মার্জারের মতে, সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ কী?, কমলাকান্ত কীসের উপর ঝিমাচ্ছিল?,চোরকে সাজা দেওয়ার আগে বিচারককে তিনদিন উপবাস করার কথা বলা হয়েছে কেন,‘তোমার কথাগুলি ভারি সোশিয়ালিস্টিক’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

বিষয়: মার্জারের মতে, সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ কী?, কমলাকান্ত কীসের উপর ঝিমাচ্ছিল?,চোরকে সাজা দেওয়ার আগে বিচারককে তিনদিন উপবাস করার কথা বলা হয়েছে কেন,‘তোমার কথাগুলি ভারি সোশিয়ালিস্টিক’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?


বিড়াল সৃজনশীল প্রশ্ন-১ 

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

নাজমার বড় সংসার। স্বামী অকর্মণ্য। তাই সে বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে। এ স্বল্প আয়ে সংসার চলে না বলে বাধ্য হয়ে তাকে বিভিন্ন বাড়ি থেকে মশলা, তৈল, তরকারি চুরি করে সংসারের চাহিদা পূরণ করতে হয়। চুরি করার কারণে এখন আর কেউ তাকে কাজে নেয় না। তাই পরিবারের প্রয়োজন কীভাবে পূরণ হবে এ চিন্তায় সে আকুল হয়ে ওঠে।

ক. মার্জারের মতে, সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ কী?

খ. ‘তোমার কথাগুলি ভারি সোশিয়ালিস্টিক’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. ‘নাজমা ও বিড়ালের জীবন কোন দিক থেকে বিপন্ন’?- ‘বিড়াল’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘নাজমার কাজ নীতিবিরুদ্ধ ও ধর্মাচারবিরোধী’- ‘বিড়াল’ রচনা অবলম্বনে মূল্যায়ন কর।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. জ্ঞান

সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে ধনীর ধনবৃদ্ধি।

খ. অনুধাবন

বিড়ালের কথাগুলো যে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শপূর্ণ -এ কথাটিই বোঝানো হয়েছে।

কমলাকান্তের দুধ বিড়াল চুরি করে খেয়ে ফেললে সে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হয় এবং ‘দিব্যকর্ণপ্রাপ্ত’ হয়ে তার সঙ্গে কথোপকথন করে। বিড়াল তাকে জানায়, এ সমাজব্যবস্থার চরম বৈষম্যের কারণেই মূলত সে খেতে না পেয়ে অভুক্ত অবস্থায় থাকে। তার কথায় প্রচলিত অর্থ ও সমাজব্যবস্থা এমনই যে, এখানে কেবল এক শ্রেণির মানুষের ধনবৃদ্ধি হয় আর বাকিরা না খেয়ে মরে। সাম্যবাদী ‘সমাজতান্ত্রিক’ মতবাদের সঙ্গে এ কথাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই কমলাকান্ত তাকে বলে ‘তোমার কথাগুলি ভারি সোশিয়ালিস্টিক’। সুতরাং বলা যায়, কথাটির মাধ্যমে বিড়ালের মতামত সমাজতান্ত্রিক ভাবাপন্ন -এ কথাই বোঝানো হয়েছে।

গ. প্রয়োগ

নাজমা এবং বিড়ালের জীবন প্রাণির প্রাণধারণের মৌলিক চাহিদা অন্নসংস্থান করতে না পারার দিক থেকে বিপন্ন।

প্রাণির প্রাণধারণের যে মৌলিক চাহিদা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্নসংস্থান অন্যতম। খাদ্য ছাড়া কোনো প্রাণীই বেঁচে থাকতে পারে না। প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট কোনো কারণে যদি মানুষ বা অন্য প্রাণীরা খাদ্যসংস্থান করতে না পারে তখন তাদের জীবন চরমভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ে।

উদ্দীপকের নাজমার স্বামী অকর্মণ্য বলেই তাকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। খুব স্বল্প আয় বলে বাধ্য হয়েই তাকে তেল, মশলা, তরকারিসহ বিভিন্ন জিনিস চুরি করে পরিবারের সকলের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হয়। কিন্তু সবাই এক সময় বুঝে ফেলে যে, নাজমা চুরি করে; তাই তাকে আর কেউ কাজে নিতে চায় না। কাজ না থাকার কারণে সংসারের সকল প্রয়োজন কীভাবে পূরণ করবে এতেই তার জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠে। অন্যদিকে আমরা ‘বিড়াল’ গল্পে চরম সামাজিক বৈষম্যের বিষয়টি লক্ষ করতে পারি। গল্পে বিড়াল ক্ষুৎপিপাসার তাড়নায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই চুরি করে কমলাকান্তের দুধ খেয়ে ফেলে। এভাবে চুরি করার কারণে শুধু কমলাকান্তই নয়, সমাজের সকল মানুষই তাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায় বলে বিড়াল জানায়। তার মতে, মানুষের এ অন্যায় আচরণের জন্যই তার জীবন বিপন্ন। সুতরাং বলা যায় যে, প্রাণধারণের প্রয়োজনীয় খাদ্যসংস্থান করতে না পারার তাড়নার দিক দিয়ে নাজমা ও বিড়ালের জীবন বিপন্ন।

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা

নাজমার কাজ অবশ্যই নীতিবিরুদ্ধ এবং ধর্মাচারবিরোধী; তবে এর পেছনে মূলত আমাদের সমাজব্যবস্থার চরম অসঙ্গতি দায়ী।

কোনো মানুষই পৃথিবীতে অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। সমাজের নানামুখী বৈষম্য এবং অসামঞ্জস্যতার কারণে মানুষ ধীরে ধীরে অপরাধের জগতে পা বাড়ায়। তাই সমাজে সকল অন্যায়, অনাচার ও অপরাধের মূল হলো সামাজিক বৈষম্য বা ভারসাম্যহীনতা।

উদ্দীপকের নাজমা বড়ই অসহায়। তাকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু সে যেসব বাড়িতে কাজ করে সমাজের সেই তথাকথিত ধনিকশ্রেণির মানুষ তাকে এত স্বল্প বেতনই দেয় যে, এতে তার সংসারও ঠিকমতো চলে না। এমনকি মানবিক দায়বোধ থেকেও তারা তার পরিবারকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করে না। এজন্যই ক্ষুধার তাড়না সহ্য করতে না পেরে সে চুরি করে।

অপরদিকে ‘বিড়াল’ গল্পের বিড়ালও ক্ষুৎপিপাসা সহ্য করতে না পেরেই চুরি করে। সমাজের মানুষ নিজেদের খাবারের উচ্ছিষ্ট বা সামান্য মাছের কাঁটাটুকু পর্যন্ত তাকে দেয় না। এজন্য সে কমলাকান্তের জন্য রেখে দেয়া দুধটুকু খেতে দ্বিধাবোধ করে না; তার সঙ্গে সোশিয়ালিস্টিক তর্কে লিপ্ত হয়।


আরো ও সাজেশন:-

বিড়াল সৃজনশীল প্রশ্ন-২

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

কঞ্জুস ধনী রূপলাল সেনের বাড়িতে দুপুরে একজন সুবেশী ও স্বাস্থ্যবান অতিথি এলে তিনি যথেষ্ট আপ্যায়ন করেন। অতিথি তৃপ্তমনে বাড়ি ফেরেন। কদিন পরে জনৈক ভিখারি দুপুরে রূপলাল সেনের বাড়িতে এসে খাবার চাইলে তিনি তাকে তিরষ্কার করেন এবং তাড়িয়ে দেন। রূপলাল সেন ধনী অতিথিকে আপ্যায়ন করেন আর গরিব ভিখারিকে ভর্ৎসনা করেন।

ক. কমলাকান্ত কীসের উপর ঝিমাচ্ছিল? 

খ. চোরকে সাজা দেওয়ার আগে বিচারককে তিনদিন উপবাস করার কথা বলা হয়েছে কেন?

গ. উদ্দীপকে ‘বিড়াল’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘রূপলাল সেন আর কমলাকান্ত একই মেরুর মানুষ’- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. জ্ঞান

কমলাকান্ত চারপায়ীর উপর ঝিমাচ্ছিল।

খ. অনুধাবন

পেটের ক্ষুধার কারণেই যে মানুষ ন্যায়নীতি বিসর্জন দিয়ে চুরি করে সেটি বোঝানোর জন্যই উক্ত কথাটি বলা হয়েছে।

বিচারকের কাজ সর্বদা ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং নিরপেক্ষভাবে অপরাধের কারণ বের করে অপরাধীকে শাস্তি দেয়া। ক্ষুধা না লাগলে কেউ চুরি করে না। তাই চোরের বিচার করার আগে বিচারক যদি তিনদিন উপবাস করেন তবেই তিনি বুঝতে পারবেন ক্ষুধার জ্বালা কেমন এবং চোরের চুরির কারণ কী? বিষয়টি বোঝাতেই প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে। 

গ. প্রয়োগ

উদ্দীপকে ‘বিড়াল’ রচনায় ধনীদের তোষণ ও দরিদ্রকে অবহেলা করার মানসিকতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের জবানীতে মানুষের ধনী তোষণের মানসিকতার কথা বলা হয়েছে।

উদ্দীপকের রূপলাল সেনের ধনীর তোষণের মানসিকতা ফুটে উঠেছে। কৃপণ রূপলাল সেন স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর পোশাকে সজ্জিত অতিথিকে সাদর সম্ভাষণে আপ্যায়ন করেন। কিন্তু গরিব ভিখারিকে খাবার দেন না। গরিবের ক্ষুধা রূপলাল সেনের হৃদয়ে দাগ কাটতে পারেনি। বরং প্রভাবশালী মান্য লোককে আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করেন। অনুরূপ অভিযোগের অবতারণা ঘটেছে ‘বিড়াল’ রচনায় বিড়ালের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে। সেখানে কোনো ভদ্রকুল শিরোমণি কিংবা কোনো ন্যায়বান তর্কালঙ্কার এসে কমলাকান্তের দুধ খেয়ে গেলে তিনি কিছুই বলতেন না। কিন্তু বিড়ালের মতো ক্ষুদ্র প্রাণী খেয়েছে বলেই আপত্তি উঠেছে। অর্থাৎ উভয়ক্ষেত্রেই তেলা মাথায় তেল ঢালা হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘বিড়াল’ রচনার ধনী তোষণের মানসিকতার প্রতিফলনই উদ্দীপকে লক্ষ করা যায়।

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা

‘রূপলাল আর কমলাকান্ত এক মেরুর মানুষ’- মন্তব্যটি যথার্থ।

‘বিড়াল’ রচনায় লেখক মানব জাতির ধনী বা খ্যাতিমান তোষণের দিকটি বিড়ালের স্বগতোক্তির মধ্য দিয়ে রূপায়িত করেছেন।

আলোচ্য উদ্দীপকে রূপলাল সেনের ধনী তোষণের মনোভাব ফুটে উঠেছে। অতিথিকে আপ্যায়ন করার ক্ষেত্রে রূপলাল সেন অতিথিবৎসল হলেও গরিব ভিখারির প্রতি নির্দয়। গরিবের পেটের জ্বালা আর মান্য-গণের ক্ষুধা যে এক ও অভিন্ন তা রূপলাল সেন বুঝতে চান না। তাই ধনী অতিথিকে আন্তরিক আপ্যায়ন আর গরিব ভিক্ষুককে ভর্ৎসনা করা তার মতো বিবেকহীন মানুষের পক্ষেই সম্ভব। উদ্দীপকের এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে পাওয়া যায় ‘বিড়াল’ রচনায়।

‘বিড়াল’ রচনায় কমলাকান্তের কল্পনাপ্রসূত বিড়াল কাহিনির কথকের প্রতি তার তোষামুদে মানসিকতার বিরুদ্ধে অনুযোগ করেছে। তার ভাষ্যে মান্য লোকের ক্ষুধা আর তুচ্ছ প্রাণীর খালি পেট আলাদা অর্থ বহন করে না, যা কমলাকান্তের মতো ধনী তোষণকারীরা বুঝতে পারে না। তুচ্ছ জীব বিড়ালের এমন মনোভাব ধনীদের অমানবিকতাকেই তুলে ধরে। গল্পের এ দিকটির যথার্থ পরিচয় মেলে আলোচ্য উদ্দীপকে। কঞ্জুস রূপলাল সেন এবং ‘বিড়াল’ রচনার কথক উভয়ই তেলা মাথায় তেল দেয়ার মতে বিশ্বাসী। এক্ষেত্রে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি সঠিক।



বিড়াল সৃজনশীল প্রশ্ন-৩

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

নাই অধিকার সঞ্চয়ের!

ওগো সঞ্চয়ী, উদ্বৃত্ত যা করিবে দান,

ক্ষুধার অন্ন হোক তোমার!

ভোগের পেয়ালা উপচায়ে পড়ে তব হাতে

তৃষ্ণাতুরের হিস্সা আছে ও পিয়ালাতে

দিয়া ভোগ কর, বীর, দেদার

ক. কমলাকান্ত কী হাতে নিয়ে ঝিমাচ্ছিল?

খ. ‘দেয়ালের উপর চঞ্চল ছায়া, প্রেতবৎ নাচিতেছে’-কথাটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকটির সাথে ‘বিড়াল’ রচনার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকটির মূলবক্তব্যে ‘বিড়াল’ রচনার বিড়ালের মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. জ্ঞান

কমলাকান্ত হুঁকা হাতে নিয়ে ঝিমাচ্ছিল।

খ. অনুধাবন

প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা শোবার ঘরে ছোট বাতি তেল-স্বল্পতার কারণে মৃদুভাবে জ্বলতে থাকায় ঘরের দেয়ালের ওপর আলো ছায়ার যে নাচন সৃষ্টি হয়, সেটিকে বোঝানো হয়েছে।

রাতে কমলাকান্ত একা শোবার ঘরে বিছানার ওপর বসে হুঁকা হাতে নিয়ে ঝিমাচ্ছিল। পাশেই একটি ক্ষুদ্র প্রদীপ মিটমিট করে জ্বলছিল। প্রদীপটির আলো ঘরের দেয়ালের ওপর পড়ে ওর চঞ্চল ছায়াটি প্রেতের মতো নাচানাচি করছিল। আলোর দেহহীন ছায়াটি অশরীরী আত্মা বা প্রেতের মতো নাচছিল। বিষয়টিকে বোঝাতেই একথা বলা হয়েছে। 

গ. প্রয়োগ

সম্পদ সমবণ্টনের ধারণাগত দিক থেকে উদ্দীপকের সাথে ‘বিড়াল’ গল্পের সাদৃশ্য রয়েছে।

‘বিড়াল’ রচনায় কথকের কল্পনার আবহে সৃষ্ট বিড়ালের স্বগতোক্তির মধ্য দিয়ে লেখক তার নিজস্ব বোধ ও ধারণাকে মূর্ত করে তুলেছেন।

উদ্দীপকে উদ্বৃত্ত সম্পদ সমতার ভিত্তিতে অভাবগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের তাগিদ দেয়া হয়েছে। খাদ্য ও পানীয়সহ সকল ভোগ্য বস্তুতে সব মানুষের অধিকার আছে বলে এখানে স্বীকার করা হয়েছে। এরূপ দর্শনের ধারার প্রতিফলন ঘটেছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিড়াল’ রচনায়। সেখানে কথক গৃহস্থের দুধের পেয়ালায়, মাছের কাঁটা ও খাদ্যদ্রব্যে তুচ্ছ প্রাণী বিড়ালেরও হিস্সা আছে বলে মনে করেন। এ পৃথিবীর মাছ, মাংসে বিড়ালের অধিকার আছে। সহজে তা না পেলে বিড়াল চুরি করে খাবে- এতো সহজ কথা। কেননা, অনাহারে মরে যাবার জন্য এ পৃথিবীতে কেউ আসেনি। আলোচ্য রচনায় বিড়ালের মুখ দিয়ে বলা এরূপ যৌক্তিক কথাগুলো উদ্দীপকের মূলবক্তব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা

‘উদ্দীপকটির মূলবক্তব্যে বিড়ালের মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে।’- মন্তব্যটি সঠিক।

সাম্যের দৃষ্টিতে পৃথিবীর সম্পদ এবং ভোগ্য বস্তুতে সকলের সমঅধিকার আছে। ‘বিড়াল’ রচনায় এ সত্যকেই তুলে ধরা হয়েছে।

উদ্দীপকে ধনীদের উদ্বৃত্ত সম্পদ অভাবগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যার্থে প্রদান করার আহŸান জানানো হয়েছে। ক্ষুধার অন্ন সবার হোক, পানীয়ের পেয়ালায় সকলের হিস্সা প্রতিষ্ঠিত হোক- এ সাম্যবাদী ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে সেখানে। তেমনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিড়াল’ রচনায় দুধ খেয়ে ফেলার অপরাধে লাঠি দিয়ে বিড়ালকে তাড়া করার বিষয়টিকে ধিক্কার জানানো হয়েছে।

‘বিড়াল’ রচনায় খেতে না পেয়ে বিড়ালের পেট ও শরীর কৃশ, এমনকি জিহŸা ঝুলে পড়েছে। অথচ গৃহস্থ বাড়িতে কত আহার নর্দমায় ফেলে দেয়া হয়। বিড়ালকে অভুক্ত রেখে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট করা অনৈতিক এবং এই খাদ্যে বিড়ালের হিস্সা থাকার কথা আলোচ্য রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে- যা উল্লিখিত উদ্দীপকটির মূলবক্তব্য। সকলকে সাথে নিয়ে, সকল অনাহারীর মুখে খাবার তুলে দেয়ার মানসিকতারও প্রতিফলন ঘটেছে আলোচ্য উদ্দীপক ও ‘বিড়াল’ গল্পটিতে। এক্ষেত্রে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Leave a Comment