ভূগোল ও পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন প্রণয়ন

অ্যাসাইনমেন্টঃ ভূগােল ও পরিবেশের সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন প্রণয়ন

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ
ভূগােল ও পরিবেশের ধারণা ব্যাখ্যা। করতে পারবে
ভূগােলের পরিধি বর্ণনা করতে পাবে ভূগােল ও পরিবেশের উপাদানসমূহের আন্ত:সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পাবে।

নির্দেশনাঃ

  • শিক্ষক (মােবাইল/অনলাইনে) যােগাযােগ করে নেয়া যেতে পারে।
  • প্রয়ােজনে ইন্টারনেট থেকেও সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
  • ভূগােলের ধারণা, পরিবেশের ধারণা বর্ণনা করতে হবে।
  • পরিধি বর্ণনা করতে হবে।
  • ভূগােলের শাখা এবং পরিবেশের উপাদান ও প্রকারভেদ বর্ণনা করতে হবে।
  • ভূগােল ও পরিবেশের উপাদানসমূহের আন্ত:সম্পর্ক বিশ্লেষণ

উত্তর সমূহ:

তারিখঃ ২৪ জুলাই ২০২১ 

বরাবর ,   প্রধান শিক্ষক ,  

মিরপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ।  মিরপুর , ঢাকা ।   

বিষয়ঃ “ ভূগোল ও পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক ” বিষয়ক প্রতিবেদন।   

জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে ,আপনার আদেশ নং মিস.বা.উ.বি /৩৭.০২.০০০০.১০৬.২৭.০০১.২০-২৯৫ তারিখ ২৪/০৭/২০২১ অনুসারে উপরোক্ত বিষয়ের উপর আমার স্বব্যখ্যাত প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করলাম ।   

“ ভূগােল ও পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক ”   

ভূগােলের ধারণা : গ্রীক পন্ডিত ইরেটোসথেনীস ( Eratosthenes ) প্রথম ভূগােল শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন । গ্রীক শব্দ | জিও ‘ ( Geo ) অর্থ ভূমন্ডল বা পৃথিবী এবং গ্রাফি ‘ ( graphy ) অর্থ বর্ণনা , সার্বিক অর্থে মানুষের আবাস এই পৃথিবীর বর্ণনা । ভূগােল বিষয়ের এই মূল ধারণার আজ অবধি তেমন বড় ধরনের কোন পরিবর্তন হয় । নাই । তবে এই প্রসঙ্গে ভূগােল এর দুটি আধুনিক সংজ্ঞা বিবেচনা করা যেতে পারে ।  

হার্টশােনের মতে , ” Geography is concerned to provide accurate , orderly and rational descriptions and interpretations of the variable character of the earth’s surface ” – ভূ – পৃষ্ঠের বৈচিত্রময় বৈশিষ্ট্যাবলীর সঠিক , শ্রেণীবদ্ধ এবং যুক্তিসঙ্গত বর্ণনা এবং বিশ্লেষণই ভূগােলের আলােচ্য বিষয় । আরেকজন বিখ্যাত বৃটিশ আধুনিক ভূগােলবিদ । পিটার হেগেট ( ১৯৮১ ) এর মতে , ” Geography is the study of the earth’s surface as the space within which the human population lives . ” অর্থাৎ যে শাস্ত্র ভূ – পৃষ্ঠকে মানবগােষ্ঠির বসবাসের স্থান হিসাবে অধ্যয়ন করে তাহাই ভূগােল ।   

পরিবেশের ধারণা :   ভূপৃষ্ঠস্থ দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য যাবতীয় জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে পরিবেশ গঠিত । অজৈব পদার্থের আওতাভূক্ত বিষয়সমূহের মধ্যে পানি , বায়ুমন্ডল ও শিলা -মৃত্তিকা অন্যতম । বায়ুমন্ডল অদৃশ্য হলেও , শিলা -মৃত্তিকা ও পানি দৃশ্যমান । পানি , বায়ুমন্ডল শিলা -মৃত্তিকা অন্যতম । বায়ুমন্ডল অদৃশ্য হলেও , শিলা -মৃত্তিকা ও পানি দৃশ্যমান । পানি , বায়ুমন্ডল ও শিলা মৃত্তিকা সম্মিলিতভাবে জৈব পরিবেশের ভিত্তি গড়ে তুলেছে ।    পরিবেশকে তার গঠন মৌলের আলােকে জৈব ও অজৈব এ দুই পরিবেশে ভাগ করা যায় । অজৈব পরিবেশ মূলত : প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তােলে । পানি , শিলা ও বায়ুমন্ডল প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রধান গঠনকারী উপাদান । অপরদিকে , এ সব প্রাকৃতিক পরিবেশ গঠনকারী উপাদানই আবার সমস্ত প্রাণী ও উদ্ভিদের গঠন ভিত্তি গড়ে তােলে এবং শক্তি ও খনিজ জােগানের মাধ্যমে পরিবেশ টিকিয়ে রেখেছে।     

ভূগােলের পরিধি ও শাখা : 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ভূগােলের পরিধি  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ , নতুন নতুন আবিষ্কার , উদ্ভাবন , চিন্তা – ধারণার বিকাশ , সমাজের মূল্যবােধের পরিবর্তন ভূগােলের পরিধিকে অনেক বিস্তৃত করেছে । এখন নানান রকম বিষয় যেমন 

22 1

পরিবেশে থাকে মাটি , পানি , বায়ু , পাহাড় , পর্বত , নদী , সাগর , আলাে , গাছপালা , পশুপাখি , কীটপতঙ্গ , মানুষ ও অন্যান্য ক্ষুদ্র প্রাণী । মানুষের তৈরি পরিবেশ হলাে সামাজিক পরিবেশ । মানুষের  আচার আচরণ , উৎসব – অনুষ্ঠান , রীতি – নীতি , শিক্ষা , মূল্যবােধ , অর্থনীতি , রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে যে পরিবেশ গড়ে ওঠে তা হলাে সামাজিক পরিবেশ । ভূ – প্রকৃতি , মৃত্তিকা , জলবায়ু , নদ – নদী , আয়তন , অবস্থান , খনিজ সম্পদ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদনসমূহ যেমনিভাবে পরিবেশের উপাদান হিসেবে আমাদের কর্মকান্ডকে প্রভাবিত করে তেমনিভাবে শিক্ষা , সংস্কৃতি , জাতি , ধর্ম , সরকার এগুলাের মত মনুষ্য সৃষ্ট বিভিন্ন উপাদানসমূহও পরিবেশ হিসেবে আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করছে । তাই পরিবেশের উপাদানসমূহকে প্রধানত ভাগে ভাগ করা যায় ।

যথা : ক) প্রাকৃতিক পরিবেশখ ) অপ্রাকৃতিক বা সামাজিক পরিবেশ  

ক ) প্রাকৃতিক পরিবেশ : প্রাকৃতিক পরিবেশ হচ্ছে সে সব প্রাকৃতিক উপাদানের সমষ্টি যার উৎপত্তি এবং সৃষ্টি সরাসরি সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত বা সৃষ্ট এবং এর উপর মানুষের কোন হাত নেই । প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রধান প্রধান উপাদানগুলাে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করা হলাে :   

১. ভূ – প্রকৃতি : মূলত ভূমির অবস্থা বা ধরনই হচ্ছে ভূ – প্রকৃতি । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বা অঞ্চলের ভূ – প্রকৃতি মূলত : পার্বত্য ভূমি , মালভূমি , সমভূমি , উপত্যকা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার হতে পারে । পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের এসব ভূ – প্রকৃতি বিভিন্নভাবে মানুষের অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে থাকে ।   

২. আয়তন : আয়তন বলতে কোন দেশের রাজনৈতিক বা আর্জাতিক সীমারেখাকে বুঝায় । একটি দেশের আয়তন ছােট , বড় বা মাঝারি যে কোন ধরনের হতে পারে । প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান হিসেবে এই আয়তনও মানুষের জীবন যাত্রার উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব বিসুর করে।   

৩. অবস্থান : কোন দেশ পৃথিবীর কোন অঞ্চলে অবস্থিত সেটাই হচ্ছে তার ভৌগােলিক অবস্থান । একটি দেশের ভৌগােলিক অবস্থান চার প্রকারের হতে পারে । যথা :  i ) দ্বৈপ অবস্থান ; যেমন – জাপান , বৃটিশ দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি ।  ii)উপদ্বীপ অবস্থান ; যেমন – যুক্তরাষ্ট্র , ভারত ইত্যাদি ।  iii ) মহাদেশীয় অবস্থান ; যেমন- আফগানিস্তান , নেপাল , ভুটান ইত্যাদি  iv) প্রায় অবস্থান ; যমন- সুইডেন , চীন ইত্যাদি। 

৪. জলবায়ু : অবস্থানগত তারতম্যের কারনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উষ্ণ , নাতিশীতােষ্ণ , ঠান্ডা চরম ভাবাপন্ন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার জলবায়ু দেখা যায় । জলবায়ুর এই বিভিন্নতার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বাসস্থান , শিল্প , ব্যবসা – বাণিজ্য প্রক্রিয়া , কর্মকুশলতা ইত্যাদির ভেতর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।   

৫. মৃত্তিকা : ভূ – পৃষ্ঠের উপরিভাগ যেসব উপাদান দিয়ে গঠিত তাকে মৃত্তিকা বা সহজ কথায় মাটি বলে । মৃত্তিকা মূলত : বেলে , এটেল , দো – আঁশ , পলি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার হতে পারে ।   

৬. স্বাভাবিক উদ্ভিজ : ভূ – পৃষ্ঠের উপরিভাগে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকার গাছপালা জন্মে থাকে । এসব গাছপালার সমন্বয়ে বিভিন্ন বনভূমির সৃষ্টি হয় যা পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকে । 

৭. খনিজ সম্পদ : পেট্রোলিয়াম , গ্যাস , কলা , লােহা ইত্যাদিকে খনিজ সম্পদ বলে । এগুলাে হচ্ছে  পৃথিবীর শিলারে অবস্থিত রাসায়নিক প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন ধরনের যৌগিক পদার্থ । কোন অঞ্চলে খনিজ সম্পদ ক্ষেত্রের আবিস্কার অতি দ্রুত সেই স্থানের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ধরণ বদলে দিতে পারে ।    খ ) অপ্রাকৃতিক বা সামাজিক পরিবেশ:    মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব থেকে মেধা ও দক্ষতার বিকাশ , প্রশাসন , ধর্মীয় নীতি , লােকজ সংস্কার ইত্যাদির মাধ্যমে তার নিজের উপযােগী অনুকূল সুযােগ সৃষ্টির প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে । আর পরিবেশের এই অংশটি যা মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট এবং নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তাই হচ্ছে অপ্রাকৃতিক বা সামাজিক পরিবেশ জাতি , ধর্ম , সরকার , জনসংখ্যা , শিক্ষা , সংস্কৃতি ইত্যাদি হচ্ছে এই মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট সামাজিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান । 

১. জাতি :  পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে জাতির মানুষ বাস করে । জাতিগত বৈশিষ্ট্য একটি দেশের | অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাই যেসব জাতির লােক পরিশ্রমী ,  উদ্যমী , বুদ্ধিমান এবং সহিষ্ণু সেসব জাতি তাড়াতাড়ি উন্নতি লাভ করতে পারে ।   

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

২. ধর্ম : বিভিন্ন ধর্মের নিয়ম ও অনুশাসন বিভিন্ন প্রকার । বিভিন্ন ধর্মীয় অনুশাসন মানুষের কর্ম জীবনে যেমনি প্রভাব বিস্তর করে তেমনি এর প্রভাবের কারনে অর্থনৈতিক কার্যকলাপও ভিন্নরূপে গড়ে ওঠে । বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মে জীব হত্যা পাপ বলে জৈন ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চল বিশেষ করে চীন , জাপান , মায়ানমার ( বার্মা ) প্রভৃতি দেশে দীর্ঘকাল মৎস ও মাংস শিল্পের প্রসার ঘটেনি ।   

৩. জনসংখ্যা : ভূ – প্রকৃতি , উর্বরতা , জীবিকার সংস্থান , যাতায়াত ব্যবস্থা , নিরাপত্তা ইত্যাদি প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক কারনের উপর ভিত্তি করে জনবসতি গড়ে ওঠে । আর একটি দেশের যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যাবলী এই জনসংখ্যা দ্বারা সম্পাদিত হয় ।   

৪. সরকার : সরকার হলাে দেশ পরিচালনায় নিয়ােজিত একটি সংগঠন । কোন দেশের সরকারের কাঠামাে – এর স্থিতিশীলতা ও শক্তিমত্তা , সে দেশের শিল্প , বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে ।  

৫. শিক্ষা : সামাজিক পরিবেশের অন্যতম উপাদান হিসেবে শিক্ষা একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে । তাই উপযুক্ত ও আধুনিক শিক্ষা উন্নতির সােপান । যে দেশের লােক যত বেশী শিক্ষিত সে দেশ তত উন্নত ।   

৬. সংস্কৃতি : মানবিক গুণাবলী বিকাশের ক্ষেত্রে সংস্কৃতি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

তাই সংস্কৃতিতে অগ্রসর জাতি দ্রুত উন্নতি লাভ করতে পারে।   

 

প্রতিবেদকের নাম  : রাকিব হোসেন ,

বিভাগঃ মানবিক 

রোল নংঃ ০৫ 

মিরপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ,  মিরপুর , ঢাকা । 

প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ ২৪/০৭/২০২১

প্রতিবেদন তৈরির সময়ঃ রাত ০১.০০ মিনিট 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আমাদের YouTube এবং Like Page

২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক১১ম -১২ম শ্রেণীর HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
২০২১ সালের SSC পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক২০২১ সালের HSC পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকেশনাল)- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

Leave a Comment