বিষয়: মানচিত্র অভিক্ষেপ বলতে কোনো সমতলের ওপর সৃষ্ট গ্রাটিকুলকে বোঝায়।,অভিক্ষেপ প্রধানত কয় প্রকার ও কী কী?,মানচিত্রের উপাদানগুলো উল্লেখ কর,বেলনাকার অভিক্ষেপের বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ উল্লেখ কর,বেলনাকার অভিক্ষেপ কী?,অদৃশ্যানানুগ অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?,মানচিত্র অঙ্কনে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি জিআইএস-ব্যাখ্যা কর।,জিআইএস এর উপাত্ত কয়ভাগে ভাগ করা যায়?,বেলনকার অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?,GPS দ্বারা কী কী কাজ করা যায়?
ভূগোল ২য় পত্র ১০ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন : কাগজের তৈরি কোনো নলের মধ্যে ভূগোলকটিকে স্থাপন করে আলোর দ্বারা তার উপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর ছায়া। প্রতিফলিত করে কাগজের নলটিকে কেটে সোজা করলে যে ধরনের অভিক্ষেপ পাওয়া যায়, তাকে নলাকার বা বেলনাকার অভিক্ষেপ বলা হয়। পথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের আশপাশ অর্থাৎ ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কন করার জন্য বেলনাকার অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়।
ভূগোল ২য় পত্র ১০ম অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. মানচিত্র অভিক্ষেপ বলতে কোনো সমতলের ওপর সৃষ্ট গ্রাটিকুলকে বোঝায়।
উত্তর : কোনো সমতল কাগজের উপর সমগ্র পৃথিবী বা এর কোনো অংশের মানচিত্র অঙ্কন করার জন্য নির্দিষ্ট স্কেলে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলো জালের ন্যায় ছকে প্রকাশ করা হয়। একে অভিক্ষেপ বলে।
২. অভিক্ষেপ প্রধানত কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর : পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানের মানচিত্র অঙ্কনের ওপর ভিত্তি করে অভিক্ষেপকে প্রধানত ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (১) বেলনাকার অভিক্ষেপ, (২) শীর্ষদেশীয় অভিক্ষেপ, (৩) শাঙ্কব অভিক্ষেপ, (৪) ব্যবহারসিদ্ধ বা প্রচলিত অভিক্ষেপ।
৩. মানচিত্রের উপাদানগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর : মানচিত্র একজন ভূগোলবিদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এ মানচিত্র অঙ্কনে নিম্নলিখিত উপাদানগুলো প্রয়োজন।
(১) অঙ্কিত মূল মানচিত্র, (২) স্কেল (মানচিত্রটিকে যে স্কেলে অঙ্কন করা হয়েছে), (৩) অভিক্ষেপ (অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা রেখা), (৪) দিকনির্দেশক, (৫) মানচিত্রের নাম ফলক (মানচিত্রের বিষয়ানুগ নাম), (৬) সূচক (মানচিত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্নের ব্যাখ্যা), (৭) মূল মানচিত্রের চারদিকে (সীমায়) কোন দেশ, অঞ্চল বা ভূখ- রয়েছে তার নাম, (৮) মূল মানচিত্রটি কোনো বৃহৎ ভূখণ্ডের অংশবিশেষ হলে তা চিহ্নিতকরণ, (৯) মানচিত্রের চারদিকে কাগজের ০.৫ ইঞ্চি থেকে ১ ইঞ্চি ভেতরের দিকে বর্ডার লাইন, অথবা কাগজের শেষাংশ পর্যন্ত অঙ্কন (ফ্লাসকাড, (১০) মানচিত্রের নিচে সূত্র ইত্যাদি।
আরো ও সাজেশন:-
৪. বেলনাকার অভিক্ষেপের বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ উল্লেখ কর।
উত্তর : বেলনাকার অভিক্ষেপে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর সবই সরলরেখা।
রেখাগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল। দ্রাঘিমারেখাগুলো, অক্ষরেখাগুলোকে সমকোণে ছেদ করে। প্রত্যেকটি অক্ষরেখা নিরক্ষরেখার সমান বলে নিরক্ষরেখা থেকে উভয় মেরুর দিকে পূর্বপশ্চিমে দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। নিরক্ষরেখার আশপাশের দেশসমূহ দেখানোর জন্য এ অভিক্ষেপ অধিক উপযোগী।
৫. বেলনাকার অভিক্ষেপ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কাগজের তৈরি কোনো নলের মধ্যে ভূগোলকটিকে স্থাপন করে আলোর দ্বারা তার উপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর ছায়া। প্রতিফলিত করে কাগজের নলটিকে কেটে সোজা করলে যে ধরনের অভিক্ষেপ পাওয়া যায়, তাকে নলাকার বা বেলনাকার অভিক্ষেপ বলা হয়।
পথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের আশপাশ অর্থাৎ ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কন করার জন্য বেলনাকার অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়।
৬. অদৃশ্যানানুগ অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যে অভিক্ষেপণে কোনো আলোকসম্পাত না করে শুধু গাণিতিক হিসাবের সাহায্যে Graticul গুলো তৈরি ও অঙ্কন করা হয় তাই অদৃশ্যানানুগ অভিক্ষেপ।
এ পদ্ধতিতে সাধারণত শীর্ষদেশীয় সমদূরবর্তী অভিক্ষেপ, সমআয়তনিক অভিক্ষেপ, নোমনিক অভিক্ষেপ, মেরুস্থানীয় নোমনিক অভিক্ষেপ প্রভৃতি অঙ্কন করা হয়।
৭. মানচিত্র অঙ্কনে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি জিআইএস-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তুতকৃত মানচিত্রে জিআইএস ব্যবহার করছে। মানচিত্র তৈরি, পঠন, পাঠন ও ব্যবস্থাপনায় GIS বর্তমানে সারা বিশ্বেই বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। তাই বলা যায়, মানচিত্র অঙ্কনে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি GIS।
৮. জিআইএস এর উপাত্ত কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : জিআইএস এক বিশাল তথ্যভাণ্ডার যা ভৌগোলিক উপাত্ত থেকে প্রাপ্ত।
জিআইএস (GIS) এর উপাত্ত দুইভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
১. স্থানিক : ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত;
২. অস্থানিক : স্থানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত।
৯. বেলনকার অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : কাগজের তৈরি কোনো নলের মধ্যে ভূগোলকটিকে স্থাপন করে আলোর দ্বারা তার উপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর ছায়া প্রতিফলিত করে কাগজের নলটিকে কেটে সোজা করলে যে ধরনের অভিক্ষেপ পাওয়া যায়, তাকে নলাকার বা বেলনাকার অভিক্ষেপ বলা হয়।
পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের আশপাশ অর্থাৎ ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কন করার জন্য বেলনাকার অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়।
১০. GPS দ্বারা কী কী কাজ করা যায়?
উত্তর : বর্তমানে মানচিত্র তৈরি, পঠন এবং ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে আধুনিক ব্যবহার হচ্ছে জিপিএস (GPS)।
জিপিএস দ্বারা যেসব কাজ করা যায় তা হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়, কোনো স্থানের দূরত্ব ও উচ্চতা পরিমাপ, ঐ স্থানের উত্তর দিক, তারিখ ও সময় প্রভৃতি জানা যায়।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও
- hsc result 2024
- hsc/এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র সংক্ষিপ্ত সাজেশন, ফাইনাল সাজেশন এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র, hsc logic 1st paper suggestion 100% common guaranty, special short suggestion hsc suggestion logic 1st paper
- আলিম ইসলামের ইতিহাস সাজেশন ১০০% নিশ্চিত কমন,আলিম পরীক্ষা ইসলামের ইতিহাস সাজেশন,A+ 100% Sure আলিম/Alim ইসলামের ইতিহাস সাজেশন