসিক বেতনের কর্মকর্তারা সকলেই মাসিক ১,৫৫০/- টাকা চিকিৎসা ভাতা পাবেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
গ) ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য যেসব ব্যাংক কর্মকর্তার বেসিক বেতন ২৫,৫০১/- হতে বেশি তাদের জন্য মূল বেতনের ৫০% ভাতা, তবে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ও গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার জন্য মূল বেতনের ৪০% অতিরিক্ত ভাতা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার জন্য ৩৫% অতিরিক্ত ভাতা পাবেন। উল্লেখ্য যে, ২৫,৫০১/- হতে বেশি বেতনের কর্মকর্তারা সকলেই মাসিক ১,৫৫০/- টাকা চিকিৎসা ভাতা পাবেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
সবার জন্য একটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার আর সেটা হলো একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বেসিক বেতন+ বেসিক × (শতকরা হিসেবে বাড়ি ভাড়া) + চিকিৎসা ভাতা হিসেবে বেতন পাবেন।
এখন আমরা দেখব যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য যেসব ব্যাংক কর্মকর্তার বেসিক বেতন ১৬,০০০/- তার জন্য মোট বেতন কত হবে। ১৬,০০০ + ৯,৬০০ (৬০%) + ১৫৫০= ২৭,১৫০/- বেতন পাবেন।
সরকারি ব্যাংকের স্কেলসহ বেতন-ভাতাদি মোট কত টাকা?
একজন অফিসারের প্রারম্ভিক মূল বেতন হবে ১৩ হাজার টাকা, বর্তমান স্কেলে তিনি মূল বেতন পাচ্ছেন ৮ হাজার টাকা।একজন জুনিয়র অফিসারের (শিক্ষানবিশ) অবস্থায় প্রারম্ভিক মূল বেতন হবে ১০ হাজার টাকা, বর্তমান স্কেলে রয়েছে ৬ হাজার ৪০০ টাকা।সহায়ক কর্মচারীর (গ্রেড-১) প্রারম্ভিক মূল বেতন হবে ৮ হাজার টাকা, বর্তমানে আছে ৪ হাজার ৭০০ টাকা। সহায়ক কর্মচারীর (গ্রেড-২) প্রারম্ভিক মূল বেতন হবে ৬ হাজার ৫০০ টাকা, বর্তমানে আছে ৪ হাজার ১০০ টাকা। সাধারণ কর্মচারীদের প্রারম্ভিক মূল বেতন হবে ৫ হাজার টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেতন স্কেল একটু আলাদা হয়। এছাড়া ভাতাও তাদের জন্য আলাদা হবে কারন কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে নির্বাহীরা প্রস্তাবিত বেতন স্কেলে বেতন পাবেন না। তাদের জন্য আলাদা কাঠামো হবে। এদের নিয়োগ যেহেতু চুক্তির ভিত্তিতে হয়, সে কারণে প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার সময় বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে।
শেষ কথা
পরিশেষে বলতে পারি বাংলাদেশের ব্যাংক কর্মকর্তারা চাকুরিরত অবস্থায় সরকারের বিভিন্ন ফান্ড থেকে নিত্য নৈমিত্তিক ভাতা পেয়ে থাকেন। সরকারি ব্যাংকের স্কেলসহ বেতন-ভাতাদি এতক্ষণে বিশদভাবে বর্ণনা করা হল। এখানে যেকোন প্রকার ভুলত্রুটি মন থেকে মার্জনীয়। এখানে উপস্থাপিত তথ্য ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমান বাজারের নিত্য পণ্যের দামের দিক থেকে বিচার করতে বেতন কারো কারো কম বেশি হতে পারে। অথবা সরকার পে স্কেল ঘোষণা করলে তখন বেতনের বিস্তর পার্থক্য ঘটবে। তখন বেতনের সবদিক নতুনভাবে বিশ্লেষণ করা হবে।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও