মূল্যবোধ কি?, মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা কর,মূল্যবোধ কাকে বলে?, মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য,মূল্যবোধের প্রকারভেদ , মূল্যবোধের উৎস কি?

প্রশ্ন সমাধান: মূল্যবোধ কি?, মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা কর,মূল্যবোধ কাকে বলে?, মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য,মূল্যবোধের প্রকারভেদ , মূল্যবোধের উৎস কি?

মূল্যবোধ কি বা কাকে বলে?

মূল্যবোধের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Value. এটি তিনটি ল্যাটিন শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে। এগুলো হলো –

  1. Vale (অর্থাৎ Strength বা শক্তি)
  2. Val (অর্থাৎ Worth বা মূল্য)
  3. Valu (অর্থাৎ, Valor বা সাহস, পরাক্রমা, বিক্রম, শৌর্য)

সুতরাং শব্দগুলোর সামষ্টিক অর্থ হলো, “সব উত্তম জিনিস।”

মূল্যবোধ কথার অর্থ হলো মূল্যবান, মর্যাদাবান বা শক্তিশালী হওয়া।

সাধারণভাবে বলা যায়, যেসকল চিন্তা ভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সংকল্প ও আদর্শ মানুষের সামগ্রিক আচার-আচরণ ও কর্মকান্ডকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করে, তাদের সমষ্টিকেই মূল্যবোধ বলে।

আবার বলা যায়, মানুষের আচার-আচরণ, ধ্যান-ধারণা, চাল-চলন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করার মাপকাঠি হলো মূল্যবোধ।

সমাজবিজ্ঞানী ডেবিড পোপেনো (David Popenoe) বলেছেন, “ভালো-মন্দ, ঠিক-বেঠিক, কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষি বিষয় সম্পর্কে সমাজের সদস্যদের যে ধারণা, তার-ই নাম মূল্যবোধ।”

এস. ডব্লিউ পামফ্রে এর মতে, “মূল্যবোধ হচ্ছে ব্যক্তি বা সমাজিক দলের অভিপ্রেত ব্যবহারের সুবিন্যস্ত প্রকাশ।”

সমাজবিজ্ঞানী এফ. ই. স্পেন্সার বলেছেন, “মূল্যবোধ হলো একটি মানদণ্ড, যা আচরণের ভালো-মন্দ বিচারের এবং সম্ভাব্য বিভিন্ন লক্ষ্য হতে কোনো একটি পছন্দ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।”

M.R. William এর মতে, “মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড।”

অ্যান্থনি জি ক্যাটান্স এর মতে, “কোন সত্তা বা বিশ্বাসের অন্তর্নিহিত মূল্য হলো মূল্যবোধ।”

স্টুয়ার্ড সি.ডড এর মতে, “সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেসব রীতিনীতির সমষ্টি, যা ব্যক্তি সমাজের নিকট হতে আশা করে এবং যা সমাজ ব্যক্তির নিকট হতে লাভ করে।”

সমাজবিজ্ঞানী এফ. ই. মেরিল (F. E. Merril)-এর মতে, “সামাজিক মূল্যবোধ হলো বিশ্বাসের এক প্রকৃতি বা ধরন যা গোষ্ঠীগত কল্যাণে সংরক্ষণ করাকে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।”

সুতরাং বলা যায় যে, মানুষের সামগ্রিক সামাজিক জীবনাচারের অপরিহার্য অংশই হচ্ছে মূল্যবোধ।


আরো ও সাজেশন:-

মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য

১। মূল্যবোধ নিয়মনীতির সমষ্টি
মূল্যবোধ সামাজিক রীতিনীতি, আদর্শ, নিয়মনীতি, ধ্যানধারণার সমষ্টি। এসব সুনিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল মানবিক মতাদর্শ সমাজের মানুষকে দিকনির্দেশনা দান করে।

২। অলিখিত
এটি একটি অলিখিত সামাজিক বিধান। এটি এমন একটি বিধান, যা কোনো সমাজেই লিখিত থাকে না। সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্বাস, আদর্শ ও মনোভাবের মধ্য দিয়ে মূল্যবোধের বিস্তার ঘটে।

৩। পরিবর্তনশীলতা
মূল্যবোধ পরিবর্তনশীল। এটি সমাজে নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও শিক্ষার প্রভাবে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। সামাজিক পরিবর্তন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটায়। উদহরণ- অতীতে বাল্যবিবাহ স্বাভাবিক রীতি হিসেবে প্রচলিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে বাল্যবিবাহ নেতিবাচক মূল্যবোাধ হিসেবে পরিগণিত।

৪। নৈতিক প্রাধান্য
এটি আইন হিসেবে বিবেচিত হয় না। কিন্তু সামাজিক ন্যায়নীতি ও নৈতিকতাবোধ থেকে উৎসারিত। মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

৫। আপেক্ষিকতা
সমাজ ও সংস্কৃতির পার্থক্যভেদে মূল্যবোধ ভিন্নতর হয়। মুসলিম দেশ ও অমুসলিম দেশের মূল্যবোধের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। তাছাড়া একটি দেশের বিভিন্ন অংশেও মূল্যবোধের স্বাতন্ত্র্য পরিলক্ষিত হয়।

৬। অপরিমাপযোগ্য
এটি অপরিমাপযোগ্য এবং মানসিকতা থেকে উদ্ভূত। তাই একে বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায় না; শুধু পর্যবক্ষণ করা যায়।

৭। সামাজিক মানদণ্ড
মূল্যবোধের মাধ্যমে সমাজের মানুষের আচার-আচরণ ও ভালো-মন্দ কর্মকাণ্ডের বিচার করা যায়। এটি মানুষের আচার-ব্যবহার, রীতিনীতি, পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণ করে।

৮। সামাজিক ঐক্য ও সেতুবন্ধ
এটি সমাজের মানুষের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলে। একই রকম রীতিনীতি ও আদর্শের অন্তর্ভুক্ত মানুষ পরস্পর মিলিত ও সংঘবদ্ধভাবে জীবনযাপনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে এক ধরনের সামাজিক ঐক্য ও সেতুবন্ধ রচনা করে।

৯। শিক্ষণের মাধ্যমে অর্জন
মূল্যবোধ মানুষ শিক্ষণপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জন করে। কেননা এটি সহজাত নয়, বরং ধীরে ধীরে শিক্ষার মাধ্যমে আয়ত্ত করতে হয়।

১০। জাতির উন্নতির মাপকাঠি
মূল্যবোাধ যেকোনো জাতি ও সমাজের উন্নতির মাপকাঠি। দেখা যায়, যে সমাজে বা জাতির মূল্যবোধ যত বেশি উন্নত, সে সমাজ বা জাতি তত বেশি উন্নত ও প্রগতিশীল। তাছাড়া সামাজিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করেই জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গড়ে ওঠে।

মূল্যবোধের প্রকারভেদ

সার্বিকভাবে মূল্যবোধকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো –

  • ইতিবাচক মূল্যবোধ
  • নেতিবাচক মূল্যবোধ / মূল্যবোধের অবক্ষয়

ইতিবাচক মূল্যবোধঃ যে সকল মূল্যবোধ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর তাকে, ইতিবাচক মূল্যবোধ বলে।

নেতিবাচক মূল্যবোধঃ এ মূল্যবোধের অন্য নাম হলো মূল্যবোধের অবক্ষয়। যে সকল মূল্যবোধ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর তাকে, নেতিবাচক মূল্যবোধ বলে।

বৃহত্তর সমাজে মানুষের আচরণের ক্ষেত্রের বৈচিত্র্যতার প্রেক্ষাপটে মূল্যবোধকে আবার বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

  • সামাজিক মূল্যবোধ
  • অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
  • নৈতিক মূল্যবোধ
  • ধর্মীয় মূল্যবোধ
  • শারীরিক ও বিনোদনমূলক মূল্যবোধ
  • সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
  • বৌদ্ধিক মূল্যবোধ
  • গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
  • ব্যক্তিগত মূল্যবোধ
  • বাহ্যিক মূল্যবোধ
  • আধুনিক মূল্যবোধ ইত্যাদি।

সামাজিক মূল্যবোধ

সামাজিক মূল্যবোধঃ সুস্থ সমাজিক জীবনযাপনের জন্য সমাজজীবনে সম্পাদিত আচরণের আদর্শগত দিককেই সামাজিক মূল্যবোধ বলে। যেমন – আতিথেয়তা।

নিকোলাস রেসার এর মতে, “সামাজিক মূল্যবোধ বলতে সেসব গুণাবলিকে বুঝায় যা ব্যক্তি নিজের সহকর্মীদের মাঝে দেখে আনন্দিত হয় এবং নিজের সমাজ, জাতি ও পরিবেশের পক্ষে মূল্যবান মনে করে খুশি হয়।”

ক্লাইভ ক্লুখোন এর মতে, “সমাজিক মূল্যবোধ হলো সেসব প্রকাশ্য ও অনুমেয় আচার-আচরণের ধারা যা ব্যক্তি ও সমাজের মূল বৈশিষ্ট্য হিসেবে স্বীকৃত।”

সামাজিক মূল্যবোধ সমাজজীবনে মানুষের আচরণ বিচারের মানদন্ড। তাছাড়া এটি সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিকাশে অবদান রাখে। এর ভিত্তি হলো শিষ্টাচার, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা।

অর্থনৈতিক মূল্যবোধ

অর্থনৈতিক মূল্যবোধঃ অর্থনৈতিক দিক থেকে মানব আচরণের যে অংশ প্রভাবিত হয় তার আদর্শগত দিককে অর্থনৈতিক মূল্যবোধ বলা হয়।

নৈতিক মূল্যবোধ

নৈতিক মূল্যবোধঃ কোন ব্যক্তির জীবনে উচিত-অনুচিত, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বিচারের যে মূল্যবোধ তাকে নৈতিক মূল্যবোধ বলে। এটি মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে এবং ব্যক্তি মানুষকে চরম ত্যাগ স্বীকারে উদ্বুদ্ধ করে।

ধর্মীয় মূল্যবোধ

ধর্মীয় মূল্যবোধঃ পৃথিবীর সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, অপরের ধর্ম মতকে শ্রদ্ধা করা, অন্যের ধর্ম পালনে বাধা প্রদান না করা, রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন ধর্মকে শ্রেষ্ঠ না ভাবা এবং বিশেষ সুবিধা প্রদান না করাই হলো ধর্মীয় মূল্যবোধ।

শারীরিক মূল্যবোধ

শারীরিক মূল্যবোধঃ কোন ব্যক্তির পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা, পোশাক-পরিচ্ছদ, চলাফেরা, হেয়ার স্টাইল, সরলতা, সাহসিকতা ইত্যাদি হলো বাহ্যিক বা শারীরিক মূল্যবোধ।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধঃ গণতান্ত্রিক আদর্শ ও রীতিনীতি অনুশীলনের আদর্শিক দিকই হলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এটি অপরিহার্য। এটি গণতন্ত্রকে সফলতা দান করে, নাগরিকের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটায় ও নাগরিকদের সহানুভূতিশীল হতে শেখায়। তাছাড়া এটি আইনের শাসনকে শক্তিশালী করে তোলে।

রাজনৈতিক মূল্যবোধ

রাজনৈতিক মূল্যবোধঃ যেসব লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সংকল্প, ধ্যান-ধারণা দ্বারা মানুষের রাজনৈতিক আচার-আচরণ ও কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত হয়, সেগুলোর সমষ্টিই হলো রাজনৈতিক মূল্যবোধ।

প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ

প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধঃ প্রতিটি মানুষই কর্মজীবী এবং তাকে শিক্ষা লাভ করতে হয়, এটিই প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ।

বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যবোধ কাকে বলে?

বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যবোধঃ বাস্তবিক পর্যবেক্ষণ, অবলোকন ও প্রত্যক্ষণের মাধ্যমে কোন বিষয় বা বস্তুকে সঠিকভাবে চেনার বা বুঝার সামর্থ্যকে বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যবোধ বলে। অর্থাৎ কোন বিষয়কে বাস্তবিকভাবে বুঝার সামর্থ্য হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যবোধ।

মূল্যবোধের উৎস ও বিকাশ

মূল্যবোধ গড়ে উঠার পেছনে উৎস ভূমি হিসেবে যেসব বিষয় সহায়ক ভূমিকা পালন করে সেগুলো হল :

  • পরিবার
  • ধর্ম
  • সামাজিক রীতিনীতি
  • প্রথা
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • আইন
  • নীতিবোধের চর্চা
  • সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান
  • সভা-সমিতি
  • সামাজিক ন্যায় বিচার ইত্যাদি।

শিশুর মূল্যবোধ শিক্ষার প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র হলো – পরিবার। পরিবার থেকেই একটি শিশু প্রাথমিক মূল্যবোধ শিখে। মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ বিকাশে ধর্ম সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। তাছাড়া মূল্যবোধের প্রধানতম প্রাতিষ্ঠানিক উৎস হলো শিক্ষালয়।

মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদান

মূল্যবোধ একটি আপেক্ষিক ধারণা। সমাজভেদে তা ভিন্ন হয়। তাই কোন সমাজে কোন কোন নীতিমালা মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদান হবে তা নির্ধারণ করা বেশ কঠিন। তবে তা স্বত্বেও সাধারণভাবে একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মূল্যবোধ গঠনের সহায়ক হিসেবে কিছু ভিত্তি বা উপাদানকে সার্বজনীন হিসেবে গণ্য করা হয়। নিম্নে কয়েকটি দেওয়া হলো –

  1. নীতি ও ঔচিত্যবোধ
  2. ন্যায় বিচার
  3. আইনের শাসন
  4. শৃঙ্খলাবোধ
  5. সৃজনশীলতা
  6. সচেতনতা ও কর্তব্য
  7. জবাবদিহিতা
  8. সহমর্মিতা
  9. শ্রমের মর্যাদা
  10. সরকার ও রাষ্ট্রের জনকল্যাণমুখীতা

মূল্যবোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো নীতি ও ঔচিত্যবোধ। ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পুণ্য, ভালো-মন্দ, বৈধ-অবৈধ, উচিত-অনুচিত ইত্যাদি বিষয়ক মানসিক ধারণকে নীতি ও ঔচিত্যবোধ বলা হয়। এটি বুদ্ধিমান ও নম্র মানুষ তৈরি করতে সাহায্য করে।

তাছাড়া মানবিক গুণাবলির মাঝে সহনশীলতা শ্রেষ্ঠতম গুণ। সমাজ জীবনের অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রধান ভিত্তি বা উপাদান হলো শৃঙ্খলাবোধ। শ্রমের মর্যাদা সমাজের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করে।

এছাড়া সুখী ও সুন্দর সমাজ গঠনে সহনশীলতা সাহায্য করে। গ্রহণ ও শ্রদ্ধার শিক্ষাকে আত্মসংযম বলা হয়। তাছাড়া মূল্যবোধের অন্যতম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো আইনের শাসন এবং যার যা প্রাপ্য তা প্রদান করাই হলো ন্যায়বিচার।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment