মাইকেল মধুসূদন দত্ত থেকে নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন সমাধান, মাইকেল মধুসূদন দত্ত জীবনী A to Z সহ সকল প্রশ্ন সমাধান,মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর জানা ও অজানা সকল তথ্য

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ সালে যশোর জেলার কেশবপুর থানার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁকে বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি ও রোমান্টিক কবি বলা হয়। তিনি বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার প্রবর্তক । তিনি প্রথম বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন করেন। ১৮৪৩ সালে তিনি খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। ২৯ জুন ১৮৭৩ সালে তিনি কলকাতার আলিপুর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
★★ রচিত নাটক
 কৃষ্ণকুমারী (বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক)
 শর্মিষ্ঠা (বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক নাটক)
 রিজিয়া (অসমাপ্ত নাটক)
 সূভদ্রা (নাট্য কাব্য)
 পদ্মাবতী (কমেডি নাটক)
 মায়াকানন (বিয়োগান্ত নাটক)
মনে রাখুন——
কিশোরি সূপমা
 কি=কৃষ্ণকুমারী (বাংলা সাহিত্যে প্রথম স্বার্থক ট্রাজেডি নাটক)
 শ=শর্মিষ্ঠা (বাংলা সাহিত্যে প্রথম স্বার্থক নাটক)
 র=রিজিয়া (অসমাপ্ত নাটক)
 সূ=সূভদ্রা (নাট্য কাব্য)
 প=পদ্মাবতী (কমেডি নাটক)
 ম=মায়াকানন (বিয়োগান্ত নাটক)
★★ রচিত কাব্য-
 * তিলোত্তমা সম্ভব (কাহিনী কাব্য)
 * মেঘনাতবধ (মহাকাব্য)
 * ব্রজঙ্গনা (রাধা ও কুষ্ণ বিষয়ক গীতিকা)
 * বীরাঙ্গনা (পত্রকাব্য)
 * চতুর্দশপদী কবিতা (সনেট সংকলন-১০৪ টি সনেট রয়েছে)
মনে রাখুন-
মাইকেল তিলোত্তমা সম্ভব কাহিনী কাব্য লিখে তিন জন মহিলা যথা মেঘনাতবধ, ব্রজঙ্গনা ও বীরাঙ্গনা নিকট চতুর্দশপদী কবিতা লিখে পাঠালেন।

প্রহসন

  • একই কি বলে সভ্যতা
  • বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ।

নোট-

অমিত্রাক্ষর ছন্দ-যে কবিতার চরণে অন্তমিল থাকে না তাকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বলে।
প্রহসন- সামাজিক যে কোন বিষয়ের অসঙ্গতি নিয়ে রচিত নাটককে প্রহসন বলে।

পত্রকাব্য-পত্র আকারে রচিত কাব্যকে পত্রকাব্য বলে।

তথ্য-

১. সনেটে বা চতুর্দশপদী কবিতায় ১৪ টি লাইন থাকে । প্রথম ৮ লাইনকে অষ্টক এবং শেষের ৬ লাইনকে ষষ্টক বলে।
২. মাইকেল প্রথম সার্থক নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত থেকে বিসিএস ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আসা প্রশ্নাবলি। (নমুনা প্রশ্ন)
১. বাংলা কাব্য সাহিত্যে আধুনিকতার জনক কে– মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
২. বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহাকবি– মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
৩. মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা কোনটি—বীরাঙ্গনা
৪. মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটক কোনটি—কৃষ্ণকুমারী।
৫. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন—সাগরদাঁড়ি গ্রামে।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী –

০১ ) বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক কোনটি ? ➫ শর্মিষ্ঠা ।

০২ ) বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক কমেডি কোনটি ? ➫ পদ্মাবতী ।

০৩ ) বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি / ঐতিহাসিক নাটক কোনটি ? ➫ কৃষ্ণকুমারী ।

০৪ ) মাইকেল মধুসূদন দত্তের শ্রেষ্ঠ নাটক কোনটি ? ➫ কৃষ্ণকুমারী ।

০৫ ) বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য কোনটি ? ➫ মেঘনাদবধ কাব্য ।

০৬ ) বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য কোনটি ? ➫ মেঘনাদবধ কাব্য ।

০৭ ) মেঘনাদবধ কাব্যটি কোন ছন্দে রচিত ? ➫ অমিত্রাক্ষর ছন্দে ।

০৮ ) বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য কোনটি ? ➫ বীরাঙ্গনা ।

০৯ ) মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি ? ➫ The Captive Lady .

১০ ) বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রহসন কোনটি ? ➫ বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো ।

১১ ) বাংলা ভাষায় সনেট প্রবর্তন করেন কে ? ➫ মাইকেল মদুসূধন দত্ত ।

১২ ) অমিত্রাক্ষর ছন্দের আবিষ্কারক কে ? ➫ মাইকেল মদুসূধন দত্ত ।

১৩ ) ‘ বীরাঙ্গনা ’ মাইকেল মদুসূধন দত্তের কোন ধরনের কাব্য ? ➫ পত্রকাব্য ।

১৪ ) ‘ শর্মিষ্ঠা ’ কি ? ➫ মাইকেল মদুসূধন দত্তের নাটক ।

১৫ ) ‘ চতুর্দশপদী কবিতাবলী ’ কার রচনা ? ➫ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

১৬ ) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি কে ? ➫ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

১৭ ) ‘ মেঘনাথবধ কাব্য ’ কার রচনা ? ➫ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

১৮ ) ‘ দত্তকুলোদ্ভব ’ কবি কে ? ➫ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

১৯ ) বীরঙ্গনা পত্রকাব্যে পত্রসংখ্যা কত ? ➫ ১১ টি ।

২০ ) মেঘনাথবধ কাব্য কত সালে প্রকাশিত হয় ? ➫ ১৮৬১ সালে ।

২১ ) অমিত্রাক্ষর ছন্দে মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্য কোনটি ? ➫ তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য

২২ ) ‘ পদ্মাবতী ’ নাটকটি কে রচনা করেন ? ➫ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

২৩ ) ‘ কৃষ্ণকুমারী ’ কী ধরনের গ্রন্থ ? ➫ নাটক ।

২৪ ) ‘ Blank Verse ’ অর্থ কী ? ➫ অমিত্রাক্ষর ।

২৫ ) ‘ মেঘনাথবধ ’ কাব্যে স্বর্গ সংখ্যা কয়টি ? ➫ ৯ টি ।

বাংলা সাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্ত -এর অবদান বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর সাহিত্যসৃষ্টির শিল্পমূল্য শাশ্বত। শুধু সমকাল নয়, পরবর্তী বাংলা সাহিত্যেও তাঁর প্রভাব অপরিসীম। নব্য বাংলা সাহিত্য তাঁর প্রভাবপুষ্ট। কাব্যসাহিত্য, নাট্যসাহিত্য তথা ছন্দের ব্যবহারে তিনি বাংলা সাহিত্যে নতুন পথ দেখিয়েছেন। আমাদের এই আলোচনায় মধু কবির জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

জন্ম ও বংশকথা

কবি মধুসূদনের জন্ম ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে জানুয়ারি বর্তমান বাংলাদেশের যশোহর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে। পিতার নাম রাজনারায়ণ দত্ত। তিনি ছিলেন সদর দেওয়ানি আদালতের প্রতিষ্ঠিত উকিল। তাছাড়া সেসময় তিনি ফার্সি ভাষায় বিশেষ দক্ষতাও অর্জন করেছিলেন। মধুসূদনের সাত বছর বয়সে রাজনারায়ণ কলকাতার খিদিরপুরে পরিবারবর্গ নিয়ে চলে আসেন। মাতা জাহ্নবী দেবীর কাছে গ্রামে থাকাকালীন মধুসূদনের শিক্ষারম্ভ হয়। কবির চেতনায় রামায়ণ ও মহাভারতের প্রতি আকর্ষণ সম্ভবত এই সময় থেকেই।

শিক্ষা ও সাহিত্যানুরাগ

কলকাতায় আসার পর কিছুদিন কবি খিদিরপুরে স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি হিন্দু কলেজে ভরতি হন। পরের বছর ৭ই মার্চ ঐ কলেজের পুরষ্কার বিতরণী সভায় ইংরেজি ‘নাট্যবিষয়ক প্রস্তাব’ আবৃতি করেন। সেসময় হিন্দু কলেজ শিক্ষাগত দিক থেকে বিশেষ উৎকর্ষ লাভ করেছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যোগীন্দ্রনাথ বসুর কথা। তিনি ‘মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনচরিতে’ লিখছেন –

        ‘মধুসূদন যে সময়ে হিন্দু কলেজে প্রবেশ করিলেন, তখন ইহার পূর্ণ যৌবনাবস্থা। ছাত্রদিগের ও শিক্ষকগণের গৌরবে হিন্দু কলেজ তখন বঙ্গদেশের বিদ্যালয়সমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছিল।’

এমনই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মধুসূদন ছিলেন উজ্জ্বল এক জ্যোতিষ্ক। এখানেই কবি তাঁর সহপাঠী হিসেবে পেয়েছেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রাজনারায়ণ বসু, গৌরদাস বসাক, রাজেন্দ্রলাল মিত্র প্রমুখদের। হিন্দু কলেজের কৃতি ছাত্র মধুসূদন সম্পর্কে গৌরদাস বলেছেন – ‘Modhu was a genius.’ আর ভোলানাথ চন্দ্র লিখেছেন – ‘Modhu was the Jupiter.’ এই হিন্দু কলেজে থাকাকালীনই মধুসূদন শুধু ইংরেজিতে কবিতা লিখতেনই তা নয়, তা ছাপার হরফে প্রকাশিতও হত। এই সময়ে তাঁর লেখা কবিতা ‘Bengal Spectator’, ‘Calcutta Literary Gazette’, জ্ঞানান্বেষণ নানা পত্রিকায় প্রকাশ পেত।

বিলাতযাত্রার ভাবনা ও খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ

কবির জীবনের প্রথমপাদে প্রকাশিত কবিতা সম্পর্কে তাঁর নিজের বিশেষ গর্ব ছিল। ভবিষ্যতে তিনি যে বিখ্যাত কবি হবেন এমন আশার কথা তাঁর অনেক চিঠিতেই পাওয়া যায়। আর বিলাত যেতে পারলেই যে তাঁর বিখ্যাত কবি হয়ে ওঠা যাবে সে বিষয়ে একটা দৃঢ় বিশ্বাস কবি মনে মনে পোষণ করতেন। গৌরদাস বসাককে একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন –

        ‘how should I like to see you writing my life if I happen to be a great poet –which I am almost sure I shall be if I can go to England.’

মধুসূদন দত্তের নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ শব্দটি যুক্ত হয় ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ই ফেব্রুয়ারি। তার আগে হঠাৎই তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে যান। শোনা যেতে লাগল মধুসূদন নাকি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন। অবশেষে উক্ত দিনটিতে ওল্ড মিশন চার্চে আর্চডিকন ডিয়াল্ট্রি তাঁকে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করেন। বিভিন্ন কারণের মধ্যে কবির বিলাত যাবার নেশা এই খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণের একটি অন্যতম কারণ ছিল বলা যায়।

পত্রিকায় মধুসূদন

খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণের পর ‘মাইকেল’কে হিন্দু কলেজ ছাড়তে হয়। এইস সময় তাঁর পিতাও কোনো টাকা পাঠাতেন না। এরপর ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি শ্রীরামপুরে বিশপস্‌ কলেজে ভরতি হন। এখানে তিনি গ্রীক, লাতিন সহ সংস্কৃত ভাষাশিক্ষার সুযোগ পান। মধুসূদন যে বহুভাষা বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন তার বীজ বপন হয় এই বিশপস্‌ কলেজে। এর বেশ কিছুদিন পর কবি ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ চলে যান মাদ্রাজে। সেখানে মাদ্রাজ অ্যাসাইলাম’ স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এইভাবে সাত বছর তিনি মাদ্রাজে কাটান।

মাদ্রাজে থাকাকালীন তিনি ‘Madras Circulator’, ‘Spectator’, প্রভৃতি পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করেন। এছাড়াও ‘Hindu Chronicle’ নামে একটি ইংরেজি পত্রিকারও সম্পাদক ছিলেন মধুসূদন। এই সমস্ত পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখা গুণগ্রাহীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ‘Timothy Penpoem’ ছদ্মনামেও তিনি লেখেন। সাময়িক পত্রের পৃষ্ঠায় কবিতা ছাড়াও তিনি নানা প্রবন্ধও লিখতে থাকলেন। এই পত্রিকাকে কেন্দ্র করেই প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম গ্রন্থ – Visions of the Past The Captive Ladie’. এরপরেও তিনি ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ Hindu Patriot পত্রিকার সম্পাদনা করেন।

দাম্পত্য জীবন

মাদ্রাজে থাকালীন মধুসূদন অ্যাসাইলাম স্কুলের ছাত্রী রেবেকাকে বিবাহ করেন। কিন্তু এই বৈবাহিক জীবন বোধ হয় তাঁর সুখের ছিল না। কবি এরপর যার সঙ্গ পেতে চাইলেন তার নাম হেনরিয়েটো। পিতার মৃত্যুর পর ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি হেনরিয়েটোকে নিয়ে কলকাতায় আসেন।

ইউরোপ-বাস ও দুর্ভোগ

মধুসূদন ইংল্যান্ড পৌঁছন ১৮৬২ সাল নাগাদ। এর পরের বছর তিনি সপরিবারে ফ্রান্স যান। প্রথমে প্যারিস ও পরে ভার্সাই শহরে তিনি বসবাস করতে শুরু করেন। কবির আর্থিক দুর্দশা শোচনীয় হয়ে ওঠে এই সময় থেকেই। নিজের আর্থিক দুর্দশার কথা জানিয়ে তিনি বিদ্যাসাগরকে চিঠিও লেখেন। বিদ্যাসাগর তাঁকে দেড় হাজার টাকা পাঠিয়েও দিলেন। বস্তুত বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টাতেই কবি তাঁর চরম বিপদ থেকে মুক্তি পেলেন। এই ইউরোপে থাকাকালীন কবি চতুর্দশপদী কবিতা রচনায় সচেষ্ট হন। এরপর ১৮৬৫ সালের শেষদিকে কবি চলে যান ইংল্যান্ডে। সেখান থেকে ১৮৬৭ সাল নাগাদ তিনি ভারত ফিরে আসার উদ্যোগ নেন। এই বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ তিনি কলকাতায় ফেরেন। পরে ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পত্নী হেনরিয়েটো সন্তান সহ কলকাতায় আসেন।

শেষ জীবন

কবির শেষ জীবন কেটেছে অর্থাভাবে, রোগযন্ত্রণায়। শুধু তিনি নন, পত্নী হেনরিয়েটোও ছিলেন রোগশয্যায়। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন হেনরিয়েটো পরলোক গমন করেন। এই ঘটনার মাত্র দুইদিন পরেই কবিও পরলোক যাত্রা করেন ২৯ জুন।

সাহিত্যসৃষ্টি

ক. নাটক ও প্রহসন তালিকা

  1. শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯)
  2. একেই কি বলে সভ্যতা ? (১৮৬০)
  3. বুরো শালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০)
  4. পদ্মাবতী (১৮৬০)
  5. কৃষ্ণকুমারী (১৮৬১)
  6. মায়াকানন (১৮৭৪)

খ. কাব্য তালিকা

  1. তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০)
  2. মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)
  3. ব্রজাঙ্গনা কাব্য (১৮৬১)
  4. বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২)
  5. চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৬)
  6. হেক্টর বধ (১৮৭১)

মাইকেল মধুসূদন দত্ত জীবনী – Michael Madhusudan Dutt Biography in Bengali : ঊনবিংশ শতাব্দীর নবজাগরণের যুগে বঙ্গ সাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্তের আবির্ভাব হয়েছিল নূতন জীবনমন্ত্ৰ তেজ ও বীর্যের পূর্ণবেগ নিয়ে । মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন কাহিনী তার বর্ণময় সাহিত্যের মতই ছিল বহু বিচিত্র ও বিস্ময়কর । 

মাইকেল মধুসূদন দত্ত কে ছিলেন?

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ও নাট্যকার এবং প্রহসন রচয়িতা। মধুসূদন দত্তকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও তিনি পরিচিত তাই তাকে বঙ্গ ভারতীর দামাল পুত্র মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলা হয়।

বঙ্গ ভারতীর দামাল পুত্র মাইকেল মধুসূদন দত্তের সংক্ষিপ্ত জীবনী (Michael Madhusudan Dutt Short Biography in Bangali):

নাম (Name)মাইকেল মধুসূদন দত্ত (Michael Madhusudan Dutt)
জন্ম (Birthday)২৫ শে জানুয়ারি ১৮২৪ (25 January 1824)
জন্মস্থান (BirthPlace)যশােহর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে
ছদ্দনাম (Pseudonym)টিমোথি পেনপোয়েম (Timothy Penpoem)
অভিভাবক (Guardian) / পিতা ও মাতা (Father and Mother)রাজনারায়ণ দত্ত (বাবা)জাহ্নবীদেবী (মা)Rajnarayan Dutt (Father), Jahnavi Devi (Mother)
দাম্পত্যসঙ্গী (Spouse)হেনরিতা সোফিয়া হোয়াইট 
পেশা (Career)কবি, নাট্যকার
সাহিত্য আন্দোলন (Literary movement)বাংলার নবজাগরণ (Bengal Renaissance)
মৃত্যু (Death)২৯ শে জুন ১৮৭৩ (29th June 1873)
মৃত্যুস্থানআলিপুর , কলকাতার এক হাসপাতালে

মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম (Michael Madhusudan Dutt’s Birthday):

 যশােহর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে ২৫ শে জানুয়ারি ১৮২৪ সালে মধুসূদনের জন্ম হয় । 

মাইকেল মধুসূদন দত্তের বংশপরিচয় :

মাইকেল মধুসূদনের বাবা রাজনারায়ণ দত্ত একজন অবস্থাপন্ন উকিল ছিলেন । মধুসূদনের মা জাহ্নবীদেবী ছিলেন শিক্ষিতা মহিলা । প্রায় সাত বছর বয়স পর্যন্ত মধুসূদন মায়ের কাছেই লেখাপড়া করেন ।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের শিক্ষাজীবন :

 মাইকেল মধুসূদন দত্ত সাত বছর বয়সে কলকাতায় আসেন । এখানে এসে প্রথম দুবছর তিনি খিদিরপুর স্কুলে পড়েন । ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন । মধুসূদন খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন । স্কুলের পরীক্ষায় প্রতি বছর তিনি বৃত্তি পেতেন ।

 এই কলেজেই তিনি সহপাঠী হিসেবে পেয়েছিলেন ভূদেব মুখােপাধ্যায় , রাজনারায়ণ বসু , গৌরদাস বসাক , ভােলানাথ চন্দ্র প্রমুখদের । পরবর্তীকালে তারা সকলেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে খ্যাতিমান হয়েছিলেন ।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ব্যক্তিগত জীবন :

 মধুসূদনের ব্যক্তিগত চরিত্র গঠনে হিন্দু কলেজের শিক্ষাপর্বের প্রভাব ছিল অত্যন্ত গভীর । একদিকে তিনি যেমন লাভ করেছিলেন মানব – মন্ত্রে বিশ্বাস ও গভীর ইংরাজি সাহিত্য – প্রীতি ; তেমনি তার মনে সঞ্চারিত হয়েছিল দেশীয় আচার ও ভাবনার প্রতি অশ্রদ্ধা । কলেজে পড়ার সময় একটা প্রবন্ধ প্রতিযােগিতায় মধুসূদন স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন । সেই সময় থেকেই মধুসূদন ইংরেজিতে কবিতা লিখতেন । সে সময়কার ইংরেজি পত্রিকায় এসব কবিতা প্রকাশিত হত । ছেলেবেলায় মধুসূদন মায়ের মুখে রামায়ণ পাঠ শুনতেন । তখন থেকেই কবিতার সুর ও ছন্দের প্রতি মধুসূদনের বড় আকর্ষণ ছিল ।

 মধুসূদন যে সময়ে কলেজে পড়তেন , সে সময়টা আমাদের দেশে ইংরেজি শিক্ষার যুগ । এ যুগের অনেক ইংরেজি শিক্ষিত যুবক মনে করতেন ইংরেজদের ভাষা , ইংরেজদের আচার আচরণ , ইংরেজদের ধর্মই শ্রেষ্ঠ । মধুসূদনও তাই ইংরেজিতেই কবিতা লিখতেন , মনেপ্রাণে ইংরেজ হতে চাইতেন । ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে ৯ ফেব্রুয়ারি ঊনিশ বছর বয়সে মধুসূদন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন । তখন তার নাম হয় মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের বিবাহ : 

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ফরাসি মহিলা হেনরিয়েটাকে বিয়ে করেছিলেন এবং অনেক ইংরেজি কবিতা ও কাব্য লিখেছিলেন । Timothy Penpoem ছদ্মনামে সনেট গীতি কবিতা ও খন্ডকাব্য এই সময় তিনি লিখেছিলেন । The Visions of the past , The Cap tive Lady নামক দুটি দীর্ঘ কবিতা একসঙ্গে পুস্তকাকারে মাদ্রাজ থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে । কিন্তু সুনাম অর্জন করতে পারেননি । অবশেষে মধুসূদন কলকাতায় ফিরে আসেন । কলকাতায় এসে তিনি বাংলায় অনেক নাটক , কবিতা ও কাব্য লেখেন । এগুলির মধ্যে মেঘনাদবধ কাব্য শ্রেষ্ঠ।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ভাষাগত দক্ষতা:

মাইকেল মধুসূদন দত্ত একাধারে ছিলেন বহু ভাষাবিদ। শিশু কালে গ্রামের টোল থেকে তার ফারসি ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে ভাষা শিক্ষার শুরু হয়। তিনি ইংরেজি ছাড়াও ল্যাটিন, গ্রিক, ফারসি, হিব্রু, তেলেগু, তামিল ইত্যাদি ভাষায় অনায়াসে কথা বলতে পারতেন। তিনি এমনকি ফারসি ও ইতালীয় ভাষায় কবিতাও লিখতে পারতেন। মাতৃভাষা ছাড়া তিনি আরো বারোটি ভাষা জানতেন।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাদবধ কাব্য :

মধুসূদন দত্তের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি হচ্ছে — অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণ উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্যটি। চরিত্র-চিত্র হিসেবে রয়েছেন : রাবণ, ইন্দ্রজিৎ, সীতা, সরমা, প্রমীলা প্রমুখ। তিনি তার কাব্যকে অষ্টাধিক সর্গে বিভক্ত করেছেন এবং সংস্কৃত অলঙ্কারশাস্ত্র অনুযায়ী এতে নগর, বন, উপবন, শৈল, সমুদ্র, প্রভাত, সন্ধ্যা, যুদ্ধ, মন্ত্রণা প্রভৃতির সমাবেশও করেছেন। কিন্তু সর্গান্তে তিনি নতুন ছন্দ ব্যবহার করেন নি, সর্গশেষে পরবর্তী সর্গকথা আভাসিত করেন নি। যদিও তিনি বলেছিলেন,

“গাইব মা বীররসে ভাসি মহাগীত”

তবুও কাব্যে করুণ রসেরই জয় হয়েছে। মেঘনাদবধ কাব্য রামায়ণ-আহৃত কাহিনীর পুণরাবৃত্তি নয়—এটি নবজাগ্রত বাঙালির দৃষ্টি নিয়তি-লাঞ্ছিত নবমানবতাবোধের সকরুণ মহাকাব্যের রূপে অপূর্ব গীতি-কাব্য। মেঘনাদবধ কাব্য এ দিক দিয়ে বাংলা কাব্য সাহিত্যে একক সৃষ্টি।

 বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের সৃষ্টিও আকস্মিক ঘটনা । রাজা যতীন্দ্ৰমাহন ঠাকুর বলেছিলেন ফরাসী ভাষার মতাে উন্নত ভাষায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ রচনা করা হয়নি । সুতরাং বাংলাভাষার মতাে সরলভাষায় অমিত্রাক্ষরের গাম্ভীর্য প্রকাশ করা সম্ভব নয় । প্রসঙ্গত গুপ্ত কবির ব্যঙ্গ রচনার কথাও তিনি উল্লেখ করেছিলেন 

“ কবিতা কমলা কলা পাকা যেন কাঁদি

 ইচ্ছা হয় যত পাই পেট ভরে খাই ।”

মধুসূদন জবাব দিয়েছিলেন এটাই একমাত্র কারণ নয় যেহেতু বৃদ্ধ ঈশ্বরগুপ্ত অমিত্রাক্ষর রচনা করতে পারেন নি বলে আর কেউ পারবে না ।

 কবি তার বিশ্বাস , আত্মপ্রত্যয় , অনমনীয় দৃঢ়তা আর অমিত্রাক্ষর ছন্দের গূঢ়তত্ত্বের উপলব্ধির বলে পুরােপুরি অমিত্রাক্ষর ছন্দে লিখলেন  “ তিলােত্তমাসম্ভব কাব্য” । বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এ এক যুগান্তকারী ঘটনা । তিলােত্তমা সম্ভব ’ – এ যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের পরীক্ষা তার পরিণতি লাভ ঘটলাে মধু কবির অমর কাব্য ‘ মেঘনাদ বধ কাব্যে ’ । বাংলা শব্দভান্ডার থেকে জানা অজানা শব্দ চয়ন করে তিনি এত সুন্দরভাবে এ – কাব্যে ব্যবহার করলেন যে করুণ ও বীররসের গঙ্গা – যমুনার সঙ্গম -তীর্থস্বরূপ হয়ে উঠলাে এ কাব্য । এই কাব্যে কবি রাক্ষসবীর রাবণ ও মেঘনাদকে রাক্ষস রূপে আঁকেন নি । সকলকেই মানুষরূপে , ভাগ্যবিড়ম্বিত রূপে এঁকেছেন । তারা আমাদের সহানুভূতি পেয়েছে । উনবিংশ শতাব্দীর নব – রামায়ণ সৃষ্টি হয়েছে ।

 এরপর কবি সৃষ্টি করলেন ব্রজাঙ্গনাকাব্য ’ , ‘ বীরঙ্গনা কাব্য ’ এবং ‘ চতুদর্শ পদী কবিতাবলী ’ । কিন্তু এত সৃষ্টি করেও কবি আশানুরূপ খ্যাতি বা যশ লাভ করতে পারেন নি । পুস্তক বিক্রয়ের আয় , আদালতের চাকরী ও পৈতৃক সম্পত্তি অমিতব্যয়ী মধুসূদনের অর্থাকাঙ্খ মিটাতে পারে নি । ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি খুব শান্তি পান নি । এই ব্যর্থতারই করুণ কাহিনী তারই লেখা ‘ আত্মবিলাপ কবিতায় বাণীরূপ লাভ করেছে ।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যকর্ম :

মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্য –   

তিলোত্তমা সম্ভব, ১৮৬৩

দ্য ক্যাপটিভ লেডি, ১৮৪৯

ব্রজাঙ্গনা কাব্য, ১৮৬১

মাইকেল মধুসূদন দত্তের মহাকাব্য –   

মেঘনাদবধ কাব্য, ১৮৬১

মাইকেল মধুসূদন দত্তের সনেট –   

চতুর্দশপদী কবিতাবলী, ১৮৬৫

মাইকেল মধুসূদন দত্তের পত্রকাব্য –   

বীরাঙ্গনা, ১৮৬২

মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটক –   

শর্মিষ্ঠা ১৮৫৯ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক।

কৃষ্ণকুমারী ১৮৬১

পদ্মাবতী ১৮৬০

মায়াকানন

মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন –   

বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ ১৮৬০

একেই কি বলে সভ্যতা ১৮৬০

মাইকেল মধুসূদন দত্তের পরলোক গমন:

১৮৭৩ খ্রি : ২৯ শে জুন কবির জীবন – সঙ্গিনী হেনরিয়েটা মারা গেলেন । হেনরিয়েটার মৃত্যুতে কবি ভীষণভাবে ভেঙ্গে পড়েন । তিন দিন পরে তিনিও হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন । সে দিনটি হল ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ শে জুন রবিবার । বঙ্গ ভারতীর দামাল পুত্র কবি মধুসূদন ভিক্ষুকের মতাে নিঃস্ব অবস্থায় আলিপুর , কলকাতার এক হাসপাতালে পরলােক গমন করেন । এ প্রসঙ্গে কবিবন্ধু নবীন সেনের বিলাপ স্মরণীয়-

‘ অযত্নে মা অনাদরে 

বঙ্গ কবিকুলেশ্বরে , 

ভিক্ষুকের বেশে মাতঃ দিয়াছ বিদায় । 

কবির দেহসমাধিস্থ করা হল কলকাতার লােয়ার সার্কুলার রােডের সমাধিক্ষেত্রে । তার সমাধিক্ষেত্রে কবির নিজেরই লেখা একটি কবিতা স্মৃতিফলকে খােদিত করে দেওয়া হল ।

 “ দাঁড়াও , পথিকবর ! জন্ম যদি তব

 বঙ্গে ! তিষ্ঠ ক্ষণকাল ! এ সমাধিস্থলে 

( জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি

 বিরাম ) মহীর পদে মহানিদ্রাবৃত

 দত্ত কুলােদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদন !

 যশােরে সাগরদাঁড়ি কপােতাক্ষ তীরে

 জন্মভূমি , জন্মদাতা দত্ত মহামতি

 রাজনারায়ণ নামে , জননী জাহ্নবী !

 কবি মধুসূদন আর এ পৃথিবীতে নেই । কিন্তু তিনি যে নবযুগের সৃষ্টি করেছিলেন , অরুণােদয়ের যে রক্তিম আভা নিয়ে বাংলা সাহিত্যাকাশে উদিত হয়েছিলেন , তা তাঁর কাব্যের মাধ্যমে আজও অম্লান হয়ে রয়েছে । বাঙালীর হৃদয়মন্দিরে কবি মধুসূদনের নাম চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে ।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত – Michael Madhusudan Dutt FAQ :

  1. মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম কবে ও কোথায় হয়?

Ans: যশােহর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে ২৫ শে জানুয়ারি ১৮২৪ সালে মধুসূদনের জন্ম হয় । 

  1. মাইকেল মধুসূদন দত্তের ছদ্মনাম কি?

Ans: টিমোথি পেনপোয়েম।

  1. মাইকেল মধুসূদন দত্তের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি কি?

Ans: মধুসূদন দত্তের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি হচ্ছে — অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণ উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্যটি।

  1. মাইকেল মধুসূদনের বাবার নাম কি ও তিনি কি ছিলেন?

Ans: মাইকেল মধুসূদনের বাবার নাম  রাজনারায়ণ দত্ত ।তিনিএকজন অবস্থাপন্ন উকিল ছিলেন । 

  1. মাইকেল মধুসূদনের মার নাম কি ও তিনি কি ছিলেন?

Ans: মধুসূদনের মা জাহ্নবীদেবী। তিনি ছিলেন শিক্ষিতা মহিলা ।

  1. মধুসূদন এর নাম কিভাবে মাইকেল মধুসূদন দত্ত হয়?

Ans: ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে ৯ ফেব্রুয়ারি ঊনিশ বছর বয়সে মধুসূদন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন । তখন তার নাম হয় মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

  1. মাইকেল মধুসূদন দত্তএর স্ত্রী নাম কি ছিল?

Ans: হেনরিয়েটা। তিনি একজন ফরাসি মহিলা ছিলেন।

  1. মেঘনাদবধ কাব্য চরিত্রে কে কে আছে?

Ans: চরিত্র-চিত্র হিসেবে রয়েছেন : রাবণ, ইন্দ্রজিৎ, সীতা, সরমা, প্রমীলা প্রমুখ।

  1. মেঘনাদবধ  কাব্যকে তিনি কটি সর্গে বিভক্ত করেছেন?

Ans: অষ্টাধিক সর্গে বিভক্ত করেছেন।

  1. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটকের নাম কি?

Ans: বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটকের নাম শর্মিষ্ঠা।

যা যা পড়বেন

১ম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রশ্ন ও সমাধান লিংক

Professor Primary Assistant Teacher book লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

ইংরেজি

ইংরেজি ব্যাকরণ

প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
Parts of Speech প্রশ্ন ও উত্তর লিংক Abbreviations or
Elaboration Terms
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Articleপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক One word Substitutionsপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Appropriate Preposition প্রশ্ন ও উত্তর লিংক English literatureপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Prepositionপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক Sentence Correctionপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Right forms of verbপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক Translation /Vocabularyপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Voice প্রশ্ন ও উত্তর লিংক Spellingপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Narrationপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক Synonym-Antonymপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Phrase and Idioms প্রশ্ন ও উত্তর লিংক Word Meaningপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
prefix and suffixপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক প্রায় ৩০০টি প্রশ্ন উত্তরসহ প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

বাংলা

বিগত ৩০ বছরে বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ নিয়োগ পরীক্ষায় আষার সকল MCQ নৈবিত্তিক প্রশ্ন সমাধান এক সাথে, নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা থেকে আসা প্রশ্নগুলোর সমাধান প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

বাংলা ব্যাকরণ

প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
সন্ধিপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক শেখ হাসিনাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বিপরীত শব্দপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
সমার্থক শব্দপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক জাতীর ৪ নেতাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
শুদ্ধ বানানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বিভিন্ন চুক্তি
বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
এককথায় প্রকাশপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক মুক্তিযুদ্ধ সেক্টরপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
তৎসম অর্ধতৎসম তদ্ভব
বিদেশী ও দেশি শব্দ
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক রােহিঙ্গা সমস্যাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
উপসর্গপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বাংলাদেশের জনপদপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
সমাসপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক সংবিধানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বাগধারা, প্রবাদ ও প্রবচনপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক মুক্তিযুদ্ধপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
কারক-বিভক্তিপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বাংলাদেশের ভৌগলিকপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
যুক্ত বর্ণেরপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক কবি সাহিত্যিকের রচনা বা জন্ম মৃত্যুপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
ধ্বনি, বর্ণপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক উপন্যাস/রচনাসমগ্রপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বাক্য (সরল, জটিল, যৌগিক) প্রশ্ন ও উত্তর লিংক ভাষা আন্দোলপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
পদ নির্ণয়প্রশ্ন ও উত্তর লিংক বিখ্যাত স্থানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
দ্বিরুক্ত শব্দ/ দ্বন্দ্ব প্রশ্ন ও উত্তর লিংকস্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রশ্ন ও উত্তর লিংকবাংলাদেশের কৃষ্টি
ও সংস্কৃতি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

গণিত

প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
দশমিকের (যোগ, বিয়োগ, গুণ*, ভাগ) প্রশ্ন ও উত্তর লিংক বীজগাণিতিক মান নির্ণয় প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
শতকরা, লাভ-ক্ষতি, মুনাফাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক উৎপাদক নির্ণয়, গড়, মধ্যক, প্রচুরক নির্ণয় প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
ল.সা.গু, গ.সা.গু প্রশ্ন ও উত্তর লিংক ত্রিভুজক্ষেত্র, বর্গক্ষেত্র প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
ঐকিক নিয়ম (কাজ, খাদ্য, সৈন্য)প্রশ্ন ও উত্তর লিংক আয়তক্ষেত্রের বেসিক
সূত্রের অংকসমূহ, সরলরেখা
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
অনুপাত:সমানুপাত প্রশ্ন ও উত্তর লিংক গাছের উচ্চতা/
মিনারের উচ্চতা
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
সংখ্যা পদ্ধতি প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
মইয়ের দৈর্ঘ্য/সূর্যের উন্নতি
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বিগত সালে প্রশ্ন প্রশ্ন ও উত্তর লিংক পরিমাপ ও পরিমান প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

কম্পিউটার

প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
তথ্য ও প্রযুক্তি লিখিত প্রশ্ন উত্তরপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বাংলাদেশের তথ্য

যোগাযোগ প্রযুক্তি
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
কম্পিউটার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক সেটেলাইট-১প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
LAN, WAN
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক কম্পিউটার সংক্ষিপ্ত
শব্দের পূর্ণরুপ
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
গুগলপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট স্পীডপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
৩জি,৪জি, ৫ জি প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

General Knowledge (GK) সাধারণ জ্ঞান বিজ্ঞান 

প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
ইতিহাস , সভ্যতা ও সংস্কৃতি প্রশ্ন ও উত্তর লিংক পুরস্কার ও সম্মাননাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
গভর্নর জেনারেল ও
ভাইসরয়দের তালিকা
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক খেলাধুলাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বাংলার শাসন আমল প্রশ্ন ও উত্তর লিংক জিন-কোষপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ুপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বিভিন্ন রোগব্যাধিপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বিখ্যাত উক্তিপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক পরিমাপক যন্ত্রপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
সংক্ষিপ্ত রূপ বা বিস্তারিত শর্তাবলীপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক রসায়নপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
আন্তর্জাতিক সংস্থার সংক্ষিপ্ত নামপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক ভূগোলপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
আন্তর্জাতিক দিবস ও জাতীয় দিবসপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক পদার্থ বিজ্ঞানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বিভিন্ন দেশের আয়তন ও রাজধানী প্রশ্ন ও উত্তর লিংক জীববিজ্ঞানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নামপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক গাণিতিক পরিমাপের এককপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বাংলাদেশের আলােচিত ঘটনাবলীপ্রশ্ন ও উত্তর লিংকসাধারণ বিজ্ঞানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
সাম্প্রতিক সোস্যাল মিডিয়াপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান

গণিত লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসমাধান / উত্তর লিংক আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
সমাধান / উত্তর লিংক
বাংলাদেশ লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান সমাধান / উত্তর লিংক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসমাধান / উত্তর লিংক
ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান সমাধান / উত্তর লিংক মানসিক দক্ষতা লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান সমাধান / উত্তর লিংক
বাংলা ১ম ও ২য় পত্র লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসমাধান / উত্তর লিংক
Paragraph & Composition উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ, রচনা উত্তর লিংক
আবেদন পত্র/ Application form উত্তর লিংক প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

চাকুরি

    Leave a Comment