মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 geography and environment solution (3rd week) 2022

শ্রেণি: ৯ম/2022 বিষয়: ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 01 বিষয় কোডঃ 110
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

সকল প্রকার সাজেশন: পিএসসি,জেএসসি,এসএসসি, এইচএসসি, অনাস , ডিগ্রী


এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ মহাবিশ্বে আমাদের পৃথিবী একটি বিস্ময়।

শিখনফলঃ

  • মহাবিশ্বের জ্যোতিষ্কমন্ডলে সৌরজগৎ ,পৃথিবী এ অন্যান্য গ্রহউগ্রহের অবস্থান এবং বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে পারবে।
  • পৃথিবীর আকার আকৃতি ও উপগ্রহ সম্বন্ধে বর্ণনা করতে পারবে
  • আমাদের বসবাসের একমাত্র পৃথিবী সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ প্রকাশ করবে

নির্দেশনাঃ

  1. মহাবিশ্বের জ্যোতিষ্কমন্ডলীর বর্ণনা লিখতে হবে।
  2. সৌরজগতের চিসহ বর্ণনা লিখতে হবে।
  3. কোন কোন দিক থেকে মহাবিশ্বের বিস্ময় হিসেবে পৃথিবীকে চিহ্নিত করা হয়েছে তার কারন ব্যাখ্যা করতে হবে।

  • মহাবিশ্বের জ্যোতিষ্কমন্ডলীর বর্ণনা লিখতে হবে।

উত্তর:

AVvXsEj1bNjWWLRe y9xGtqAoOyzdQc8NYI1Yva96UcTl9pebKZUrlevqpAka9kI K9 eJ8oMGgXcMNtfPLCXrkm nORqEVLt0HjDkMkALAEQjdItji6 vS5 dm3UPh TxHeNAxrXbPxs n6BqEEHpH0mZVAHBrBxFaMjTRy8z0fLb2UciZD5u6t9eCHePb Gw

মহাশূন্যে অবস্থিত বস্তুসমূহকেই জ্যোতিষ্ক বা স্বর্গীয় বস্তু বলা হয়ে থাকে। পৃথিবী ছাড়া অন্য সব বস্তুই এর অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে পৃথিবী মহাবিশ্বের যাবতীয় বস্তুকে সহ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু বলা হয়।

আধুনিক বিজ্ঞান (জ্যোতির্বিজ্ঞান) স্বর্গীয় বস্তুসমূহের বৈশিষ্ট্য ও অস্তিত্ব সম্বন্ধে বিস্তর তথ্য সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছে।

এই বস্তুগুলাের আবিষ্কার প্রতিনিয়তই চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। এমনকি অনেক বস্তু রয়েছে যাদের আদৌ কোন অস্তিত্ব নেই বলে পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে। প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে। আর এভাবেই মানুষ তার সমগ্র মহাবিশ্বকে তার বিচরণস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হবে।

  • সৌরজগতের চিসহ বর্ণনা লিখতে হবে।

উত্তর:

AVvXsEiyooEzMRl3Z4hcTdSYGsrNza9WWvd8G KxpkpGMSdMNtJVltHF65POfkOOIzCDWXHn11bvILHcl1zopBb0FRKD1ddy7wfHXcuUiq82f3mM XjIKi6lz2FuDMTkVauQf7jTKsUHV5jxAto6fo4ZZ8lqt3Py5sK3jdruzDkwx94f0LGSi 4GE1fQOz2ucA

বুধ

মার্কিউরিঃ সৌরজগতের প্রথম অর্থাৎ সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ হচ্ছে বুধ বা মার্কিউরি। এর আকার পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের চেয়ে সামান্য বড়। দিনের বেলা এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৪৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাতের বেলা থাকে দারুণ ঠাণ্ডা! সূর্যের এত কাছে থাকার কারণে এর কোন বায়ুমণ্ডল নেই, তাই উল্কাপিণ্ড ধ্বংস করার ক্ষমতা নেই এর। এ কারণে এর পৃষ্ঠ উল্কার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত। খালি চোখে দেখা যায় বলে এটি প্রাচীন জ্যোতির্বিদগণ ই আবিষ্কার করেছিলেন এবং এর নামকরণ করেছিলেন। এর নাম রাখা হয় রোমান দেবতা মার্কিউরির নাম অনুসারে, যিনি ছিলেন বাণিজ্য, বাগ্মিতা, যোগাযোগ ইত্যাদির দেবতা। গ্রীকরা তাঁকে হার্মিস নামে চিনতো। বাংলা বুধ নাম এসেছে হিন্দু দেবতা বুধের নামে। যাকে চাঁদের পুত্র বলা হয়। এই গ্রহের ব্যাস ৪,৮৭৮ কিলোমিটার। সূর্যকে পৃথিবীর হিসেবে ৮৮ দিনে এটি একবার ঘুরে আসে, অর্থাৎ এর এক বছর পৃথিবীর ৮৮ দিনের সমান। কিন্তু এর এক দিন হতে পৃথিবীর হিসেবে সময় লাগে ৫৮ দিন ১৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট! দিন ও রাতে এতো দীর্ঘ হবার কারণেই এর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য এতো বেশি! এর অভিকর্ষজ টান পৃথিবীর থেকে আড়াই গুণ কম। অর্থাৎ পৃথিবীতে কোন বস্তুর ওজনের চেয়ে এখানে ওজন আড়াই গুণ কম হবে।

main qimg cb286adf686a9835bb7323e3a398818c lq

শুক্র

ভিনাসঃ বুধের পরেই শুক্র বা ভিনাসের অবস্থান। বুধের তুলনায় দূরে হলেও এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বুধের চেয়েও বেশি। শুক্র এই সৌরজগতের সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ। এর আকার ও প্রকৃতি পৃথিবীর মতোই কিছুটা কিন্তু এর বায়ুমণ্ডল বিষাক্ত গ্যাসে ভর্তি। গ্রিন হাউস এফেক্ট এর কারণে সূর্যের তাপ আটকে থেকে এতো উত্তপ্ত হয় গ্রহটি। পৃথিবীর অবস্থাও এমন হতে পারে যদি বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড অনেক বেড়ে যায়! এর অভিকর্ষজ আকর্ষণ প্রায় পৃথিবীর সমান। মজার ব্যাপার হচ্ছে শুক্র গ্রহ এই সৌরজগতের একমাত্র গ্রহ যা নিজ অক্ষে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরছে। প্রাচীন গ্রীকরা একে দুইটি বস্তু হিসেবে ধারণা করতো, যার একটা রাতে আর একটা দিনে দেখা যেত। এর ঔজ্জ্বল্যের জন্যে এর নাম রাখা হয় রোমান প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবী ভিনাস এর নামে, যাকে গ্রীকরা বলে অ্যাফ্রোডাইটি। বাংলা শুক্র নামের উৎস হিন্দু পুরাণ থেকে। এর অর্থ নির্মল বা উজ্জ্বল। সপ্তর্ষির একজন ভৃগু মুনির পুত্র শুক্র। যাকে দৈত্য বা অসুরদের গুরু হিসেবে বলা হয়েছে। তাঁকে অসুরাচার্য্য নামেও ডাকা হয়। শুক্র খালি চোখে দেখা যাওয়ায় এর আবিষ্কার প্রাচীন কালেই হয়েছে। এর ব্যাস ১২,১০৪ কিলোমিটার। দারুণ একটা ব্যাপার হচ্ছে শুক্রের এক বছর হতে সময় লাগে ২২৫ দিন, কিন্তু এক দিন হতে সময় লাগে ২৪৩ দিন!

main qimg 72cb1278e32f7e963d5d0ec480d9ee58 lq

পৃথিবী

আর্থঃ আর্থ বা পৃথিবী হচ্ছে সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ ও আমাদের আবাসস্থল। সৌরজগতে একমাত্র এই গ্রহেই এখন পর্যন্ত প্রাণের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে! পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল স্পষ্ট ও প্রধান উপাদান হিসেবে আছে ৭৮% নাইট্রোজেন ও ২১% অক্সিজেন। এর উপাদানের কারণে আমরা দিনের বেলা আকাশ নীল দেখি। এ বায়ুমণ্ডল আমাদেরকে সূর্যের মারাত্মক মহাজাগতিক রশ্মি ও তেজস্ক্রিয় কণা থেকে রক্ষা করে। পৃথিবীর প্রায় ৭৫% অঞ্চল পানির নিচে। এর ব্যাস ১২, ৭৬০ কিলোমিটার। সূর্যকে একবার ঘুরে আসতে বা এক বছর হতে পৃথিবীর সময় লাগে প্রায় ৩৬৫ দিন। আর এক দিন প্রায় ২৪ ঘণ্টার সমান। আর্থ নামের উৎপত্তি প্রাচীন ভাষা থেকে। যার অর্থ মাটি বা ভূমি। পৃথিবীর উপগ্রহ মাত্র একটি, যার নাম চাঁদ।

main qimg d8bb2d506dcf8a55f4963517351b761b lq

মঙ্গল

মার্সঃ মঙ্গল বা মার্স সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ। গ্রহটি ঠাণ্ডা ও ধূলিময়। আয়রন অক্সাইড এর কারণে এর ধুলা লালচে রঙ এর। তাই পুরো গ্রহ দেখতেও সেরকম। পৃথিবীর সাথে এর অনেক মিল রয়েছে। গ্রহটি পাথুরে এবং প্রায়ই বিশাল বিশাল ধূলিঝড় ও টর্নেডো হয় এখানে। মঙ্গলে তুষার পড়ে এবং বরফ আকারে পানি সঞ্চিত আছে এতে। বিজ্ঞানীদের ধারণা একসময় এটি উষ্ণ ও তরল পানিতে পূর্ণ ছিল। প্রাণ ধারণের মতো উপযোগী পরিবেশ এ গ্রহে আছে বলে বিশ্বাস করা হয়। খালি চোখে দেখা যাবার ফলে এটিও প্রাচীনকালে আবিষ্কার হয়। এর নাম রাখা হয় রোমান যুদ্ধ দেবতা মার্স এর নামে, যাকে গ্রীকরা এরিস নামে চেনে। যুদ্ধের সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে, আর রক্তের রঙ লাল। তাই এই নামকরণ! বাংলায় মঙ্গল নাম আসে যুদ্ধদেব মঙ্গলের নামানুসারে। যিনি ভূমি বা পৃথিবীর পুত্র ছিলেন। মঙ্গলের এক দিন হতে লাগে ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট আর এক বছর হতে লাগে ৬৮৭ দিন। মঙ্গলের অভিকর্ষজ টান পৃথিবীর তুলনায় অর্ধেকেরও কম। মঙ্গলের উপগ্রহ দুইটি, ফোবোস ও ডেইমোস। এরা দুইজন মার্স এর ছেলে ছিল, তাই তাঁদের নামেই রাখা হয়েছে উপগ্রহের নাম।

main qimg ac43d950710bad5b8ceb34ee8a0a80bd pjlq

বৃহস্পতি

জুপিটারঃ বৃহস্পতি বা জুপিটার সৌরজগতের পঞ্চম ও সর্ববৃহৎ গ্রহ। তাই একে গ্রহদের রাজা বলা হয় অনেক সময়। রোমান দেবতা জুপিটার, যাকে গ্রীকরা জিউস নামে চেনে তিনি সব দেবতার রাজা ছিলেন। তাই, তাঁর নামানুসারে এর নাম রাখা হয় জুপিটার। বাংলা বৃহস্পতি নাম এসেছে হিন্দু পুরাণ থেকে, যিনি ছিলেন একজন ঋষি। গ্রহটি প্রায় পুরোপুরি গ্যাসীয়, যার অধিকাংশই হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামে গঠিত। এর শরীরে লালচে বাদামী রঙের দাগ দেখা যায় অন্যান্য গ্যাসের উপস্থিতির কারণে। এর শরীরে বিশাল একটি ঝড় শতশত বছর ধরে চলছে, যার কারণে গোল চাকতির মতো ঘূর্ণায়মান দাগ দেয়া যায়। এখন পর্যন্ত এর উপগ্রহের সংখ্যা জানা গিয়েছে ৬৯টি! দেখে মনে হয় একটা বাচ্চা সৌরজগৎ তৈরি হয়েছে একে ঘিরেই! এই উপগ্রহের নাম রাখা হয়েছে জুপিটারের নানা সন্তান ও স্ত্রীর নামে। এ গ্রহের চৌম্বকক্ষেত্র অনেক শক্তিশালী। প্রাচীন জ্যোতির্বিদগণ এর আবিষ্কার করে এটি খালি চোখে দৃশ্যমান হওয়ায়। এর ব্যাস ১,৩৯,৮২২ কিলোমিটার। এতো বড় হওয়ার পরেও এর এক দিন হয় মাত্র ৯.৮ ঘণ্টায়, কারণ এটি গ্যাসীয়। এক বছর হতে সময় লাগে পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ১১ বছর ৯ মাস। এর অভিকর্ষ টান পৃথিবীর তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি।

main qimg dc7941d50b7523daae41e57e305daa95 lq

শনি

স্যাটার্নঃ শনি বা স্যাটার্ন সৌরজগতের ষষ্ঠ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। এটি আমাদের সৌরজগতের অন্যতম বিখ্যাত গ্রহ এর বলয়ের কারণে! ১৬০০ শতকের শুরুতে যখন গ্যালিলিও গ্যালিলেই একে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন তখন তিনি ভেবেছিলেন এর অংশ তিনটি! এর ৪০ বছর পর ক্রিস্টিয়ান হাইগেন্স বলেন এই গ্রহে বলয় আছে। বলয়ের উপাদান হচ্ছে পাথর ও বরফের মিশ্রণ। কিভাবে এই বলয় সৃষ্টি হয়েছে সে ব্যাপারে বিজ্ঞানিরা পুরোপুরি নিশ্চিত না। এর অসংখ্য উপগ্রহ (অন্তত ৬২টি) রয়েছে, যাদের নাম রাখা হয় নানা টাইটানদের নামে। স্যাটার্ন হচ্ছে জুপিটারের বাবা যাকে গ্রীকরা বলে ক্রোনাস। তিনি ছিলেন একজন টাইটান, যাকে জুপিটার ও তাঁর ভাইয়েরা মিলে বন্দী করে রাখেন। বাংলায় শনি হলেন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি সূর্যদেব ও তাঁর পত্নী ছায়াদেবীর পুত্র, এজন্য তাঁকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়। তিনি মৃত্যুর দেবতা যমরাজের বড় ভাই। শনিও প্রাচীনকাল থেকেই পরিচিত সবার কাছে। এর ব্যাস ১,২০,৫০০ কিলোমিটার। সাড়ে ১০ ঘণ্টায় এক দিন হয় এখানে আর এক বছর হতে সময় লাগে ২৯ বছর ৫ মাস। পৃথিবীর থেকে এর অভিকর্ষ টান সামান্য বেশি।

main qimg 6a57ca3ed3eb38cd7f735eb95e2cbe08 lq

ইউরেনাস

ইউরেনাসঃ ইউরেনাস সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ। গ্রহটি একটু আজব ধরণের, কারণ এটি কাত হয়ে নিজের অক্ষের চারপাশে ঘোরে। বিজ্ঞানীদের ধারণা অনেক আগে এটি হয়তো বড় কোন গ্রহ আকারের বস্তুর সাথে ধাক্কা খেয়েছিল, তাই এ অবস্থা! এর ফলে এর একেক ঋতু ২০ বছর স্থায়ী হয় আর প্রতি মেরু ৮৪ বছর পরপর সূর্যের মুখ দেখে! আবহাওয়ামণ্ডলে মিথেনের উপস্থিতি থাকায় এর শরীরে নীলাভ সবুজ দাগ দেখা যায়। এর হালকা একটি বলয় আছে ও এখন অবদি ২৭টি উপগ্রহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে! উপগ্রহের নাম রাখা হয় শেইক্সপিয়ারের তৈরি নানা চরিত্রের নামে। গ্রীক নামানুসারে ইউরেনাস একজন প্রাগৈতিহাসিক দেবতা ছিলেন, যাকে আকাশ হিসেবে মানা হতো। ১৭৮১ সালে উইলিয়াম হার্শেল একে গ্রহ হিসেবে শনাক্ত করেন। আগে একে তারা ভাবা হতো। এর ব্যাস ৫১,১২০ কিলোমিটার। এক দিন হতে সময় নেয় ১৮ ঘণ্টা প্রায় আর এক বছর হতে লাগে ৮৪ বছর। এর অভিকর্ষ বল পৃথিবীর তুলনায় সামান্য কম।

main qimg 5fc0e80d4be5ab03c8a7d966f072efca lq

নেপচুন

নেপচুনঃ আপাতত সৌরজগতের সর্বশেষ বা অষ্টম প্রধান গ্রহ হচ্ছে নেপচুন। অতি শক্তিশালী ঝড়ের জন্য এটি পরিচিত। এর বাতাসের গতি মাঝেমাঝে শব্দের গতির চেয়েও বেশি হয়! নেপচুন অনেক ঠাণ্ডা ও এর কেন্দ্র কঠিন। নেপচুন ই প্রথম গ্রহ যার উপস্থিতি গাণিতিক ভাবে ধারণা করা হয় এর আবিষ্কারের আগেই। ফ্রেঞ্চ জ্যোতির্বিদ এলেক্সিস বুভার্ড ইউরেনাসের আজব ঘূর্ণন দেখে ধারণা করেন অন্য কিছুর অভিকর্ষ বলের কারণে হয়তো এমন হচ্ছে। এরপর জার্মান জ্যোতির্বিদ জোহান গল হিসেব করে টেলিস্কোপ এর সাহায্যে এর অবস্থান বের করেন। নেপচুনের ভর পৃথিবীর ১৭ গুণ প্রায়। নেপচুনের অভিকর্ষ বল পৃথিবীর থেকে একটু বেশি। নেপচুন নামটি রোমান জলদেবতার নামানুসারে রাখা হয়েছে। গ্রীকরা যাকে পোসাইডন নামে চেনে। এর ব্যাস ৪৯,৫৩০ কিলোমিটার। এক দিন হতে এর সময় লাগে ১৯ ঘণ্টা আর এক বছর হতে লাগে ১৬৫ বছর! এখন পর্যন্ত এর ১৪টি উপগ্রহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যাদের নাম রাখা হয়েছে নেপচুনের সাথে সম্পর্কিত পৌরাণিক চরিত্রের সাথে মিলিয়ে।

main qimg 990bd596ab10db2e9281014477697dbf lq

প্লুটো

আগে নবম গ্রহ হিসেবে প্লুটো ছিল, কিন্তু আকারে পৃথিবীর চাঁদের থেকেও ছোট হওয়ায় একে ওই তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। প্লুটো হচ্ছে গ্রীক নরকের দেবতা হেডিস এর রোমান নাম। বর্তমানে একে বামন গ্রহের তালিকায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও নেপচুনের মতো গাণিতিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে আরেকটি গ্রহ অর্থাৎ নবম গ্রহের অস্তিত্বের ধারণা পাওয়া গিয়েছে। যদিও এখনও টেলিস্কোপে দেখা যায়নি একে।

  • কোন কোন দিক থেকে মহাবিশ্বের বিস্ময় হিসেবে পৃথিবীকে চিহ্নিত করা হয়েছে তার কারন ব্যাখ্যা করতে হবে

উত্তর:

পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য হতে এটির দুরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কি.মি। এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। পৃথিবীর অপর নাম “বিশ্ব” বা “নীলগ্রহ”। নিম্নে এর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্য করা হলােঃ D পৃথিবী হলাে মানুষ সহ কোটি কোটি প্রজাতির আবাসস্থল। পৃথিবী এখন পর্যন্ত পাওয়া একমাত্র মহাজাগতিক স্থান যেখানে প্রাণের অস্তিত্বের কথা বিদিত।। ০ পৃথিবী গঠিত হওয়ার এক বিলিয়ন বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে প্রাণের আবির্ভাব ঘটে।

পৃথিবীর জীবমণ্ডল এইগ্রহের বায়ুমণ্ডল ওঅন্যান্য অজৈবিক। অবস্থাগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে একদিকে যেমন বায়ুজীবী জীবজগতের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে, অন্যদিকে তেমনি ওজন স্তর গঠিত হয়েছে।

পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর ভূতাত্বিক ইতিহাস ও কক্ষপথ এই যুগে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আরও ৫০ কোটি বছর পৃথিবী প্রাণধারণের সহায়ক অবস্থায় থাকবে।

পৃথিবী নিজ অক্ষের ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে রয়েছে। এর ফলে এক বিষুবীয় বছর (৩৬৫.২৪ সৌরদিন) সময়কালের মধ্যে এই বিশ্বের বুকে ঋতুপরিবর্তন ঘটে থাকে।

গ্রহের খনিজ সম্পদ ও জৈব সম্পদ উভয়ই মানবজাতির জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। এই গ্রহের খনিজ সম্পদ ও জৈব সম্পদ উভয়ই প্রাচর্য রয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, আমাদের পৃথিবী হল মহাবিশ্বে বিস্ময়। কারুণ একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত বিদ্যমান।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও


অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • Class: 6 To 10 Assignment Answer Link

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

১০ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর


উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট
বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/



Leave a Comment