প্রশ্ন সমাধান: মূল্যস্ফীতির সংকটে বিশ্ব অর্থনীতি আমাদের করণীয়, অর্থনীতির সংকট গভীর ও দীর্ঘ হচ্ছে, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও বাংলাদেশের করণীয়, বিশ্ব মূল্যস্ফীতি এবং বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আসন্ন মন্দা আমাদের করণীয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় বাংলাদেশের করণীয়
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব অর্থনীতি নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে; বিশেষ করে অস্বাভাবিক উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রবাহ স্তিমিত করে দিচ্ছে। এমন একটি দেশও পাওয়া যাবে না, যারা তীব্র মূল্যস্ফীতির সমস্যা মোকাবিলা করছে না।
উন্নত-অনুন্নত নির্বিশেষে সব দেশের অর্থনীতির জন্যই উচ্চ মূল্যস্ফীতি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণ কৌশল প্রয়োগ করছে। কিন্তু তাতে কোনো ফল মিলছে না। মূল্যস্ফীতি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আগামী বছর মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার আভাস দিচ্ছে। মন্দা যে আসন্ন তা কেউ অস্বীকার করছে না। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যে অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে, এর পেছনে কিছু কারণ কাজ করছে। সাধারণভাবে নানা কারণেই একটি দেশের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে। তবে মূল্যস্ফীতি সাধারণত কিছু দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এবারের মূল্যস্ফীতি কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলে সীমিত নেই। সারা বিশ্বই এর প্রভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। অনেক কারণেই মূল্যস্ফীতি ঘটতে পারে।
তবে সাধারণত কয়েকটি বিশেষ কারণ এর জন্য দায়ী হয়ে থাকে। বস্তুত মূল্যস্ফীতি বলতে এমন একটি অবস্থাকে বোঝায়, যেখানে একটি দেশ, অঞ্চল বা পুরো বিশ্বের অন্যান্য অবস্থা স্বাভাবিক থাকাকালে পণ্য ও সেবার মূল্য অত্যন্ত বৃদ্ধি পায়। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অপরিবর্তিত থেকে যদি কোনো অর্থনীতিতে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, তাহলে সেদেশের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকে না। যারা পণ্যের উৎপাদক বা জোগানদাতা, তারা চাইলেই যে কোনো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু ভোক্তারা চাইলেই বেশি দামে পণ্য ক্রয় করতে পারে না। কারণ ভোক্তার আয় বা রোজগার ইচ্ছা করলেই বাড়ানো যায় না।
বরং উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় প্রায়ই ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। কারণ তার মজুরি বা বেতন-ভাতা অধিকাংশ সময়ই বৃদ্ধি না পেয়ে বরং কমে যায়। আর কোনো ক্ষেত্রে আয়-রোজগার বৃদ্ধি পেলেও মূল্যস্ফীতির হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে না। ফলে ভোক্তার দুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়।
আরো ও সাজেশন:-
মূল্যস্ফীতির তিনটি কারণকে প্রধান প্রভাবক হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পণ্য ও সেবার উৎপাদন কোনো কারণে অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া।
যেমন, কোনো এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে পরবর্তী বছর সেই এলাকায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে। অবশ্য দেশটি যদি বাইরে থেকে পণ্য আমদানি করে কাঙ্ক্ষিত চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করে, তাহলে ভিন্ন কথা।
এ ধরনের মূল্যস্ফীতিকে উৎপাদন হ্রাসজনিত মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে। আবার নির্দিষ্ট বছর একটি দেশে বা অঞ্চলে পণ্য উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলেও কোনো কারণে যদি উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে সংকট দেখা দেয়, তাহলে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ধরনের মূল্যস্ফীতিকে পরিবহণ বা সাপ্লাই সাইড ইফেক্টজনিত মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে। আবার কোনো একটি সময় নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের জোগান না বেড়ে চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে সেই পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এটাকে চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে। আরও নানা কারণে মূল্যস্ফীতি ঘটতে পারে।
বর্তমানে যে মূল্যস্ফীতি বিশ্বব্যাপী প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে, এর পেছনে মূল ভূমিকা পালন করছে সাপ্লাই সাইড বা সরবরাহজনিত সংকট। বিশেষ করে সারা বিশ্বেই বর্তমানে খাদ্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ গত মৌসুমে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য পণ্যের উৎপাদন অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল।
কোনো কোনো দেশ বা অঞ্চলে খাদ্যপণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও বিশ্বব্যাপী এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তাহলে কেন বিশ্বব্যাপী এ উচ্চ মূল্যস্ফীতি? বর্তমানে যে মূল্যস্ফীতি বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, তার পেছনে উৎপাদন সংকটজনিত সমস্যা নয়, ভূমিকা পালন করেছে পরিবহণ সংকট। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ দুটি দেশ মোট বিশ্ব খাদ্যপণ্যের ৩০ শতাংশের জোগান দিয়ে থাকে। এর মধ্যে রাশিয়ার খাদ্যপণ্য সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও ইউক্রেন তার উৎপাদিত খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে পারছে না।
ইউক্রেনে গত মৌসুমে ৮ কোটি ৬০ লাখ টন খাদ্যপণ্য উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে যুদ্ধের কারণে ৩০ শতাংশ খাদ্যপণ্য তারা মাঠ থেকে তুলতে পারছে না। যুদ্ধের কারণে আগামী মৌসুমে ইউক্রেনে খাদ্যপণ্য উৎপাদন অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করায় রাশিয়া পালটা ব্যবস্থা হিসাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় জ্বালানি তেল ও গ্যাস রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে অথবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। রাশিয়া বিশ্বে সার জোগানের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকে। তারা বিশ্ববাজারে সার রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে। এতে বিভিন্ন দেশে সারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
এ অবস্থায় আগামী মৌসুমে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের উৎপাদন কমে যাবে, এটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। রাশিয়া জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় বিশ্বব্যাপী পরিবহণ ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ অবস্থায় আগামী মৌসুমে কৃষিকাজ বিঘ্নিত হবে এবং খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে। এ বছর বিশ্বব্যাপী যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে, তার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছে পরিবহণ ব্যয় বৃদ্ধিজনিত সংকট। আগামী বছর পরিবহণ সংকটের সঙ্গে উৎপাদন সমস্যাও যোগ হচ্ছে। ফলে খাদ্যপণ্যের উৎপাদন ও জোগান ব্যাপকভাবে কমে যাবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা আগামী বছর বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস দিচ্ছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী ভূমিকা পালন করছে? অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের একটি সাধারণ কৌশল হচ্ছে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া।
এ কাজটি ইচ্ছা করলেই সরকার ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না। একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার কিছু সাধারণ কৌশল প্রয়োগ করে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমানোর ব্যবস্থা করতে পারে। তারা যদি নীতি সুদহার বাড়িয়ে দেয়, তাহলে সিডিউল ব্যাংকগুলো যে ঋণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গ্রহণ করবে তার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তুলনামূলক স্বল্প সুদে ঋণ দিতে পারবে না। ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যাবে।
বিশ্বের অন্তত ৭৭টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত কয়েক মাসে অন্তত চারবার নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও বেশ কয়েকবার তাদের সুদহার বাড়িয়েছে। তারপরও উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
সর্বশেষ খবর হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সুদহার ৪ শতাংশের কাছাকাছি চলে গেছে। আগামী দিনে নীতি সুদহার আরও বাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাজ্যও তাদের সুদহার বেশ কয়েকবার বাড়িয়েছে। তারপরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ অতিক্রম করে গেছে।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
দেশটির অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের মূল্যস্ফীতির হার ১৩ শতাংশ অতিক্রম করতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর গড় মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশ অতিক্রম করে গেছে। এ অবস্থায় ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চিরাচরিত ধারণা ভুল প্রতীয়মান হতে চলেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান না হলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের অবস্থা কী হবে? বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল আগস্ট মাসে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু এটি কোনোভাবেই অর্জনযোগ্য নয়। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই বলছেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি যদি ১০ শতাংশের নিচে রাখা যায়, সেটাই হবে বড় সাফল্য।
আসন্ন উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাকে ‘উলটো রথে পদযাত্রা’ বলে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সুদহার হচ্ছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু সুদের হার বাড়ানো হয়নি। এমনকি আমানতের ওপর প্রদেয় সুদহারও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে।
একইসঙ্গে আমানতের ওপর প্রদেয় সুদহার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সাড়ে ৫ শতাংশ এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নীতি সুদহার বাড়ানোর পর ব্যাংক ঋণের সুদের হার না বাড়ানোর কারণে ব্যাংকগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের সময় বেশি হারে সুদ প্রদান করলেও সেই ঋণের অর্থ তারা আগের মতোই ৯ শতাংশে বিনিয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে নীতি সুদহার বাড়িয়ে বাজারে অর্থপ্রবাহ কমানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে।
একই সঙ্গে আমানতের ওপর সুদহার আগের মতোই নির্ধারিত থাকায় ব্যাংকগুলো উদ্বৃত্ত আমানতপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেননা সাধারণ আমানতকারীরা কম সুদে আমানত ব্যাংকে রাখছে না। কারণ, ব্যাংকে আমানত রাখলে বছর শেষে একজন আমানতকারীর লোকসান হবে। তিনি আমানতের ওপর সুদ পাবেন সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। আর তার আমানতকৃত অর্থ মূল্য হারাবে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। কাজেই বাজারে অর্থ জোগান কোনোভাবেই কমবে না। ব্যাংক ঋণের প্রবাহ না কমে বরং আরও বাড়তে থাকবে।
এ মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন হলো বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া। মার্কিন ডলারের বিনিময় হার যদি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে রপ্তানি আয় এবং জনশক্তি রপ্তানি খাত থেকে আহরিত আয় রেমিট্যান্সের পরিমাণও বাড়বে। জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য আমদানি পণ্যের শুল্ক কমানোর পাশাপাশি আমদানি পণ্যে ভর্তুকি দেওয়া যেতে পারে। সাধারণ মানুষ বড়ই কষ্টে আছে। তাদের জন্য তুলনামূলক কম মূল্যে খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য পণ্যের জোগান নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো
- ব্যবসায়িক ঝুকি বলতে কি বুঝায় উদাহরণ সহ আলোচনা করো
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো
- খিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য । খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য
- What do you near by Business communication?, Explain the concept of business communication
- Describe the barriers to effective communication in business organization