ভাবসম্প্রসারণ: করিতে পারি না কাজ সদা ভয়, সদা লাজ সংশয়ে সংকল্প সদা টলে পাছে লোকে কিছু বলে
কোনো কাজ করতে গেলে কেউ কেউ অনেক সময় দ্বিধাগ্রস্ত হয়। কে কী মনে করবে, কে কী সমালোচনা করবে—এই ভেবে তারা বসে থাকে। কিন্তু যাঁরা সমাজে অবদান রাখতে চান, তাঁদের দ্বিধা করলে চলবে না।
মানুষের জীবন কর্মমুখর। কাজের মাধ্যমেই মানবজীবনের সফলতা আসে। কাজ করতে গেলে ভুল হয় এবং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ তার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এ পৃথিবীতে সবাই কর্মী নয়।
কিছু অলস-অকর্মণ্য মানুষ আছে, যারা সব সময় অন্যের পেছনে লেগে থাকে। তাদের কাজের খুঁত ধরে, অন্যায় সমালোচনা করে। ফলে অনেক সময় কোনো কাজ করতে গেলে কেউ কেউ দ্বিধাগ্রস্ত হয়। কে কী মনে করবে, কে কী সমালোচনা করবে—এসব ভেবে তারা বসে থাকে। যার জন্য কাজ এগোয় না।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে—সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘লালসালু’ উপন্যাসে দেখা যায়, যুবক আক্কাস আলী গ্রামের ছেলে-মেয়েদের অজ্ঞতা, কুসংস্কার থেকে দূরে থাকার জন্য আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
কিন্তু ভণ্ড মজিদ মাজারকেন্দ্রিক পীরের ব্যবসা ক্ষতি হবে ভেবে আক্কাস আলীর মুখে দাড়ি নেই বলে অপমান করে এবং মাতব্বর খালেক ব্যাপারীকে হাত করে আক্কাস আলীর স্কুল প্রতিষ্ঠা বানচাল করে দেয়। ফলে আক্কাস আলী অন্যের সমালোচনার কারণে পরে আর স্কুল প্রতিষ্ঠায় কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি। তাই যাঁরা সমাজে অবদান রাখতে চান, তাঁদের দ্বিধা করলে চলবে না। দৃঢ় মনোবল নিয়ে লোকলজ্জা ও সমালোচককে উপেক্ষা করতে হবে।
মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে ভয়ভীতি, সংকোচকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
আমরা জানি যে গোঁড়া হিন্দুদের তুমুল সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও রাজা রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে লড়েছিলেন।
তিনি আইনের যুক্তির লড়াইয়ের মাধ্যমে ১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথা সমাজে বন্ধ করে দেন। সমাজসংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও হিন্দুদের বিধবা বিবাহ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের ছেলেকে ১৮৫৬ সালে এক বিধবা মহিলার সঙ্গে নিকাহ দেন।
মুসলিম সমাজেও অনেক সমালোচনা লক্ষ করা যায়। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যে সময়ে লেখালেখি করছিলেন, সে সময় সমাজে মুসলিম পরিবারে নারীদের শিক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে অনেক বাধা ছিল।
সমাজে অনেক সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও তিনি কলকাতায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। আর বর্তমানে সমাজে কত লোকের সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও অনেক নারী সাংবাদিকতা, পুলিশ, সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীসহ বিভিন্ন পেশায় যোগ্যতার সঙ্গে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রাখছেন।
সমাজে কিছু মানুষ সমালোচনা করলেও কাজ ফেলে বসে থাকা যাবে না; বরং দৃঢ় মনোবল দিয়ে লোকলজ্জা ও সমালোচনাকে উপেক্ষা করতে হবে। মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে ভয়ভীতি, সংকোচ উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব এবং উন্নয়ন করতে পারব।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
- একটি রচনা লিখুন লকডাউন,লকডাউন রচনা
- অনুচ্ছেদ নৈতিকতা, ‘নৈতিকতা’ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ লিখুন নৈতিকতা
- Write a paragraph on ‘Green Investment in Tourism’
- write five sentences about Green Investment in Tourism
- ২৫০ শব্দের এসডিজি অর্জনে পর্যটনের ভূমিকা অনুচ্ছেদ লিখুন
- অনুচ্ছেদ লিখুন এসডিজি অর্জনে পর্যটনের ভূমিকা
thanks alot