ভোকেশনাল শাখা ৯ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি -১ ১ম পত্র সমাধান

অ্যাসাইনমেন্ট: কম্পিউটারের ক্রমবিকাশবিশ্লেষণ কর।

শিখনফল :

  • কম্পিউটারের প্রাথমিক ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব। 
  • কম্পিউটার এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ জানতে পারব
  • কম্পিউটারের বিবর্তনের ও বিভিন্ন প্রজন্ম সম্পর্কে জানব।
  •  কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ করতে পারব।

নির্দেশনা :

  • কম্পিউটারের প্রাথমিক ধারণা 
  • কম্পিউটারের প্রধান বৈশিষ্ট্য। 
  • কম্পিউটারের বিবর্তনের ও প্রজন্ম 
  • কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ

উত্তর সমূহ:

  • কম্পিউটারের প্রাথমিক ধারণা 

কম্পিউটার Computer শব্দের অর্থ গণক বা হিসাবকারী। Computer শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে। শুরুতে কম্পিউটার গণনাকারী যন্ত্র হিসেবে তৈরি হলেও বর্তমানে কেবলমাত্র গণনা করার কাজে এটিকে ব্যবহার করা হয় না। জীবনের প্রায় প্রতিটা কাজে Computer কে ব্যবহার করতে হয়।

কেননা Computer প্রথমে কোনো তথ্যকে গ্রহণ করে, তারপর সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে ভেতরে কাজ করে এবং সবশেষে সেটার একটা ফলাফল দেখায়। কম্পিউটারে নিজস্ব কোনো চিন্তাবুদ্ধি নেই। পুনরাবৃত্তি মূলক কাজের জন্য কম্পিউটার সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক। তবে বিশ্বে প্রথম গণনাকারী যন্ত্রের নাম

কম্পিউটারের প্রয়জনীয়তা সম্পর্কে কোন দ্বিমত থাকতে পারে না । উপরন্তু কম্পিউটার তার প্রয়োগকে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় বিস্তৃত করছে । “e-mail” এবং “Internet”আজকাল বহুল প্রচলিত দুটি

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • কম্পিউটারের প্রধান বৈশিষ্ট্য। 

১. দ্রুতগতি (High Speed) : কম্পিউটারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি অবিশ্বাস্যভাবে দ্রুতগতিতে কাজ করে। এর দ্রুত গতির কারণ এটি বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে কাজ করে, যার গতি আলোর গতির চাইতে কিছুটা কম। কম্পিউটারের কাজের গতিকে মিলিসেকেন্ড, মাইক্রোসেকেন্ড, ন্যানোসেকেন্ড, পিকোসেকেন্ড ইত্যাদি এককে প্রকাশ করা হয়। একটি শক্তশালী কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ বা তার চেয়েও বেশি গাণিতিক কাজ করতে সক্ষম।


২. নির্ভুলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা Correctness & Reliability) : কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণ অংশ অসংখ্য সূক্ষ্ম বৈদ্যুতিক বর্তনীর নিয়ে গঠিত। এজন্য কম্পিউটারকে যদি নির্ভুল উপাত্ত ইনপুট ও সঠিক প্রোগ্রাম দেওয়া হয় তবে এটি যেকোনো কাজ নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে পারে। আর প্রোগ্রামার যদি ভুল ডাটা কিংবা ইনস্ট্রাকশন ইনপুট দেয় কম্পিউটারও তখন ভুল ইনফরমেশন দিয়ে থাকে, যাকে গার্বেজ ইন গার্বেজ আউট (Garbage in Garbage out) বলে। তবে আধুনিক কম্পিউটার প্রমাণ করেছে যে মানুষ ভুল করে কিন্তু কম্পিউটার ভুল করে না।


৩. স্মৃতি (Memory) : কম্পিউটারের রয়েছে বিশাল মেমোরি। কোটি কোটি ডেটা ও নির্দেশ তাতে সেভ করে রাখা যায়। নির্দেশ পাওয়া মাত্র কম্পিউটার তার মেমোরি থেকে রাখা ডেটা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ব্যবহারকারীকে প্রদান করতে পারে। বিশাল আকারের ফাইল কম্পিউটার তার মেমোরিতে অক্ষতভাবে রাখতে পারে যুগ যুগ ধরে।


৪. যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত (Logical Decision) : কম্পিউটার বিভিন্ন গাণিতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পাশাপাশি লজিক্যাল প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করতে পারে। এটির নিজস্ব বিচার-বিবেচনার ক্ষমতা নেই। প্রোগ্রামে প্রদান করা যুক্তি অনুযায়ী এটি সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।


৫. বহুমুখিতা (Versatility) : একজন মানুষ কোনো একটি বিশেষ কাজের জন্য পারদর্শী হতে পারে। আবার বিভিন্ন যন্ত্রও এক একটি বিশেষ কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। কিন্তু কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে সাধারণ হিসাব-নিকাশ থেকে শুরু করে জটিল বৈজ্ঞানিক সমস্যার সমাধান, ডাটা আদান-প্রদান, ডাটা সংরক্ষণ, ডাটা খুঁজে পাওয়া, শিক্ষা, বিনোদন, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি বহুবিধ কাজ খুব সহজেই সূক্ষ্ম ও দক্ষভাবে সুসম্পন্ন করা যায়।


৬. স্বয়ংক্রিয়তা (Automation) : কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। কম্পিউটারকে কোনো কাজের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্দেশনা দান করলে কম্পিউটার নিজে থেকেই সম্পূর্ণ কাজটি সমাধা করতে পারে।


৭. ক্লান্তিহীনতা (Diligence) : মানুষ অনেক সময় ধরে কাজ করতে পারে না। বেশ কিছুক্ষণ কাজ করার পর মানুষ ক্লান্ত হয়, বিশ্রাম নিয়ে থাকে। অন্যদিকে কম্পিউটারের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ক্লান্তিহীনতা। কম্পিউটার ঘণ্টার পর ঘন্টা ক্লান্তিহীন এবং বিশ্রামহীনভাবে কাজ করতে পারে।


৮. তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা (Data Processing Power) : কম্পিউটারকে ইনপুট আকারে তথ্য প্রদান করতে হয়। কাম্পউটার তার ব্যবহারকারীর দেওয়া উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন করার পর তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি ফলাফল বা আউটপুট প্রদান করে থাকে। হিসাব-নিকাশ, লেখালেখি, তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি যত প্রকার কাজ মানুষের প্রয়ােজন হয়, কম্পিউটার সব রকমের কাজই করতে পারে।


৯. সূক্ষ্মতা (Sharpness) : মানুষ সবসময় সূক্ষ্মভাবে হিসাব-নিকাশ করতে পারে না। কম্পিউটার সূক্ষ্মভাবে হিসাব-নিকাশ করতে পারে। যার ফলে গাণিতিক সমস্যার উত্তর দশমিকের পর অধিক সংখ্যা পর্যন্ত দিতে সক্ষম।


১০. ভুল শনাক্তকরণ ও সংশােধন (Error Testing and Debugging) : কোনাে প্রােগ্রামকে কম্পিউটারে টাইপ করার পর প্রােগ্রাম চালিয়ে পরীক্ষা এবং পরবর্তীতে ভুলসমূহ নির্ধারণ করে সংশােধন করা সম্ভব। মানুষ ভুল শনাক্ত করতে পারে কিন্তু সাথে সাথে তা সংশোধন করা প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • কম্পিউটারের বিবর্তনের ও প্রজন্ম 

কম্পিউটার এর ইতিহাস আলোচনা করার সময় আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসাবে পরিচিত বৃটিশ নাগরিক র্চালস ব্যাবেজের নাম সবার প্রথম স্মরন করা হয়ে থাকে। তিনিই প্রথম ১৮২৩ সালে সরকারের অনুদানে একটি গণনা যন্ত্র তৈরি করেন।

  • প্রথম প্রজন্মভ্যাকুয়াম টিউব (১৯৪০-১৯৫৬) (Vacuum tube based)
  • দ্বিতীয় প্রজন্মট্রানজিস্টর (১৯৫৬-১৯৬৩) (Transistor based)
  • তৃতীয় প্রজন্মসার্কিট ( ১৯৬৪-১৯৭১) (Integrated Circuit based)
  • চতুর্থ প্রজন্মমাইক্রোপ্রসেসর (১৯৭১- বর্তমান) (VLSI microprocessor based)
  • পঞ্চম প্রজন্মকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ) (ULSI microprocessor based)

প্রথম প্রজন্ম (১৯৪০-১৯৫৬)

  • Vacuum tube technology এর অপর নির্ভর করে তৈরি।
  • অনির্ভরশীলতা।
  • আকারে খুব বড় এবং প্রচুর তাপ উৎপাদনকা।
  • শুধু machine language বুঝতে পারত তাই এই প্রজন্মের কম্পিউটারে যান্ত্রিক ভাষায় (machine language) প্রোগ্রাম লিখা হত।
  • memory খুব অল্প।
  • এই কম্পিউটারের যান্ত্রিক গোলযোগ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পাওয়ার খরচ বেশি।

দ্বিতীয় প্রজন্ম ((১৯৫৬-১৯৬৩)

  • ট্রানজিস্টর দ্বারা তৈরি।
  • প্রথম প্রজন্মের তুলনায় অধিক নির্ভরশীল।
  • অধিক ধারণক্ষমত।
  • তথ্য স্থানান্তরের সুবিধা।
  • আকারে ছোট, গতি বেশি এবং তাপ উৎপাদন কম।
  • program লিখার জন্য অ্যাসেম্বলি ভাষা ব্যবহার হত।

তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৪-১৯৭১)

  • বিভিন্ন প্রকার উন্নত মেমরি ব্যবস্থার উদ্ভাবন;
  • ব্যাপক Integrated Circuit বা IC এর ব্যবহার;
  • আকারে ছোট বলে বিদ্যুৎ খরচ কম
  • প্রোগ্রাম লেখার জন্য high-level programming language ব্যবহার হত।

চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭১- বর্তমান)

  • VLSI technology এর ব্যবহার।
  • Pipeline processing এর সুবিধা।
  • আকারে ছোট তাই স্থানান্তর করার সুবিধা।

পঞ্চম প্রজন্ম (ভবিষ্যৎ প্রজন্ম)

  • ULSI technology এর ব্যবহার।
  • Parallel Processing এর সুবিধা।
  • artificial intelligence বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর ব্যবহার।
  • ভিজুয়্যাল ইনপুট বা ছবি থেকে ডাটা গ্রহণ করতে পারবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ

বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ :-

  1. কাজের ধরন ও ব্যাবহারের প্রয়গক্ষেত্র অনুসারে কম্পিউটার এর শ্রেণী-বিভাগ
    • বিশেষ ব্যবহার এর কম্পিউটার (General Purpose Computer)
    • সাধারন ব্যাবহারের কম্পিউটার (Special Purpose Computer)
  2. গঠন ও কাজের প্রকৃতি অনুসারে কম্পিউটার এর শ্রেণী-বিভাগ
    • Analog Computer (এনালগ কম্পিউটার)
    • Digital Computer (ডিজিটাল কম্পিউটার)
    • Hybrid Computer (হাইব্রিড কম্পিউটার)
  3. আকার, আকৃতি, আয়তন ও কার্যকারিতা অনুসারে কম্পিউটার এর শ্রেণী-বিভাগ
    • ব্যক্তিগত কম্পিউটার: একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার একটি ছোট এবং কম দামের একটি কম্পিউটার “ব্যক্তিগত কম্পিউটার” বা “Personal Computer” শব্দটি Desktop Computer গুলিকে (ডেস্কটপ) বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়।
    • ওয়ার্কস্টেশন কম্পিউটার: একটি নেটওয়ার্কে একটি টার্মিনাল বা ডেস্কটপ কম্পিউটার। এই প্রসঙ্গে, ওয়ার্কস্টেশনটি কোনও “সার্ভার” বা “মেইনফ্রেম” এর বিপরীতে ব্যবহারকারীর মেশিন (ক্লায়েন্ট মেশিন) এর জন্য একটি সাধারণ শব্দ ic
    • মিনিকম্পিউটার কম্পিউটার : একটি মিনিমিক কম্পিউটার খুব মিনি নয়। কমপক্ষে, আমাদের বেশিরভাগই মিনি সম্পর্কে ভাবেন না। আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং এর সম্পর্কিত পরিবার কতটা বড় তা আপনি জানেন।
    • মেনফ্রেম কম্পিউটার : এটি এমন এক ধরণের বৃহত কম্পিউটারকে বোঝায় যা একটি সম্পূর্ণ কর্পোরেশন চালায়।
    • সুপার কম্পিউটার: এটি পৃথিবীর বৃহত্তম, দ্রুত এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল কম্পিউটার।
    • মাইক্রো কম্পিউটার: আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটার একটি মাইক্রো কম্পিউটার।
      • পামটপ কম্পিউটার (Palmtop Computer)
      • ল্যাপটপ কম্পিউটার (Laptop Computer)
      • নোটবুক কম্পিউটার (Notebook Computer)
      • ডেক্সটপ কম্পিউটার (Desktop Computer)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

আমাদের YouTube এবং Like Page

Leave a Comment