মনের মত চাকরি পাওয়ার ১০টি পরীক্ষিত উপায়,যেকোন চাকরি পেতে দরকারি ৫টি পরামর্শ,ভালো চাকরি পাওয়ার উপায়,সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায়,#দ্রুত চাকরি পাওয়ার উপায়
সারাবিশ্ব এগিয়ে চলার সাথে সাথে বাংলাদেশও তার পিছু পিছু হাটছে। তাই নিজেকে বর্তমান পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট চর্চা করতে হবে। এক্ষেত্রে অনেকেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, ইংরেজি শিখ, নতুন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলুন ইত্যাদি। এসবের পাশাপাশি আজ আপনাদের জন্য চাকরি পেতে দরকারি ৫টি মরামর্শ শেয়ার করব যা একজন বেকারের জন্য অতীব জরুরি।
সরকারি চাকরি পেতে বিশ্বাসী রেফারেন্স তৈরি করুনঃ-
রেফারেন্স বলতে যে ব্যক্তি আপনার চাকরি পেতে সাহায্য করবে এমন একজন। সে আপনার বসকে ফোন করবে বা আপনার রেফারেন্সকারীর নাম সিভিতে লিখে দিবেন তাহলে আপনার রেফারেন্স তৈরি হয়ে যাবে। এমনও নজির দেখতে পাবেন যে, যে রেফারেন্সকারীর নাম সিভিতে উল্লেখ করেছেন তাঁর সাথে আপনার কোম্পানীর বস নিবিড়ভাবে জানে। তাঁর নাম দেখার সাথে সাথে আপনাকে আগেই ভাইভার জন্য নির্বাচন করবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যায় যে, অনেকেই দলীয় পরিচয় দিয়ে রেফারেন্সের ভিত্তি শক্ত করে। এতে ঐ ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ চাকরি পেয়ে যেতে পারেন। অথবা ভাইভা বোর্ডে এমন উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের নাম বলতে বলেন তা যদি আপনি বিশ্বাসী বা প্রচলিত নাম বলতে পারেন আর যদি সে নামগুলো ঐ বোর্ডের পছন্দ হয় তাহলে আপনিই চাকরি পাবেন। তাই একটি ভাল জব পেতে চাকরির শুরুতে বিশ্বাসী রেফারেন্স তৈরির বিকল্প নেই।
চাকরি পেতে বর্তমান চাকরির বাজার সম্পর্কে আপডেট রাখুনঃ-
বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঐ ব্যক্তিই চাকরি পাচ্ছেন যে ব্যক্তি বর্তমান চাকরির বাজার সম্পর্কে সম্পূর্ণ আপডেট রাখছেন। আপনি যদি ভাল মানের একটা চাকরি পেতে চান তাহলে আপনাকে বর্তমান চাকরির বাজার সম্পর্কে আপডেট রাখতে হবে। আপনি যদি চাকরির বাজার সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না রাখেন তাহলে অন্যদের থেকে আপনি একধাপ পিছিয়ে যাবেন। মূল কথা হল, চাকরির চাহিদা অনুসারে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। তাই সে অনুসারে নিজেকে সাজিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়া, টেলিভিশনের খবর শোনা, গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান দর্শন ও পরিদর্শন, ব্যবসা সংক্রান্ত বই পড়া, বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনাবলী অধ্যয়ন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে। উপরিউক্ত বিষয় অনুসরণ করার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যতিক্রম নেই। মনে রাখতে হবে যে, ইন্টারনেট হচ্ছে সব জ্ঞানের উৎস, অর্থাৎ এখানে এমন কোন বিষয় নেই যে আপনি পাবেন না। এজন্য উইকিপিডিয়া তে চোখ রাখতে হবে।
ভাল চাকরি পেতে প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা গ্রহণঃ-
মনে রাখবেন, এই প্রতিযোগিতার যুগে একটা চাকরি মানে নিজেকে বেঁচে রাখার পাশাপাশি পরিবারকে সমর্থন করার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নিজেকে সবসময় একটা চাকরির জন্য প্রশিক্ষণের উপযোগী করে গড়ে তোলাই প্রধান অন্তরায়। একটি চাকরি পাওয়ার জন্য অন্যদের থেকে নিজেকে সবসময় এক ধাপ এগিয়ে রাখতে হবে। এজন্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর আগে থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়ে সনদপত্র সংগ্রহ করে রাখতে হবে। চাকরিতে আবেদনের পরে সে চাকরিকে ভালবাসার ক্ষেত্র বানাতে হবে। একজন প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী আর একজন প্রশিক্ষণ ছাড়া আবেদনকারীর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। কারণ, একজন প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সবসময় তার থেকে ভালভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে। তাই চাকরি পাওয়ার দিক থেকে একজন প্রশিক্ষণ গ্রহনকারী সবসময় আগে চাকরি পাবে। আর এটাই বাস্তবতা। কারণ, ভাইভা বোর্ডে চাকরি প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হয় যে, তার কোন প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে কিনা? এক্ষেত্রে উত্তর হা হলে সে এক ধাপ এগিয়ে যায়। আর উত্তর না হলে বোর্ডের নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া তার উপর পড়ে। তাই চাকরি পাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণের বিকল্প কোন পথ নেই।
যুযোপযোগী চাকরি পেতে চাকরির মেলা পরিদর্শন করুনঃ-
এই ডিজিটাল বাংলাদেশের যুগে চাকরি প্রার্থীকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কোম্পানী বছরে একবার বা দুইবার চাকরির মেলার আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন কোম্পানী অংশগ্রহণ করে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে। যারা চাকরির বাজার এবং চোখ কান খোলা রেখে চলাফেরা করে তারা সিভি পাঠিয়ে সে সব কোম্পানীতে সহজেই ভাইভার জন্য ডাক পায়। কিন্তু আপনি যদি চাকরির মেলা সম্পর্কে কিছুই না জানেন, সারাদিন নাক ডেকে ঘুমানোর কারণে কিছুই খবর রাখলেন না তাহলে চাকরি নামের সোনার হরিণ আপনার কপালে লেখা নেই। তাই নিত্য নতুন চাকরির মেলা পরিদর্শন করে চাকরি সম্পর্কে আপডেট রাখাই চাকরি পাওয়ার জন্য অনেক এগিয়ে রাখবে।
সেরা চাকরি পেতে ছোট চাকরি শুরু করুনঃ-
অনেকেই মনে করেন, বর্তমান বাজারে একটা চাকরি পাওয়াই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। এটাই চিরন্তন সত্য। তবে মনে সবসময় উচ্চাশা পুষিয়ে রাখা উচিত না। কারণ উচ্চাশা অনেকক্ষেত্রেই পূরণ হয়না। আপনি যদি চাকরি প্রার্থী হোন, তাহলে পড়াশুনা শেষে ছোট চাকরি দিয়ে আপনার ক্যারিয়ার শুরুর করুন। একটা ছোট চাকরি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। ঐ ছোট চাকরি শুরু করলে আপনি চাকরির স্থানে অনেক কিছু শিখবেন। এটা আপনাকে ভাল চাকরির ভাইভাতে সাহায্য করবে। অন্য কোম্পানীর ভাইভা দিতে আপনার উপস্থাপন ক্ষমতা, কথাবার্তা বলার স্টাইল, আচার ব্যবহার অনেক কিছু শিখতে পারবেন যা অন্য চাকরি পাওয়ার পর সাহায্য করবে। তাই ছোট চাকরি দিয়ে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করলে আপনি বড় বা ভাল চাকরি পেতে অনেক সহায়তা করবে।
পড়ালেখা শেষ, পেশাদারি জীবন শুরু করার সময়। চাই একটা চাকরি, ভীষণ দরকার। কিন্তু ভাগ্যটা কেন যেন ‘ক্লিক’ করছে না! একেই চাকরি পাওয়া দুষ্কর, সাথে আবার আরেক সমস্যা-মনমতো চাকরি তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। চাইলেই তো যেনতেন একটা চাকরি শুরু করে দেওয়া যায় না। আগে একটা ব্যাপার ঠিকঠাক বুঝতে হবে আপনার, চাকরিটা ঠিকমতো খুঁজছেন তো? চাকরি খোঁজারও কায়দাকানুন আছে। ওয়ান্ডার লিস্টে চাকরি খুঁজে পাওয়ার ১০টি বুদ্ধি বাতলে দেওয়া হয়েছে; দেখুন তো আপনার কেমন কাজে লাগে!
১. সময় নিন
তাড়াহুড়া করে অনেক কিছু পাওয়া গেলেও মনমতো চাকরি পাওয়ার কথা না। হুট করে পাওয়া চাকরি বরং আপনার ঘাড়ে এক ভূতের মতোই চেপে বসতে পারে। কাজেই ঠিকমতো সময় নিন, ধীরেসুস্থে চাকরি খুঁজুন, তাড়াহুড়ার কিছু নেই।
২. নিজের ইচ্ছা বুঝুন
কেউ একটা চাকরি দেওয়ার কথা বলল, কিংবা হঠাৎ করে একটা জায়গা থেকে প্রস্তাব পেলেন-তাহলেই কি চাকরিতে ঢুকে পড়বেন? না বুঝে চাকরিতে ঢুকলে কিন্তু সেটা আপনার জন্য পরে সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এরচে বোঝার চেষ্টা করুন যে আপনি কি চান, কি করতে চান আর নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চান।
৩. ভালো জীবনবৃত্তান্ত লেখা শিখুন
একটি ভালো জীবনবৃত্তান্তের ওপর ভর করে আপনি কিন্তু আপনার পছন্দের চাকরিটি পেয়ে যেতে পারেন। আপনার চেহারা দেখে নয়, বরং কর্মদক্ষতা আর যোগ্যতা দেখেই নিয়োগ করা হবে কোনো না কোনো চাকরিতে। কাজেই সেটা আগে ভালোমতো লেখা শিখুন। দরকারে অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন, কয়েকটা সাইট বা ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে জেনে নিন ভালো জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি লেখার কায়দা।
৪. জব সাইট
জব সাইটে নিয়মিত খোঁজখবর নিন। কোন কোন জব সাইট আপনার জন্য দরকারি, সেগুলো চিহ্নিত করে ফেলুন। সেখানে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে দেরি করবেন না। সুযোগ পেতে দেরি হবে না।
৫. সঠিক কাজে নজর দিন
কোন কাজের জন্য আপনি উপযোগী, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। নিজের প্রতিষ্ঠানে একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী হয়ে ওঠার জন্য এটা বোঝা খুবই দরকারি। সেখানে আপনার ক্যারিয়ার কতদূর এগোতে পারে, সেটা বোঝাও দরকারি।
৬. সোশ্যাল নেটওয়ার্ক
সহজ করে বলাই ভালো। ঠিকমতো ফেসবুক ব্যবহার করতে জানলে বন্ধুবান্ধবই কেবল নয়, স্বপ্নের চাকরিটি পেয়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়; বরং খুবই সম্ভব। সেই সাথে লিংকড-ইনের মতো প্রোফেশনাল সামাজিক মাধ্যমগুলোয় অ্যাকাউন্ট রাখাও জরুরি।
৭. নিজের গণ্ডির মধ্যে সচল থাকুন
পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ নিয়মিত বজায় রাখুন। হোক তা কারণে বা অকারণে! দরকারের সময় দেখবেন, পরিচিতদের রেফারেন্স চাকরি পাওয়ায় কতটা উপকারী হতে পারে।
৮. বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ
বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজনের সাথে যোগাযোগ তৈরি করুন। এতে সম্পর্কের পাশাপাশি আপনার নিজেরও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। সঠিক চাকরিটি খুঁজে পাওয়ায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৯. সাক্ষাৎকার
যেমন চাকরি, তেমন বুঝে নিজেকে প্রস্তুত করুন। কোন সাক্ষাৎকারে একেবারে ধোপদুরস্ত হয়ে ব্যাকরণ মেনে কথা বলতে হবে আর কোথায় ক্যাজুয়াল আউটফিটে টানা আলাপে দেন-দরবার করতে হবে; সেটা কিন্তু না বুঝলেই নয়!
১০. আপ টু ডেট থাকুন
যেখানে যেখানে অ্যাপ্লাই করেছেন, সেখানে খোঁজখবর রাখুন। খোঁজ নিন নতুন কিছুর জন্যও। না হলে কিন্তু হয়ে যাওয়া চাকরিটাও ফসকে যেতে পারে।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও