মরিঙ্গা পাতা খাওয়ার উপকারিতা,মরিঙ্গা পাতার গুড়া করার নিয়ম,মরিঙ্গা পাতার উপকারিতা,মরিঙ্গা ডাটার উপকারিতা,মরিঙ্গা পাতার পাউডার

বিষয়:মরিঙ্গা পাতা খাওয়ার উপকারিতা,মরিঙ্গা পাতার গুড়া করার নিয়ম,মরিঙ্গা পাতার উপকারিতা,মরিঙ্গা ডাটার উপকারিতা,মরিঙ্গা পাতার পাউডার,মরিঙ্গা গাছের উপকারিতা,মরিঙ্গা ডাটা উপকারিতা

গ্রাম বাংলার পরিচিত একটি গাছ সজিনা। সজিনা একটি সিজেনাল সবজি হলেও গাছের পাতা কিন্তু সারাবছরই পাওয়া যায়। আজকের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য আলোচনায় সজিনা পাতার অবাক করা ১৭ গুণ নিয়ে জানাব:-

সজনে এর বৈজ্ঞানিক নাম: Moringa oleiferaযা Moringaceaeপরিবারের Moringa গণের একটি বৃক্ষ জাতীয় গাছ।সজনের কাঁচা লম্বা ফল সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, পাতা খাওয়া হয় শাক হিসেবে। খরা সহিষ্ণু ও গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের একটি উদ্ভিদ।ডাল ও বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করলেও আমাদের দেশে সাধারণত ডালের মাধ্যমে বা অঙ্গজ জননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করানো হয়। গ্রীষ্মকাল বিশেষত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত ডাল রোপণের উপযুক্ত সময়।

সজিনা পাতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা আপনাকে অবাক করবে:-

১) সজিনা পাতায় কমলা লেবুর তুলনায় ৭ গুণ ভিটামিন-সি রয়েছে।
২) দুধের তুলনায় ৪ গুণ ক্যালসিয়াম এবং দুই গুণ আমিষ রয়েছে।
৩) গাজরের তুলনায় ৪ গুণ ভিটামিন-এ পাওয়া যায়।
৪) কলার চেয়ে ৩ গুণ পটাশিয়াম বিদ্যমান।

শুনে আরও অবাক হবেন যে, সজিনার পাতা পানিকে আর্সেনিক মুক্তও করে।
আসুন এই মিরাক্কেল ট্রির আরো কিছু বিস্ময়কর গুণ সম্পর্কে জেনে নেই

১) সজিনার পাতা হৃদরোগীদের জন্যে ঠিক ওষুধের মত কাজ করে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, কোলেস্টেরল কমায়, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রিত রাখে।

২) এক টেবিল চামচ শুকনা সজিনা পাতার গুঁড়া থেকে ১-২ বছর বয়সী শিশুদের অত্যবশ্যকীয় ১৪% আমিষ, ৪০% ক্যালসিয়াম ও ২৩% লৌহ ও ভিটামিন-এ সরবরাহ হয়ে থাকে।

৩) দৈনিক ৬ চামচ সজনে পাতার গুঁড়া একটি গর্ভবর্তী বা স্তন্যদানকারী মায়ের চাহিদার সবটুকু ক্যালসিয়াম ও আয়রন সরবরাহ করতে সক্ষম।

৪) সজিনা পাতা বহুমূত্র রোগের জন্যে অনেক উপকারী।

৫) এলার্জি জনিত সমস্যা হলে সজিনার পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

৬) প্রতিদিন সকালে এক চামচ শুকনা গুড়া পানিতে গুলিয়ে খেলে পেটের প্রদাহ, গ্যাস্ট্রিক মুক্তি পাওয়া যায়।

৮) গেটেবাত এর জন্যে সজিনা পাতা বেটে হাটুতে বা যে স্থানে ব্যাথা হয় লাগিয়ে রাখলে ব্যাথা মুক্তি পাওয়া যায়।
৯) সজিনার ফুলেও অনেক উপকার আছে যেমন : হজম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ট কাঠিন্য দূর করে ইত্যাদি।

১০) সজিনার পাতা পোকার কামড়ের তাৎক্ষনিকভাবে এন্টিসেপ্টিক হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে।

১১) সজিনার পাতা ক্রিমিনাশক হিসেবে কাজ করে। ক্রিমি সমস্যা করলে সজিনা পাতা গুড়ো করে অথবা অন্য খাবারের সাথে খান।

১২) সজিনা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীর কে কর্মঠ রাখে। ১৩)সজিনা হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যা আত্মরক্ষার ও ভূমিকা পালন করে।

১৪) সজিনা পাতা যকৃত ও কিডনির কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ করে কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখে।

১৫) সজিনা পাতা গর্ভবস্থায় মায়ের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করে কোনো ধরনের পার্শ প্রতিক্রিয়া ছাড়া।

১৬) শরীরের ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। তাই ব্যায়াম এর পাশাপাশি সজিনা পাতা খান।

17) গবেষকরা সজনে পাতা ও ডাটাকে বলে থাকেন নিউট্রিশন্স সুপার ফুড এবং সজনে গাছকে বলা হয় মিরাক্কেল ট্রি। এটি শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে করে পূর্বের থেকেও বেশি স্বাস্থ্যকর।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ

Leave a Comment