উত্তর:‘মুনাজাত’ আরবী শব্দ। এর অর্থ পরস্পর কানে কানে বা চুপি চুপি কথা বলা।
সহীহ বুখারী ও মুসলিম সহ অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থে উক্ত অর্থেই মুনাজাত শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إذا كان أحدُكم في الصلاة، فإنه يناجي ربَّه
“নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ যখন তার ছালাতে দাঁড়ায় তখন সে তার রবের সাথে মুনাজাত করে।” (বুখারি ও মুসলিম)
এ মর্মে আরও একাধিক হাদিস বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহু আলাম।
শায়েখ আবদুল্লাহিল হাদি
======================
মুনাজাত করার আদব হচ্ছে –
নফল নামাযের পরে যেমন তাহাজ্জুদ চাশত অজুর সালাত শেষে মুনাজাত করতে পারেন।
সালমান আল-ফারসী রাদিয়াল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“তোমাদের রব লজ্জাশীল ও দানশীল।। তাঁর বান্দা যখন তাঁর নিকট দুই হাত তুলে প্রার্থনা করে, তখন তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।”
মুসনাদে আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, বুলুগুল মারা’মঃ ১৫৮১।
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَواتُ، وَالطَّيِّباتُ
উচ্চারণঃ আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্সালাওয়া-তু ওয়াত্তায়্যিবা-তু।
অর্থঃ সমস্ত অভিবাদন, সকল সালাত ও পবিত্র কাজ একমাত্র আল্লাহ্র জন্য।
অথবা এটা বলে আল্লাহর প্রশংসা করা যাবে –
الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ
উচ্চারণঃ আলহা’মদুলিল্লাহি হা’মদান কাসীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যে প্রশংসা পবিত্রতা ও বরকতপূর্ণ।
অথবা এটা বলে আল্লাহর প্রশংসা করা যাবে –
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
উচ্চারণঃ আলহা’মদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামিন।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।
***এইরকম যেকোন এক বা একাধিক, বা এইরকম আল্লাহর জন্য প্রশংসামূলক অন্যবাক্য বলা যাবে।
اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبَيِّنَا مُحَمَّدٍ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ এর উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন।
সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১/২৭৩
“একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখলেন এক ব্যক্তি দুআ করছে কিন্তু সে দুআতে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুলের প্রতি দরূদ পাঠ করেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে লক্ষ্য করে বললেন, সে তাড়াহুড়ো করেছে। অতঃপর সে আবার প্রার্থনা করল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে অথবা অন্যকে বললেন, যখন তোমাদের কেউ দুআ করে তখন সে যেন প্রথমে আল্লাহ তাআ’লার প্রশংসা ও তার গুণগান দিয়ে দুআ শুরু করে। অতঃপর রাসুলের প্রতি দুরুদ পাঠ করে। এরপর তার যা ইচ্ছা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে।”
আবু দাউদঃ ১৪৮১, তিরমিজীঃ ৩৪৭৭, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ।
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অধিকাংশ দো‘আ হতঃ
اَللهم آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও-ওয়াফিল আ-খিরাতি হাসানাতাও ওয়া-ক্বিনা আযাবান্নার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ দাও এবং পরকালে জীবনেও কল্যাণ দান করো। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও।
বিঃদ্রঃ আল্লাহুম্মা আতিনা…অথবা রাব্বানা আতিনা…এই দুইভাবেই পড়া যায়।
সহীহ মুসলিমের অন্য হাদীসে আছে, “আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন একটি দো‘আ করার ইচ্ছা করত
- ইজারা অর্থায়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা কর
- বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা কোনটি?
- যে কারণে পুরুষের গোপন অঙ্গের ক্ষমতা নষ্ট হয়
- লিভারেজ ইজারার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ
- হাঁপানি রোগী জন্য পরামর্শ ও হাঁপানি রোগীর ঘরোয়া চিকিৎসা উপায়গুলো