ময়মনসিংহ জেলা সম্পর্কে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
সর্বশেষ সংশোধিত ও জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন ও সমাধান টি আপডেটের করা হয়েছে ২০২৪
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সম্পর্কে প্রশ্ন ও সমাধান ২০২৪
ময়মনসিংহ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি জেলা। এটি দেশের রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরে প্রায় ১২০ কিমি (৭৫ মাইল) ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত। এটি উত্তর-মধ্য বাংলাদেশের একটি প্রধান আর্থিক কেন্দ্র এবং শিক্ষা কেন্দ্র। জেলাটি বাংলাদেশের ষোলটি পুরানো জেলাগুলির মধ্যে একটি যা ১ মে ১৭৮৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দ্বারা গঠিত হয়েছিল। ২২০ বছরেরও বেশি পুরানো হওয়ায়, ময়মনসিংহের একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে।
শুরুতে বেগুনবাড়িকে জেলার সদর দফতর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। তবে বেগুনবাড়ি আকস্মিক বন্যায় বিধ্বস্ত হলে জেলা সদরটি ময়মনসিংহে স্থানান্তরিত করা হয়। আগে ময়মনসিংহকে নাসিরাবাদ বলা হত, নাসিরুদ্দিন নসরত শাহের নামানুসারে। ব্রিটিশ রাজত্বের সময় শহরের অধিকাংশ বাসিন্দাই ছিল হিন্দু।
ময়মনসিংহ একটি প্রধান কৃষিপ্রধান জেলা। প্রধান ফসল হল ধান, পাট, গম, আখ, আলু। জেলাটিতে টেক্সটাইল, কাগজ এবং ওষুধসহ বেশ কয়েকটি শিল্পের আবাসস্থল। জেলাটিতে আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহ জাদুঘর, ময়মনসিংহ জেলা স্কুল এবং ময়মনসিংহ রাজবাড়ি।
2016 – 2024 সালের সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান পেতে ক্লিক করুন
ময়মনসিংহ নামকরণ ও জেলার ইতিহাস
ময়মনসিংহ জেলার নামকরণ করা হয়েছিল একজন মুসলিম শাসকের নামানুসারে যার নাম শাহ মোমিন বা মোমিন সিং নামে একজন জাতিগত বাঙালি মুসলিম শাসক। সম্রাট আকবরের শাসনামলের পূর্বে নামটি চালু হয়। ময়মনসিংহ এলাকার জমিদারদের কাছে জেলার নাম ময়মনসিংহ রাখার অনুরোধ করা হলে সরকার তা মেনে নেয়।
নাসিরুদ্দিন নসরত শাহের নামানুসারে এই জেলার নাম ছিল নাসিরাবাদ। যাইহোক, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৮৭ সালে নাম পরিবর্তন করে ময়মনসিংহ রাখা হয়। ময়মনসিংহ নামটি মোমেন সিং নামের একটি ইংরেজি রূপ।
জেলার একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে। শুরুতে বেগুনবাড়িকে জেলার সদর দপ্তর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তবে আকস্মিক বন্যায় বেগুনবাড়ি বিধ্বস্ত হলে জেলা সদরটি ময়মনসিংহে স্থানান্তরিত করা হয়।
বৃটিশ রাজত্বের সময় এই শহরের অধিকাংশ অধিবাসী ছিল হিন্দু। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভারতে চলে আসে এবং মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়। জেলাটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এটি একটি দেশের প্রধান বাণিজ্যিক ও শিল্প কেন্দ্র এবং এটি বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসস্থল।
ময়মনসিংহ জেলার উপজেলা/থানা সমূহ
ময়মনসিংহ জেলায় মোট ১৩টি উপজেলা বা থানা আছে। যা হল:
- ফুলবাড়িয়া উপজেলা,
- ত্রিশাল উপজেলা,
- ভালুকা উপজেলা,
- মুক্তাগাছা উপজেলা,
- ময়মনসিংহ সদর উপজেলা,
- ধোবাউড়া উপজেলা,
- ফুলপুর উপজেলা,
- হালুয়াঘাট উপজেলা ,
- গৌরীপুর উপজেলা,
- গফরগাঁও উপজেলা,
- ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা,
- নান্দাইল উপজেলা ,
- তারাকান্দা উপজেলা।
উপজেলা গুলো আবার ইউনিয়ন পরিষদ ও মৌজায় বিভক্ত।
ময়মনসিংহ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
এখানে ময়মনসিংহ জেলার কিছু পর্যটন/দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হলো:
শশী লজ
এটি একটি সুন্দর প্রাসাদ যা ঊনবিংশ শতকে মহারাজা শশীকান্ত আচার্য দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এটি ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এবং একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
ময়মনসিংহ জাদুঘর
এই জাদুঘরটি ময়মনসিংহ জেলার ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রদর্শন করে এমন নিদর্শন ও প্রদর্শনীর একটি সংগ্রহের আবাসস্থল। এটি শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থিত।
বিজয়পুর চায়না মাটির পাহাড়
এটি চায়না মাটির পাহাড়। এটি নেত্রকোনা জেলার বিজয়পুর উপজেলায় অবস্থিত।
হাসান মঞ্জিল
এটি ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত ঊনবিংশ শতকের একটি মসজিদ। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য এবং এটি তার জটিল স্থাপত্যের জন্য পরিচিত।
হযরত শাহ জামাল (রঃ) এর মাজার
এটি জামালপুর জেলায় অবস্থিত একটি মাজার এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য এবং এর ধর্মীয় তাৎপর্যের জন্য পরিচিত।
চায়না মাটির লেক
এটি চায়না মাটির তৈরি একটি হ্রদ এটি নেত্রকোনা জেলায় অবস্থিত।
গজনী অবকাশ কেন্দ্র
এটি শেরপুর জেলায় অবস্থিত একটি অবকাশ কেন্দ্র এটি একটি সুইমিং পুল, একটি খেলার মাঠ এবং একটি রেস্তোরাঁ সহ বিভিন্ন সুবিধার বাড়ি৷
মালঞ্চা মসজিদ
এটি জামালপুর জেলায় অবস্থিত সপ্তাদশ শতকের একটি মসজিদ। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য এবং এটি তার জটিল স্থাপত্যের জন্য পরিচিত।
ময়মনসিংহ জেলার পাবলিক পার্ক সমূহ
ময়মনসিংহ জেলার জনপ্রিয় কিছু পাবলিক পার্কের তথ্য এখানে রয়েছে:
বেপিন পার্ক
ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই পার্কটি স্থানীয় এবং পর্যটকদের কাছে একইভাবে একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি একটি খেলার মাঠ, একটি হ্রদ, এবং বেশ কিছু খাবার বিক্রেতা সহ বিভিন্ন আকর্ষণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷
প্রিয়কুঞ্জ পার্ক
এই পার্কটি ময়মনসিংহ শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। এটি বিশ্রাম নেওয়ার এবং বাইরে উপভোগ করার জন্য একটি চমৎকার জায়গা। এতে বিভিন্ন ধরণের গাছ এবং ফুলের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বেঞ্চ এবং টেবিল রয়েছে যেখানে আপনি বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
জয়নুল আবেদিন পার্ক
ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত এই পার্কটি বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদিনের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এটিতে আবেদিনের অনেকগুলি ভাস্কর্য এবং চিত্রকর্মের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের গাছ এবং ফুল রয়েছে৷
ময়মনসিংহ চিড়িয়াখানা
এই চিড়িয়াখানা ময়মনসিংহ শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত এবং সিংহ, বাঘ, হাতি এবং বানর সহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল।
ময়মনসিংহ বোটানিক্যাল গার্ডেন
ময়মনসিংহ শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত এই উদ্যানে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ও ফুল রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন গাছপালা এবং ফুল সম্পর্কে জানার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা।
মধুটিলা ইকো পার্ক
এটি শেরপুর জেলায় অবস্থিত একটি ইকো-ট্যুরিজম পার্ক যা বিভিন্ন গাছপালা এবং প্রাণীর আবাসস্থল, এবং দর্শকদের এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ দেয়।
যে কারনে ময়মনসিংহ জেলা বিখ্যাত
ময়মনসিংহ নানা কারণে বিখ্যাত এটি বাংলাদেশের ৮ম প্রশাসনিক বিভাগীয় সদর দপ্তর যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর। এটি ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ময়মনসিংহ মহিলা কলেজের আবাসস্থল। এছাড়াও জেলাটিতে ময়মনসিংহ জাদুঘর, ময়মনসিংহ দুর্গ এবং ময়মনসিংহ জিয়া জাদুঘর সহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন রয়েছে। ময়মনসিংহ একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান, যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং সাংস্কৃতিক আকর্ষণের জন্যও বিখ্যাত।
ময়মনসিংহ ভ্রমণের জন্য একটি প্রাণবন্ত এবং উত্তেজনাপূর্ণ স্থান। যা একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সহ একটি শহর এবং এটি বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক আকর্ষণের আবাসস্থল। আপনি যদি অন্বেষণ করার জায়গা খুঁজছেন তবে ময়মনসিংহ দুর্দান্ত জায়গা হতে পারে।
১। ময়মনসিংহ বিভাগ সৃষ্টিঃ
ময়মনসিংহ অষ্টম প্রশাসনিক বিভাগ। ১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল ঢাকা বিভাগের অংশ ছিল। ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ঢাকা বিভাগ ভেঙ্গে নতুন ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতৈ ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত হয়।
২। ময়মনসিংহ নামকরণ:
শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সূতিকাগার বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিস্তীর্ণ জনপদ। এর ভৌগলিক পরিবেশ বিচিত্র হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের সামাজিক জীবন, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবিকা ও সংস্কৃতি বৈচিত্র্যপূর্ণ। প্রবাদ আছে ‘হাওর, জঙ্গল, মহিষের শিং; এ নিয়ে ময়মনসিং’। জেলার নাম ময়মনসিংহ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ’র জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন। সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। মহুয়া-মলুয়ার দেশ ময়মনসিংহের পূর্ব নাম ছিল নাসিরাবাদ। ১৭৭৯-তে প্রকাশিত রেনেল এর ম্যাপে মোমেসিং নামটি বর্তমান ’ময়মনসিংহ’ অঞ্চলকেই নির্দেশ করে। তার আগে আইন-ই-আকবরীতে ‘মিহমানশাহী’ এবং ‘মনমনিসিংহ’ সরকার বাজুহার পরগনা হিসাবে লিখিত আছে; যা বর্তমান ময়মনসিংহকেই ধরা যায়। মোগল আমলে মোমেনশাহ নামে একজন সাধক ছিলেন, তাঁর নামেই মধ্যযুগে অঞ্চলটির নাম হয় মোমেনশাহী। কালের বিবর্তনে এটি ‘ময়মনসিংহ’ নামে পরিচিতি পায়।
৩। ময়মনসিংহ বিভাগের ভৌগলিক অবস্থান ও সীমানাঃ
ময়মনসিংহ বিভাগ ২৪‘১০“ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০‘২৫“ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। ময়মনসিংহ বিভাগের উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে ঢাকা বিভাগ, পূর্বে সিলেট বিভাগ, পশ্চিমে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ অবস্থিত। এ বিভাগের প্রধান নদ নদীগুলো হলো পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, সুতিয়া, কংশ, সোমেশ্বরী, নিতাই, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কংস, ভোগাই ইত্যাদি।
৪। প্রশাসনিক তথ্যঃ
জেলা | আয়তন(ব:কি:মি:) | উপজেলা | সিটি কর্পো/ পৌরসভা | ইউনিয়ন | জনসংখ্যা | ভোটার | সংসদীয় আসন | সংরক্ষিত মহিলা আসন |
ময়মনসিংহ | ৪৩৬৩.৪৮ | ১৩ | ১১ | ১৪৬ | ৫৩,১৩,১৬৩ | ৩৫,৯৪,৪৯৩ | ১১ | ০১ |
জামালপুর | ২০৩১ | ০৭ | ০৭ | ৬৭ | ২৩,৮৪৮১০ | ১৫,৯৭,২৫৫ | ০৫ | ০২ |
নেত্রকোণা | ২৭৯৪ | ১০ | ০৫ | ৮৬ | ২২,০৭,০০০ | ১৪,৬৬,১১৬ | ০৫ | ০০ |
শেরপুর | ১৩৬৩.৭৬ | ০৫ | ০৫ | ৫২ | ১৫,৪২,৬১০ | ৯,৯২,১৯১ | ০৩ | ০১ |
সর্বমোট | ১০,৫৫২ | ৩৫ | ২৭ | ৩৫১ | ১,১৪,৪৭,৫৮৩ | ৭৭,১২,৩৫৯ | ২৪ | ০৪ |
৫। মৌলিক তথ্যাবলীঃ
বিভাগের প্রশাসনিক কার্যক্রম | ০৩/১২/২০১৫ খ্রি. | |
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার | ১.৩৪ % (জাতীয়- ১.৩৭ %) | |
জনসংখ্যার ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কি.মি.) | ১২৭৩ জন | |
শিক্ষার হার | ৪০.৯১% | |
জনগোষ্ঠির প্রধান পেশা | কৃষি (৬৫.৭ %) | |
দারিদ্র্যের হার | ৩২.৭৭ % (জাতীয়- ২৪.৩৩ %)সর্বনিম্ন- ভালুকা, ১৫.৫ % এবং সর্বোচ্চ- দেওয়ানগঞ্জ, ৬৩.২ % | |
সীমান্তবর্তী উপজেলার সংখ্যা | ০৯ টি | |
ভারতের সাথে সীমান্তের দৈর্ঘ্য | ১৯২.১ কি.মি | |
বি.ও.পি’র সংখ্যা | ৩৪ টি | |
প্রাথমিক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার | ১১.৩১% | |
গড় তাপমাত্রা | ২৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস | |
নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠি | ০৫ লাখের অধিক, গারো, হাজং, কোচ, বর্মণ, রাজবংশী (আনুমানিক ১৭ ধরনের নৃগোষ্ঠী) | |
অর্থনৈতিক অঞ্চল | ০২টি | |
শিল্প কারখানা | ৮২১৩ টি | |
মেডিক্যাল কলেজ | ০৪টি |
৬। রাজস্ব সম্পর্কিত তথ্যাবলীঃ
মৌজা | ৫১১৪টি |
খাস জমির পরিমাণ (কৃষি) | ১২১৬৯২.৬০ |
বন্দোবস্তযোগ্য খাস জমি (কৃষি) | ৫২৭৯৪.৮৭ |
বন্দোবস্তকৃত খাস জমি (কৃষি) | ৫৭৭৫.৪৯ |
খাস জমির পরিমাণ (অকৃষি) | ৮২৪৩৬.৬ |
বন্দোবস্তযোগ্য খাস জমি (অকৃষি) | ২০৯৫.২৭ |
বন্দোবস্তকৃত খাস জমি (অকৃষি) | ২৯,৬৫৭.৩৫৭ |
অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ | ২৪২৬৪.৪৩ |
হাট বাজার | ৯২৪ |
জলমহাল ও বালুমহাল | ২০ একরের উর্ধ্বে ২০১টি, ২০ একর পর্যন্ত ৫৫৩টি, বালুমহাল ১৪টি |
বীর নিবাস প্রকল্প | ৪১৩ টি |
৭। কৃষি সম্পর্কিতঃ
জেলার নাম | চাষযোগ্য ফসলি জমি(হেক্টর) | খাদ্যশস্য চাহিদা(মেট্রিক টন) | খাদ্যশস্য উৎপাদন(মেট্রিক টন) | কৃষক পরিবার সংখ্যা | প্রধান প্রধান ফসল |
ময়মনসিংহ | ৩,৩২,৭৩৭ | ৮,৭৮,৫০৫ | ১৭,৯৪,৩৬৪ | ৯,৬৭,১৬২ | ধান, আলু, পাট, বেগুন, ভূট্টা, গম, সবজি ইত্যাদি |
জামালপুর | ১,৬৩,০৩৪ | ৪,৪০,৯৯২ | ৯,৭৭,৩০৫ | ৫,১৮,৯৪৬ | |
নেত্রকোণা | ২,১৭,১৯৩ | ৩,৮১,৯১৪ | ১০,৭৪,১১০ | ৪,৫১,৭৬৫ | |
শেরপুর | ১,০৬,৫৪৪ | ২,৫৫,০৬২ | ৫,০৮,২২৪ | ৩,৬৯,৯৫০ | |
মোট | ৮,১৯,৫০৮ | ১৯,৫৬,৪৭৩ | ৪৩,৫৪,০০৩ | ২২,৬৫,৩৫০ |
৮। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিঃ
জেলার নাম | বয়স্ক ভাতা | বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা | মাতৃত্বকালীন ভাতা | ভিজিডি ভাতা | মা ও শিশু ভাতা | তৃতীয় লিঙ্গ ভাতা | প্রতিবন্ধী ভাতা |
ময়মনসিংহ | ২৩২৯৩৪ | ১০৩০১৫ | ১৫৫৭৩ | ৩৫০২৪ | ২০৭৩২ | ৭৭ | ৭২৮২৫ |
নেত্রকোণা | ১২৫৪৩০ | ৬৮৭১৬ | ১৬৪০২ | ১৬৬৩৬ | ২০৮১ | ৩৪ | ৩১২১৮ |
জামালপুর | ১২৩২২৩ | ৫৮৮৩৪ | ১০৯৫৫ | ২০৮৭১ | ২১৮২ | ৭৫ | ৩২৪২০ |
শেরপুর | ৭১৪৫১ | ৩৮২১২ | ৬৭৮০ | ১১৪৮৩ | ৪৮২৬ | ১৩ | ১৮৪৫৯ |
মোট | ৫,৫৩,০৩৮ | ২,৬৮,৭৭৭ | ৪৯,৭১০ | ৮৪,০১৪ | ২৯,৮২১ | ১৯৯ | ১,৫৪,৯২২ |
৯। শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য:
ক্রমিক | প্রতিষ্ঠানের নাম | ময়মনসিংহ | জামালপুর | নেত্রকোণা | শেরপুর | মোট |
০১ | বিশ্ববিদ্যালয় | ০২ | ০১ | ০১ | – | ৪ |
০২ | মেডিকেল কলেজ | ০2 | ০১ | ০১ | – | ৪ |
০৩ | পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট | 01 | 01 | – | 01 | 3 |
০৪ | ক্যাডেট কলেজ | 01 | – | – | – | 1 |
০৫ | কলেজ | 62 | 42 | 33 | 29 | 166 |
০৬ | সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ | 02 | – | – | – | 2 |
০৭ | উচ্চ বিদ্যালয় | 573 | 355 | 261 | 181 | 1370 |
০৮ | মাদ্রাসা | 385 | 175 | 90 | 103 | 753 |
০৯ | প্রাথমিক বিদ্যালয় | ২১৪০ | ১১৬১ | ১৩১৪ | ৭৪১ | ৫৩৫৬ |
১০। উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত তথ্য:
বিভাগের নাম | চলমান প্রকল্প সংখ্যা | টাকা (কোটি) |
গণপূর্ত অধিদপ্তর | ৪২ | ২২৫৭ |
সড়ক ও জনপথ সার্কেল | ২২ | ১০৩৭ |
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর | ৩৬ | ২৮৪ |
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর | ১৪ | ২৩২০ |
পানি উন্নয়ন বোর্ড | ০৬ | ৯৯৫ |
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর | ১৯ | ১৯১ |
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর | 17 | 320 |
মোট | ১৫৬ | ৭৪০৪ কোটি |
১১। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য:
জেলার নাম | ভাতাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা |
ময়মনসিংহ | ৬৩৬৩ |
নেত্রকোণা | ৩৪১৪ |
জামালপুর | ২৫০১ |
শেরপুর | ১৬৫০ |
১২। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্থান:
ময়মনসিংহ | বড়বাজার কালিবাড়ী, ডাকবাংলো, কেওয়াটখালী রেলওয়ে কলোনী. নিউমার্কেট, কাচারিঘাট, সাহেবপাড়া |
জামালপুর | ধানুয়া কামালপুর, ব্রহ্মপুত্র নদের তীর শ্মশানঘাট, পৌর এলাকার ফৌতি গোরস্থান, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ডিগ্রি হোস্টেল, পিটিআই ওয়াপদা রেস্ট হাউস, জিল বাংলা চিনি কল, ইসলামপুরের কুলকান্দি খান পাড়া। |
নেত্রকোণা | ঘাঘটিয়া নদীর তীর, মগরা নদী সেতু, কলমাকান্দা নাজিরপুর, মোহনগঞ্জ বটতলী, নেত্রকোণা নাগরা কৃষি ফার্ম, মুক্তাপাড়া ব্রীজ, চল্লিশা রেল সেতু ইত্যাদি। |
শেরপুর | ঝিনাইগাতির আহমদ নগর, বগাডুবি ব্রীজ, জগৎপুর গ্রাম, নাকুগাঁও, নালিতাবাড়ী তন্তর, কাটাখালি ব্রীজ, সোহাগপুর, সূর্যদি গ্রাম, রামচন্দ্রকুড়া ফরেস্ট ক্যাম্প, শেরিব্রীজ ইত্যাদি। |
১৩। ময়মনসিংহ বিভাগের দর্শনীয় স্থানঃ
ময়মনসিংহঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আলেকজান্ডার ক্যাসেল, জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, কবি নজরুলের স্মৃতিময় ত্রিশালের দরিরামপুর, গোপালপুর জমিদারবাড়ি, বিপিন পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ব্রক্ষপুত্র নদ, গৌরীপুর রাজবাড়ি, কেল্লা তাজপুর ইত্যাদি।
জামালপুরঃ হয়রত শাহ জামাল (রাঃ) ও হয়রত শাহ কামাল (রাঃ) এঁর মাজার শরীফ, দয়াময়ী মন্দির, লাওচাপড়া পিকনিক স্পট, যমুনা ফার্টিলাইজার, লুইস পার্ক ইত্যাদি।
নেত্রকোণাঃ হয়রত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রাঃ) এঁর মাজার শরীফ, বিজয়পুর পাহাড়ে চিনামাটির নৈসর্গিক সৌর্ন্দয্য, টংক আন্দোলনের স্মৃতি সৌধ, রানীখং মিশন টিলাতে ক্যাথলিক গির্জা, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি, কমলা রানীর দীঘি,রাশমনি স্মৃতি সৌধ,সাত শহীদের মাজার ইত্যাদি।
শেরপুরঃ গজনী অবকাশ কেন্দ্র, মধুটিলা ইকো পার্ক, অর্কিড পর্যটন কেন্দ্র, নাকুগাঁও স্হল বন্দর ইত্যাদি।
১৪। ময়মনসিংহ বিভাগের সম্ভাবনাঃ
- শেরপুর-মেঘালয় সীমান্তকে বাণিজ্যবান্ধব করে শিল্পকারখানা স্থাপন
- রেলপথবিহীন শেরপুরে রেল যোগাযোগ স্থাপন
- নেত্রকোনায় ইকো-ট্যুরিজম, গারো পাহাড় এবং ময়মনসিংহ গাবরাখালি পর্যটন শিল্প
- জামালপুরের নকশী কাঁথা
- হালুয়াঘাটের গোবড়াকুড়া ও কড়ইতলী স্থল বন্দর সম্পূর্ণভাবে চালুকরণ
- নেত্রকোনার বিজয়পুরে চীনামাটির সর্বোত্তম ব্যবহারে সিরামিক শিল্প প্রতিষ্ঠা
- ময়মনসিংহে ইপিজেড প্রতিষ্ঠা ও শিল্প পার্ক স্থাপন
- ময়মনসিংহে সাংস্কৃতিক পল্লী স্থাপন