ইনফেকশনের কারণে পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বস্তিকর অবস্থার সম্মুখীন হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি যে কারো হতে পারে।
জেনিটাল সোর (Genital sores) হলো পুরুষাঙ্গের এক ধরনের ইনফেকশন। এর কারণে পুরুষাঙ্গ, স্ক্রোটাম বা ইউরেথ্রাতে ঘা দেখা যায়। এটি সাধারণত যৌনমিলনজনিত ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে।
জেনিটাল ওয়ার্টস (Genital warts) হলো যৌনাঙ্গ, উরু বা পায়ুপথের আঁচিল। এটি দেখতে কখনও কখনও ফুলকপির মত হয় আবার কখনও কখনও ত্বকের সাথে লেগে থাকে। যৌনমিলনের কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে এটি দেখা যায়। এর কারণে ব্যথা হতেও পারে, নাও হতে পারে।
মেয়েদের যৌনাঙ্গে চুলকানি,যৌনাঙ্গে চুলকানি হলে করনীয়,যৌনাঙ্গে চুলকানি প্রতিকার
পুরুষাঙ্গে যে ইনফেকশন বেশি হয় তা ক্ল্যামাইডিয়া ট্র্যাকোমেটিস নামক ছোট ও ওব্লিগেট ইন্ট্রাসেলুলার ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে, যা হিউম্যান কলামনার এবং ট্রাঞ্জিশনাল এপিথেলিয়ামকে আক্রান্ত করে। এর কারণে অকুলার ইনফেকশন, জেনিটোইউরিনারী ইনফেকশন এবং লিম্ফোগ্রেনুলোমা ভেনেরাম হয়ে থাকে। লিম্ফোগ্রেনুলোমা ভেনেরাম হলো যৌন ইনফেকশনের একটি বিরল প্রকারভেদ, যার কারণে জেনিটাল আলসার এবং লিম্ফ্যাডেনোপ্যাথি হয়ে থাকে।
পেনিস বা পুরুষ লিঙ্গের আলসার হলো পুরুষের জননাঙ্গে ঘা হওয়া, ফুলে যাওয়া এবং ব্যাথা এবং পুজ বের হওয়া , যা পুরুষের প্রজনন পদ্ধতিতে একটি বড় রকমের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। লিঙ্গের রোগ শুধুমাত্র অস্বস্তি বা ব্যথার কারণ নয়, সেই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির যৌন ক্রিয়াকেও প্রভাবিত করে। লিঙ্গের মাথায় ঘা হলে করণীয় কি
এই রোগের অনেক গুলো জটিলতা এবং উপসর্গ রয়েছে :
- পেনিস বা পুরুষাঙ্গে লালভাব দেখা দেওয়া
- পুরুষাঙ্গে ব্যথা হওয়া
- ত্বকের ফুসকুড়ি (Skin rash)
- অস্বাভাবিক ত্বক
- জ্বর (Fever)
- মুত্রত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া
- পুজ বের হওয়া
- তলপেটের নিচের দিকে ব্যথা হওয়া
- পেনিস বা পুরুষাঙ্গ দিয়ে তরল নির্গত হওয়া
- ত্বকের ক্ষত
- চুলকানি
কারণ
এই ইনফেকশন সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ফাঙ্গাসের কারণে হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ইনফেকশন ছোঁয়াচে হয়ে থাকে। তাই এই অবস্থায় যৌন মিলনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
লক্ষণ
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:
পেনিস বা পুরুষাঙ্গে লালভাব দেখা দেওয়া (Penis redness) | অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া (Swelling of scrotum) |
শুক্রাশয়ে ব্যথা হওয়া (Pain in testicles) | অণ্ডথলিতে চাকা/পিণ্ড (Mass in scrotum) |
ত্বকের বৃদ্ধি (Skin growth) | অস্বাভাবিক ত্বক (Abnormal appearing skin) |
পুরুষাঙ্গে ব্যথা হওয়া (Penis pain) | পেনিস বা পুরুষাঙ্গ ফুলে যাওয়া (Bumps on penis) |
আঁচিল (Warts) | কুঁচকিতে ব্যথা (Groin pain) |
শিশুর খিটখিটে স্বভাব (Irritable Infant) | পেট ফুলে যাওয়া (Swollen abdomen) |
চিকিৎসা
- ঔষধ
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:
azithromycin | ceftriaxone |
cephalexin | clindamycin phosphate |
vancomycin hydrochloride |
আরো পড়ুন: স্ত্রীর মলদ্বার দিয়ে যৌনমিলন সম্পর্কে কি বলে ইসলাম
কিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:
কিডনী ফাংশন টেস্ট (Kidney function test) |
সি-বি-সি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) (CBC, Complete Blood Count) |
ব্লাড কালচার (Blood culture) |
ইউরিন এনালাইসিস (Urinalysis) |
উন্ড ম্যানেজমেন্ট (Wound care management) |
উন্ড সোয়াব সি/এস (Wound swab c/s) |
উন্ড সোয়াব গ্রাম স্টেইন (Wound swab gram stain) |
লিঙ্গের সমস্যার কারন এর মধ্যে রয়েছ-
১. ব্যালানাইটিস, প্রিয়াপিজম, পাইরোনিস ডিজিজ, সিফিলিস, গনোরিয়া, যৌনাঙ্গের ক্যানসার,
২. পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে কোনভাবে কেটে গেলে বা আঁচড় লাগলে পরে সেখান থেকে আলসার হতে পারে,
৩. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ইনফেকশনে হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
৪. ইনফেকশন থেকে হতে পারে।চিকিৎসা,
৫. মুসলমানি করা হয়নি এমন যে কোনো বয়সী পুরুষের যে কোনো সময় লিঙ্গমুন্ডুতে প্রদাহ হতে পারে।
আরো পড়ুন: স্ত্রীর মলদ্বার দিয়ে যৌনমিলন সম্পর্কে কি বলে ইসলাম
সতর্কতা এবং করনীয়:
১, যে স্থানটিতে ইনফেকশন দেখা দেয় স্থানটি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
২, প্রতিদিন অন্তর্বাস পরিবর্তন করা অর্থাৎ একদিন যেটা ব্যবহার করেন সেটা পরবর্তী এক সপ্তাহ ব্যবহার না করাই ভালো। লিঙ্গের মাথায় ঘা হলে করণীয় কি?, পুরুষ যৌনাঙ্গের ইনফেকশন, পুরুষাঙ্গে ঘা হলে করণীয় জেনে নিন
৩, চুলকালে না চুলকানো ভালো এতে করে সমস্যা আরো প্রকট আকারে দেখা দেয়, এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
৪, আক্রান্ত স্থান রাখবেন না যতটা পারুন দ্রুত শুকিয়ে নিন এবং শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।
৫, সব সময় সুতি অন্তর্বাস পরিধান করার অভ্যাস করুন।
৬, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট নিন।
এই রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম ঘরোয়া পন্থা হলো নিরাপদ যৌনসম্পর্ক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ অনিরাপদ যৌনসম্পর্কের কারণে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। তাই যৌনমিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে, এবং একাধিক যৌনসঙ্গীর সাথে যৌনমিলন হতে বিরত থাকতে হবে। যৌনমিলনের পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। সুইমিং পুল, ওয়াটার পার্ক প্রভৃতি স্থানে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং ব্যবহৃত জিনিস যেমন তোয়ালে ও পোশাক আদান-প্রদান করা যাবে না। এভাবেই এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
পরিশেষে : মেয়েদের যৌনাঙ্গে চুলকানি,যৌনাঙ্গে চুলকানি হলে করনীয়,যৌনাঙ্গে চুলকানি প্রতিকার,যৌনাঙ্গে চুলকানির,যৌনাঙ্গ চুলকায়
আপনার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো কিছু পোস্ট