বিষয়: ভোগে নয় ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ
ভোগে নয়, ত্যাগেই মানুষ্যতে¦র বিকাশ।
মূলভাব: মনুষ্যত্বই মানুষের পরিচায়ক। আর ত্যাগের মহিমাই পারে মানুষের এ মনুষ্যত্বের উৎকর্ষ ও বিকাশ ঘটাতে।
সম্প্রসারিত ভাব: জগৎ সংসারে ভোগ ও ত্যাগ দুটি বিপরীতমূখী দিক। ভোগ ও ত্যাগের দরজা সবার জন্যই উন্মুক্ত। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলার করাণ হচ্ছে তার মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্বের কল্যাণেই মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা এবং শ্রেষ্ঠ। মানুষ জন্মগতভাবেই মনুষ্যত্ব লাভ করে। তবে মানুষকে তার স্বীয় চেষ্টায় এ মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘাটাতে হয়। মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর মধ্যেই মানব জীবনের সার্থকতা নিহিত । ভোগের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে না । ভোগ মানুষকে জড়িয়ে ফেলে পঙ্কিলতা, গ্লানি ও কালিমার সাথে। এটি শারীরিক বৃদ্ধি ঘটাতে পারে কিন্তু মানসিক উৎর্কষ তথা মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে পারে না। পক্ষান্তরে , ত্যাগের দ্বারাই মনুষ্যত্ব বিকশিত ও উৎকর্ষিত হয়। ত্যাগ মানুষকে নিয়ে যায় মনুষ্যত্বের স্বর্ণ শিখরে। যারা ভোগের মধ্যে নিজেদের ব্যস্তরাখে পৃথিবীতে তাদের কোনো সম্মান নেই। কিন্তু যারা ত্যাগের মহিমার ভাস্বর, মানুষ তাঁদেরকে মৃত্যুর পরেও ভোলে না। অর্থাৎ তাঁরা অমরত্ব লাভ করেন। বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (স.) এর চরিত্র ত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ত্যাগের মাধ্যমেই তাঁর পূর্ন মনুষ্যত্ব তথা মানবিক গুনাবলি ফুটে উঠেছে।
মন্তব্য: ত্যাগেই মানবজীবনের সার্থকতা। তাই ত্যাগই হওয়া উচিত মানুষের প্রধান আদর্শ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] |
অন্য বই থেকে -২
ভােগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ / ভােগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ
মূলভাব: ভােগ ও ত্যাগ মানবজীবনের সাথে জড়িত। দুটিই পরস্পরবিরােধী পথ। তবে ভােগ মানুষকে ইন্দ্রিয়পরায়ণ করে আর ত্যাগ মানুষের জীবনকে অর্থবহ করে। ভােগপ্রবণতা কখনাে মানুষকে সুখী করে না আর মনুষ্যত্বেরও বিকাশ ঘটায় না। ত্যাগের মাধ্যমে পাওয়া যায় প্রকৃত সুখ।
ভাবসম্প্রসারণ: ভােগবাদিতা মানবজীবনের আদর্শ নয় । পরার্থে আত্মত্যাগই মনুষ্যত্বের আদর্শ। পৃথিবীর মানুষ প্রবৃত্তির দাস। প্রবৃত্তি মানুষকে ভােগপ্রবণ করে। আর প্রবৃত্তির হাত থেকে মুক্তির মাধ্যমে মানুষের আত্মমুক্তি ঘটে। আর এ। মুক্তির মাধ্যমে মহৎ জীবনের আস্বাদ পাওয়া যায়। ভােগের কারণে মানুষ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। ফলে ভােগ করতে হয় সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশা। ভােগপ্রবণতা মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর করে তােলে। ভােগের বশবর্তী মানুষের দ্বারা পৃথিবীতে কোনাে মহৎ কাজ করা সম্ভব হয় না। স্বার্থপর ভােগী মানুষকে জগৎ মনে রাখে না। অপরের জন্যে নিজের সুখ বিসর্জন দেওয়ার মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। আর ত্যাগী মানুষ তার মহৎ গুণের জন্যে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে থাকে। ত্যাগের মাধ্যমে তারা পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করে। দৈহিকভাবে উপস্থিত না থেকেও তাদের ত্যাগের কারণে মনুষ্যত্বের জন্যে সদাই তাদের উপস্থিতি অনুভব করা যায়।যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী ও পণ্ডিত ব্যক্তিরা ত্যাগের মাধ্যমেই মানবকল্যাণ সাধনে ব্রতী হয়েছেন। মাদার তেরেসা, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল প্রমুখ মানবজাতির কল্যাণের জন্যে বহু ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন। তাই ত্যাগই আমাদের চরিত্রের আদর্শ হওয়া উচিত। তবে ত্যাগ মানে নিজেকে সর্বস্বান্ত করা নয়, নিজের জীবন ও পরিবারকে বিসর্জন নয়। অন্যের কল্যাণের জন্যে ত্যাগই হচ্ছে যথার্থ। এর মাধ্যমে প্রকৃত সুখ লাভ করা যায় এবং যথার্থ মনুষ্যত্বের পরিচয় ঘটে।
জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করতে হলে স্বার্থ ত্যাগ করা উচিত। ভােগী মানুষ বাঁচে তার পরিবার-পরিজনের পরিধির মধ্যে আর ত্যাগী মানুষ বাঁচে কালের অনন্ত প্রবাহে।
অন্য বই থেকে ৩
ভােগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ / ভােগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ
মূলভাব : ভােগ বিলাসিতায় প্রকৃত সুখ পাওয়া যায় না। প্রকৃত সুখ আসে আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে।
সম্প্রসারিত ভাব : ভােগ ও ত্যাগ মানবের আত্মাবনতি ও আত্মমুক্তির রক্তাক্ত দলিল। ভােগাকাঙক্ষা মানবের সীমাহীন দুঃখের কারণ। ত্যাগ মানুষকে রিক্ত করে না; বরং পূর্ণতাই এনে দেয়। অপরের হিতার্থে যিনি নিজের জীবন অকাতরেবিলিয়ে দেন, মৃত্যুর পরে তিনি আরও বড় মানুষ হিসেবে অমর হয়ে থাকেন। কবির কথায়—
“নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান,
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।”
আমরা যখন ভােগের জীবনযাপন করি তখন শুধু নিজের জন্য বাঁচি। এ বাঁচা মৃত্যুর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায়। যখন ত্যাগের জীবনযাপন করি, তখন পরের জন্যও বাচি। জীবনে ত্যাগ থাকলে জীবন অর্থবহ হয়। ত্যাগের মনােভাব মানুষকে মহৎ করে তােলে, অন্তরকে অপার আনন্দে পূর্ণ করে দেয়। অসহায়, বিপন্ন ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে তাদের পাশে পঁড়াতে পারলে অন্তরে অনির্বচনীয় শান্তি ও সুখের ফল্গুধারা বয়ে যায়। তাই ত্যাগ আমাদের চরিত্রের সর্বোচ্চ আদর্শ হওয়া উচিত। ত্যাগের মাধ্যমে সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষ অমরত্ব লাভ করতে পারে। ত্যাগ মহাশক্তি। অপরদিকে, ভােগ হচ্ছে লক্ষ ফণা সাপ। তাকে পদদলিত করা আমাদের কর্তব্য। ভােগাকাঙক্ষার নিবৃত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা সার্থক মানুষ হিসেবে। নিজেদের পরিচয় দিতে পারব না। যে ত্যাগ করতে জানেভােগর অধিকার তারই জন্মে।
মন্তব্য : নিঃস্বার্থভাবে অপরের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই জীবনে আসে চরম সার্থকতা। তাই ভােগকে
পরিহার করে ত্যাগকে স্বাগত জানানাে উচিত।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] |
অন্য বই থেকে -৪
ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ মনুষ্যত্বই মানুষের মহাপরিচালক । আর ত্যাগের মহিমাই পারে মানুষের এ মনুষ্যত্বের উৎকর্ষ ও বিকাশ ঘটাতে । ত্যাগের মাধ্যমে সম্পদ চলে যায়, ফিরে আসে আনন্দ ভ্রাতৃত্ব আর মনুষ্যত্ব । ত্যাগের মধ্যেই মানব জীবনের স্বার্থকতা, ত্যাগেই মানুষের একমাত্র আদর্শ হওয়া উচিত ।
সম্প্রসারিত-ভাবঃ জগৎসংসারে ভোগ ও ত্যাগ দুটি বিপরীতমুখী দিক। ভোগ ও ত্যাগের দরজা সবার জন্যেই উন্মুক্ত । মানুষ ভোগে আনন্দ পায়, তৃপ্তি পায় না। কিন্তুূ ত্যাগের মাধ্যমে আনন্দ ও তৃপ্তি দুটো লাভ করা যায় । তাই ভোগ নয় ত্যাগেই জীবনের লক্ষ্য হওয়া বাঞ্চনীয়। ত্যাগ মনুষ্যত্বকে বিকোশিত করে । মনুষ্যত্বের কল্যাণেই মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা এবং শ্রেষ্ঠ। শুধু মানুষ হিসেবে জন্ম নিলেই মনুষ্যত্ব লাভ করা যায় না । মানুষকে তার স্বীয় চেষ্টায় এই মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে হয়। মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর মধ্যেই মানব জীবনের স্বার্থকতা । ভোগের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে না । ভোগ মানুষকে জড়িয়ে ফেলে পঙ্গিলতা, গ্লানি ও কালিমার সাথে । তাদের অর্জিত সম্পদ নিজের স্বার্থ ব্যতিত সমাজের অন্য কোন কাজে আসে না । তাই পরের দুঃখে তাদের হৃদয় মন ও কাঁদে না । তারা স্বার্থান্ধ ও সংকীর্ণচিত্ত বলে সমাজে মর্যাদাহীন ।
ত্যাগ মানুষকে নিয়ে যায় মনুষ্যত্বের র্স্বণ শিখরে । পরের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার আদর্শ ও উদ্দেশ্য মনুষ্যত্বের মধ্যেই অবহ্যত থাকে । মনুষ্যত্বের গুণে মানুষ নিজের স্বার্থের কথা ভুলে গিয়ে পরার্থে, দীনদুঃখীদের জন্যে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পায় । স্বামী বিবেকানন্দ, মাদার তেরেসা প্রমুখ ব্যাক্তিদের চরিত্রত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । ত্যাগের মাধ্যমেই তাঁদের মনুষ্যত্ব তথা মানবীক গুণাবলী ফুটে উঠেছে । মানুষই পারে বিপদ আপদে মানুষের কাছে গিয়ে দাড়াতে । মানুষতো একের অন্যের ভাই, বন্ধু তবে কেন তারা একই রক্তে মাংসে গড়া নিজ নিজ অসহায় গস্থ্য মানুষের সাহায্যে এগিয়ে না আসে । এক কেমন যুক্তি এ কেমন বিবেক । মানুষতো মানুষের জন্য । নিজেকে অন্যের জন্যে বিলিয়ে দেওয়াকে মনুষ্যত্ব বলে । মানুষ কি শুধু নিজে খেয়ে পড়ে বেচেঁ থাকলে কি এতেই স্বার্থকতা এইটা কিন্তুূ সঠিক পথ না । মানুষের ও কিন্তুূ মানুষের জন্যে দায়ীত্ব আছে আর তা পালন করা সকল মানব জাতির দ্বায়ীত্ব ও কর্তব্য । ত্যাগের মহীমাই মানুষ মানুষের মনে সারা জীবনের জন্য বেঁচে থাকতে পারে হয়ে উঠতে পারে সকলের জন্য উমর ।
মন্তব্যঃ এ জীবনের পরম শান্তি দেবে আর নেবে মিলাবে মিলিবে’র মধ্যে নিহিত । আমি অট্রালিকায় বসবাসকারী আমার অন্য কোন ভাইকে দেখে আমার নির্দ্বিধায় বলা উচিত, আমার ঔ ঘরে ছিল তোমারও দাবী। মহান ইসলাম ধর্মেও ঔ একই কথা বলে, ধনীদের ধনসম্পদে গরীবদের হক রয়েছে। গরীবদের হকের কথা ইসলামের সকল ক্ষেত্রে অনেক জোর আরপ করে বলা হয়েছে অনেক গুরুত্ব সহকারে যাতে করে আমরা ব্যপারটাকে গুরুত্ব দিও ।
Paragraph & Composition/Application/Emali | উত্তর লিংক | ভাবসম্প্রসারণ | উত্তর লিংক |
আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক | প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা | উত্তর লিংক |
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও
- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রনয়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয় কবে? উত্তর-২৩ মার্চ, ১৯৭২,বাংলাদেশের সংবিধান কবে উত্থাপিত হয়? উত্তর- ১২ অক্টোবর, ১৯৭২,গনপরিষদে কবে সংবিধান গৃহীত হয়? উত্তর-০৪ নভেম্বর,১৯৭২,কোন তারিখে বাংলাদেশের সংবিধান বলবৎ হয়? উত্তর-১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
- Hon‘s 2nd: Business Communication & Report Writing
- Degree 3rd Year Exam Marketing 5th paper Suggestion